১৭ বছর বয়সে একজন বাঙালী মেয়ে যখন ব্যস্ত উচ্চ মাধ্যমিকের পড়াশোনা কিংবা স্বামীর সংসার নিয়ে, তখন এমিলিয়া কের ব্যস্ত নিজেকে নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে সেরা একজন প্রমাণ করতে। ২০০০ সালের ১৩ অক্টোবরে জন্ম নেওয়া এমিলিয়া কের নারী এবং পুরুষ ক্রিকেট মিলিয়ে সর্বকনিষ্ঠ দ্বিশতকধারী খেলোয়াড়। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে করা তার ১৪৫ বলে ২৩২ রানের ইনিংসটি একদিনের আন্তর্জাতিক নারী ক্রিকেটের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ব্যাট হাতে দ্বিশতক হাঁকানোর পর এমিলিয়া বল হাতে ১৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট, যা নারী-পুরুষ উভয় ক্রিকেটেরই মাইলফলক।
এমিলিয়ার বাবা-মা এবং নানা তিনজনই ছিলেন ক্রিকেটার। রক্তে যার মিশে আছে ক্রিকেট, সেই মেয়েকে ক্রিকেটার হওয়া থেকে আটকায় কার সাধ্য? গত বছর ইএসপিন ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উঠে আসে এমিলিয়ার জীবনের নানা অজানা কথা। সেই সাক্ষাৎকারটি রোর বাংলার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
আপনার নানা ব্রুস মারে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১৩টি টেস্ট খেলেছেন। তিনি আপনার জন্য কতটা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন?
আসলে তিনি আমাকে কখনো ক্রিকেট শেখাননি, তবে এমন একজনকে পরিবারে পাওয়াটা সত্যিই সৌভাগ্যের। সব চাচাতো ভাই-বোনরা মিলে একসাথে খেলার মজাই আলাদা। বাড়ির পেছনে আমরা একসাথে খেলতাম। আসলে আমরা এভাবেই বড় হয়েছি। আমরা পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট ক্যাম্পে যেতাম। ক্রিকেট আমাদের পরিবারকে অনেক আনন্দ দিয়েছে।
আপনার বাবা রবি এবং মা জো ওয়েলিংটনের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। ক্রিকেটার বাবা-মা থাকাটা কেমন?
তারাই আমার প্রথম অনুপ্রেরণা। ছোটবেলায় তারাই আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। তাদেরকে বাবা-মা হিসেবে পাওয়াটা সত্যিই অনেক সৌভাগ্যের বিষয়। যখন ইচ্ছা হয় তখনই আমি ক্রিকেট নিয়ে তাদের সাথে কথা বলতে পারি। বাবার কাছেই ক্রিকেট খেলা প্রথম শিখেছি।
আমি যখন ক্রিকেট প্রথম শুরু করি তখন আমি আর বাবা আমরা যেখানে থাকি তার পাশেই অনুশীলন করতাম। বাবা আমাকে একটু একটু করে ক্রিকেটের নিয়ম কানুন শেখাতেন। আসলে সেটি ছিল ক্রিকেটের কৌশলগত দিক নিয়ে, প্রযুক্তিগত দিক নিয়ে নয়। এরপর আমি কোচ পেলাম। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং কোচ ইভান থিসেরার সাথে আমি ১০ বছর বয়স থেকেই আছি। তিনি আমায় আমার খেলাটা আরো ভালো করতে সাহায্য করেছেন।
কিভাবে ক্রিকেটে আসলেন?
শৈশবে আমার বোন খেলাধুলায় অনেক পারদর্শী ছিল। সত্যি কথা বলতে কি, আমিও আগ্রহী ছিলাম। আমি এবং আমার প্রিয় বন্ধু কেট আমার ভাইবোনদের খেলা দেখতাম। মূলত তখন থেকেই ক্রিকেট শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার বয়স যখন ৬ বছর তখন স্কুল থেকে ফেরার পর আমি আমার চাচাত ভাইবোনদের সাথে খেলতাম। প্রায় ১২-১৩ বছর বয়স পর্যন্ত আমরা একসাথে খেলেছি।
রিস্ট স্পিন বল কিভাবে করতে হয়?
আসলে এটি হয়ে যায় আর কী! ১০ বছর বয়স পর্যন্ত আমি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলেছি। একদিন আমি আমার বাবা ও বোনের সাথে খেলছিলাম। এমন ভাব নিচ্ছিলাম যেন আমি স্পিন বল করতে পারবো। আমার বোলিং অ্যাকশন দেখে বাবা বলছিল, এটা খারাপ না, বরং স্বাভাবিক। এরপর থেকে আমি লেগ স্পিন বল করা শুরু করলাম। আমি থিসেরাকে কোচ হিসেবে পেয়েছি। তিনিই আমাকে লেগ স্পিন বল করা শিখিয়েছেন।
টি-টোয়েন্টি এবং ওডিয়াই ক্যাপ কার হাত থেকে নিয়েছিলেন?
