ইংরেজী ভাষায় ‘মিথ্যা’ সম্পর্কে একটা প্রবাদ আছে, ‘There are three kinds of lies; lies, damned lies and statistics‘. এর অর্থ হচ্ছে মিথ্যা তিন প্রকার – মিথ্যা, ডাহা মিথ্যা এবং পরিসংখ্যান। কথাটা একেবারে ভুল নয়।
পরিসংখ্যান আপনাকে অনেক কিছুই বলবে, আবার অনেক কিছুই বলবে না। পরিসংখ্যান আপনাকে বলবে, ২০১০ এর বিশ্বকাপজয়ী স্পেন দলের কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক। কিন্তু পরিসংখ্যান আপনাকে বলবে না, এই দলের খেলার বেসিকটা পেপ গার্দিওলার তৈরি। ক্লাব দল আর জাতীয় দলের মাঝে মূল তফাৎটা কোথায়? মনে করুন, জাতীয় দলের র্যাংকিংয়ে উপরের সারিতে থাকা দল যদি ক্লাব ফুটবলের মধ্যম সারির কোনো দলের সাথে খেলে, তাহলেও ক্লাবের জেতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া চলে না। তারকার দিক থেকে জাতীয় দল এগিয়ে থাকলেও টিম রসায়নে পিছিয়ে থাকবে। এর পরেও জাতীয় দল জিততে পারে, সেটা ভিন্ন কথা।
জাতীয় দলগুলোর মূল সমস্যা এই টিম রসায়নেই, বিভিন্ন খেলোয়াড়েরা বিভিন্ন ক্লাবে খেলার কারণে এক সাথে প্র্যাকটিস করার সুযোগ খুব কমই পায়। তাই অনেক সময় তারকা খেলোয়াড়েদেরও মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়। কিন্তু কোনোভাবে যদি একই জাতীয় দলের বেশিরভাগ তারকা খেলোয়াড় একই ক্লাব দলে খেলেন, তাহলে তারা নিশ্চয়ই দুর্দান্ত সুবিধা পাবেন।
তবে সুবিধা কেবল পেলেই চলবে না, সেটাকে কাজে লাগানো জানতে হবে। সেই কাজে লাগানোর কাজটা বেশ ভালোভাবেই করেছিলেন স্পেনের কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক। স্পেন দলে বার্সেলোনার ৭ জন খেলোয়াড় সুযোগ পেয়েছিলেন – পিকে, পুয়োল, ইনিয়েস্তা, জাভি, ভালদেস, বুসকেটস, পেদ্রো। এদের মাঝে ভালদেস আর পেদ্রো বাদ দিলে বাকি পাঁচজনই প্রথম একাদশে খেলেছেন, এবং মূল ভূমিকা পালন করা খেলোয়াড়। এই খেলোয়াড়দের মান এমনই যে, তারা অন্য ক্লাবে খেললেও স্পেনে অনায়াসে সুযোগ পেতেন। কিন্তু একই ক্লাবে খেলায় তাদের সমঝোতাটা অসাধারণ ছিল। এর ফলাফলও স্পেন পেয়েছে। দেল বস্কের অবদান অস্বীকার করার কিছু নেই। কিন্তু পরোক্ষভাবে যে অবদানটা পেপ রেখেছেন, সেটা একজন খেলাপ্রেমী কীভাবে ভুলবে?
শুধু কোচ হিসেবে নয়, খেলোয়াড় হিসেবেও গার্দিওলা অসাধারণ ছিলেন। ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময় বার্সেলোনাতে কাটানো পেপ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবেও খেলেছেন। ১৯৯১-৯২ মৌসুমেই মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি দলের নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিণত হন। ক্রুয়েফের বিখ্যাত ‘ড্রিম টিম’ এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন গার্দিওলা। সেই মৌসুমে লা লিগা এবং প্রথম ইউরোপিয়ান কাপ জিতে নেয় বার্সা। ইতালিয়ান ম্যাগাজিন গুয়েরিন স্পোর্তিভো থেকে ২১ বছরের কম বয়সী গার্দিওলাকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর খেলোয়াড়ের মর্যাদা দেওয়া হয়।
তবে আজ আমরা খেলোয়াড় গার্দিওলার গল্প শুনবো না, কোচ গার্দিওলার কিছু অংশ শুনবো।
১.
