কেউ বললেন সরাসরি, কেউ বা একটু রয়েসয়ে। তবে পরোক্ষ উদ্ধৃতি তুলতে গেলে বক্তব্যটা একই থাকবে মোটা দাগে, ‘মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বাজে ক্যাপ্টেনসিতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটা হেরে গেল বাংলাদেশ।’
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের বয়স ১৪ পেরিয়ে গিয়েছে, শূলে চড়ার অভিজ্ঞতাটা তো তার আগেও হয়েছে। রিয়াদের তাই বিচলিত হওয়ার কথা নয় মোটেই। তবুও খানিকটা সান্ত্বনা খুঁজতে চাইলে রিয়াদ পড়ে নিতে পারেন ময়েজেস নাঈমের ওই উক্তিটা,
‘কোনো কিছুর দায়িত্বে থাকাটা আগের মতো তাৎপর্যবহ নয় মোটেই। এই একবিংশ শতাব্দীতে দায়িত্ব পাওয়াটা বেশ সহজই। তবে সেটার সদ্ব্যবহার করা আর ধরে রাখাটাই কঠিন।’
***
ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব নিয়ে চর্চাটা বহুকালের। ব্যাটে-বলে আহামরি না হয়েও মাইক ব্রিয়ারলি তাই ইংল্যান্ড দলে খেলে গিয়েছেন কোনো প্রশ্ন ছাড়াই; আবার সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ইমরান খান তো হয়ে গিয়েছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেটের আইনপ্রণেতাই। রমিজ রাজা তাই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান হয়ে জানিয়ে দিয়েছেন বর্তমান অধিনায়ক বাবর আজমের কাছে নিজের চাওয়ার কথা, ‘ইমরান খান হতে হবে’।
তবে বাবর আজমের সেই সুযোগ আছে কি না, সেটাই তো মূল প্রশ্ন। একটা সময় ছিল, যখন অধিনায়ককে মাঠের ভেতরে তো বটেই, দেখভাল করতে হতো মাঠের বাইরের দিকগুলোও। ‘বডিলাইন বোলিং’-এর আলোচনায় যে ডগলাস জার্ডিনের নামটাই উঠে আসে সবার আগে, তার কারণ, আগের সিরিজের ভিডিও বিশ্লেষণ করে শর্ট বলে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের অস্বস্তি আবিষ্কার করেছিলেন তিনিই। তার উত্তরসূরি মাইক ব্রিয়ারলিকেও যেমন প্রতিদিন খেলার আগে শ্যেনদৃষ্টি রাখতে হতো সতীর্থদের গা-গরম আর স্ট্রেচিংয়ে। দলের কৌশল নির্ধারণেও সর্বেসর্বা ভূমিকাটা ছিল তারই। ‘ক্রিকেট ইজ আ ক্যাপ্টেনস গেম’ কথাটার চল তো আর এমনি এমনি হয়নি!
ক্রিকেট তার এই ‘ক্যাপ্টেনস গেম’ স্লোগান থেকে বের হতে পারেনি এখনো; ‘দ্য ক্যাপ্টেনস মিথ’ বইতে লেখক রিচার্ড জিলিস যার কারণ হিসেবে সামনে এনেছেন আমাদের তারকা বানাতে চাওয়ার প্রবৃত্তিকে। সাইকোলজিক্যাল বায়াসের কারণেই নাকি অধিনায়ক হয়ে উঠেছেন দলের কেন্দ্রীয় চরিত্র। যে কারণে ম্যাচ হারের পর অধিনায়ককেই আঁতশ কাচের তলায় আসতে হয় এখনো। উদাহরণ হিসেবে বিরাট কোহলিই বোধ হয় ভেসে ওঠেন মনশ্চক্ষুতে। আট বছর দায়িত্বে থেকেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে শিরোপা জেতাতে পারেননি, ১৪০ ম্যাচ নেতৃত্ব দিয়ে হেরেছেন অর্ধেক ম্যাচেই, ‘ব্যর্থ অধিনায়ক’ তকমা তাই সেঁটে গিয়েছে নামের পাশে।
কিন্তু এই ব্যর্থতা কেবল তার একারই কি না, প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে সম্প্রতি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অধিনায়ক তো আর একনায়কতন্ত্র চালাতে পারেন না এখন। ক্রীড়া ঐতিহাসিক স্তেফান জিমানস্কি বলছেন,