সোফি ডিভাইন আমাকে টি-টোয়েন্টি ক্যাপ পরিয়ে দিয়েছিল। আমাদের দু’জনের বাড়ি তাওয়াতে। ওডিয়াই ক্যাপ, আমার মনে হয় সুজি বেটস। আমি নিশ্চিত সুজিই হবে যার হাত থেকে আমি ওডিআই ক্যাপ নিয়েছিলাম।
এ পর্যন্ত ৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে আপনি ২ বার ৪ উইকেট শিকার করেছেন। একটি পাকিস্তানের বিপক্ষে, অন্যটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কোনটি আপনার কাছে সেরা?
আমাকে বলতেই হচ্ছে, অবশ্যই এটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কারণ আমার জীবনের সেরা বোলিং সেদিন আমি করেছি। ছোটবেলা থেকে যাদের দেখে বড় হয়েছি (বেথ মুনি, মেগ ল্যানিং, অ্যালিসা হিলি), তাদের উইকেট নিতে পারাটা সত্যিই গৌরবের এবং আনন্দেরও বটে।
কোন বিষয়টি আপনার লেগস্পিন বলকে ফলপ্রসূ করেছে?
আসলে আমি বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনতে পারি। ফলে আমি কী করতে যাচ্ছি সেটা নিয়ে ব্যাটসম্যানরা চিন্তায় পড়ে যায়। আমার মনে হয় এই বিষয়টি আমার লেগস্পিন বলকে ভাল করতে সাহায্য করেছে।
আপনার সতীর্থরা আপনাকে কী নামে ডাকেন?
আমাদের মিডিয়া ম্যানেজার আমার নাম একে-৪৮ দিয়েছে। আসলে ৪৮ আমার জার্সি নম্বর।
তার মানে আপনি আপনার দলের বিশ্বস্ত অস্ত্র?
আসলে আমি এটা নিয়ে ভাবি না। এটি দলের মধ্যে প্রহসনের সৃষ্টি করে।
আপনার জার্সি নম্বর ৪৮ কেন?
ছোটবেলা থেকে আমার প্রিয় সংখ্যা ৪ এবং ৮। একদিন এক ক্রিকেট ক্যাম্পে আমি ৪৮ নম্বর টিকিট পেলাম। র্যাফেল ড্রতে আমি ৫০ ডলার জিতেছিলাম (একটু হাসি নিয়ে)। ঐদিন আমাদের দল ৪৮ রানে জিতেছিল এবং আমি ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলাম। এই কারণে ৪৮ সংখ্যাটা আমার কাছে অনেক গুরুত্ব বহন করে।
খেলায় কাউকে আদর্শ হিসেবে মানেন কি যার খেলা দেখতে ভালবাসেন?
হ্যাঁ, আমি সবসময় কেইন উইলিয়ামসনের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করি। এছাড়াও নারীদের মধ্যে সোফি ডিভাইন। আমরা দু’জনেই তাওয়ায় থাকি। আমরা একসাথে ওয়েলিংটন ব্লেজের হয়ে খেলেছি। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমরা ছেলেদের সাথে ক্রিকেট খেলতাম।
সুজি বেটসের মতো একজন ক্রিকেটারের সাথে খেলা এবং ড্রেসিং রুম শেয়ার করা কতটা আনন্দের?
হ্যাঁ, তাকে আমি সবসময় অনুসরণ করি। তার সাথে খেলতে পারাটা আমার কাছে অনেক বড় একটি বিষয়। মাঠে এবং মাঠের বাইরে তিনি অনেক বড় মাপের একজন দলনেতা। তিনি দলের সবাইকে উৎসাহ দেন। তিনি দলকে সফলতার সাথে নেতৃত্ব দেন, আবার মাঠেও ভালো পারফর্ম করে। তার এই বিষয়গুলো আমার খুব ভালো লাগে।
এই বয়সে আপনি ইতোমধ্যে অনেক রেকর্ড তৈরি করে ফেলেছেন। আপনি কি দলের বস, নাকি এখনও অনেক ছোট?