কোচ হিসেবে যখন বার্সেলোনার দায়িত্ব নিলেন, তখন দলের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। টানা দুই মৌসুম ট্রফিবিহীন কেটেছে। এর মাঝে সর্বশেষ মৌসুমে তো লিগে ৩য় হয়েছে, সেটাও ১ম স্থানে থাকা রিয়ালের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট আর ২য় স্থানে থাকা ভিলারিয়ালের চেয়ে ১০ পয়েন্ট পেছনে থেকে। এ অবস্থায় দায়িত্ব নিয়ে প্রথমেই দল থেকে ছেঁটে ফেললেন তিন সুপারস্টার রোনালদিনহো, ইতো আর ডেকোকে। জিজ্ঞেস করায় উত্তর আসলো, তার পরিকল্পনায় নাকি এই খেলোয়াড়েরা নেই।
ফ্যানরা শঙ্কিত। জীবনে কোনো বড় দলকে কোচিং করাননি, বার্সার ‘বি’ টিমে কোচ করানো একজন কি আদৌ পারবে দলকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে? রোনালদিনহোর মতো খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিয়ে ওর মানের নতুন খেলোয়াড় পাওয়াটাও তো কঠিন। তাহলে কাকে কিনবে বার্সা? গুঞ্জন উঠলো, এসি মিলানের হয়ে ভালো খেলতে থাকা কাকাকে হয়তো আনা হবে।
কীসের কী? কোথা থেকে দানি আলভেস আর কেইটার মতো অখ্যাত খেলোয়াড় কিনে নিয়ে আসলেন পেপ।
নুম্যান্সিয়া এর সাথে লিগের প্রথম ম্যাচ হারার পর আশংকাটা আরো বড় হলো। তবে এরপর টানা ২০ ম্যাচ অপরাজিত থেকে লিগের শীর্ষে উঠে আসে বার্সেলোনা। সেই মৌসুমেই রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে গিয়ে তাদেরকে ৬-২ গোলে হারায় বার্সা। এরপর বার্সা ‘কোপা দেল রে’ও জেতে। মৌসুমের শেষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হারিয়ে প্রথম স্প্যানিশ দল হিসেবে ট্রেবল জেতে। পেপ গার্দিওলা ইতিহাসের কনিষ্ঠ কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করেন।
দ্বিতীয় মৌসুমের শুরুতে ইতো’র সাথে ৪৬ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইব্রাহিমোভিচকে ইন্টার মিলান থেকে নিয়ে আসেন। সফলতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে উয়েফা সুপার কাপ, স্প্যানিশ সুপার কাপ এবং ক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ জেতে। এই ট্রফি জয়ের মাধ্যমে গার্দিওলা ইতিহাসের প্রথম কোচ হিসেবে এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে (২০০৯) সম্ভাব্য ৬টি শিরোপা জেতেন।
২০১০ এর ১০ জানুয়ারি রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে বার্সালোনার ইতিহাসের প্রথম কোচ হিসেবে টানা চার ম্যাচে রিয়ালকে হারানোর রেকর্ড গড়েন। ২০০৯-১০ এর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভালো খেলেও সেমিফাইনালে মরিনহোর ইন্টার মিলানের কাছে ৩-২ গোলে হেরে বাদ পড়ে যায় বার্সা। কিন্তু লা লিগা জেতে ৯৯ পয়েন্ট নিয়ে, যা কিনা সে সময়ের ইউরোপিয়ান মেজর লিগের সর্বোচ্চ পয়েন্ট ছিল।
২০১০-২০১১ সিজনে সেভিয়াকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতে নেয় বার্সেলোনা। এরপর রিয়াল মাদ্রিদকে আরেকবার ৫-০ গোলে হারিয়ে এককভাবে টানা পাঁচ ম্যাচে হারানোর কৃতিত্ব গড়ে তারা। কিন্তু কোপা দেল রে’র ফাইনালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অতিরিক্ত সময়ে করা গোলে হেরে যায়। সেই প্রতিশোধ নিয়ে নেয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে রিয়ালকে হারিয়ে। ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে গার্দিওলা জেতেন তিন বছরের মাঝে দু’টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এছাড়া ওই মৌসুমে লা লিগাও জিতে নেন।
২০১১-১২ সিজনে পোর্তোকে উয়েফা সুপার কাপ ফাইনালে হারিয়ে গার্দিওলা বার্সার সবচেয়ে বেশি শিরোপা জেতা কোচ বনে যান। তিনি ১২টি শিরোপা জেতেন মাত্র ৩ বছরে। ২০১১ ক্যালেন্ডার ইয়ারে ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে ১৩টি শিরোপা জেতেন (১৬টি টুর্নামেন্টে)। এই মৌসুমশেষে পেপ বার্সেলোনার দায়িত্ব ছেড়ে দেন।
২.
