ভাঙা মৌসুমে কিকে সেতিয়েনের নতুন বার্সেলোনা অধ্যায়

চ্যাম্পিয়নস লিগে রোমার মাঠে হারের পরই ‘ভালভার্দে হটাও, ভালভার্দে হটাও’ শোরগোল উঠেছিল। সে সময় থেকেই ভালভার্দের নিন্দুকের অভাব ছিল না। কিন্তু ঐ হারের পরও খেলোয়াড় থেকে বোর্ড, সবাই আস্থা রেখেছিল ভালভার্দের উপর। কিন্তু এই আস্থার প্রতিদান তিনি দিতে পারেননি। চ্যাম্পিয়নস লিগে আরও একবার তীরে এসে তরী ডোবানোর মতো লজ্জাজনক হারের মুখোমুখি হয় কাতালানরা। কিন্তু সেবারও বেঁচে যায় তার চাকরি। কিন্তু নতুন মৌসুমে দলের বাজে পারফরম্যান্স আর স্প্যানিশ সুপার কাপ হারের পর টনক নড়ে বার্সেলোনার হর্তাকর্তাদের। তবে বার্সেলোনার নতুন কোচ আনতে তারাও মোটামুটি কাহিনী করেছে।

ভালভার্দে ও ক্রুইফ © FERNANDO ZUERAS

১৭ বছর পর প্রথমবার মৌসুমের মাঝপথে দলের কোচ পাল্টাল বার্সেলোনা। এর আগে এমন ভাগ্য বরণ করতে হয়েছিল লুই ফন গালকে, ২০০৩ সালে। তবে বার্সেলোনা ভালভার্দের উত্তরসূরী হিসেবে চেয়েছিল তাদেরই ক্লাবের প্রাক্তন খেলোয়াড় জাভিকে, যিনি বর্তমানে কাতারের আল সাদ ক্লাবের দায়িত্বে আছেন। কিন্তু মৌসুমের মাঝপথে একটি ক্লাব ছেড়ে নতুন ক্লাবে আসার কোনো পরিকল্পনা নেই জাভির। জাভির কাছ থেকে ব্যর্থ হয়ে কাতালানরা চেষ্টা করেছে আরেক প্রাক্তন খেলোয়াড় রোনাল্ড ক্যোমানকে আনতে। তিনিও একই যুক্তি দেখিয়ে বার্সেলোনাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। যদিও হল্যান্ডকে ইউরোর আগে ছেড়ে আসার কোনো ইচ্ছাই আপাতত তার নেই। তবে বার্সেলোনার চাওয়া ছিল এমন একজনকে কোচ হিসেবে নিযুক্ত করতে, যার ফুটবল দর্শন তাদের সাথে মিলে যায়। এজন্য তারা নিয়ে এসেছে প্রাক্তন রিয়াল বেটিসের কোচ কিকে সেতিয়েনকে। যিনি গার্দিওলা-ভিলানোভার পর প্রথম ‘ক্রুইফ-ভক্ত’ কোচ।

প্রথমবারের মতো বার্সার ডাগ-আউটে সেতিয়েন ©fcbarcelona

এসপানিওলের বিপক্ষে ড্র করার পর বার্সেলোনা বোর্ডেরও মন উঠে গিয়েছিল ভালভার্দের উপর। কিন্তু এবার ঘরোয়া ফুটবলে হতাশা উপহার দিলেও কাতালানদের কোচ হয়ে আসার পর সবসময়ই সফল ছিলেন ঘরোয়া অঙ্গনে। বিপরীতে, ইউরোপিয়ান ফুটবলের আসরে চূড়ান্ত রকমের ব্যর্থ ছিলেন তিনি। যার খেসারত হিসেবেই মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে তাকে বরখাস্ত করেছে বার্সেলোনা। ভালভার্দে সব থেকে বেশি সমালোচিত হয়েছেন তার ফুটবল ট্যাকটিক্সে। ক্রুইফ থেকে পেপ গার্দিওলা, টিটো ভিলানোভা বা লুইস এনরিকের বার্সেলোনার খেলার ধরন থেকে তিনি একদমই ভিন্ন ছিলেন। কিন্তু সেতিয়েন আসার পর থেকে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে তার ‘ক্রুইফ দর্শন’ নিয়ে, যে ফুটবল ট্যাকটিক্স দেখার জন্য ভালভার্দেকে প্রায় দুই বছর আগেই বরখাস্ত হতে দেখতে চেয়েছিল বার্সা সমর্থকেরা।

