গরীব দেশের উন্নয়নে একনায়কতন্ত্র কি বেশি কার্যকর?

“গরীব দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গণতন্ত্র বাধা সৃষ্টি করে এবং একনায়কতন্ত্র হচ্ছে উপযুক্ত শাসনব্যবস্থা, অর্থাৎ অনুন্নত গরীব দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গণতন্ত্রের চেয়ে একনায়কতন্ত্র বেশি সহায়ক”- এই তত্ত্বকে বলা হয় লি থিসিস। ২০১৫ সালে আধুনিক সিঙ্গাপুরের জনক খ্যাত লি কুয়ান ইউয়ের মৃত্যুর পর লি থিসিস ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। দুই দশকের বেশি সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে সিঙ্গাপুর তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে প্রথম বিশ্বের উন্নত দেশ হয়ে ওঠে, জিডিপি পৌঁছায় ৫০০ ডলার থেকে ৫৫,০০০ ডলারে। তার নামেই তত্ত্বটি লি থিসিস নামে পরিচিত।

লি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে সিঙ্গাপুর হয়ে ওঠে তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে প্রথম বিশ্বের উন্নত দেশ; Image source: Mothership.SG

লি থিসিসের মূলকথা হচ্ছে- গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক স্বাধীনতা, নাগরিক স্বাধীনতা, মতের স্বাধীনতা তৈরি করে সামাজিক অস্থিরতা, রাজনৈতিক অচলাবস্থা। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দ্রুত দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্তরায়। একনায়কতান্ত্রিক সরকারের অধীনে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে রয়েছে সরকারের প্রতিষ্ঠানসমূহ, রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী, এবং আমলাতন্ত্রের উপর নিয়ন্ত্রণ।

এই নিয়ন্ত্রণের ফলে একনায়কতান্ত্রিক সরকার সহজে গ্রহণ করতে পারে বিভিন্ন অর্থনৈতিক নীতি ও অর্থনৈতিক সংস্কার। যেখানে ভাবতে হয় না কোনো অভিজাত শ্রেণির স্বার্থের কথা, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কথা, বা সর্বোপরি ভাবতে হয় না গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ বা বিদ্রোহের ব্যাপারেও। বলা হয়, রাষ্ট্রের বেশিরভাগ জনগণ বুঝতে পারে না কোন সিদ্ধান্ত দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে। সেজন্য গণতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নিতে হয় জনগণের বর্তমানের কথা ভেবে, কিন্তু একনায়কতান্ত্রিক সরকার ভবিষ্যতের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। লি থিসিস নিয়ে কার্ল হেনরিক নুটসেন তিনটি যুক্তি আলোচনা করেন।

১) বিনিয়োগ বৃদ্ধি

একনায়কতন্ত্রে রাষ্ট্রীয় সম্পদের মালিকানা থাকে একচ্ছত্র একনায়কের কাছে। এই ধরনের সরকার সম্পদের উপর একচ্ছত্র মালিকার জন্য সেই সম্পদকে উৎপাদনশীল কর্মকাণ্ডে কাজে লাগাতে পারে যা রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে। গণতন্ত্রে সরকারকে জনগণের সম্পদের ব্যবহারে সতর্ক হতে হয়। জনগণের ভোগের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হয় যাতে জন-অসন্তোষের সৃষ্টি না হয়, তা না হলে সরকারের পতন ঘটবে। জনগণ তাদের বর্তমানের ভোগের দিকে তাকালেও তারা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির কথা ভাবতে পারে না, যার দরুন সরকারকে জনগণের ভোগের পেছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। ফলে কমে যায় রাষ্ট্রীয় সঞ্চয়। রাষ্ট্রের সঞ্চয় কমে যাওয়ার কারণে বিনিয়োগ হ্রাস পায়।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় সম্পদের বণ্টন করতে হয়, কারণ তা না হলে জনগণ পরবর্তীতে ভোট দেবে না দলকে।  জনগণের ভোগের ঘাটতি দেখা দিলে তারা পরবর্তী নির্বাচনে এই দলকে ভোট দেবে না। সাধারণ জনগণ ভাবে না ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের অর্থনীতির উন্নয়নের কথা। গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় সংগঠন করার স্বাধীনতা থাকায় শ্রমিকরা নিজস্ব দলে সংগঠিত হতে পারে সহজে। তারা তাদের মজুরির ব্যাপারে বেশি দাবিদার হয়। ফলে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে কমে যায় সঞ্চয়। 