আমি অবশ্যই বস না। আমরা সবাই দলের জন্য কিছু না কিছু করতে এসেছি। সুজি এবং এমির মতো খেলোয়াড়দের সাথে খেলতে পারাটা অনেক ভাগ্যের বিষয়। এমন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ক্রিকেটারদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।
বিদেশের মাটিতে আপনার প্রথম ম্যাচ অ্যাডিলেড ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, সেদিন অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর ৬৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার ৪টি উইকেটের সাথে আপনি যুক্ত ছিলেন। ১মটি ছিল রান আউট, ২য়টি এক হাতে নেওয়া অসাধারণ একটি ক্যাচ। আপনি কি ফিল্ডিংয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন?
আসলে অনুশীলনের সময় আমরা ফিল্ডিংয়ের উপর অনেক বেশি গুরুত্ব দেই। আমাদের ফিল্ডিং কোচ ম্যাথু বেল ফিল্ডিংকে অনেক উন্নত করতে সাহায্য করেছেন। ছোটবেলায় আমি যখন আমার বাবা এবং চাচার সাথে বাইরে ক্রিকেট খেলতে যেতাম, তখন সাথে করে র্যাকেট এবং টেনিস বল নিয়ে যেতাম। আমাদের চাচাতো ভাইবোনদের মধ্যে ক্যাচ নেওয়ার প্রতিযোগিতা চলতো। এটি একদিকে যেমন ছিল মজার, অন্যদিকে ছিল প্রতিযোগিতামূলক। আমার মনে আছে, আমি মাঠে খুব মুভ করতে পারতাম, যা আমাকে ভাল ফিল্ডিং করতে সাহায্য করেছে।
নারী এবং পুরুষদের ক্রিকেট মিলিয়ে বেসিন রিজার্ভে সেঞ্চুরি করা আপনিই প্রথম ক্রিকেটার। সেই সাথে এমন একজন যার এই ভেন্যুতে ২টি সেঞ্চুরি আছে।
প্রথমটা ছিল এনজেডসিটি সেকেন্ডারি স্কুল ক্রিকেটে, যখন আমার বয়স ছিল ১৩ বছর। সত্য বলতে কি, আমি জানতাম না যে, বেসিন রিজার্ভে আমার আগে কেউ সেঞ্চুরি করতে পারেনি। সেই বয়সে বেসিন রিজার্ভে সেঞ্চুরি করতে পারাটা আমার কাছে বিশেষ একটি অর্জন ছিল। আমি সত্যিই অনেক আনন্দিত ছিলাম। কারণ আমি আমার স্কুলের জন্য কিছু করতে পেরেছি। ২য়টি ছিল তাওয়া কলেজের হয়ে। সেদিন সোফি ডিভাইন ও সেঞ্চুরি করেছিল।
ওয়েলিংটন প্রিমিয়ার ইয়ুথ গ্রেড ক্রিকেটে তাওয়া কলেজের হয়ে ছেলেদের দলে আপনি ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন। ছেলেদের সাথে খেলার ফলে আপনার খেলা কতটুকু উন্নত হয়েছে?
হ্যাঁ, অনেক বেশি। আসলে আমার ভাল খেলার পেছনে এটা বোনাস হিসেবে কাজ করেছে। তবে তাদের সাথে খেলাটা অনেকটা কঠিন ছিল। তবে আমি ভাগ্যবতী। কারণ তাদের সাথে খেলে বড় হয়েছি।
যখন দলে ডাক পেলেন তখন আপনি কোথায় ছিলেন?
লেফ ক্যাসপেরেকের ইনজুরির ফলে তার পরিবর্তে আমি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুযোগ পাই। হেইডি আমাকে ফোন করে বলেছিল প্রস্তুত হতে, আমার ব্যাগ গোছাতে। কারণ আমাকে বিকেলে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে হবে।
সেদিন সকালে ফার্স্ট ইলেভেন কাপের এক ম্যাচ থেকে আমি বাড়ি ফিরছিলাম। আসলে সেদিন ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল। আমি ভাগ্যবতী ছিলাম, কারণ আমার ফোন আমার সাথে ছিল। সেই ম্যাচটি যদি পরিত্যক্ত না হতো, তাহলে হয়তো আমি এত দূর আসতে পারতাম না। কারণ আমাকে ঐ সময়ে মাঠে থাকতে হতো। মাঠে তো আর ফোন রাখতে পারতাম না। আমি দ্রুত বাড়ি চলে আসছিলাম। আমার বোন আমাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানিয়েছিল।
আপনি প্রথম বলেই উইকেট পেয়েছিলেন, তাও আবার সেটি ছিল মেগ ল্যানিংয়ের। সেই বল নিয়ে কিছু বলুন। সেরা একজন ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পেরে কেমন লাগছিল?