বার্সেলোনার ডাচ কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ ছিলেন সুন্দর ফুটবলের পূজারী। ফুটবল মাত্রই শারীরিক সক্ষমতা ও পায়ের খেলা, তা তিনি মানতে নারাজ ছিলেন। তিনি মনে করতেন, পায়ের সাথে মগজ দিয়েও ফুটবল খেলা সম্ভব। ফুটবল দৌড়ানোর খেলা, তবু ক্রুইফ চাইতেন না তার দলের খেলোয়াড় অযথা দৌড়াদৌড়ি করুক। তিনি চাইতেন, খুব দ্রুত নয়, আবার দেরিতেও নয়, খেলার মাঠে সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে যেন তার খেলোয়াড় উপস্থিত থাকে। এই ভাবনার অনুসারী কোচ হচ্ছেন পেপ গার্দিওলা, যিনি এই ফুটবল দর্শনে দীক্ষিত হয়ে বার্সেলোনাকে ট্রেবল জিতিয়ে গেছেন। আর আরেকজন হলেন কিকে সেতিয়েন। এই ক্রুইফ-সুলভ ভাবনার জন্যই ভালভার্দের স্থানে আজ তিনি কোচ হয়ে এসেছেন।

ক্রুয়েফের সাথে তার যোগ্য শিষ্য, পেপ গার্দিওলা ©Twitter

এর আগে লাস পালমাস ও রিয়াল বেটিসের কোচের দায়িত্বে ছিলেন সেতিয়েন। কোনো ক্লাবের হয়েই তার কোনো শিরোপা অর্জন নেই। ক্লাবের পারফরম্যান্স বা সাফল্য দিয়ে তিনি নজর কাড়েননি। বার্সেলোনা সেতিয়েনে মজেছিল তাদের মাঠেই বেটিসের কাছে ৪-৩ গোলে হারার পর। মাছের তেলে মাছ ভাজার মতো বার্সার পরিকল্পনা উল্টে বার্সার উপর প্রয়োগ করেই প্রতিপক্ষের মাঠে রুখে দিয়েছিলেন সেতিয়েন। সেতিয়েনের প্রথম ক্লাব রেসিং সান্তান্দার তাকে ডাকে ‘এল মায়েস্ত্রো’ বলে। কোচিং করানোর ধরন, দলকে খেলানোর ধরন, এসবে আগে থেকেই তার বার্সেলোনাসুলভ ছাপ। ক্রুইফের সরাসরি ছাত্র না হলেও তার ফুটবল দর্শন একজন আদর্শ ক্রুইফের শিষ্যর মতই। 

সেতিয়েনের মূল কৌশল খুব সাধারভাবে বলতে গেলে টিকিটাকার সাথে প্রেসিং ফুটবল। বার্সেলোনা শেষ এই ঘরানার ফুটবল খেলেছিল লুইস এনরিকের আমলে। বেটিসে থাকতে সেতিয়েন তার এই কৌশল প্রয়োগ করতেন ৩-৫-২ ফর্মেশনে, যেখানে তিনজনের রক্ষণের পাশাপাশি দুই উইংব্যাক হতেন আরও আক্রমণাত্মক ভূমিকায়। তবে বার্সেলোনায় তার কৌশল একই থাকলেও এই ফর্মেশনে তাকে বদল আনতে হবে। কারণ, বার্সার বর্তমান রক্ষণের যে হাল, তাতে এমন কৌশল হিতে বিপরীত হতে পারে। 

