এ মুহূর্তে রাজস্থান রয়্যালসের খেলোয়াড়েরা যেখানটায় আছেন, সেখানকার সবচেয়ে নিচু দরের কামরাটিতে থাকতে চাইলেও প্রতি রাতের জন্যে আপনাকে গুনতে হবে ৪৬২ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি অঙ্কে যার পরিমাণ হয়ে যাচ্ছে ৩৯,২২৪ টাকা, সঙ্গে আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নিতে চাইলে আপনাকে গুনতে হবে আরও দশ হাজার। রাজস্থান রয়্যালস নিছকই উদাহরণ, আইপিএলের বাকি সাত দলের খেলোয়াড়-কর্মকর্তারাও থাকছেন এমনই বিলাসবহুল সব পাঁচ-তারকা হোটেলে।
এবং এমন সব জায়গায় গত মাসখানেক ধরে অবস্থান করেও কী যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্সই না করে যাচ্ছেন একেকজন! প্রতিটি দলের ফিল্ডিং বাজে হচ্ছে চূড়ান্ত রকমের, এমনকি বিরাট কোহলি-শ্রেয়াস আইয়াররাও ক্যাচ মিস করছেন আজকাল! ব্যাট হাতে কয়েকজন যেন জড়ভরতের প্রতিচ্ছবি, ইনিংসের শেষদিকে নেমেও ব্যাটে-বলে এক করতে পারছেন না বলে ধোনিকে মনে হচ্ছে স্বার্থপর। এবং খেলা যারা দেখেছেন, তাদের কাছে বোলিংয়ের কীর্তন নতুন করে গাওয়াটা হবে বাহুল্য; আর যারা দেখেননি, তাদের কাছ থেকে গোপন করাই শ্রেয়।
প্রশ্নটা তাই অবধারিতভাবেই জেগেছে, এবারের আইপিএলে ক্রিকেটারদের এমন শ্রীহীন পারফরম্যান্সের রহস্য কী? রহস্যোদ্ঘাটনের চেষ্টা করছেন এই লেখক।
***
স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড মিলারদের অর্ধলক্ষ মূল্যের এক কামরায় বিনামূল্যে থাকতে দেখে আপনার কী হচ্ছে জানি না, তবে এই লেখকের ঈর্ষা হচ্ছে ভীষণ। ইশ, একদিনের জন্যেও যদি ওসব কক্ষে থাকবার সাধ্যি হতো!
প্যাডি আপটন জানাচ্ছেন, পাঁচ-তারকা ওসব হোটেলে নাকি এক-দু’দিনের জন্যেই থাকা ভালো। বিশেষজ্ঞ এই ক্রিকেট কোচ তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, যতই ওয়াই-ফাই, এলইডি টিভি কিংবা এক্সবক্স থাকুক, প্রযুক্তির এসব অত্যাধুনিক কীর্তিগুলো নাকি দিনদুয়েকের জন্যেই মন টানে। কিন্তু মাসের পরে মাস যখন ছোট্ট এক কক্ষই হয়ে যায় শোবার-খাবার-বসবার-রান্নার ঘর, তখন সেই বিলাসী পণ্যগুলোকেই জ্বালা মনে হয় ভীষণ, রুমগুলোতে নিজেকে মনে হয় খুবই একা।
প্যাডি আপটন বলছিলেন কোভিড-পূর্ব যুগের একাকীত্বের কথা। কিন্তু এবার যে একাকীত্বর সংজ্ঞা ভাষা পেয়েছে আরও এক লাইন বেশি। আগের আইপিএলগুলোতে কিছু না হোক, অন্তত দল বেঁধে ঘুরতে যাওয়া যেত, সিনেমা-টিনেমাও দেখে আসা যেত এক ফাঁকে; স্পন্সরদের দূতিয়ালি করতে গিয়ে খেলার বাইরে ফুরসতও মিলতো খুব কম। কিন্তু এবার এসবের সুযোগ তো নেই-ই, যে আমিরাত বিখ্যাত তার শপিংমলগুলোর জন্যে, সেখানে যাবার অনুমতিও নেই। হোটেল-মাঠ-হোটেল করতে করতেই কাটাতে হবে পরের চল্লিশ দিন, যেখানে ইতঃমধ্যেই কেটে গিয়েছে মাসখানেক। অমন বন্দীদশা, পাঁচদিন পরপর করোনা পরীক্ষার ভেতর দিয়ে যেতে যেতে হাঁপিয়ে উঠতে পারেন যে কেউই। করোনার আগে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যানটিও হয়তো বা নেতিয়ে পড়তে পারেন একসময়, কোনো কোনো দল হয়তো বা হিমশিম খেতে পারে একাদশ সাজাতে গিয়েই। মানসিক অস্থিরতায় ঘুরপাক খেতে খেতে কোন কাজটাই বা ভালো হয়?