২০১২-১৩ সিজনটা গার্দিওলা বিশ্রাম নেন। ২০১৩-১৪ সিজনে গার্দিওলা কোচিংয়ে ফেরত আসার সিদ্ধান্ত নেন, এবং বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্ব নেন। বায়ার্নের হয়ে শুরুটা তার ভালো ছিল না। প্রথম অফিশিয়াল ম্যাচ ছিল ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে জার্মান সুপার কাপের ম্যাচ। সেই ম্যাচে ৪-২ গোলে হেরে যায় বায়ার্ন মিউনিখ। তবে পরবর্তীতে চেলসিকে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপ জিতে নেন। ডিসেম্বরে জিতে নেন ক্যারিয়ারের ৩য় ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ। ২০১৪ সালে বুন্দেসলিগা জেতেন।
জার্মান লিগে নাকি বায়ার্নকে নিয়ে জেতাটা অতটা কঠিন কাজ নয়। নিন্দুকেরা বলে, কোচ না থাকলেও নাকি বায়ার্ন চ্যাম্পিয়ন হবে। তাই চ্যাম্পিয়ন হলেও স্পেশাল কিছু না করলে পুরোপুরি মন ভরবে না। সেই স্পেশাল কাজটাই করলেন গার্দিওলা। লিগ জেতেন ৭ ম্যাচ হাতে রেখে, যা কিনা বুন্দেসলিগা’র রেকর্ড। বুন্দেসলিগায় দায়িত্ব নিয়ে টানা ১৪ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড করেছিলেন কার্ল হেইঞ্জ ফেল্ডকাম্প। গার্দিওলা সেই রেকর্ড ভেঙে নিয়ে গেলেন ২৮ ম্যাচের রেকর্ডে ।
কিন্তু বায়ার্ন বড় ধাক্কাটা খায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে। প্রথম লেগে ১-০তে হারার পর দ্বিতীয় লেগে হারে ৪-০ গোলে। গার্দিওলা হারের দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে নেন, যদিও ফিলিপ লাম হারটাকে একটা দলীয় হার হিসেবেই মেনে নিয়েছিলেন।
DFB-Pokal ফাইনাল জিতে সেই সিজন শেষ করেন।
পরের সিজনের শুরুটা খারাপ হয়, জার্মান সুপার কাপে ডর্টমুন্ডের কাছে বায়ার্ন হেরে যায় ২-০ গোলে। লিগ জিতলেও চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে আবার বাদ পড়ে তারা, জার্মান কাপ থেকেও পেনাল্টি শ্যুটআউটে বাদ পড়ে যায়। এই ম্যাচে বায়ার্নের চারজন খেলোয়াড়ই পেনাল্টি মিস করে। এই সময় পেপ তার কোচিং জীবনে প্রথমবারের মতো টানা চারটি ম্যাচে পরাজিত হন।
যখন বায়ার্ন ছাড়েন, তখন তার সঙ্গী বুন্দেসলিগার ৮২টি জয়ের রেকর্ড (সাথে ১১টি জয় আর ৯টি হার)। DFB-Pokal এ রেকর্ড ১৪টি জয়, ৩টি ড্র আর কোনো ম্যাচ না হারার গৌরব। এছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগে ২৩টি ম্যাচে জয় পান, যা আরো একটা রেকর্ড। এর পাশাপাশি ৫ ম্যাচে ড্র করেন, আর ৮টি ম্যাচে পরাজিত হন।
৩.
