একটা সময় ছিল যখন মানুষ অবসর কাটিয়েছে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে, নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়ে, বই পড়ে কিংবা অন্যান্য শখের কাজ করে। কিন্তু সময়ের সাথে বদলে গেছে মানুষের অবসর কাটানোর ধরন। পুরনো প্রক্রিয়াগুলোর সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন সব কৌশল। যেমন- ল্যাপটপে সিনেমা দেখা কিংবা ভিডিও গেম খেলা।
বিশেষ করে ভিডিও গেম খেলে অবসর যাপন করার ব্যাপারটি এখন শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে অনেক প্রাপ্ত বয়স্কদেরও পছন্দের কাজ। ইন্টারনেটের কারণে সারা বিশ্বে সেটি এখন আরো বিরাট আকার ধারণ করেছে। অনেকটা দ্য ক্যাবল গাই চলচ্চিত্রে অভিনেতা জিম ক্যারি যেভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন,
“অতিসত্বর আমেরিকায় সবার ঘরে ঘরে টেলিভিশন, টেলিফোন আর কম্পিউটার থাকবে। এক চ্যানেলে আপনি দেখবেন ল্যুভর মিউজিয়াম, আবার চ্যানেল ঘোরালেই রমণীদের কুস্তি। ঘরে বসেই করবেন নানা রকম শপিং, আর মন চাইলে ভিয়েতনামের বন্ধুর সাথে খেলবেন মর্টাল কমব্যাট গেম। সম্ভাবনার কোনো শেষ নেই!”
অনলাইন গেমিং নিয়ে তার ঠাট্টাচ্ছলে করা সেই ভবিষ্যদ্বাণী আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এখন আপনি চাইলেই অনলাইনে কারো সাথে গেমস খেলে অবসর কাটিয়ে দিতে পারেন। তার উপর স্মার্টফোনের সহজলভ্যতার কারণে ছেলে-বুড়ো সবার মাঝেই তৈরি হয়েছে গেমস খেলার শখ। মোবাইলের জন্য কয়েকটি জনপ্রিয় গেমস নিয়ে আলোচনা থাকছে এখানে।
সাবওয়ে সার্ফার
অ্যান্ড্রয়েডের সবচেয়ে জনপ্রিয় গেমগুলোর নাম নিতে হলে প্রথমেই বলতে হবে সাবওয়ে সার্ফার-এর কথা। প্লে স্টোরে এর ডাউনলোড সংখ্যা ৫০০ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে বহু আগে। প্রায় ২৫ মিলিয়ন ব্যবহারকারী গেমটিকে ৪.৫ রেট করেছেন সেখানে। এটি ডেভেলপ করেছিল ডেনমার্কের দুটি প্রাইভেট কোম্পানি কিলো এবং সাইবো গেমস। অ্যান্ড্রয়েড, iOS, কিন্ডল, এমনকি উইন্ডোজ প্লাটফর্ম ব্যবহারকারীরাও খেলতে পারবেন এটি।
এক গ্রাফিতি আর্টিস্টের অবিরাম পালিয়ে দৌড়ানোর মজার একটি গেম এই সাবওয়ে সার্ফার। এই খেলায় খেলোয়াড় নিজেকে আবিষ্কার করবেন এক দুরন্ত গ্রাফিতি আর্টিস্ট হিসেবে। শহরের রেলওয়ে স্টেশনের দেয়ালজুড়ে গ্রাফিতি রাঙিয়ে বেড়ানো নিষেধ জেনেও, সেখানে গ্রাফিতি আঁকার অপরাধে আর্টিস্ট শেষ পর্যন্ত পুলিশের তাড়া খেয়ে পালিয়ে বেড়াবে ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন ধরে। যেকোনো উপায়ে তাকে বেঁচে থাকতে হবে পুলিশ এবং পুলিশের পাজি কুকুর থেকে।
এটি খেলতে আপনার কোনো ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হবে না। তবে প্লে-স্টোরসহ অন্যান্য গেম-স্টোরে গেমটির আপডেট আসে প্রায়ই। সেক্ষেত্রে আপনাকে আপডেটগুলো ডাউনলোড করে নিতে হবে। বিশেষ করে প্রত্যেক মৌসুমি ছুটির দিনগুলোর উপর ভিত্তি করে আসে স্পেশাল আপডেট। এতে গেমটিকে দেখা যায় ভিন্নরূপে। ২০১৩ সাল থেকে সাধারণ আপডেটগুলো আসে ওয়ার্ল্ড ট্যুর থিমের উপর ভিত্তি করে। সেখানে প্রতি তিন সপ্তাহে গেমের রূপ বদল হয়।