একনায়কতান্ত্রিক সরকারের সময় জনগণ সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। যার দরুন তারা লুকিয়ে নিজস্ব সঞ্চয় বৃদ্ধি করতে থাকে। ফলে মোট সঞ্চয় বৃদ্ধি পায়, এতে বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, ঘটে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। তাছাড়া একনায়ক চাইলে জনগণের বিলাসবহুল পণ্যের ভোগ কমিয়ে দিতে পারে যাতে সঞ্চয় বৃদ্ধি পায়, কল্যাণ নিশ্চিত হয়। কিন্তু গণতন্ত্রে তা সম্ভব নয় ব্যক্তিস্বাধীনতার জন্য।

একনায়কতন্ত্রে সরকার সঞ্চয় বাড়িয়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে; Image: Passionate in Marketing

২) সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বাধীন

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় সরকারকে ভাবতে হয় সাধারণ জনগণসহ তাদের বাইরে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী, বিভিন্ন উপগোষ্ঠী ইত্যাদির ব্যাপারে। একনায়কতান্ত্রিক সরকার যখন সিদ্ধান্ত নেয়, তখন এসব গোষ্ঠীর থেকে অনেকটা স্বাধীন থাকে, যার ফলে একনায়কতান্ত্রিক সরকার ভোগ করে স্বায়ত্তশাসনের ক্ষমতা।  

রাজনৈতিক কোনো প্রভাব থাকে না সিদ্ধান্ত গ্রহণে, যার ফলে একনায়কতান্ত্রিক সরকার বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করতে পারে রাষ্ট্রের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য। তাছাড়া, গণতন্ত্রে নীতিনির্ধারক পরিষদে বেশিরভাগ সময় থাকেন রাজনৈতিক নেতারা, যারা মূলত নির্বাচিত। তাদের অর্থনীতি ও উন্নয়নের জ্ঞান সীমিত। ফলে কার্যকর অর্থনৈতিক নীতি নেয়া অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। কিন্তু একনায়কতন্ত্রে সরকারের নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়নে থাকে দক্ষ ও পেশাদার আমলারা, যার দরুন কার্যকর নীতি নেয়া সম্ভব হয়।

৩) অর্থনৈতিক সংস্কার

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কার্যকর অর্থনৈতিক সংস্কার নেয়া বেশ দুরূহ কাজ। কারণ এখানে রাতারাতি কোনো বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব না। অনেকটা রক্ষণশীল ধরনের ব্যবস্থা হওয়ায় কোনো সংস্কার নিতে হলে সরকারকে জনগণের মতের কথা ভাবতে হয়, জনগণকে বোঝাতে হয়, এবং এর পক্ষে প্রচারণা চালাতে হয়। নয়তো রাজনৈতিক বিভক্তি ও সংঘাত তৈরি হতে পারে। কিন্তু একনায়কতন্ত্রে সরকার যেকোনো অর্থনৈতিক সংস্কারনীতি হাতে নিলে তা বাইরের কোনো প্রভাব ছাড়া বাস্তবায়ন করতে পারে।

গরীব দেশের জনগণ শিক্ষায় পিছিয়ে থাকে, তাই তারা অর্থনৈতিক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সেভাবে বুঝতে পারে না, যার জন্য তারা ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারে। একনায়কতন্ত্রে সেই সুযোগ থাকে না। তাছাড়া, যদি এই সংস্কারের ফলে বিরূপ প্রভাব দেখা যায়, একনায়কতান্ত্রিক সরকার ভিন্ন পরিকল্পনায় চলে যেতে পারে সহজে, যা গণতন্ত্রে সম্ভব না। কারণ, গণতন্ত্রে জনগণ সেই সুযোগ দেবে না, তারা সরকারের পতনের ডাক দেবে। 