২০১৬-১৭ মৌসুম থেকে গার্দিওলা ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন। তবে প্রথম মৌসুমটা তার বেশ বাজে কাটে। লিগ কাপ থেকে বাদ পড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে এবং লিগে ৩য় অবস্থানে থেকে মৌসুম শেষ করে। এছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগে মোনাকোর বিপক্ষে ২য় রাউন্ডেই বাদ পড়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো কোনো ট্রফি ছাড়া মৌসুম পার করেন গার্দিওলা।
তবে দ্বিতীয় মৌসুমে গার্দিওলা চমক দেখান। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে প্রথমবারের মতো ১০০ পয়েন্ট অর্জন করে তার দল ম্যানচেস্টার সিটি, যা কিনা দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে ১৯ পয়েন্ট বেশি।
সেই বছরের ইএফএল কাপের ফাইনালেও আর্সেনালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় গার্দিওলার সিটি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে লিভারপুলের কাছে হেরে বাদ পড়ে যায়।
৪.
কোচ হিসেবে পেপের কোন জিনিসটা ভালো? সেটা বলার আগে ভিন্ন একটা বিষয়ে কিছু বলা যাক।
মনে করুন, কোনো রাস্তায় একটা গাড়ি আটকে গিয়েছে। এখন এই গাড়িটাকে প্রথমে স্টার্ট করাটা খুবই কঠিন। কিন্তু একবার যদি কোনোভাবে স্টার্ট করে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনা যায়, তাহলে সেই চলন্ত গাড়িতে কিছুক্ষণ কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ না করলেও গাড়ি নিয়ে কিছুদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। বার্সাকে নিয়ে গার্দিওলা প্রথমে এই গাড়ি স্টার্ট করার কাজটাই করেছিলেন। পথ হারাতে থাকা বার্সাকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে এনে এমনভাবে ডমিনেট করলেন, যা ফুটবল ইতিহাসে গত দুই দশকে কারো নেই। এবং আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে, পেপ বার্সায় থাকলে কোচ হিসেবে হয়তো সবচেয়ে বেশি লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কিংবা মোট ট্রফিতেও তিনি সবার উপরেই থাকতেন।
কিন্তু পেপ চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন। তিনি ভিন্ন পরিবেশে নিজেকে যাচাই করতে চাইলেন, চলে গেলেন বায়ার্নে। বায়ার্নে তাকে সফলই বলা যায়। একটাই অপূর্ণতা ছিল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ না জেতা। তিনবারই সেমি খেলেছে; একবার হার মানে বার্সার কাছে, একবার রিয়ালের কাছে, আরেকবার অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের কাছে। বিষয়টা অজুহাত মনে হতে পারে, তবে পেপ কখনোই তার পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াডটা পাননি। ২০১৪-১৫ সেমিতে বার্সার বিপক্ষে রিবেরি আর রোবেনের মতো খেলোয়াড় খেলেনি, ২০১৫-১৬তেও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে প্রথম লেগে রিবেরি আর রোবেনকে পাননি, দ্বিতীয় লেগে রিবেরি এলেও রোবেনকে পাওয়া যায়নি। রিবেরি আর রোবেন বায়ার্নে থাকলেও বায়ার্ন হারতে পারতো, তবে সেক্ষেত্রে লড়াইটা আরো মজবুত হতো।
সফল তো অনেকেই হয়, তার পেছনে অনেক কারণও থাকে। তবে চ্যালেঞ্জ নেবার সাহস সবার থাকে না। বার্সায় থেকে অনেকটাই নিশ্চিত সফলতার হাতছানি উপেক্ষা করেও যিনি চ্যালেঞ্জ নিতে আগ্রহী, তাকে আপনি অসফল ভাবতে চাইলে ভাবতেই পারেন, কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে নিজেকে যাচাই করতে চাওয়ার এই সাহসের জন্য পেপ যথার্থই প্রশংসার দাবিদার।