সেতিয়েনের মূল কথা, বল দখলে এগিয়ে থাকতে হবে। বল পায়ে রেখে কার্যকরী পাস ও রসায়ন এবং সঠিক সময়ে প্রতি-আক্রমণে যাওয়াই তার একাদশের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু ক্রুইফের দর্শনের মতো বল পায়ে বেশিক্ষণ ধরে রাখা যাবে না, অনেকটা পেপ গার্দিওলার বলা ‘বল ধরো, পাস করো’ এর মতো।

তবে সেতিয়েন কেমন ফর্মেশন তৈরি করবেন? বার্সেলোনা কি তার চিরাচরিত ৪-৩-৩ ফর্মেশনে ফেরত যাবে? এসব প্রশ্নে কোনো উত্তর আপাতত নেই। কিন্তু সেতিয়েন তার দর্শনের ফুটবলই বার্সেলোনাকে খেলাবেন। এ জন্য ডি ইয়ং, আর্থুর ও বুসকেটসকে সেই পুরনো বার্সেলোনার মন্ত্রে ফেরত যেতে হবে, ভালভার্দের রক্ষণাত্মক ফুটবলে নয়। তাই সেতিয়েনের অধীনে বার্সেলোনা শিরোপা জিতুক আর না জিতুক। তাদের পুরানো টিকিটাকা যে আবার ক্যাম্প ন্যুতে ফেরত আসতে চলেছে, তা নিশ্চিত। কোচ হয়ে আসার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি আশ্বস্ত করেছেন,

“ফলাফল কী হবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করতে পারছি না। কিন্তু দল যে ভাল খেলবে, তার নিশ্চয়তা আমি দিচ্ছি। হয়তো কিছু ক্ষেত্রে বদল আসতে পারে, কিন্তু ফুটবল দর্শন কখনো বদলাবে না।”

রিয়াল বেটিসের হয়ে আলোচনায় এসেছিলেন সেতিয়েন ©FOX Sports Asia

বার্সেলোনা সমর্থকদের আরও একটি আক্ষেপ ছিল তাদের বিখ্যাত লা মাসিয়ার খেলোয়াড়দের সুযোগ করে না দেওয়া। আসলে ভালভার্দেও দলের বর্ষীয়ান খেলোয়াড় বাদে তরুণদের উপর সেভাবে ভরসা করতে পারেননি। এজন্য আলেনা, রিকি পুইগ, মার্ক কুকুরেয়া, স্যাম্পারের মত লা মাসিয়ান, সাথে তোদিবো, মিনা, ম্যালকমের মতো উঠতি তরুণরা দলে এলেও ভালভার্দের সুনজর পাননি।

এখানেও সেতিয়েন ব্যতিক্রম। তরুণ ফুটবলারদের ক্ষেত্রে সেতিয়েনের ভালো সুনাম আছে। রিয়াল বেটিসে জোনাথন ভিয়েরা, জিওভানি লো চেলসো, জুনিয়র ফিরপো বা ফাবিয়ান রুইজের উত্থানের পেছনে তার অবদান অনেক বেশি। তাই হয়তো আবার বার্সেলোনার বিখ্যাত ‘লা মাসিয়া’ থেকে সেতিয়েনের দলে নিয়মিত সুযোগ পাবেন তরুণ ফুটবলারেরা।