একনায়কতন্ত্রে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তে যে বিভিন্ন প্রভাবক সংস্থা বা গোষ্ঠী আছে, সেগুলোর প্রভাব কমিয়ে দীর্ঘমেয়াদী জনকল্যাণের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেয়া যায়। তাছাড়া, একটি অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবতায়নের জন্য সময় প্রয়োজন। গণতান্ত্রিক সরকারে নির্দিষ্ট সময় পর সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। গরীব দেশের জনগণ শিক্ষায় পিছিয়ে থাকে, ও তাদের ভুল পথে নিয়ে যাওয়া সহজ। সেজন্য যদি সরকার পরিবর্তন হয়, তাহলে সেই পরিকল্পনা রয়ে যায় অবাস্তবায়নযোগ্য।

একনায়কতান্ত্রিক সরকারে সহজে নেয়া যায় অর্থনৈতিক সংস্কার, ভাবতে হয় না ভিন্ন কারো কথা; Image: KNN India

এশিয়ায় কেন লি থিসিস প্রযোজ্য?

এশিয়ার রাজনেতিক চিন্তার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়- এখানে কনফুসিয়াসের প্রভাব রয়েছে।  কনফুসিয়াসের ধারণামতে, রাষ্ট্র চলবে একটি পরিবারের মতো। পরিবারে যেমন পিতা প্রধান হন এবং পরিবারের সদস্যদের ভালোর জন্য নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন, তেমনি রাষ্ট্রের কাঠামো হবে একই রকম।  তিনি পিতার সন্তানকে রাষ্ট্রের জনগণের সাথে তুলনা করেন। বাবা যেমন সন্তানের ভালো ব্যতীত মন্দ চান না, তেমনি রাষ্ট্রের শাসক জনগণের ভালো চাইবেন, এবং মন্দ থেকে বাবার মতো রক্ষা করবেন। এই ধরনের পারিবারিক বিশ্বাস এশিয়ায় বেশি প্রচলিত। সেজন্য এশিয়ার রাষ্ট্রের নাগরিক বেশিরভাগই এমন পিতৃসুলভ শাসক প্রত্যাশা করেন। 

লেফটউইচের মতে, এশিয়ান একনায়কদের মধ্যে রয়েছে পার্থক্য। যদিও একনায়কতন্ত্র গণতন্ত্রের পরিপূর্ণ বিপরীত, কিন্তু এশীয় ধারার একনায়কদের মধ্যে বেশিরভাগই উন্নয়নমূলক একনায়কতন্ত্র দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, লি কুয়ান ইউয়ের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুর ব্যাপক উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছে।

Image: World Atlas

সমালোচনা

অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতে, উন্নয়নের নামে গণতন্ত্র হারানো একধরনের কপটতা। তিনি তার Development As Freedom গ্রন্থে দেখিয়েছেন একনায়কতন্ত্র বা কর্তৃত্ববাদী সরকার কীভাবে উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তার মতে, লি থিসিসে উদাহারণস্বরূপ যে এশিয়ান টাইগারের (সিঙ্গাপুর, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান) দেশগুলোর কথা বলা হয়, সেখানে উন্নয়ন হয়েছে মূলত মুক্তবাজার অর্থনীতির জন্য, একনায়কতান্ত্রিক সরকারের জন্য নয়। 

