কোচ হিসেবে প্রথম অভিজ্ঞতা ছিলো তার শ্রীলঙ্কাতেই। খেলা ছাড়ার পর ‘এ’ দলের কোচ ছিলেন এবং জাতীয় দলের ছায়া কোচ ছিলেন। তারপর অস্ট্রেলিয়ায় নিউ সাউথ ওয়েলস ও সিডনি থান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন। কোচ হিসেবে বড় হয়েছেন বাংলাদেশের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে। এখন তিনি শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের কোচ।
চান্দিকা হাথুরুসিংহে কথা বলেছেন বাংলাদেশে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে, নিজের কোচিং দর্শন নিয়ে এবং বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে।
শ্রীলঙ্কা দলের সাথে এটা আপনার প্রথম পর্ব নয়। এর আগে ২০০০ এর শেষের দিকে আপনি দলের অংশ ছিলেন। এবার কি আপনার জন্য দলে কোনো বড় বিস্ময় ছিলো?
আমি যে দুটো দলের সাথে কাজ করেছি, আমার ধারণা, তাদের মধ্যে ক্রিকেট বুদ্ধিমত্তায় পার্থক্য আছে। আগের দলটির অনেক অভিজ্ঞতা ছিলো এবং ওখানে খেলাটির খুব ভালো ছাত্র কিছু ক্রিকেটার ছিলো। এবার আমি যখন ফিরে এলাম, ক্রিকেট বুদ্ধিমত্তা এখনও দেখছি। তবে সেটা আগের মানের নয়।
অস্ট্রেলিয়াতে কাটানো সময় এবং বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন আপনাকে কোচ হিসেবে কতটা বদলে দিয়েছে?
প্রতিটা কাজই একটা নতুন অভিজ্ঞতা। আমি যখন অস্ট্রেলিয়ায় গেলাম, ওখানে নিউ সাউথ ওয়েলস ক্রিকেটে আমি কোচ হিসেবে দারুন সুযোগ পেয়েছি। এরপর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সাথেও কিছু কাজ করেছি। সিডনি থান্ডারকে সামলানোটা বড় একটা অভিজ্ঞতা ছিলো। বাংলাদেশ আবার একেবারে ভিন্ন একটা চ্যালেঞ্জ ছিলো। প্রতিটা দলের ভিন্ন ভিন্ন বৈচিত্র ও ভিন্ন ভিন্ন পরিণত মনস্কতা আছে। ফলে প্রতিটা দলের সাথে আপনার মানসিকতাও বদলে যায়।
অস্ট্রেলিয়াতে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো দলের সংস্কৃতি। তারা এটাকে খুব গুরুত্ব দেয়। তারা একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনায় ধারাবাহিকভাবে কাজ করায় গুরুত্ব দেয়। অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে তারা অনেক অগ্রসর মানের কাজ করে। তারা পরিকল্পনার ফল আসার ব্যাপারে সময় দিতে রাজি থাকে। তারা খুব দ্রুত তাড়াহুড়ো করা সিদ্ধান্ত নেয় না। অস্ট্রেলিয়া থেকে এটাই আমার ইতিবাচক অভিজ্ঞতা ছিলো।
বাংলাদেশে আমি আমি যেটা বিশ্বাস করি, সেটা নিয়ে কাজ করার আত্মবিশ্বাসটা পেয়েছি। আমি আমার স্বতঃস্ফুর্ততায় বিশ্বাস করি। আমি ওখানে বোর্ডের অনেক সমর্থন পেয়েছি।
বাংলাদেশে আপনার সময়ে মনে হয়েছে, আপনি অনেক বেশি খবরদারি করেন সবকিছুতে (মাইক্রোম্যানেজার)। এটা কী আসলে সত্যি?
(হাসি) আমার তা মনে হয় না। কোচিংয়ের সাথে কিছু দায়িত্ব তো চলে আসে। সেটা আর কারো কাঁধে চাপিয়ে না দিয়ে আমি নিজে নিয়ে নিয়েছি। যখন সবকিছু ভালো চলে বা যখন সবকিছু খারাপ চলে, আমি বিশ্বাস করি, একজন নেতা হিসেবে আমাকেই আমার লোকেদের হয়ে সামনে এসে দাঁড়াতে হবে। আমি মনে করি না যে, আমি একজন মাইক্রোম্যানেজার। আমি খেলোয়াড়দের, আমার সহকর্মীদের অনেক স্বাধীনতা দিয়েছি। যারা জানে না যে, তারা কী করতে চায়, এরকম লোকেদের জন্য আমার কাছে বেশি সময় থাকে না।
শ্রীলঙ্কা এমন একটা সময় কাটাচ্ছিলো, যখন দল নির্বাচনে অনেক বেশি অধারাবাহিকতা চলছিলো। আপনার কী মনে হয়, এটা খেলোয়াড়দের কতটা আক্রান্ত করেছিলো?