তরুণদের সুযোগ দেবার ক্ষেত্রে সেতিয়েনের সুনাম আছে ©fcbarcelona

সেতিয়েনের দর্শন ও ধরন তো বোঝা গেল। এইরকম ফুটবল খেলালে প্রথম সমস্যা হয় রক্ষণে। রিয়াল বেটিস এমন প্রেসিং ফুটবল খেলে হজম করেছিল ৫২ গোল। হয়তো সেখানে সেতিয়েনের হাতে পর্যাপ্ত ডিফেন্ডার ছিলেন না। কিন্তু বার্সেলোনার যে বেহুলার বাসরের মতো রক্ষণ! এই রক্ষণ যে প্রেসিং ফুটবলের নিচে বহাল তবিয়তে টিকে থাকবে, তার নিশ্চয়তা কী? পিকে ও লংলে বরাবরই চাপের মুহূর্তে ভুল করেন। প্রতিপক্ষের প্রতি-আক্রমণের সামনে খেই হারিয়ে ফেলেন। আর উমতিতি এখনও হারানো ফর্ম খুঁজে পাননি। যেখানে ভালভার্দের অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক ট্যাকটিক্স নিয়েও বার্সেলোনা প্রতি ম্যাচে গোল হজম করত, সেখানে সেতিয়েনের প্রেসিং ফুটবলে বার্সেলোনার রক্ষণের প্রতি বিস্তর সংশয় থেকে যায়। তবে ক্রুইফের মতো সেতিয়েনের অনুশীলনও খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স বদলে দেয়। তাই, হয়তো রক্ষণ স্বরূপে ফিরবে, অথবা ফিরবে না। 

অনেক ট্যাকটিক্স তো হলো। এবার বাস্তবতায় ফিরে আসা যাক।

বার্সেলোনা সমর্থকেরা ভালভার্দের বরখাস্ত কামনা করছিল, শুধু বিরক্তিকর ফুটবলের জন্য নয়। কোপা দেল রে, লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতলেও তার দল ব্যর্থ ছিল ইউরোপিয়ান অঙ্গনে। তাই শিরোপা এনে দিলেও আসলে ভালভার্দে কিন্তু ব্যর্থ। সেক্ষেত্রে বার্সেলোনা যদি শুধু নান্দনিক ফুটবলই খেলে, কিন্তু শিরোপা জিততে ব্যর্থ হয়, সেখানে সমর্থেকরা সেতিয়েনকে মেনে নেবে?

এছাড়াও বর্তমান ফুটবলে সৌন্দর্যের ফুটবল ছাপিয়ে শিরোপাই মুখ্য। ভালভার্দের বার্সা কুৎসিত ফুটবল খেলেছে ঠিকই, কিন্তু এই ঘরানার ফুটবল যদি বার্সাকে শিরোপা এনে দিত, তাহলে আজ আর্নেস্তো ভালভার্দে বহাল তবিয়তে বার্সেলোনার ডাগ-আউটেই বসে থাকতে পারতেন। তাই শুধু সুন্দর ফুটবল উপহার দিয়ে, বার্সা সমর্থকদের মন জেতা সম্ভব নয়। 

টানা দুবার লা লিগা জেতানোর পরও বার্সেলোনার হয়ে ব্যর্থ ভালভার্দে ©AFP/Getty Image

আরও একটি তত্ত্ব হচ্ছে, সব কোচ বড় দলের বোঝা নিতে পারেন না। ভালভার্দে যখন এসেছিলেন, তখন তাকে নিয়ে প্রত্যাশার কমতি ছিল না। আর তিনি ছিলেন খোদ ক্রুইফের দলে খেলা খেলোয়াড়। সেতিয়েন শুধু এক মৌসুমেই বেটিসের হয়ে নাম কামিয়েছেন। বিপরীতে, কাতালানদের কোচ হবার আগে ভালভার্দে প্রতিনিয়ত লা লিগায় বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদকে সমস্যায় ফেলেছেন, জিতেছিলেন স্প্যানিশ সুপার কাপও। কিন্তু বার্সেলোনার মতো ক্লাবের দায়িত্ব ঠিকভাবে রক্ষা করাও সবসময় সবাই পারে না। সমৃদ্ধ রেকর্ড নিয়ে ভালভার্দে পারেননি, সেখানে সেতিয়েন এই প্রথমবার বড় দলের কোচের আসনে বসলেন।

