দেশের হয়ে জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমে বসতে পারা, বড় বড় ক্রিকেটারদের সাথে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করা একজন পেশাদার ক্রিকেটারের জীবনের সবচেয়ে সুখকর মুহূর্তগুলোর একটি। কিন্তু যদি এই মুহূর্তটা নিজের ভাইয়ের সাথে উপভোগ করা যায় তাহলে সেটি নিঃসন্দেহে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। ক্রিকেট ইতিহাসে এমন অনেক ভ্রাতৃদ্বয় বা ক্ষেত্রবিশেষে ভ্রাতৃত্রয় রয়েছেন যারা নিজ দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সম্মানের সাথে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আজকের প্রথম পর্ব এমন কিছু জুটিকে নিয়েই।
ওয়াহ ভ্রাতৃদ্বয় (স্টিভ ও মার্ক)
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তারা। অধিনায়কত্বও করেছেন। বড় ভাই স্টিভের চেয়ে চার মিনিটের ছোট ছিলেন মার্ক। স্টিভের অস্ট্রেলিয়া দলে অভিষেকটাও ‘জুনিয়র’ ওয়াহের তিন বছর আগে, ১৯৮৫-তে। স্টিভ ওয়াহকে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক মানা হয়। ৪১ জয়, ৯ হার ও ৭২% টেস্ট জয় তো তার পক্ষেই কথা বলে। ১৯৯৭ থেকে ২০০৪ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড সংখ্যক ১৬ টেস্ট জয়ের ১৫টিতেই নেতৃত্ব দিয়েছেন স্টিভ ওয়াহ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপও অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল তারই নেতৃত্বে। ১৬৮ টেস্টে ৫১ গড়ে ১০ হাজারের উপর রান আর ৩২৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে সাড়ে ৭ হাজার রান তার ব্যাটসম্যান সত্তাকেও প্রতীয়মান করে তোলে।
তিন বছর পর অভিষিক্ত জুনিয়র ওয়াহকে মানা হয় ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম নান্দনিক ব্যাটসম্যান হিসেবে। অন সাইডে চোখধাঁধানো সব শটের জন্য সুপরিচিত মার্ক ওয়াহ ১২৮ টেস্টে ৪১ গড়ে ৮,০২৯ এবং ২৪৪ ওয়ানডেতে ৩৯ গড়ে কাটায় কাটায় সাড়ে আট হাজার রান করেছেন।
তাদের আরো এক ভাই, ডিন ওয়াহও প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন।
ম্যাককালাম ভ্রাতৃদ্বয় (ব্রেন্ডন ও নাথান)
নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা তারকা ব্রেন্ডন ‘বাজ’ ম্যাককালামের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ২০০২ সালে। দলের হয়ে তিন ফরম্যাটেই অধিনায়কত্ব করার গৌরব অর্জন করা ব্রেন্ডন ম্যাককালাম তার বিদায়ী টেস্ট ম্যাচে ১৪৫ রান করার পথে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্রুততম শতরানের রেকর্ড গড়েন। শতরান পূরণ করতে বাজ খেলেন মাত্র ৫৪ বল। প্রথম কিউই ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ত্রিশতক করার কীর্তিও তার। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে দুর্দান্ত পিঞ্চ হিটিং আর দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব করে দলকে রানারআপ করেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
তার বড় ভাই নাথান ম্যাককালাম বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে নিউজিল্যান্ডের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং ২০১৬ আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-২০ এর পরে অবসর নেন। তিনি পেশাদার ফুটবলও খেলেছেন।
চ্যাপেল ভ্রাতৃত্রয় (ইয়ান, গ্রেগ ও ট্রেভর)
পুরোদস্তুর ক্রিকেটীয় পরিবার যাকে বলে। তাঁদের দাদাও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ এর মাঝে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইয়ান চ্যাপেল। ইয়ান চ্যাপেলকে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়ক মানা হয়ে থাকে। ক্যারিয়ারের শুরুতে মিডল অর্ডারে সুযোগ পাওয়া ইয়ান নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি শুরুর দিকে। কিন্তু তিন নাম্বারে ব্যাটিং করার সুযোগ পাওয়ার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বড় চ্যাপেলকে। সত্তরের দশকে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে পেশাদারিত্ব আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ইয়ান চ্যাপেলের। তার অধিনায়কত্বের সময় অস্ট্রেলিয়া দল নিয়মিত বিপক্ষ দলকে স্লেজিং করতে শুরু করে। টেস্ট ক্যারিয়ারে খেলা ৭৫ ম্যাচে ৪২ গড়ে ৫,৩৪৫ রান করেন ইয়ান। ১৬ ওয়ানডেতে ৪৮ গড়ে সাড়ে ৬ হাজারের অধিক রান করেছেন এই আগ্রাসী ব্যাটসম্যান। অবসরের পর সাংবাদিক ও ধারাভাষ্যকার হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ইয়ান।