এতে অনেক অনিরাপত্তা তৈরি হয়। ধারাবাহিকভাবে বদল কারো কোনো উপকার করে না। যারা সিদ্ধান্ত নেয় এবং যারা খেলোয়াড়; কারোর উপকার হয় না। যখন সিদ্ধান্তগ্রহীতারা দ্রুত সিদ্ধান্ত বদলায়, তার অর্থ হলো, তাদের নির্দিষ্ট করে জানা নেই যে, তারা কী করছে। এর ফলে খেলোয়াড়দের মধ্যেও কোনো স্থিতিশীলতা থাকে না। আপনি একবার যখন খেলোয়াড়দের শক্তিটা ধরে ফেলতে পারবেন, তখন সেটা পূরণ করার জন্য তাদের যথেষ্ট সময় দিতে হবে। আমি মনে করি, বড় ব্যাপার হলো ড্রেসিংরুমটাকে শান্ত রাখা এবং তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেরা খেলার জন্য সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। আমার ধারণা, আমি বাংলাদেশে এটাই করার চেষ্টা করেছি। ওখানে চার বছরে আমার মনে হয় আমরা জনাবিশেক খেলোয়াড় নিয়ে খেলেছি।
এই অস্থিতিশীল সময়টা কি শ্রীলঙ্কাকে পিছিয়ে দিয়েছে?
হ্যাঁ। আমি বলি যে, এতে খেলোয়াড়রা গতকালকের মনোভাব নিয়ে খেলে। তারা গতকাল কী হয়েছে, এ নিয়ে চিন্তা করে; বর্তমানে কী হচ্ছে, তা নিয়ে নয়। ফলে এদের বর্তমান ভূমিকা নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
একটা লম্বা সময় অবধি মনে করা হতো, স্থানীয় কাউকে শ্রীলঙ্কা দলের দায়িত্ব দেওয়া উচিত না। কারণ, তারা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়তে পারে। আপনি এই ব্যাপারটা কিভাবে সামলাচ্ছেন?
এটা আমার মতামত নয়। ফলে আমি এ নিয়ে মন্তব্য করবো না। আমি চলে যাওয়ার পর এসব যারা ভাবতো, তাদের মনোভাব নিশ্চয়ই বদলাবে।
কিন্তু আপনাকে তো প্রশাসকদের সাথে অনেক দর কষাকষি করতে হয়।
আমার ধারণা, এটা উপমহাদেশের বৈশিষ্ট্য। এটা ভিন্ন একটা মাত্রা। অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ ও এখানে কাজ করার অভিজ্ঞতা দিয়ে আমি অনেক সাংস্কৃতিক ভিন্নতা দেখতে পাচ্ছি। আমি এটা জেনেই এসেছি। আপনি যদি চ্যালেঞ্জ নিতে চান, তাহলে আপনাকে এসব সামলাতে জানতে হবে।
বাংলাদেশে আপনার অভিজ্ঞতা কি আপনাকে এগুলো সামলাতে আরও সহায়তা করছে?
আমার তা-ই মনে হয়। শুধু বাংলাদেশে আমার অভিজ্ঞতা নয়, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সাথে আগে যে কাজ করেছি, সে অভিজ্ঞতাও আমাকে সহায়তা করছে। আমি মাইক্রোম্যানেজ করি না, তবে যেটা ভালো মনে করি, সেটা করি; লোকে কী ভাববে, সেটা না চিন্তা করেই করি।
দলের মধ্যে স্বাধীনতাটা কতটা জরুরি?
খুব জরুরি। আমি মনে করি, এটা যেকোনো খেলাধুলায় সাফল্যের জন্য প্রধান ব্যাপার। মাঠে অনেক চাপ থাকে। ফলে খেলোয়াড়দের নির্ভয়ে এবং পরিণতির দুশ্চিন্তা না করেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। আমি এটাকেই স্বাধীনতা মনে করি। আমি নিজে এই স্বাধীনতা প্রয়োগ করার ফলাফল দেখে বিস্মিত হয়ে গেছি। কী দ্রুত যে খেলোয়াড়রা পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে পারে! একটা ভালো উদাহরণ হলো থিসারা পেরেরা। এর সাথে আরও অনেকে আছে।
আপনি বলেছিলেন, আপনি পেপ গার্দিওলাকে খুব পছন্দ করেন। তার ক্যারিয়ার থেকে আপনি কী শিক্ষা গ্রহণ করেছেন?
