বলা হচ্ছিল, ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দিতে পিয়ার্স মরগানের মুখোমুখি হয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তা রীতিমতো আণবিক বোমাই ফেটেছে। এরিক টেন হাগের প্রতি শ্রদ্ধার ঘাটতি, ওয়েন রুনিকে এক হাত দেখে নেওয়া… রোনালদো মুখে লাগাম টানেননি কোনো বিষয়েই। দ্য সানে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারের অনুবাদ থাকল রোর বাংলার পাঠকদের জন্য।
এরিক টেন হাগকে নিয়ে…
আপনি যদি একজন কোচই না হন, তাহলে আপনি কী করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব নিতে পারেন। রাল্ফ রাগনিকের নামই তো আমি আগে কখনও শুনিনি। এরিক টেন হাগকে আমি শ্রদ্ধা করি না, কারণ সেই সম্মানটুকু তিনি আমাকেও দেননি। আমাকে সম্মান না দিলে আপনার প্রতি আমার এক ফোঁটা সম্মানও থাকবে না।
ওয়েইন রুনি প্রসঙ্গে…
জানি না, ওয়েইন রুনি কেন আমাকে এত বাজেভাবে সমালোচনা করছে। খুব সম্ভবত, ও অবসর নিয়ে নিয়েছে আর আমি এখনো শীর্ষ পর্যায়ে খেলছি দেখেই।
এটাও বলছি না আমাকে এখনও ওর থেকে ভালো দেখাচ্ছে, যদিও এটা আদতে সত্যি…
স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনকে নিয়ে…
স্যার অ্যালেক্স (ফার্গুসন) ক্লাব ছাড়ার পর থেকে এক ইঞ্চি উন্নতিও হয়নি। কোনো ক্রমোন্নতি দেখতে পাচ্ছি না আমি, কিচ্ছু বদলায়নি।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে কেন এসেছিলেন?
আমার মতে, সমর্থকদের সত্যটা জানা উচিত, আমি ক্লাবের জন্য সবচেয়ে ভালোটাই চাই। এ কারণেই আমি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এসেছি।
আমি হৃদয়ের কথা শুনেছি। স্যার অ্যালেক্স আমাকে ফোন করে বললেন, ‘তুমি ম্যানচেস্টার সিটিতে যেতে পারো না,’ আমি জবাব দিয়েছিলাম, ‘ওকে, বস।’
ইউনাইটেডে কোন পথে…
কিন্তু ক্লাবের অভ্যন্তরীণ কিছু ব্যাপার-স্যাপার আমাদের সিটি, লিভারপুল কিংবা এখনকার আর্সেনালের মতো শীর্ষে পৌঁছাতে দিচ্ছে না। (ইউনাইটেডের মতো) এই মাত্রার একটা ক্লাবের সব সময়ই গাছের মগডালে চড়ে থাকা উচিত, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, যেটা তারা নেই।
এটাই ইউনাইটেডের ভবিষ্যৎ?
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে আমি ভালোবাসি। সমর্থকদেরও, তারা সব সময়ই আমার পক্ষে থাকে। কিন্তু, এরা যদি ভিন্ন কিছু করতে চায়… অনেক, অনেক কিছু বদলাতে হবে তাদের।
আর সবার চেয়ে তারই সবচেয়ে ভালো জানার কথা যে ক্লাব সঠিক রাস্তায় নেই। শুধু তিনি কেন, সবাই-ই জানে। যারা আপনাকে অন্য কিছু বলবে, তারা আসলে (সত্যিটা) দেখতে চায় না। তারা অন্ধ।
পরিবার, এবং পরিবার…
পরিবার আমার কাছে সব কিছুর ঊর্ধ্বে। আর এই বছর যেসবের মধ্য দিয়ে গিয়েছি, তারপরে তো আরও বেশি।
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে…
ফুটবলে সমর্থকদের গুরুত্বই সর্বোচ্চ। তাদের জন্যই তো আপনি খেলেন।
তারা সব সময়ই আমার পাশে ছিল। যখনই আমি বাইরে যাই, রাস্তায় হাঁটতে বেরোই, ভক্তরা এসে আমার প্রতি তাদের মুগ্ধতা জ্ঞাপন করে। ফুটবলের জন্য যা করেছি, সেটাই কারণ।
আবারও বলছি, সমর্থকেরা আমার জন্য সব কিছু। তাদের কারণেই এই সাক্ষাৎকার দিতে বসেছি আমি, কেননা আমার মনে হচ্ছিল মন খুলে কথা বলার জন্য এই সময়টাই যথার্থ।