নগররাষ্ট্র আর সাম্রাজ্যবাদের যুগ পেরিয়ে বর্তমান সময়ে চলছে জাতিরাষ্ট্রের যুগ, জাতিরাষ্ট্রগুলো সাধারণত তৈরি হয় জাতীয়তাবাদের উপর ভিত্তি করে। জাতীয়তাবাদ আবার গড়ে ওঠে একটি জাতির রাজনৈতিক আদর্শ আর ঐক্যতার অনুভূতি থেকে। একটি জাতি সাধারণত সচেতন রাজনৈতিক একাত্মবোধের মাধ্যমে গঠিত হয়, থাকে একই ধরনের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য। আধুনিক যুগে জাতির সাথে একটি ভূখণ্ডের ধারণাও যুক্ত হচ্ছে, থাকে একক অতীত ইতিহাস আর ভবিষ্যতের প্রতি একই ধারার ভাবনা। একটি জাতির রাজনৈতিক সত্ত্বার সাথে জড়িয়ে থাকে বৈধতার প্রশ্ন, থাকে উক্ত জাতির স্বায়ত্তশাসন কিংবা স্বাধীনতার প্রতি তিতিক্ষার প্রশ্ন।
রাষ্ট্র বলতে এমন একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে বোঝায়, যেটি সংঘাত উৎপাদনের নিরঙ্কুশ বৈধতা অর্জন করেছে, একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক সীমার মধ্যে সকল কর্তৃত্বের রাজনৈতিক বৈধতা অর্জন করেছে। তবে, অনেক রাষ্ট্রই আবার এমন নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব অর্জন না করেই রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করছে। যেমন- মায়ানমারের প্রায় অর্ধেক ভূমির উপর সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। রাষ্ট্র আবার সাংস্কৃতি সামঞ্জস্যের উপর ভিত্তি করে নাগরিকদের একক পরিচয়ের ধারণা তৈরি জাতীয়তাবাদ তৈরি করে।
তবে, আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের যুগে একই রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে একাধিক জাতির উপস্থিতিও দেখা যায়। সেসব রাষ্ট্রে পরিচয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় সংখ্যাগরিষ্ঠ আর সংখ্যালঘুর হিসাব, অনেক সময়ই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় স্বাধীন রাষ্ট্র তৈরির দিকে ধাবিত হয়। এভাবে সম্প্রতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে দক্ষিণ সুদান, ইকুয়েডর থেকে বেরিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ইরিত্রিয়া।
স্বাধীন রাষ্ট্র তৈরির ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রাখে জাতীয়তাবাদের ধারণা। জাতীয়তাবাদ একটি জাতির ঐক্যতার অনুভূতির উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক আদর্শ, তাদের একমুখী রাজনৈতিক আদর্শ গ্রহণের ব্যাপারে থাকে সম্মতি। জাতীয়তাবাদের উত্থানের পেছনে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্যের ধারণা, জাতিগত বিদ্বেষের ঘটনা আর সামাজিক নিপীড়নের উদাহরণ। এসব ক্ষেত্রে রাষ্ট্র সংখ্যাগরিষ্ঠের বাইরের রাজনৈতিক সংস্কৃতিগুলোর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে, মানবাধিকারকে সীমিত করে দেয়, সীমিত করে নাগরিক অধিকার আর রাজনৈতিক স্বাধীনতাও। স্পেনের কাতালোনিয়ার ক্ষেত্রেও একই ধরনের চিত্র দেখা যায়।
কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার দাবি