ব্যাপার হলো, সে তার স্টাইলে বিশ্বাস করে। সে যে দলেই যাক না কেন, নিজের স্টাইল প্রয়োগ করতে ভয় পায় না। সেটা একটা উন্মুক্ত স্টাইলে খেলে। ওর ওপর চোখ রাখাটা খুব মজার ব্যাপার। এত উচু স্তরে একজন এরকম স্টাইলে খেলছে!
আপনি যে স্টাইলে খেলতে চান, সেটাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
ব্যক্তিগতভাবে আমি কোনো নির্দিষ্ট মডেলে আটকে থাকতে চাই না। আমি যে দলে যাই, সেটার ওপর নির্ভর করে। কোচের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো দলের শক্তি ও দুর্বলতা চিহ্নিত করা এবং তাদের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেওয়া। কোনো কিছু কাজ না করলে আমি সেটা বদলে ফেলতে ভয় পাই না। আমি সেই কোচ না যে, বলবো- “আমরা সবসময় এরকমভাবে খেলবো।“
শ্রীলঙ্কা দলে আপনি কী ধরনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন? আগামী দশ বছরে এদের কী অর্জন দেখতে চাইবেন?
টেস্ট দল ভালো খেলছে। যদিও আমাদের চ্যালেঞ্জ এখন দেশের বাইরে ভালো খেলা। সীমিত ওভারের দলের প্রচুর সম্ভাবনা আছে। আপনি যদি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচের দিকে তাকান, তাহলে দেখতে পাবেন, আমরা আমাদের খেলার ধরন বদলে ফেলেছিলাম। আমরা তিনবার প্রায় তিন শ রান করেছি। খুব বেশি দল এরকম হঠাৎ করে কৌশল বদলে ফেলতে পারে না।
দলটা খুবই প্রতিভাবান। আর এদের সম্ভাবনা আমাকে রোমাঞ্চিত করে। আমরা যদি আমাদের বোলিং পরিকল্পনাটা ঠিক রাখতে পারি এবং খেলোয়াড়রা যদি নিজেদের সম্ভাবনা অনুযায়ী খেলতে পারে, তাহলে আমরা খুবই রোমাঞ্চকর একটা দলে পরিণত হবো।
দু’মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এশিয়া কাপ আসছে। ওখানে কী অর্জন করতে চাচ্ছেন?
এশিয়া কাপ বিশ্বকাপের চেয়ে ভিন্নতর একটা চ্যালেঞ্জ। আর ওটা আমাদের জিততে হবে। ট্যাকটিক্যালি ঐ ধরনের উইকেটে আমরা একটা বা দুটো পরিবর্তন আনবো। আমরা দ্বিপাক্ষিক সিরিজে যেমন খেলি, ওখানে তেমন হয়তো খেলবো না। দলের সমন্বয়ের ব্যাপারে আমরা মিশ্রণ ও মানানসই পদ্ধতিতে খেলবো।
মিশ্রন ও মানানসই বলতে কি আপনি ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচে বিভিন্ন দল নির্বাচনকে বোঝাচ্ছেন?
হ্যাঁ। কন্ডিশন, প্রতিপক্ষ ও আমাদের শক্তির ওপর নির্ভর করে।
ভারত ও পাকিস্তানের সাথে তুলনা করলে ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কা বেশ পিছিয়ে আছে। তাদের ধরতে হলে কী করতে হবে?
আপনি ইতিহাস নিয়ে কথা বলছেন। আপনি তো ইতিহাসের অংশ হতে পারি না। আমি সাত মাস আগে কাজ শুরু করেছি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজটা আমার মাত্র দ্বিতীয় অভিযান ছিলো। প্রথমটা ছিলো বাংলাদেশে তিন দলীয় সিরিজ। সেটা আমরা জিতে এসেছি। ফলে এখনই এ নিয়ে মন্তব্য করাটা আমার জন্য খুব বেশি আগে হয়ে যায়। ইতিবাচক দিক হলো, আমরা জানি, আমরা কী করছি এবং কী করতে চাই।
দেশের মাটিতে টার্নিং উইকেটে খেলাটা কী শ্রীলঙ্কার দেশের বাইরে জেতার সম্ভাবনা কমিয়ে দিচ্ছে?