ক্যান্ডি ক্রাশ
মনে পড়ে ক্যান্ডি ক্রাশ নামটি? ফেসবুকে একসময় এর নোটিফিকেশনের জ্বালাতনে অতিষ্ঠ ছিলেন অনেকেই। ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে কিং ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট গেম কোম্পানি প্রথমে শুধু ফেসবুকের জন্য তৈরি করেছিল গেমটি। ‘কুখ্যাত’ এ গেমটির খেলোয়াড়ের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। শুধুমাত্র প্লে-স্টোর থেকে গেমটি ডাউনলোড করা হয়েছে ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি বার। সেখানে এর বর্তমান রেটিং পাঁচে ৪.৪। প্রায় ১৩ মিলিয়ন ব্যবহারকারী একে পাঁচে পাঁচ দিয়েছেন।
খেলার নিয়ম খুব কঠিন কিছু নয়। খেলার সময়, খেলোয়াড়দের একটি বোর্ডে রঙিন কিছু ক্যান্ডির টুকরো সোয়াপিং করে করে সম্পূর্ণ স্তরের মধ্য থেকে তিন বা ততোধিক রঙের ক্যান্ডির একটি মিল তৈরি করতে হবে। মিলে যাওয়া ক্যান্ডিগুলো তখন বাদ পড়বে এবং নতুন কিছু তাদের জায়গা প্রতিস্থাপন করবে। এভাবে বোর্ড খালি হওয়া পর্যন্ত মিলিয়ে যেতে হবে।
টেম্পল রান
অবিরাম পালিয়ে দৌড়ানোর আরকেটি জনপ্রিয় গেম টেম্পল রান। এর দুটি আলাদা সংস্করণ প্লে-স্টোরে আছে। প্রথম গেমটির নাম টেম্পল রান ও দ্বিতীয়টি টেম্পল রান টু। ইমাঞ্জি স্টুডিও ২০১১ সালের আগস্টে শুধুমাত্র iOS ব্যবহারকারীদের জন্যে বাজারে ছাড়ে গেমটি। পরের বছর মার্চে গেমটি গুগল প্লে-স্টোরে আপলোড করা হয়। প্রথম গেমটি ডাউনলোড করা হয়েছে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি বার। এর জনপ্রিয়তা থেকেই ২০১৩ সালে আসা টেম্পল রান টু ডাউনলোড করা হয়েছে ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি বার। টেম্পল রান টু-এর বর্তমান রেটিং ৪.৩/৫।
গেমটিতে খেলোয়াড়রা বেশ কয়েকটি চরিত্র নিয়ে খেলতে পারেন। গেমের শুরুতেই বেছে নেওয়া চরিত্রকে দানবাকৃতির বানরের তাড়া খেয়ে একটি মন্দির থেকে পালাতে দেখা যায়। সেই থেকেই শুরু দৌড়ানো। সোজা পথে, কখনো বা ডানে/বামে, কখনো খাঁদ পেরিয়ে আবার কখনো পানিতে স্লাইড করে পালাতে হয়। মোটকথা, বাঁচতেই হবে সেই বানরের হাত থেকে।
গেমটির মূল চরিত্রের নাম গাই ডেঞ্জারাস। সে একজন এক্সপ্লোরার। তবে গেমার চাইলে স্কারলেট ফক্স, কার্মা লি, ব্যারি বোনস, ফ্রান্সিসকো মন্তোয়া, মারিয়া সেল্ভা, জ্যাক ওয়ান্ডার, মনটানা স্মিথ, এমনকি উসাইন বোল্টকে নিয়ে দৌড়াতে পারবেন। তাছাড়া বিভিন্ন মৌসুমে আসে নতুন আপডেট এবং তার সাথে আসে নতুন চরিত্র এবং দৌড়ানোর নতুন পরিবেশ।
ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস
কিছুদিন আগে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল একটি শব্দ নিয়ে, ‘অ্যাটাক’। মানুষ ঘুম থেকে উঠে অ্যাটাক দিতো, ঘুমাতে যাওয়ার আগে অ্যাটাক দিতো। খেতে যাওয়ার আগে অ্যাটাক দিতো, খাবার পরে এসে আবার অ্যাটাক দিতো। কেউ কেউ ছিল আরো এক কাঠি সরেস; ঘুম থেকে উঠার জন্য অ্যালার্ম দিয়ে রাখতো, যেন ঘুম ভেঙে উঠে অ্যাটাক দিতে পারে!