সেতিয়েনের ভবিষ্যতের কথা নিয়ে আলোচনায় বসলে উঠে আসে হোর্হে সাম্পাওলির নাম। চিলিকে কোপা আমেরিকা জেতানো এই আর্জেন্টাইনকে অনেক আশা করে আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে এনেছিলেন ক্লাদিও তাপিয়া। সাম্পাওলিও দুর্দান্ত ট্যাকটিশিয়ান, ‘সুন্দর ফুটবল’প্রেমী। এরপরও আর্জেন্টিনার হয়ে তার ব্যর্থতা পুরো বিশ্ব দেখেছে। বোর্ডের সাথে অভ্যন্তরীণ সমস্যা, চাপে পরে উল্টোপাল্টা ট্যাকটিক্স খাটিয়ে তিনি কোনোমতেই সুবিধা করতে পারেননি। এছাড়াও আরও অনেকে আছেন যারা ছোট ক্লাবে ভালো করেও বড় ক্লাবের দায়িত্ব নিয়ে চূড়ান্ত রকমের ব্যর্থ ছিলেন। 

সেতিয়েনের সামনে আরও বড় বিপদ হচ্ছে, ভালভার্দের রেখে যাওয়া দল। তার উপর এসেছেন ভাঙা মৌসুমে, যেখানে প্রত্যেকে প্রায় অর্ধেক আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ধুঁকছে। মেসি, স্টেগান ও ডি ইয়ং বাদে প্রায় তেমন কেউই নেই ফর্মে। মধ্যমাঠে তার ধরনের খেলোয়াড় ভিদাল বাদে প্রায় সবাই। কিন্তু বুসকেটস ও রাকিটিচ ইতঃমধ্যে বুড়িয়ে গেছেন। কার্লোস আলেনাকেও লোনে দিয়ে ফেলেছে ক্লাবটি। যদি বুসকেটস বা রাকিটিচ সেতিয়েনের টিকি-টাকা’র সাথে প্রেসিং ফুটবলের সাথে মানিয়ে নিতে না পারেন, এতে সমস্যায় পড়বে বার্সা। কারণ, এই ঘরানায় একটি বড় ধরনের ভুল সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে।

উপরন্তু, সুয়ারেজ ইনজুরিতে এ মৌসুমের জন্য মাঠের বাইরে। আপাতত কোনো স্ট্রাইকার নেই বার্সার কাছে। এই সমস্যাগুলো সমাধান করে সেতিয়েন সাফল্য স্পর্শ করতে পারবেন তো? আর সমস্যাগুলো সমাধান পর্যন্ত নিতে হলে সময়ও প্রয়োজন। সেটা তিনি কী বার্সেলোনা ও তাদের সমর্থকদের কাছ থেকে পাবেন?

কিকে সেতিয়েন কী পারবেন বার্সেলোনা সমর্থকদের মত জয় করতে? ©fcbarcelona

বার্সেলোনা ও তাদের সমর্থকেরা আপাতত খুশি, কারণ তারা ভালভার্দের পরিবর্তে ‘ক্রুইফ ভক্ত’ কিকে সেতিয়েনকে পেয়েছে। কিন্তু পাহাড়সম চাপ নিয়ে যে মাঝপথে কাতালানদের লাগাম ধরেছেন, সেটা আপাতত সেতিয়েনই সবচেয়ে ভালো জানেন। বাকি ছয় মাসে সব বদলে যাবে, তা নয়। কিন্তু পাসিং ফুটবল ক্যাম্প ন্যুতে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সাফল্যের আভাস দিয়ে রাখাও জরুরি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন সুন্দর ফুটবলের, কিন্তু সাফল্য ছাড়া সুন্দর ফুটবলের কোনো মূল্য নেই।

সেতিয়েনের আগমনটা জয় দিয়েই রাঙিয়েছেন মেসি-স্টেগানরা। ভবিষ্যৎই বলে দেবে বাকিটা। 

Related Articles

Exit mobile version