মুখচোরা চরিত্রের ব্যক্তিগুলো হয়তো বা এই বন্দী জীবন পার করে দেবেন একভাবে, হোটেলবন্দী জীবনে তাদের হয়তো বা খারাপও লাগবে না খুব একটা। বই পড়ে, সিনেমা দেখে, কিংবা সম্পূর্ণ নতুন কোনো কাজ নিয়ে পড়ে তারা পার করে দিতে পারবেন কিছুদিন। কিন্তু যারা একটু-আধটু আড্ডাপ্রিয়, যাদের আমরা চিনি বহির্মুখী বলে, মূল শঙ্কাটা তাদের ঘিরেই। এমন অনেক ক্রিকেটারই আছেন, যাদের ভালো থাকতে গেলে বন্ধুবান্ধবের সাহচর্য লাগে, ম্যাচ জয়ের পরে পার্টি লাগে, মাঠ থেকে হোটেলে ফেরার পথে জনতার সোল্লাস লাগে। এমন ক্রিকেটাররা কী করে ৭৫ দিন ওই বায়ো-বাবলে টিকে থাকবেন? কিংবা মাঠে গিয়ে নিজের নামে উল্লসিত চিৎকার শুনে যেসব ফিল্ডাররা অনুপ্রাণিত হন, দর্শকহীন এবারের আইপিএলে তারাই বা ডাইভ দেয়ার আগে ওই বাড়তি রসদটুকু কোথায় পাবেন?
আর আইপিএলের প্রতি দলই তো স্কোয়াড গড়েছিল কুড়ির বেশি খেলোয়াড় নিয়ে। যার মানেটা দাঁড়াচ্ছে, অর্ধেকের বেশি খেলোয়াড়ই বসে থাকবেন বেঞ্চে, অনেকেই হয়তো গোটা মৌসুমে ম্যাচ পাবেন না একটিও। ভারতের ক্রিকেটাররা না হয় স্বদেশী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কিছুমিছু নিয়ে কথা বলে কাটিয়ে দেবেন খানিকটা সময়, কিন্তু পরিবার-পরিজন ছেড়ে আসা ওই বেঞ্চ গরম করা বিদেশ-বিভুঁইয়ের ক্রিকেটারের কী হবে? তিনি যদি হন মুখচোরা?
এবারের আইপিএলে সাফল্য পাবার পেছনে তাই বিশেষজ্ঞরা বিশেষ গুরুত্বারোপ করছেন খেলোয়াড়দের মানসিক শক্তির ওপরও। কেউ কেউ দলগুলোকে পরামর্শ দিয়েছিলেন মনোবিদ নিয়োগ করতেও। চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই তাই বলে দিয়েছিলেন,
“The mental side is going to be important; not only in the game but also dealing with the isolation and stuck in the room alone. So it’s going to be mentally challenging for everyone.”
***
এবারের আইপিএল কঠিন থেকে কঠিনতর হবার কারণ অবশ্য কেবল মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েনেই আটকে নেই। যে মাঠের ক্রিকেট দিয়ে আলাদা করা যাবে দুই দলকে, সেখানেও তো আগেরবারগুলোর সঙ্গে দেখা যেতে পারে বেশ বড় রকমের ফারাক।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে টুর্নামেন্ট শুরুর পূর্বে সবচেয়ে দুশ্চিন্তা পোহাতে হতো চেন্নাই সুপার কিংস ম্যানেজমেন্টকে। দলটির বেশিরভাগ খেলোয়াড়েরই নামের আগে কিংবা পরে জুড়ে দিতে হয় অবসরপ্রাপ্ত শব্দটি, দলটির অধিনায়কই তো ২২ সেপ্টেম্বর মাঠে নামবার আগে শেষবার খেলতে নেমেছিলেন সোয়া বছর আগে, ম্যাচ ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা তো তাই থেকেই যায়। কিন্তু ধরায় করোনাভাইরাস নামে এক মহামারী এসে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর সিপিএলে খেলা ক্রিকেটারদের ছাড়া বাদবাকি সবাইকেই দাঁড় করিয়ে দিয়েছে চেন্নাইয়ের ক্রিকেটারদের কাতারে। বিশ্বের ব্যস্ততম ক্রীড়াবিদদের একজন বিরাট কোহলি এবারের আইপিএলের আগে শেষবার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছিলেন এ বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি, এ তথ্যেই বোধ করি বুঝে নেয়া যাচ্ছে অনেক কিছু।