আপনি কী নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন? আপনি দেশের মাটিতে যদি জিততে পারেন, দেশের বাইরে যাওয়ার আগে ওই কন্ডিশনের জন্য প্রস্তুতিও নিতে পারবেন।
অনেক দল এই প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েও সফল হয় না…
আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন করি? আমাকে বলুন তো, কোন দলটা দেশের বাইরে সফল হচ্ছে? সব সম্পদ থাকার পরও কোন দলটা গিয়ে সাফল্য পাচ্ছে? অস্ট্রেলিয়া ভারতে এলো এবং ৩-০তে হেরে গেলো (২-১ ব্যবধানে হেরেছিলো)। দেশের বাইরে সফল হওয়ার কোনো সহজ বিজ্ঞান নেই।
শ্রীলঙ্কা এই ধারা কিভাবে ভাঙতে পারে?
আমাদের সেই সম্পদ থাকতে হবে; মানে, সেই খেলোয়াড় থাকতে হবে। আপনার সিস্টেম যদি খেলোয়াড় তৈরি করতে না পারে, আপনি কোনো জাদু দেখাতে পারবেন না। দক্ষিণ আফ্রিকাও তিন সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে, ট্রেনিং করে কোনো নির্দিষ্ট কন্ডিশনে ভালো করতে পারবে না। এটা সহজ নয়। আর উপমহাদেশের দলগুলো যখন বাইরে যায় এবং খেলে, সেটা মোটেও সহজ নয়। কিন্তু আমরা এমন কিছু করেছি, যা অনেক এশীয় দেশ পারে না। আমরা বারবাডোজে জিতে এসেছি। এত বছর পরও কোনো এশিয়ান দল ওখানে জিততে পারেনি। ফলে শ্রীলঙ্কাকে দুর্বল ভাববেন না।
বাংলাদেশে আপনার তত্ত্বাবধানে একঝাঁক ফাস্ট বোলার উঠে এসেছিলো। আপনি কি শ্রীলঙ্কায় সেটা প্রয়োগ করতে চান?
হ্যাঁ, ওখানে আমরা এটা করেছিলাম। এখানে আমরা ইতিমধ্যে এটা শুরু করেছি। আমরা সাত বা আটজনের একটা ফাস্ট বোলারদের পুল চিহ্নিত করেছি। পাশাপাশি আমরা দীর্ঘমেয়াদে যাদের সম্ভাবনা আছে, এদের নিয়েও কাজ করছি। তারা একটা ব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে, তাদের মূল শক্তির জায়গায় কাজ করবে। আমরা যখন দেশের বাইরে যাবো, আপনি দেখতে পাবেন আমাদের খুব ভালো একটা ফাস্ট বোলিং ইউনিট আছে।
ফাস্ট বোলারদের উন্নয়নের প্রক্রিয়াটা আসলে কী?
আপনাকে খুব অল্প বয়সে ফাস্ট বোলারদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের সঠিক বোলিং সূচী দিতে হবে এবং সঠিক পরিকল্পনা থাকবে। এটা তিন মাসের পরিকল্পনা নয়। তাদের আরও ফিট, আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। তাদের পুষ্টি নিয়ে সচেতন করতে হবে এবং স্কিলটা ঠিক করতে হবে।
ক্রিকেটে সবচেয়ে সহজ হলো ফাস্ট বোলার খুঁজে বের করা। আপনি যদি কম বয়সে জোরে বল করতে পারেন, আপনি একজন ফাস্ট বোলার। এতে মাথার কোনো কাজ নেই। এরপর বিশ্ব জুড়ে যেটা হয়, আপনি কম বয়সে যখন একজন ফাস্ট বোলার থাকেন, আপনাকে প্রচুর ক্রিকেট খেলানো হয়। কারণ, আপনি ম্যাচ জেতাতে পারেন। কিন্তু লোকেরা ভুলে যায় যে, এই অল্প বয়সে তাদের ইনজুরিতে পড়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। আপনি যখন তরুণ, সেই অবস্থায় ১৩৫-১৪০ কিলোমিটারে বল করাটা সহজ কাজ নয়। আমাদেরকে আগে আগে চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের ভালো একটা ব্যবস্থায় নিতে হবে। সামনের দিনগুলোতে তাহলে আমরাই এই সুবিধা পাবো।
আপনার চুক্তি ২০২০ সালে শেষ হচ্ছে। আপনি তখন ফিরে দেখে কী অর্জন দেখলে সন্তুষ্ট হবেন?
আমি চাই আমার সময়ে এই খেলোয়াড়রা তাদের সবচেয়ে উপভোগ্য ক্রিকেটটা খেলুক। ফলাফল নিয়ে কোনো কথা নয়। তারা যদি একদিন এসে বলে যে, তারা আমার সময়ে ক্রিকেট সবচেয়ে উপভোগ করেছে, সেটাই আমার জন্য বড় অর্জন হবে।