বড় চ্যাপেলের চেয়ে বেশি টেস্ট ও ওয়ানডে খেলেছেন ছোট ভাই গ্রেগ। ৮৭ টেস্টে ২৪ সেঞ্চুরিতে ৭ হাজারের উপর রান করেছেন তিনি। ৭৪ ওয়ানডেতে ৪০ গড়ে ২,৩৩১ রান করেছেন গ্রেগ। ৪৮ টেস্টে অধিনায়কত্ব করে ২১ জয় উপহার দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে।
ট্রেভর চ্যাপেলের ক্যারিয়ার ৩ টেস্ট আর ২০ ওয়ানডের চেয়ে বেশি দীর্ঘায়িত না হলেও তিনি হয়ে আছেন এক কুখ্যাত ইতিহাসের অংশ হয়ে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক ওয়ানডে ম্যাচে শেষ ওভারে বোলিং করছিলেন ট্রেভর চ্যাপেল। শেষ বলে নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৬ রান। এসময় অধিনায়ক গ্রেগ তাঁর ভাই ট্রেভরকে মাটিতে গড়িয়ে বল বা ‘আন্ডারআর্ম’ বল করার পরামর্শ দেন। উইকেটরক্ষক রড মার্শের প্রতিবাদ সত্ত্বেও গ্রেগ সিদ্ধান্তে অটল থাকেন এবং ট্রেভরের সেই কুখ্যাত ডেলিভারির কারণে জয়বঞ্চিত হয় নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীই এ ঘটনার সমালোচনা করেন। গ্রেগের অবসর জীবনও বিতর্কমুক্ত ছিল না। বিশেষত যে সময়ে তিনি ভারতের কোচ ছিলেন সে সময়টাকে ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের কালো অধ্যায় মানা হয়।
মার্শাল ভ্রাতৃদ্বয় (হামিশ ও জেমস)
স্টিভ ও মার্ক ওয়াহের পর দ্বিতীয় যমজ যুগল হিসেবে টেস্ট ক্রিকেট খেলার গৌরব অর্জন করেন হামিশ ও জেমস মার্শাল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, তারা প্রথম ‘আইডেন্টিক্যাল পেয়ার’ হিসেবে টেস্ট ক্রিকেট খেলেন। এর অর্থ হচ্ছে, তাদের দেখে পৃথকভাবে চেনার উপায় নেই। ১৩ টেস্ট আর ৬৬ ওয়ানডে খেলেছেন হামিশ। ওয়ানডেতে তেমন আলো না ছড়াতে পারলেও সংক্ষিপ্ত টেস্ট ক্যারিয়ারে রান করেছেন ৩৮ গড়ে।
জেমস মার্শালের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার আরো ছোট। তবে বিদায়ী ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস উদ্বোধন করতে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সাথে ২৬৬ রানের বিশাল জুটি গড়েন জেমস। তাঁর ব্যক্তিগত ইনিংস থামে ১৬১-তে, যা বিদায়ী ওয়ানডেতে কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ স্কোর।
মার্শ ভ্রাতৃদ্বয় (শন ও মিচেল)
সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার জিওফ মার্শের দুই ছেলে শন ও মিচেল মার্শ। দুজনেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শন মার্শ ব্যাটিংয়ের সকল পজিশনে খেলেই অভ্যস্ত। ৩৮ টেস্টে ৬ সেঞ্চুরিতে ২,২৬৫ রান ও ৭৩ ওয়ানডেতে ৪০ গড়ে ২,৭৭৩ রান করেছেন শন। ওয়ানডেতেও রয়েছে ৭ সেঞ্চুরি।
শনের ছোট ভাই মিচেল মার্শও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সকল ফরম্যাটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩২ টেস্ট ও ৫৭ ওয়ানডে খেলা মিচেল ব্যাট ও বল হাতে সমান পারদর্শী। ২ টেস্ট সেঞ্চুরি ও ১ ওয়ানডে সেঞ্চুরির পাশাপাশি উভয় ফরম্যাটে বল হাতে একবার করে ৫ উইকেট পেয়েছেন।
হাসি ভ্রাতৃদ্বয় (মাইক ও ডেভিড)
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সকল ফরম্যাটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ‘মিস্টার ক্রিকেট’ খ্যাত মাইকেল হাসি। ২৮ বছর বয়সে ওয়ানডে ও ৩০ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয় মাইক হাসির। টেস্ট অভিষেকের পূর্বে ১৫,৩১৩ প্রথম শ্রেণীর রান করে ফেলেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৭৯ টেস্টে ৫১ গড়ে ৬ হাজারের উপর রান করেছেন মাইক, করেছেন ১৯টি শতক। ওয়ানডে ক্যারিয়ারেও যথেষ্ট সফল মাইক হাসি। ১৮৫ ওয়ানডেতে ৪৮ গড়ে ৫,৪৪২ রান করেছেন। ২০১০ ওয়ার্ল্ড টি-২০ এর সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৪ বলে ৬০ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের মাধ্যমে পাকিস্তানকে প্রায় অসম্ভব পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ হারিয়ে দেন। তাঁর এই ইনিংসটি আন্তর্জাতিক টি-২০ এর অন্যতম সেরা ইনিংস হিসেবে পরিগণিত হয়।