লি থিসিস অনুযায়ী, একনায়কতন্ত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে একক সার্বভৌমত্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের পক্ষে সহায়ক এমন বলা হয়েছিল। কিন্তু সমালোকরা প্রশ্ন তোলেন, একনায়ক যে জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করবে এর নিশ্চয়তা কোথায়?  একনায়ক সবসময় নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার কথাই ভাবে। এমন একনায়ক কমই আছে/ছিল যারা জনগণের কথা ভাবে। তাহলে বিষয়টা এমন হয়ে যায় যে, একনায়ক নিজের মনমতো নিজ শাসন পাকাপোক্ত করার জন্য অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত বা সংস্কারের ব্যবস্থা নেবে, কিন্তু এতে যদি উন্নয়ন হয়ে যায় তাহলে সেটা একনায়কতন্ত্রের ফলে ঘটেছে বলে প্রচারিত হয়।

লি থিসিসে বলা হয়েছে, একনায়করা স্বাধীন বা স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করেন। কিন্তু বাস্তবে একনায়করা পুরোপুরি নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। লি থিসিসের সমর্থকরা চীনের উদাহরণ দেন। কিন্তু চীনের একনায়কতান্ত্রিক শাসনের পেছনে একনায়ককে বিভিন্ন গোষ্ঠীর কথা মাথায় রাখতে হয়। অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন গোষ্ঠীকে মানিয়ে চলতে হয় তাদের শাসন টিকিয়ে রাখতে। 

গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন একই সাথে সম্ভব; Image source: Dhaka Tribune

একনায়কতন্ত্রের অধীনে উন্নয়ন মূলত টেকসই হয় না। গণতান্ত্রিক দেশে উন্নয়ন টেকসই হয়ে থাকে। গণতান্ত্রিক সরকারকে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে অনেক বিষয়ে ভাবতে হয়, যার দরুন উন্নয়ন টেকসই হয়। তাছাড়া, গণতন্ত্রে সরকারকে নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ক্ষমতা ছাড়তে হয়। সেজন্য তাদের গৃহীত পদক্ষেপ অবশ্যই টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে হয়, কারণ ভিন্ন সরকার আসলে এই উন্নয়নকে আর ত্বরান্বিত করবে না, তারা ভিন্ন পরিকল্পনা নেবে। 

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার জনগণের অধিকার রক্ষা করে, দুর্নীতি কম হয় যা সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি করে, এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে। বৈদেশিক বিনিয়োগও আসে প্রচুর, যা একনায়কতন্ত্রে দেখা যায় না। তাহলে একনায়কতন্ত্রে ভোগব্যয় কমিয়ে সঞ্চয় বাড়িয়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ভালো, নাকি দক্ষতা ও দুর্নীতি কমিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উন্নয়ন ভালো, যেখানে নিশ্চিত থাকে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকারসমূহ? লি থিসিসে বলা হয় এশিয়ার বিভিন্ন দেশের একনায়কতন্ত্রের সফল অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা। কিন্তু দুই-একটি দেশে একনায়কতন্ত্রের সফলতা প্রমাণ করে না যে একনায়কতন্ত্র উন্নয়নের জন্য উপকারী (যদিও অমর্ত্য সেনের মতে, একনায়কতন্ত্রের জন্য নয়, বরং মুক্তবাজার অর্থনীতির জন্য উন্নয়ন হয়েছে)।

কর্তৃত্ববাদী সরকার উন্নয়নের জন্য সহায়ক এমন তত্ত্ব বা লি থিসিস মূলত একটি ভ্রান্ত ধারণা। উন্নয়নের নামে জনগণের নাগরিক স্বাধীনতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় হীনতা কখনো কাম্য নয়। যেখানে জনগণের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা নেই, সেখানে উন্নয়ন থাকতে পারে না। অমর্ত্য সেনের মতে, এমন ধারণা তাদের যারা উন্নয়ন বলতে কী বোঝায় সেটাই জানে না।

লি থিসিসের পক্ষে বলা হয়ে থাকে, গরীব দেশের মানুষ আগে খেয়ে বাঁচার চিন্তা করবে নাকি গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে ভাববে? অর্থাৎ, গণতন্ত্র আগে নাকি অর্থনৈতিক উন্নয়ন আগে? কেন দুটোই একসাথে নয়?

This article is written in Bangla about Lee thesis and its criticism.
Feature Image: Daily Times

Related Articles

Exit mobile version