করোনাভাইরাসের কবলে পড়ে মাঝের সময়টায় আর সবার মতো লকডাউনে কাটাতে হয়েছে ক্রিকেটারদেরও। হ্যাঁ, মাঝের দিনগুলোতে বাড়িতে বসে ফিটনেস অনুশীলনটা চালিয়ে গিয়েছিলেন প্রায় সবাই, সাঞ্জু স্যামসনের মতোন নেটে হাজারবিশেক বল ব্যাটিংও করেছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু সেখানে তো অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডের মতো কোনো কোচ ছিলেন না, পা ঠিকঠাক চললো কি চললো না, মাথাটা একটু বেশিই হেলে পড়ছিল কি না, তা শুধরে দেবার মতো কেউ ছিলেন না। ছয়-সাত মাস কিংবা এক বছরের বিরতি তাই অনেক ক্রিকেটারকেই ফেরত দিচ্ছে অভিষিক্ত হবার অনুভূতি। আর অভিষেক ইনিংসে হয় কি, একটু নার্ভাস-নার্ভাস লাগে, হাত-পা অবশ হয়ে আসে, হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকেও সাকিব আল হাসান বিশ্বের দ্রুততম বোলার ভাবেন।
শুরুর দুই ম্যাচে ব্যাটে-বলে যে মনমতো সংযোগ ঘটাতে পারেননি ক্রিকেটাররা, তার পেছনে দীর্ঘদিনের এই ম্যাচখরাকেই দায়ী করা চলে। এক স্যামসন ছাড়া পুরোদমে মারকাটারি ইনিংস খেলতে পারেননি এখন অব্দি কেউই, শারজায় রাজস্থানের বিপক্ষে ম্যাচে ফ্যাফ ডু প্লেসির স্কোরকার্ডে ৩৭ বলে ৭২ রান লেখা হলেও মধ্য ইনিংসে (১৮ বল) তার রান ছিল ১৭।
দীর্ঘদিন এই ম্যাচ না খেলার প্রভাব পড়েছে ফিল্ডিংয়েও। এমনিতে বেশ বিশ্বস্ত হলেও পাঞ্জাব-বেঙ্গালুরুর ম্যাচে কোহলি ক্যাচ ছেড়েছেন দুইটি। লোকেশ রাহুল যে তুলে নিলেন এবারের আইপিএলের প্রথম শতক, তার জন্যেও দায়ী এই ক্যাচ মিসগুলোই। এর আগে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ৮৯ রানের ইনিংসেও ক্যাচ ফেলেছিলেন আরেক দুর্দান্ত ফিল্ডার শ্রেয়াস আইয়ার। এসবের বাইরেও জসপ্রীত বুমরাহর বাজে ফিল্ডিং, ট্রেন্ট বোল্টের বলের দিঙ়্নির্ণয় করতে না পারা, এমন ঘটনাগুলোর ব্যাখ্যা করতে দীর্ঘদিন ম্যাচ না খেলা ছাড়া আর কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
তবে ম্যাচ খেলবার অনভ্যস্ততার কারণে সিজনের শুরুর দিকটায় সবচেয়ে গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হবার কথা ছিল বোলারদের – বিশেষ করে ফাস্ট বোলারদের। এবং খেলা মাঠে গড়ানোর পর দেখা যাচ্ছে, এই পূর্বানুমানে ভুল ছিল না বিন্দুবিসর্গও। জসপ্রিত বুমরাহ কোনোদিন চার ওভারে ৪৩ রান দিচ্ছেন, তো অন্যদিন ক্রিস জর্ডান বিলাচ্ছেন ৫৩। প্যাট কামিন্স বলে বলে কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যানেজমেন্টকে ভাবতে বাধ্য করছেন সাড়ে ১৫ কোটি রুপি গচ্চা দেবার কথা, লুঙ্গি এনগিডি তো ২ বলে ২৭ রান হজম করবার মতো অভূতপূর্ব ঘটনারও জন্ম দিয়েছেন এবারের আইপিএলে! এবং, এর পেছনে বহুলাংশে দায়ী করা চলে লম্বা একটা সময় খেলার মধ্যে না থাকাকে।
এবারের আইপিএলে আসবার আগে পেসাররা খেলবার, এমনকি অনুশীলনের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়েছিলেন বেশ অনেকদিন। আমিরশাহীতে এসে যে দলগত অনুশীলন করেছে দলগুলো, সেখানেও ছিল নানা বাধ্যবাধকতা। প্রতিবার তো আইপিএলের দলগুলোর ‘হোম ভেন্যু’ বলে একটা ব্যাপার থাকে, যখন-তখন অনুশীলনে যাতায়াতের সুযোগটাও থাকে। কিন্তু আরব আমিরাতে সেসবের বালাই নেই, এমনকি আইপিএল শুরুর পূর্বে যে ২০-২২ দিন অনুশীলনের সুযোগ মিলেছিল দলগুলোর, সেখানেও তড়িৎগতিতে দু-তিন ঘণ্টা ঘাম ঝরিয়ে উঠে পড়তে হয়েছিল অন্য কোনো দলকে অনুশীলনের সুযোগ দিতে হবে বলে। এমনকি টুর্নামেন্টের মাঝপথে কারও বাড়তি অনুশীলনের দরকার হলে তিনি কী করবেন, স্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই সে নিয়েও। এমন ‘ধরো তক্তা-মারো পেরেক’ অনুশীলনে পেসাররা কতটুকু নিজেকে ঝালিয়ে নিতে পেরেছিলেন, করোনার আগের নিজেকে কতটুকু ফেরত পেয়েছিলেন, সে প্রশ্ন তাই থেকেই যায়।
