- সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে ২-২ এ সমতায় ফিরলো নিউজিল্যান্ড।
- রস টেইলর ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ১৮১ রানের ইনিংস খেলেন।
- মার্টিন গাপটিলের ২৩৭* এবং ১৮৯* রানের পর ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলেন টেইলর।
- ইংল্যান্ডের হয়ে জোড়া শতক হাঁকান জনি বেয়ারস্টো এবং জো রুট।
নিজের জন্মদিনটাকে বেশ ভালোভাবেই উদযাপন করতে জানেন রস টেইলর। ওয়ানডে ক্রিকেটে পূর্বের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছিলেন ২০১১ সালে তার জন্মদিনে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী ১৩১* রানের ইনিংস খেলেছিলেন। গতকাল তার ৩৪তম জন্মদিনের একদিনে আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ১৮১* রানের ইনিংস খেলেছেন।
ইংল্যান্ডের দেওয়ার ৩৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র দুই রানেই দুই ওপেনারের উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। মুনরো এবং গাপটিল রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান। তৃতীয় ওয়ানডেতে একা লড়াই চালিয়ে যাওয়া অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এদিন সঙ্গী হিসেবে পেয়ে যান অভিজ্ঞ রস টেইলরকে। এই দুজন তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮৪ রান যোগ করে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন।
কেন উইলিয়ামসন ৪৮ বলে ৪৫ রান করে স্টোকসের শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ত্যাগ করলে ক্রিজে আসেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান টম লাথাম। রস টেইলরের সাথে জুটি বেঁধে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন লাথাম। চতুর্থ উইকেট জুটিতে রস টেইলরের সাথে ১৫৫ বলে ১৮৭ রান যোগ করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ৪২তম ওভারের শেষ বলে টমের বলে টম বাউন্ডারি ছাড়া করতে গিয়ে মঈন আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন। টম লাথাম ৭১ রান করে টম কারানের শিকারে পরিণত হলে ১৮৭ রানের জুটি ভাঙে। তখনও জয় থেকে ৬৩ রান দূরে ছিল নিউজিল্যান্ড।
লাথাম ফিরে গেলেও দুরন্ত গতিতে ছুটছিলেন খোঁড়াতে থাকা রস টেইলর। ব্যক্তিগত ১০৯ রানের মাথায় দ্রুত দুই রান নিতে গিয়ে চোট পান তিনি। দৌড়াতে কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করে যান তিনি। তার অসাধারণ ইনিংসে উপর ভর করে ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩৩৬ রানের লক্ষ্য তিন বল এবং পাঁচ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডেতে কমপক্ষে ৩৩৬ রান তাড়া করতে নেমে এটি নবম জয়ের রেকর্ড।
রস টেইলর ক্যারিয়ারের ১৯তম শতক হাঁকিয়ে ১৪৭ বলে ১৭টি চার এবং ছয়টি ছয় হাঁকিয়ে অপরাজিত ১৮১ রানের ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসের উপর ভর করে ডুনেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখলো নিউজিল্যান্ড। এর আগের ছয়টি ওয়ানডেতেও জয় পেয়েছিলো কিউইরা।
এর আগে টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান কেন উইলিয়ামসন। শুরুতে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং দেখে হয়তো নিজের সিদ্ধান্তের আফসোস করছিলেন তিনি। উদ্বোধনী উইকেট জুটিতে জেসন রয়ের সাথে ৭৭ রান যোগ করেন বেয়ারস্টো। রয় ফিরে যাওয়ার পর রুটের সাথে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৬৪ বলে ১৯০ রান যোগ করেছিলেন বেয়ারস্টো। তখন ইংল্যান্ড চারশো রানের স্বপ্ন দেখছিল।
অনিয়মিত বোলার কলিন মুনরো ১০৬ বলে ১৩৮ রান করা বেয়ারস্টোর উইকেট তুলে নিলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। এক উইকেটে ২৬৭ রান থেকে নয় উইকেটে ৩১৩ রানে পরিণত হয় ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ড। বেয়ারস্টো ফেরার পরেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন রুট। ৮ম ব্যাটসম্যান হিসাবে আউট হওয়ার আগে ১০২ রান করেন তিনি। রুট ২৬টি আন্তর্জাতিক ইনিংসের পর শতকের দেখা পেয়েছেন। এই ২৬ ইনিংসে তিনি ১২টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন।
ইশ সৌদির ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ইংল্যান্ডকে নয় উইকেটে ৩৩৫ রানের বেশি করতে দেয়নি নিউজিল্যান্ড। সৌদি ৫৮ রানের বিনিময়ে চার উইকেট শিকার করেছিলেন।
ফিচার ইমেজ – Getty Images