‘ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে, মানে আধুনিক খেলাধুলা যখন যাত্রা করল, তখন মাঠের ভেতরে অধিনায়ককে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হতো। তবে খেলাধুলা এখন অনেক গোছানো, কোচিং স্ট্র্যাটেজি বেশ উন্নত হয়েছে। অধিনায়কের ভূমিকাও অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে তাই।’
২০১৮ আইপিএলকে সামনে টানুন। সেবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচে ইনিংসের শেষ পাঁচ ওভারের তিনটাই করেছিলেন কোরি অ্যান্ডারসন, সেখানে হজম করেছিলেন ৪৮ রান। ম্যাচে ৭৪ রানে চেন্নাইয়ের ৪ উইকেট তুলে নিলেও বেঙ্গালুরু আটকাতে পারেনি ২০৬ রান। ম্যাচ হেরেছিল ২ বল বাকি থাকতেই।
ওই ম্যাচের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব নিয়ে। পবন নেগির এক ওভার বাকি ছিল, ওয়াশিংটন সুন্দরকে দিয়ে করানো যেত আরও তিন ওভার… তবুও কেন অ্যান্ডারসনেই আস্থা খুঁজলেন তিনি? নেগি ৩ ওভার বল করে ৩৬ রান দিয়েছেন, সুন্দরও প্রথম ওভারে হজম করেছেন ১৪ – এমন তথ্যগুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল সযত্নেই।
অথচ কোহলির অধিনায়কত্ব নিয়ে নয়, সেদিন প্রশ্ন তোলা উচিত ছিল বেঙ্গালুরুর দল গোছানোর কৌশল নিয়ে। সেবার নাথান কোল্টার-নাইলকে স্পেশালিস্ট ডেথ বোলার হিসেবে দলে ভিড়িয়েছিল আরসিবি। তবে চোটে পড়ে মৌসুম শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগেই ছিটকে যান তিনি। আরসিবি তার বদলে দলে ভেড়ায় কোরি অ্যান্ডারসনকে। ততদিনে ১০০’র বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেললেও ইনিংসের শেষ পাঁচ ওভারে বল করেছিলেন মাত্র ২৬ বার! কোহলির অধিনায়কত্ব ভুল ছিল কি শুদ্ধ, উত্তরটা অনুমান-নির্ভর। কিন্তু কোল্টার-নাইলের বিকল্প নির্বাচনে যে ভুল করেছিল আরসিবি টিম ম্যানেজমেন্ট, সেটা নিয়ে প্রশ্ন নেই বিন্দুবিসর্গও। মোহাম্মদ আলীর কথাটাও যেন এখন ক্রিকেটের ক্ষেত্রে বেশ ভালোভাবেই খেটে যায়,
‘The fight is won or lost far away from witnesses.’
***
লোকচক্ষুর অন্তরালের কার্যক্রম বেড়েছে বলেই অধিনায়ককে মাঠের ভেতরে আর সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে না একা একা। শুধু অধিনায়কই নয়, একা একা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কমেছে সব ক্ষেত্রেই। কোচ, সহকারী কোচ, বিশেষজ্ঞ কোচ, ডেটা অ্যানালিস্ট, ভিডিও অ্যানালিস্ট, পুষ্টিবিদ, ডাক্তার, ফিজিও….এমন গণ্ডাখানেক নাম তো জুড়ে যাচ্ছে প্রতিটা দলের সঙ্গেই। সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার, এবার বিশ্বকাপে খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য পেতে ক্রিকেট স্কটল্যান্ড সাহায্য নিয়েছে মোবাইল অ্যাপের।
টিম উইগমোর জানাচ্ছেন, ডেটা অ্যানালিস্ট-ভিডিও অ্যানালিস্টদের আবির্ভাবের কারণে গত এক দশক ধরে দলের কৌশল নির্ধারণের দায়িত্বটা কোচ আর অ্যানালিস্টরাই তুলে নিয়েছেন। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের শক্তিমত্তা-দুর্বলতা যাচাই করে কোচিং প্যানেলে তথ্য সরবরাহের কাজটাও অ্যানালিস্টরাই করছেন। কোচদের দায়িত্ব হচ্ছে, কোন তথ্য-উপাত্তগুলো খেলোয়াড়দের কাছে পৌঁছুবে আর কোনগুলো ছেঁটে ফেলা হবে, সেটা নির্ধারণ করা।