বুঝতে নিশ্চয়ই বাকি নেই, এখানে ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস নিয়ে কথা হচ্ছে! মজা করে অনেকে বলেন, গেমারদেরকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়- যারা ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস খেলে এবং যারা খেলে না। ২০১২ সালের অক্টোবরে অ্যাপল iOS এবং পরের বছর অক্টোবরে অ্যান্ড্রয়েডে চালু হওয়া এ গেমটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে কী পরিমাণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৫ লক্ষ সহ, সারা বিশ্বে ১০০ মিলিয়নের বেশি বার ডাউনলোড হয়েছে গেমটি। প্লে-স্টোরে প্রায় ৪২ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী গেমটিকে ৫ এর মধ্যে গড়ে ৪.৬ রেট করেছেন। যুদ্ধের কৌশল ঘরানার এই মোবাইল গেমটি ডেভেলপ করেছে সুপারসেল নামের এক ফিনিশ মোবাইল গেম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি। প্রতিবছর বিভিন্ন সময় ডেভেলপাররা কমিকনের মতো ক্ল্যাশকন আয়োজন করে থাকেন এবং পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ তাতে অংশগ্রহণ করেন।
কোনো এক কাল্পনিক জঙ্গলে অবস্থিত‘ভিলেজ প্রধান’ হিসেবে খেলতে হয়ে গেমারকে। সেখানে তিনি ধীরে ধীরে তার গ্রামটি উন্নত করবেন এবং অন্য আরেকজন খেলোয়াড়ের ভিলেজ আক্রমণ করবেন। ট্রুপ হিসেবে আছে বারবারিয়ান, আর্চার, মিনিয়নস থেকে শুরু করে জায়ান্ট, ড্রাগন, উইজার্ড, উইচ, পেকা, গলেমসহ আরো কিছু পৌরাণিক চরিত্র। সফলভাবে আক্রমণের জন্যে খেলোয়াড় নিজের ট্রুপদের আপগ্রেড করতে পারবেন। পাশাপাশি অন্য খেলোয়াড়ের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে গ্রামের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও আপগ্রেড করতে পারবেন। আপগ্রেডের জন্যে প্রয়োজনীয় গোল্ড অথবা এলিক্সির আসবে গ্রামের রিসোর্স এবং অন্য ভিলেজ আক্রমণ থেকে। ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান একটি প্রিমিয়াম গেম, অর্থাৎ এটি খেলতে আপনার কোনো টাকা খরচ করতে হবে না; তবে আপনি চাইলে তাদের স্টোর থেকে জেম কিনতে পারবেন।
ক্ল্যাশ রয়্যাল
ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানসের সাফল্যের পর ২০১৬ সালের মার্চ মাসে সুপারসেল নিয়ে আসে নতুন আরেকটি গেম ক্ল্যাশ রয়্যাল। তবে গেমটি ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানের মতো নয়, এটি টাওয়ার রাশ ঘরানার। এখানে দুজন খেলোয়াড় একজন আরেকজনের সাথে মোকাবেলা করবেন এবং একে অন্যের টাওয়ার ধ্বংস করবেন। মোট তিনটি টাওয়ারের একটি ধ্বংস করলে একটি স্টার এবং বাকিগুলো ধ্বংস করলে মিলবে তিনটি স্টার। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে আগে সবগুলো স্টার পেয়ে যাবেন অথবা সময় ফুরিয়ে যাবার পর যার স্টার সংখ্যা বেশি থাকবে তিনিই বিজয়ী।
অল্প সময়ে বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা পেয়েছে ক্ল্যাশ রয়্যাল গেমটি। প্লে-স্টোর ও অ্যাপল স্টোর মিলিয়ে প্রায় ১৫০ মিলিয়নের কাছাকাছি সংখ্যক ডাউনলোড হয়েছে এটি। প্লে-স্টোরে প্রায় ২০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী গেমটিকে গড়ে ৪.৬/৫ রেট করেছেন, এর মধ্যে প্রায় ১৬ মিলিয়ন রেট দিয়েছেন ৫/৫।
অ্যাসফাল্ট ৮: এয়ারবোর্ন