৭৫ লাখ জনসংখ্যার কাতালানদের আছে নিজস্ব ভাষা, আছে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর অর্থনীতি। দীর্ঘ সময় ধরে স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করা কাতালানরা মাদ্রিদের কঠোর স্বৈরশাসনের অধীনে আছে ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কোর সময়ে, দুই যুগের শাসনে কাতালোনিয়ায় আবার জেগে ওঠে জাতীয়তাবাদ আর স্বাধিকারের প্রশ্ন। ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কোর স্বৈরশাসনের সমাপ্তির সাথে সাথেই স্বায়ত্তশাসনের দাবি জোরালো হয় কাতালানে, কাতালোনিয়াকে ২০০৬ সালের একটি আইনে উল্লেখ করা হয় জাতি হিসেবে। সংবিধানিক আদালত এসব সুবিধা বাতিল করার পরে আবারও জোরদার হয় কাতালানের স্বাধীনতার দাবি। কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার প্রশ্নে প্রথমে অনানুষ্ঠানিক গণভোট আর পরে আনুষ্ঠানিক গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। আনুষ্ঠানিক গণভোট আয়োজনেও নিয়মতান্ত্রিক বাধা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে, তবে স্বাধীনতার পক্ষে কাতালানদের সমর্থন ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। সেই গণভোটের ফলাফল গড়ায় কাতালোনিয়ার পার্লামেন্ট পর্যন্ত। পার্লামেন্টে ৭০-১০ ভোটে স্বাধীনতার দাবি জয়ী হলেও স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি কেন্দ্রের শাসন জারি করে রুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জনের প্রক্রিয়া।
জাতীয়তাবাদ ও ক্ষমতার প্রশ্ন
রাষ্ট্রের ধারণা হাজার বছর পেরিয়ে গেলেও, জাতিরাষ্ট্রের ধারণা কেবলমাত্র কয়েকশো বছরের পুরনো। জাতিরাষ্ট্রের ধারণার বিকাশ হয় ইউরোপে, উনবিংশ শতাব্দীতে। তবে, ইউরোপের রাষ্ট্রগুলোতেও জাতিরাষ্ট্রের ধারণা বিকশিত হতে সময়ের প্রয়োজন হয়, ইতালি আর জার্মানির মতো দেশের জাতিরাষ্ট্র তৈরি হয় ১৮৭০ এর পরে। জাতিরাষ্ট্রের ধারণার বিকাশের সাথে সাথে রাষ্ট্র রাজনৈতিক প্রক্রিয়াগুলোর কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে, এখনও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মূল রাজনৈতিক ক্রীড়ানক হচ্ছে রাষ্ট্র। ফলে, বিভিন্ন জাতি যখন নিজেদের অধিকার আর স্বাধীনতার দিকে ধাবিত হয়, তখন তারা নিজেদের রাষ্ট্র তৈরিতে মনোযোগী হয়।
রাজনৈতিক ক্ষমতার রাষ্ট্রের মূল বৈশিষ্ট্য দুটি। প্রথমত, রাষ্ট্র সংঘাত উৎপাদনের সক্ষমতার উপর নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব ধরে রাখে। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রের নির্ধারিত সীমানা থাকে। রাষ্ট্র নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য নাগরিকদের কাছ থেকে কর আদায় করে, নাগরিকদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল রাখতে নাগরিকদের উপর বিভিন্ন কর্তৃত্ব চাপিয়ে দেয়। আধুনিক যুগে নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণে শুরু হয়েছে প্রযুক্তিত ব্যবহার, প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে রাষ্ট্র ঢুকে গেছে নাগরিদের ব্যক্তিগত জীবনের অভ্যন্তরেও।
আধুনিক জাতিরাষ্ট্রসমূহ সাধারণত এক দেশ, এক জাতির ধারণাকে প্রমোট করে। যেসব দেশে সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে বহু জাতির বসবাস রয়েছে, সেসব দেশে রাষ্ট্র সচেতনভাবেই নাগরিকদের মধ্যে একক বৈশিষ্ট্য তৈরির চেষ্টা করে। এই প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে, পাঠ্যক্রমে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনে, ব্যবহার করে গণমাধ্যমসমূহকে। বহু জাতির দেশে সাধারণত একটি জাতি প্রাধান্য বিস্তার করে। রাষ্ট্রের একতা তৈরির ধারণা সেই প্রাধান্য বিস্তারকারী জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের আলোকেই হয়।