২০১৯ সালে টেলিগ্রাফ স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিকি পন্টিং জানিয়েছিলেন, এখন ডাগআউটে বসেই খেলার গতিপথ নির্ধারণে সম্পৃক্ত হন তিনি। কেমনভাবে, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ‘হটকেক কোচ’ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড সেটা বুঝিয়েছিলেন উদাহরণ দিয়েই,
‘একটা বিগ ব্যাশ ম্যাচের মাঝপথে আমাদের (মেলবোর্ন রেনেগেডস) ডেথ ওভারের মূল ভরসা ডোয়াইন ব্রাভো ছিটকে যায়। মানে, ও আর বল করতে পারবে না। আমাদের নতুন করে ২০ ওভারের পরিকল্পনা সাজাতে হবে। ফিঞ্চ তাই বাউন্ডারির কাছাকাছি চলে আসে তখন। ওকে কিছু আইডিয়া দিতে শুরু করি আমি।’
আইডিয়াগুলো যে বেশ ভালোই কাজে এসেছিল, শেষ বলে গিয়ে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হওয়াটা তেমন কিছুই ইঙ্গিত করে।
***
বাংলাদেশ দলেও কি এমন কিছুর চল আছে? দলের অন্দরে প্রবেশের সুযোগ যেহেতু নেই, বাইরে থেকে তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটে পাওয়া ধারণার ভিত্তিতেই উত্তর দিতে হবে৷ এবং উত্তরটা নেতিবাচকই হবে।
গত শ্রীলঙ্কা ম্যাচের কথাই ধরুন। দুই বাঁহাতি – চারিথ আসালাঙ্কা আর ভানুকা রাজাপক্ষে – জুটি বাঁধতেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ চলে গিয়েছিলেন ‘অনলি অফ-স্পিন অ্যাটাক’-এ। বল উইকেটে পড়ে বাইরে গেলে শট খেলতে কষ্ট হয়, ক্রিকেটের সেই প্রাগৈতিহাসিক আমলের যুক্তি মেনে।
যুক্তিটা বেশিরভাগ ক্রিকেটারের জন্যই সত্য, এর দু’দিনই তো একই কৌশলে পাওয়ারপ্লেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বেঁধে রেখেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও তো আছে। এবং আসালাঙ্কা সেই ব্যতিক্রমী দলেই পড়তেন। পরিসংখ্যান ঘেঁটে পাওয়া যাচ্ছে, টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ডানহাতি স্পিনারের ৬৩ বল খেলে আসালাঙ্কা ১৩৬.৫০ স্ট্রাইকরেটে রান করেছেন ৮৬, আউট হয়েছেন মাত্র একবার। এবং বাঁহাতি স্পিনারের বিপক্ষে ৫৭ বল খেলে আউট হয়েছেন তিনবার, স্ট্রাইকরেট মাত্র ১০০।
অন্য বাঁহাতি ভানুকা রাজাপক্ষের পরিসংখ্যানটা দ্বিধায় ফেলত মাহমুদউল্লাহকে। ডানহাতি কিংবা বাঁহাতি, আক্রমণের ক্ষেত্রে বাছবিছার করেননি মোটেই। ডানহাতি অফ স্পিনারের বিপক্ষে ১৫৬ বল খেলে ১৩৮.৪৬ স্ট্রাইক রেটে ২১৬ রান করেছেন তিনি। বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনারের ক্ষেত্রে ৩৩ বল খেলে করেছেন ৪৬। অর্থাৎ, এমন ধারায় ১০০ বল খেললে রান করতেন ১৩৯।
ডাগআউটে যে কোচ কিংবা অ্যানালিস্টরা আছেন, আসালাঙ্কা-রাজাপক্ষে ব্যাটিংয়ে নামার আগে এই পরিসংখ্যানগুলো মাঠে চালান করাটা তাদের অবশ্য কর্তব্যের মধ্যেই পড়ত। প্রশ্নটা হচ্ছে, সেদিন খেলতে নামার আগে কিংবা খেলার মাঝপথে, মাহমুদউল্লাহর কানে কেউ কি গুজে দিয়েছিলেন এই সংখ্যাগুলো? আসালাঙ্কা-রাজাপক্ষের প্রতি-আক্রমণের মুখে বাংলাদেশ দলের প্রায় সবাই যেভাবে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন বৈঠকে, তাতে অনুমান করাটা খুবই স্বাভাবিক, মাহমুদউল্লাহর গোচরেই ছিল না সংখ্যার এই মারপ্যাঁচগুলো।