মাইক হাসির ছোট ভাই ডেভিডও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডে ও টি-২০ খেলেছেন। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৫২ গড়ে রান করেও কখনও টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি ডেভিড।
ক্রো ভ্রাতৃদ্বয় (জেফ ও মার্টিন)
বয়সে চার বছরের ছোট হলেও বড় ভাইয়ের এক বছর আগেই টেস্ট অভিষেক হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার মার্টিন ক্রোর। ১৯ বছর বয়সে টেস্টে অভিষেক হওয়া মার্টিন ১৯৯০ সালে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কত্ব পান এবং ১৯৯৩ পর্যন্ত এই পদে বহাল থাকেন। ১৯৯১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচে ২৯৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা তখনকার নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ছিল। ১৯৯২ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও আসরের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন মার্টিন ক্রো। ২০১২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, তবে পরের বছর তাঁকে ক্যান্সারমুক্ত ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে রোগটি আবার ফিরে আসে এবং ২০১৬ সালে মারা যান তিনি।
মার্টিন ক্রোর বড় ভাই জেফের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ততটা সমৃদ্ধ ছিল না। ৩৯ টেস্ট ও ৭৫ ওয়ানডেতে তার গড় ছিলো যথাক্রমে ২৬ ও ২৪। ২০০৪ থেকে আইসিসির অফিসিয়াল ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করছেন জেফ ক্রো।
ফ্লাওয়ার ভ্রাতৃদ্বয় (অ্যান্ডি ও গ্রান্ট)
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। এক দশকের বেশি সময় উইকেট সামলানোর পাশাপাশি ব্যাট হাতে দুর্দান্ত মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। ৬৩ টেস্টে ৫১ গড়ে করেছেন ৪,৭৯৫ রান আর ২১৩ ওয়ানডেতে ৩৫ গড়ে করেছেন ৬,৭৮৬ রান। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে এক ইনিংসে টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের মালিক অ্যান্ডি (২৩২*)। ক্যারিয়ারের শেষের দিকে ২০০৩ বিশ্বকাপে অ্যান্ডি আর হেনরি ওলোঙ্গা রবার্ট মুগাবে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ কালো আর্মব্যান্ড পরে নেমেছিলেন। এই ঘটনার জন্য তার অবসর ত্বরান্বিত হয়।
বাঁহাতি স্পিনার এবং অসাধারণ ব্যাটিং দক্ষতার জন্য গ্রান্ট ফ্লাওয়ার জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার বিবেচিত হন। ৬৭ টেস্ট ও ২২১ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে তাঁর রয়েছে ১২টি আন্তর্জাতিক শতক ও ১২৯টি উইকেট।
আকমল ভ্রাতৃত্রয় (কামরান, উমর ও আদনান)
কামরান আকমল, উমর আকমল ও আদনান আকমল- এই তিনজনই পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে তিনজনই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ছিলেন। উমর যদিও নিয়মিত উইকেটরক্ষক নন, তবে তিনিও ‘মেকশিফট’ উইকেটরক্ষকের ভূমিকা পালন করেছেন।
৫৩ টেস্টে ৬ সেঞ্চুরিতে ২,৬৪৮ রান করেছেন কামরান আকমল। ওয়ানডে ক্যারিয়ারও খুব একটা খারাপ নয়। ৫ সেঞ্চুরিতে ১৫৯ ম্যাচে ৩,২৩৬ রান। ৫৮টি টি-২০ খেলেছেন পাকিস্তানের হয়ে। ৫টি ফিফটি রয়েছে সেখানেও।
আগ্রাসী মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত উমর আকমল টেস্ট ক্রিকেটে ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতে না পারলেও খেলেছেন ১২১ ওয়ানডে ও ৮৪টি আন্তর্জাতিক টি-২০। ওয়ানডেতে ৩৪ গড়ে ৩,১৯৪ রানের পাশাপাশি ৮ ফিফটিতে ১,৬৯০ রান করেছেন আন্তর্জাতিক টি-২০-তে। ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে করেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তিতুল্য লেগ স্পিনার আব্দুল কাদিরের মেয়েকে।
পাকিস্তানের হয়ে ২০ টেস্ট ও ৫ ওয়ানডেতে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন এই পরিবারের আরেক সদস্য আদনান আকমল।