ইউরোপীয় গণতন্ত্রগুলোর উদাহরণের পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যায়, রাষ্ট্র অনেক সময়ই একক মূল্যবোধ তৈরিতে কৌশলগত অবস্থান নেয়, অনেক সময়ই আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের বিনিময়ে চলে রাষ্ট্র তৈরির প্রক্রিয়া। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে মূলধারার রাজনীতিতে যুক্ত রাখতে অনেক সময়েই আইনের মাধ্যমে সুবিধা দেওয়া হয়, মাঝে মাঝে দেওয়া হয় সম্পদের কর্তৃত্বমূলক বণ্টনের সুবিধা। এসব ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র পরিচয়ের ধারণা কেবল ক্ষেত্রবিশেষেই প্রাসঙ্গিক হয়, অন্যান্য ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে নিজেদের জীবনে প্রবেশের কর্তৃত্ব দেয়।
কিন্তু, বহুজাতির দেশে রাষ্ট্র যদি একক পরিচয়ের ধারণা তৈরি করতে না পারে, তাহলে সংখ্যালঘুরা নিজেদের অবাঞ্চিত অনুভব করে। সংখ্যালঘুদের সামনে তখন স্বাধীনতার দাবির জন্য দুটি প্রশ্ন তৈরি হয়। প্রথমত, স্বাধীনতার দাবির বৈধতা অর্জন করা, দ্বিতীয়ত, স্বাধীনতার দাবিতে গণ-আন্দোলন তৈরি করা।
কাতালান জাতীয়তাবাদের উত্থান
কাতালান জাতীয়তাবাদের উত্থানে অনেকগুলো রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ ভূমিকা রেখেছে, ভূমিকা রেখেছে রাষ্ট্র আর রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিবর্তনও।
প্রথমত, ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কোর দুই যুগের সামরিক শাসনের সমাপ্তির পরে স্পেনে শুরু হয় গণতান্ত্রিক শাসন, নির্বাচনের মাধ্যমে শুরু হয় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও মূল্যবোধের বিকাশ। ১৯৭৭ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে স্পেনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে বদলে যায় রাজনীতির ধরণ, সুযোগ হয় নিজের মত আর আদর্শ নিয়ে রাজনৈতিক দল গঠনের, রাজনৈতিক আন্দোলন তৈরির। কাতালান জাতীয়তাবাদের বিকাশে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
দ্বিতীয়ত, ১৯৭৮ সালের সংবিধান তৈরির সময় বিদ্যমান পক্ষগুলোর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়, প্রায় সবকিছুতেই ছিলো রাজনৈতক দলগুলোর ভিন্নমত। কিন্তু, ১৯৭৮ সালের সংবিধান শেষ পর্যন্ত অন্তর্ভূক্তিমূলক একটি সংবিধান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, সংবিধানে স্বীকৃতি দেওয়া হয় বিভিন্ন জাতিসত্তা আর অঞ্চলের।
তৃতীয়ত, সংবিধানের মাধ্যমে স্পেনে একটি অটোনোমাস কমিউনিটি সিস্টেম তৈরি হয়, যার আলোকে স্পেনে ১৭টি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তৈরি হয়। এসব স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ছিল কাতালোনিয়া, দ্য বাস্কিউ আর গেলিসিয়ার মতো অঞ্চল, যাদের স্বায়ত্তশাসনের দীর্ঘ ইতিহাস ছিল। আবার ছিল মাদ্রিদ আর লা রিওজিয়ার মতো অঞ্চল, যাদের স্বায়ত্তশাসনের ইতিহাস বা দাবি, কোনোটাই ছিল না। স্বায়ত্তশাসনের সুযোগ জাতীয়তাবাদের উত্থানে সহযোগিতা করে, কারণ পরবর্তী দশকগুলোতে কেন্দ্রের সাথে কাতালোনিয়ার সম্পর্ক বহু উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছে।
কাতালোনিয়া কেন সোচ্চার স্বাধীনতার দাবিতে?