পরিসংখ্যানগুলো জানা সত্ত্বেও মাহমুদউল্লাহ আঁকড়ে থাকতে পারতেন ওই আদ্যিকালের ম্যাচ-আপ তত্ত্ব। সিদ্ধান্ত গ্রহণের চূড়ান্ত ক্ষমতা তো এখনো অধিনায়কের হাতেই আছে।
আর পরিসংখ্যানকে থোড়াই কেয়ার করেও তো সাফল্যের গল্প লিখেছেন বহু অধিনায়ক। ২০১৯ সালের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস আর কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচে যেমন পরিসংখ্যান বলছিল, সুনীল নারাইনের বিপক্ষে স্পিনার আনা যাবে না। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনির মনে হয়েছিল, হরভজন সিং যে ধীরগতিতে বল ছোঁড়েন, সেটা নারাইনকে প্যাভিলিয়নে ফেরাতে আদর্শ হতে পারে। অধিনায়ককে সঠিক প্রমাণ করেছিলেন হরভজনও। চার বল ব্যবধানে হরভজনের প্রায় ওয়াইড লাইনের বলটায় ব্যাট চালিয়ে নারাইন ক্যাচ দিয়েছিলেন উইকেটের পেছনে।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে আফিফ হোসেনের বলে ক্যাচ তুলেছিলেন রাজাপক্ষেও। কিন্তু লিটন বলের ফ্লাইটটা বুঝতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহরও আর ধোনি হওয়া হয়নি।
***
অধিনায়কত্ব যে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে ক্রিকেটে, এত দূর পড়ে এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই মোটেই। কোচ কিংবা অ্যানালিস্ট ‘কী করতে হবে’ বাতলে দেবেন অতীত রেকর্ডের ভিত্তিতে, কিন্তু মাঠে খেলতে গিয়ে ভিন্ন কিছু করার প্রয়োজনীয়তা অধিনায়ক উপলব্ধি করতেই পারেন। আর মাঠের বাইরের দায়িত্বগুলোও তো বেড়েছে। দলের স্থিতিশীলতা রক্ষা, খেলোয়াড়দের সেরাটা বের করে আনা, বাইরের আওয়াজকে দলের অন্দরে যথাসম্ভব না পৌঁছুতে দেওয়া…. এই সোশ্যাল মিডিয়ার জমানায় অধিনায়ককে সতর্ক থাকতে হচ্ছে সর্বক্ষণই। ‘সিএসকে যে এত ভালো করছে তার কারণ (দলের অধিনায়ক) ধোনি খেলাটা খুব ভালো বোঝে’ – চেন্নাই সুপার কিংসের সাফল্যের অনেকটুকু কৃতিত্বই যে কারণে ধোনি পান।
তবে অধিনায়কত্ব নিয়ে বর্তমান দলগুলোর ভাবনাটা সম্ভবত অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের মতোই। ‘ক্যাপ্টেনসির চেয়ে মাঝখানে খেলাটা আর পরিস্থিতির দাবি বোঝাটা বেশি জরুরি’, মাত্র চারটা প্রথম শ্রেণির ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা জো রুটকে ইংল্যান্ড টেস্ট দলের নেতৃত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দিন এমন কথাই শোনা গিয়েছিল স্ট্রাউসের মুখে। যা শুনে একটা বিষয় অনুধাবন করা যায় খুব সহজেই, ইংল্যান্ড দলে নতুন সংস্কৃতির আমদানি ঘটাবেন তিনি, এমন কিছুর আশা ইসিবি করছে না। বরং, তার কাছ থেকে রানটাই চাইছে। আর সংস্কৃতি বদলের কথা যদি বলা হয়, তো প্রয়োজন মনে করলে ইসিবি সেখানে আমূল বদলই আনবে। ওয়ানডে দলে যেমনটা এনেছে।
নেতৃত্বের আধুনিক সংজ্ঞাটা এখন এমনই। একক নেতৃত্ব নয়, বরং সমষ্টিগত নেতৃত্বেই এখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছে দলগুলো। আর বিশ্বাস না করলে কী হয়, তার প্রমাণ পেতে বোধ হয় বাংলাদেশের দিকে তাকালেই চলছে।