সেটা আমার কাছে অনেক বিশেষ একটি মুহুর্ত ছিল। বেশিক্ষণ বল করতে হবে না এটা ভেবে ভালো লাগছিল। ওদের জুটিটা ভাঙতে পেরেছিলাম। আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে পেরেছিলাম। সত্যিই মুহুর্তটা আনন্দের ছিল।
প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের জার্সি হাতে পাওয়ার পর কী করেছিলেন?
আমি সেটা আমার কোচ ইভান থিসেরাকে দিয়েছিলাম। তিনি আমার জন্য যা করেছেন তার জন্যে তাকে ধন্যবাদ দিয়েছি। তার সাহায্য ছাড়া হয়তো এই অবস্থানে আসতে পারতাম না।
আপনি দেশের হয়ে খেলছেন, আপনার সহপাঠী বা বন্ধুরা এটাকে কিভাবে দেখে?
সত্য বলতে, তাদের ক্রিকেট নিয়ে কোনো ধারণা নেই। তবে তারা আমাকে নিয়ে গর্ব করে, আমাকে সমর্থন করে এবং আমার খেলা উপভোগ করে।
আপনার শিক্ষকদের নিয়ে কিছু বলুন?
তারা অনেক বন্ধুসুলভ, বিশেষ করে আমাদের অধ্যক্ষ। তারা আমাকে নিয়ে অনেক গর্ব করেন।
ক্রিকেট এবং পড়াশোনা- এই দুইয়ের মধ্যে কি কখনো সংঘর্ষ লেগেছে? একসাথে দু’টোকে কিভাবে সময় দিতেন?
হ্যাঁ, আসলে সত্যিই এটা অনেক বড় সমস্যা ছিল। বিশেষ করে বিশ্বকাপের পর অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। সেসময় অনেক ব্যস্ত ছিলাম।
কোন বিষয়টি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন?
আমি খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞান পছন্দ করি। এছাড়া ইংরেজিও কিছুটা ভাল লাগে।
গণিত কেমন লাগে?
একদমই ভালো লাগে না। আমি গণিতের চেয়ে বোলিং করাটা বেশি পছন্দ করি। আমি গণিতকে বেশ ভয় পাই।
ক্রিকেট ব্যতীত অন্য কোনো ক্যারিয়ার কি বেছে নিতে চান?
আসলে আমি ক্রিকেট চালিয়ে নিয়ে যেতে চাই। দেখা যাক, এটি আমাকে কোথায় নিয়ে যায়। আমি খেলাটাকে এখন যেভাবে উপভোগ করি সেভাবে যদি ভবিষ্যতেও উপভোগ করতে পারি তাহলে অনেকদিন খেলতে পারবো।
অবসর সময় কিভাবে কাটান?
আমি বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ানোটা উপভোগ করি। আমি আমার পরিবারকে খুব ভালবাসি। আমি খুবই ভাগ্যবতী। কারণ আমার পরিবারের সবাই একজন আরেকজনের খুবই ঘনিষ্ঠ। আমরা সব চাচাতো ভাইবোনরা একসাথে বড় হয়েছি। আমি সম্ভবত আমাদের বাড়ির চেয়ে আমার চাচার বাড়িতে বেশি থাকতাম।
কোন জিনিসটি দেরিতে পেয়েছেন?
আমি কিছুদিন আগে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেলাম। এর মানে আমি এখন থেকে ড্রাইভিং করতে পারবো। একটা নতুন অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে।
ক্রিকেটের বাইরে অন্য কোনো খেলা খেলেন কি?
না, তবে আমি একসময় ফুটবলও খেলতাম। যদিও আমি এখন এটা বাদ দিয়েছি।
আপনার প্রিয় টিভি সিরিজ কোনটি?
নেটফ্লিক্সের রিভারডেল এবং থার্টিন রিজনস হোয়াই।
১৬ বছর বয়সী যেসব ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলতে চায় তাদের প্রতি আপনার উপদেশ কী?
তাদেরকে অবশ্যই ক্রিকেটকে ভালবাসতে হবে। ক্রিকেট যারা ভালবাসে তাদের সাথে থাকতে হবে। আমি সত্যিই ভাগ্যবতী যে ক্রিকেটকে ভালবাসতে পেরেছি এবং ক্রিকেটকে ভালবাসে এমন মানুষদের মধ্যে বড় হয়েছি।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে কোন দেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট এবং বিশেষভাবে কার কার উইকেট নিতে চাইবেন?
যেকোনো দল অথবা যেকোনো প্রতিপক্ষ। আসলে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে পারাটাই যথেষ্ট। প্রতিপক্ষ কে তাতে কিছু আসে যায় না।
ফিচার ইমেজ: stuff.co.nz