কাতালোনিয়া স্পেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি প্রদেশ, প্রদেশটির রয়েছে স্বতন্ত্র সংস্কৃতি, ভাষা আর ইতিহাস। কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার দাবির পেছনে ইতিহাসের ভূমিকা, আছে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ভূমিকাও।
২০০০ সালের নির্বাচনে ভূমিধ্বস বিজয়ের পর জশ আজনারের রক্ষণশীল পপুলার পার্টি ক্ষমতায় আসে, কাতালানদের স্বায়ত্তশাসন আর রাজনৈতিক উদারীকরণের দাবির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের কঠোর অবস্থানের শুরুও সেখান থেকেই। কেন্দ্রীভূত সরকার কাঠামো তৈরি করতে রক্ষণশীল আর নিও-লিবারেল অর্থনৈতিক নীতি নেয় আজনারের সরকার, স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে থাকা দেশগুলোর প্রতি নেমে আসে নিয়ন্ত্রণের খড়গ। কাতালোনিয়া, গেলিচিয়া আর দ্য বস্ক কান্ট্রির ক্ষেত্রে সমভাবে প্রয়োগ হওয়া শুরু হয় নিয়ন্ত্রণের নীতি। স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের এই অবস্থান কাতালোনিয়াদের নতুন রাজনৈতিক সমাধানের প্রশ্নে উজ্জীবিত করে, কাতালোনিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার পক্ষে থাকা নেতাদের বাড়তে থাকে জনপ্রিয়তা। স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্নে ২০০৬ সালে স্পেনের সাংবিধানিক আদালতের রায় এই বিচ্ছিন্নতাবাদকে নতুন করে উস্কে দেয়।
কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে স্থানীয় সুশীল সমাজের ভূমিকা সবসময়ই সোচ্চার ছিলো। কাতালোনিয়াতে সুশীল সমাজের হাত ধরে স্বাধীনতার প্রশ্নে বেশ কয়েকটি অনানুষ্ঠানিক গণভোট অনুষ্ঠিত হয়, যেসব গণভোট পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিক গণভোটের পথ উন্মুক্ত করে। এর বাইরে, স্বাধীনতার প্রশ্নে আন্দোলনগুলোর নৈতিক বৈধতা তৈরিতে সুশীল সমাজ কাজ করেছে, নাগরিকদের মধ্যে জনমত তৈরিতে কাজ করেছে, নাগরিকদের হাত ধরে স্বাধীনতার দাবিতে তৈরি হওয়া বিভিন্ন আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে বা নেতৃত্ব দিয়েছে।
২০১১ সালে যেখানে ৪২ শতাংশ কাতালান স্বাধীনতা চাইতেন, এক বছরের ব্যবধানেই সেটি ৫৭ শতাংশে পৌঁছায়। ২০১৭ সালে যখন স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট হয়, তখন ৯০ শতাংশ মানুষ স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দেন। এই গণভোট অবৈধ ঘোষিত হলেও, কাতালানদের স্বাধীনতার প্রশ্নে স্থানীয় নাগরিকদের স্পষ্ট অবস্থান বুঝা যায়। বর্তমানে অবশ্য বিভিন্ন জরিপে এই সংখ্যা বেশ কমেছে।
কাতালানদের সমৃদ্ধ অর্থনীতিও তাদের স্বাধীনতার প্রশ্নে অবস্থান নেওয়ায় ভূমিকা রেখেছে। স্পেনের এক-পঞ্চমাংশ অর্থনীতি কাতালোনিয়ার, রাজধানী বার্সোলোনা বিখ্যাত পর্যটন আর খেলাধুলার জন্য। কাতালানরা অনুভব করে, এই অঞ্চল থেকে অর্জিত রাজস্বের যথাযথ হিস্যা তারা পাচ্ছে না, তাদের অঞ্চল থেকে অর্জিত রাজস্ব দিয়ে উন্নয়ন হচ্ছে স্পেনের অন্যান্য অঞ্চলের।
কাতালানদের স্বাধীনতার প্রশ্নে পরিষ্কার অবস্থান থাকলেও স্বাধীনতার রঙিন ফুল তাদের ঘরে দ্রুতই আসার সম্ভাবনা নেই।