***
অনুশীলন স্বল্পতার কারণে ক্রিকেটারদের চোটে পড়ার শঙ্কাও থাকছে এবার গোটা আইপিএলজুড়েই। নানা গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে, পেসারদের কোনোমতেই সপ্তাহে ১৮০ বলের বেশি করাটা উচিৎ হবে না। কিন্তু এই ১৮০ বল তাকে করতে হবে গোটা সপ্তাহকে কমপক্ষে দুই অর্ধে ভাগ করে নিয়ে। স্টুয়ার্ট ব্রড যেমন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না থাকলেও টানা দুইদিন বল করে বিরতি নেন একদিনের। পেস বোলিং করতে গিয়ে যে বিষম চাপ পড়ে গোটা শরীরের ওপরে, বিশেষত পিঠের নিচের ভাগ আর ঊরুদেশে, সে ধকলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে গেলে এই রুটিনে চলতেই হবে বলে মনে করেন ক্রিকেট কোচেরা।
কিন্তু মাঝখানে এক লম্বা বিচ্ছেদপর্ব চলেছিল বলে এই রুটিনটায় হেরফের হয়েছে বেশ, মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই দীপক চাহারকে তাই হ্যামস্ট্রিং ধরে কসরত করতে দেখা গিয়েছিল খানিকক্ষণ, গোড়ালির চোটে মিচেল মার্শ আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছেন একেবারেই।
চোটাঘাতের ঝুঁকিটা যে কেবল বোলারদের মাথার ওপরেই ঘুরছে, তা-ও তো নয়। যখন এই লেখাটা লিখছি, সে মুহূর্তে আবুধাবির তাপমাত্রা ৩৮° সেলসিয়াস, দুবাইতে যা বেড়ে যাচ্ছে আরও ১°, এবং শারজায় গেলে থার্মোমিটারের পাল্লা চড়বে ৪২° ডিগ্রি অব্দি। তীব্র গরম, সঙ্গে টানা খেলার ধকলে খেলোয়াড়দের শরীরে দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতা, যা হতে পারে পেশিতে টান লাগা থেকে শুরু করে আরও মারাত্মক কোনো চোটের কারণ।
আর যে কারণে আইপিএল মাঠে গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই সামনে চলে আসছে এত সব শঙ্কার কথা, সেই মহামারী করোনাভাইরাস তো এখনো দিব্যি আসীন পৃথিবীতে। যদিও বা ক্রিকেটাররা থাকছেন জৈব-সুরক্ষা বলয়ে, কিন্তু এরই মধ্যে থেকেও আক্রান্ত হয়েছিলেন চেন্নাইয়ের দীপক চাহার আর রুতুরাজ গায়কোয়াড়। সামনেও যে অন্য কেউ করোনার ছোবল খাবেন না, তাই বা বলা যাচ্ছে কি করে!
ক্রিস ওকস আর কেন রিচার্ডসন সব দেখেশুনে না বলে দিয়েছেন এবারের আইপিএলকে। খেলবেন মনঃস্থির করে এমনকি আমিরাতে হাজিরা দিয়েও ভারতে ফেরত গিয়েছেন সুরেশ রায়না আর হরভজন সিং। পরের চার সপ্তাহে তাদের দলে যোগ হতে পারেন যেকোনো নাম।
দলকে জেতানোর চাপ, ভালো খেলার চাপ, উদীয়মানদের জন্যে নজর কাড়ার চাপ তো প্রতি বছরই থাকে। কিন্তু এমন মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন, সূচাগ্র পরিমাণ ‘নট নড়নচড়ন’ নিয়মকানুন, আর ৮০ দিন ধরে এক অদৃশ্য অসুরের সঙ্গে লড়াইয়ের চাপা আতঙ্কের মধ্যেও দর্শক মনোরঞ্জন… নাহ, কেন যেন এবারের আইপিএল হিরোদের সমালোচনার বদলে হাজার করতালিতে ভাসাতেই ইচ্ছে হচ্ছে!