জনপ্রিয় গেমের কথা তো হলো, এবার চলুন আকর্ষণীয় গেমের সাথে পরিচিত হই। আকর্ষণীয় গেমের কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসবে Asphalt 8: Airborne এর নাম। মোবাইল জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেভেলপার হলো গেমলফট। সেই জাভা আর সিম্বিয়ান আমল থেকে গেমলফট উপহার দিয়ে আসছে চমৎকার সব মোবাইল গেম। তখন থেকেই কোনো গেম চালু করার সময় হোমস্ক্রিনে যখন গেমলফটে লোগোটি ভাসতো, অজান্তেই বেরিয়ে আসতো এক স্বস্তির নিঃশ্বাস। কারণ, গেমলফট আর যা-ই হোক, বাজে গেম বানাবে না।
অ্যাসফাল্ট সিরিজের গেম শুরু হয়েছিল সেই ২০০৪ সালে N-Gage আর Nintendo DS এর যুগে। এরপর থেকে প্রতি বছরই তৈরি করে আসছে এ সিরিজের নতুন নতুন গেম। সে সূত্র ধরেই ২০১৩ সালে স্টোরে আসে সিরিজের অষ্টম গেম Asphalt 8: Airborne। নতুন মডেলের ২০৩টি গাড়ি এবং ৪০টির কাছাকাছি রেসট্র্যাক নিয়ে তৈরি করেছে নতুন এই রেসিং গেমটি।
প্রায় ১.৫ গিগাবিটের এ গেমটি ডাউনলোড করতে আপনার কোনো টাকা লাগবে না। একটি মোবাইল গেম হিসেবে এর গ্রাফিক্স ও গেমপ্লে অতুলনীয়। গুগল প্লে-স্টোরে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী ডাউনলোড করেছেন এই গেমটি। বর্তমানে এর রেটিং ৪.৫/৫।
রিয়াল রেসিং ৩
কম্পিউটার বা প্লে-স্টেশনের গেম তৈরি জন্যে EA Sports-এর জুড়ি নেই। তাহলে মোবাইল বাদ থাকবে কেন? সেই সিম্বিয়ান আমলেও গেমলফটের সাথে পাল্লা দিয়ে EA-ও তৈরি করে আসছে বিভিন্ন ধাঁচের মোবাইল গেম। দুই দলের নতুন পুরনো এই দ্বৈরথ চলছে স্মার্টফোনের আমলেও।
নিড ফর স্পিড এর দুটি গেমের স্মার্টফোন ভার্শন ব্যর্থ হবার পর, ফায়ার মাঙ্কিস ডেভেলপারদের সাথে হাত মিলিয়ে ২০১৩ সালে EA নিয়ে আসে তাদের রেসিং গেম Real Racing 3। প্লে-স্টোর থেকে প্রায় ১০০ মিলিয়নেরও বেশিবার ডাউনলোড হয়েছে এটি। প্রায় ৪ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর ৫/৫ রেটিং সহ, সর্বমোট ৫ মিলিয়ন ব্যবহারকারী গেমটিকে গড়ে ৪.৪/৫ রেট করেছেন।
EA তাদের গেমগুলোতে বরাবরই আনুষ্ঠানিকভাবে লাইসেন্সকৃত গাড়ি ও রেসট্র্যাক ব্যবহার করে থাকে। ব্যতিক্রম হয়নি মোবাইল গেমিংয়ের ক্ষেত্রেও। রিয়াল রেসিং গেমে রয়েছে ১৯টি রিয়াল-ওয়ার্ল্ড রেসট্র্যাক এবং ৩৩টি গাড়ি নির্মাতার তৈরি ২০৩টি গাড়ি।
শ্যাডো ফাইট ২
সবশেষে যে গেমটির কথা না বললেই নয়, সেটি হলো শ্যাডো ফাইট ২। রোল-প্লেয়িং মার্শাল আর্ট ফাইটিং ঘরানার এ গেমটি ডেভেলপ করেছে রাশিয়ান গেম ডেভেলপমেন্ট স্টুডিও নেকি। ২০১৩ সালের অক্টোবরে সফট লঞ্চের পর ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাপী অ্যাপল ও প্লে-স্টোরে রিলিজ পায় গেমটি। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে উইন্ডোজ ৮ ও ৮.১ এর জন্যে উইন্ডোজ স্টোরে অবমুক্ত হয়।
গেমটি শুরু হয় একটি অ্যানিমেটেড প্রলোগ দিয়ে। সেই প্রেক্ষাপটে একজন ন্যারেটর বর্ণনা করে যান যে তিনি একসময় একজন কিংবদন্তি যোদ্ধা ছিলেন এবং কীভাবে তিনি একের পর যোগ্য প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়ে বর্তমান বিজয়ী পর্যায়ে এসেছেন। তারই উত্তরসূরি হিসেবে একজন খেলোয়াড়কে গেমটি শুরু করতে হয় নিরস্ত্র থেকে। তারপর ধীরে ধীরে মোকাবেলা করতে হয় বিভিন্ন প্রতিপক্ষের।
প্লে-স্টোরে প্রায় ১০০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী ডাউনলোড করেছেন এই গেমটি। তার মধ্যে থেকে ১০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী গেমটিকে ৪.৬/৫ রেটিং দিয়েছেন।
ফিচার ইমেজ: Gameloft