শূন্য রাস্তাঘাট, ফাঁকা গলির উপর দখল নিয়েছে মেঘলা আকাশ। লোকজনেরা কাজ সেরে বোধকরি দ্রুতই ঘরে ফিরে গেছে, নিভৃতে বৃষ্টি উপভোগ করবে বলে। ফাঁকা গলিমুখ, রাস্তা, বহুতল ভবনের সামনে একা পায়চারী করা বিড়াল, বাতাসের বেগে কোত্থেকে স্ক্রিনের উপর উড়ে আসা পত্রিকার কাটিং; এমন কয়েকটা স্ন্যাপশটে, প্রারম্ভিক দৃশ্যেই এই সিনেমা তার বৈরী আবহকে প্রতিষ্ঠিত করে। শূন্য ফ্রেমগুলোতে এরপর অবস্থান নেয় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। গুঁড়িগুঁড়ি থেকে মুষলধারে ঝরতে থাকে ক্রমশ।
শুরুতেই দেখানো সেই ফাঁকা গলির চুপচুপে ভেজা রাস্তায় জমা বৃষ্টির পানিতে হঠাৎ কেটে বসে গাড়ির টায়ার। গাড়ি থেকে নামলো এক তরুণী। সেই দৃশ্য দেখলো বাঁ-পাশের ভবনের জানালা থেকে তাকিয়ে থাকা ভদ্রলোক। চুপচাপ আবার বিছানায় গিয়ে স্ত্রীর পাশে গুটিসুটি মেরে শুয়ে পড়লেন। গাড়ি থেকে নামা তরুণী তারই মেয়ে। আগের ঘরের মেয়ে। বয়সে কম দ্বিতীয় বউয়ের সাথে, তার প্রথম বউয়ের মেয়ে দুটোর সখ্য গড়ে ওঠেনি। বরং মেয়েদের সাথে খানিকটা দূরত্ব বেড়েছে লোকটির। সেকারণে শাসনের অধিকারও আজকাল ভোঁতা হয়ে গেছে। তাই তো চুপচাপ গিয়ে শুয়ে পড়া।
ওদিকে, এই বৃষ্টিতে আটকে গেছে দুই ইনফর্মার। সিগারেটের ধোঁয়া আরো গাঢ় হচ্ছে বৃষ্টির আর্দ্রতায়। সিগারেটের যৌবন ফুরোলে মোথাটা ছুড়ে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বের হয় তারা দুজন। ক্যামেরা তখন ঘুরে দোকানদারের দিকে। অহেতুক নয়। পরের দৃশ্যের একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতেই ক্যামেরার এই সাবজেক্ট পরিবর্তন। দোকানির মিড ক্লোজ থেকে ইনসার্ট শটে কাট করা হয়। দোকানি ঘোড়দৌড়ে বাজি লাগাবে বলে নিকেশ করছিল সম্ভবত। তথ্য সেটা নয়, এর পাশে পড়ে থাকা পত্রিকার এক অংশের সেই হেডলাইনই আসল তথ্য। সেখানে লেখা, “ডার্টমুর এস্কেপ! আজ সন্ধ্যায় এক আসামী ডার্টমুর জেল হতে ফেরার হয়েছে।”
ডিজলভ হয়ে পরের দৃশ্যেই দেখা মেলে সেই আসামীর। লো অ্যাঙ্গেলে নেয়া শটটার চমৎকার ব্লকিংয়ে, রেল রাস্তা ধরে পালাতে দেখা যায় সেই আসামীকে। পরদিন সকাল থেকেই মূলত রিয়েলটাইমে শুরু হয় গল্প। আগের দিনের সেই ঘরে গিয়ে ঢোকে ক্যামেরা। সেই ভদ্রলোক, তার দ্বিতীয় স্ত্রী আর তার দুই মেয়ে, যারা তাদের সৎমাকে দেখতে পারে না। বৃষ্টির ধারা তখনও ঝরছেই। গৃহিণী আয়নার সামনে বসে চুল আচড়াতে গিয়ে ফিরে যায় তার অতীতে। এই বিয়েতে তো খুশি না। তার মন যে জমা দেওয়া ছিল অন্য একজনের কাছে। বারে তাদের প্রথম পরিচয়, গাছের ছায়ায় তাদের প্রথম শান্তির নীড়।
সেসব এখন শুধুই অতীত। এখন সে একজন অসুখী গৃহিণী। তা-ও অন্য কারো। নাস্তার টেবিল থেকে উঠে গোলাঘরে ঢুকতেই কেউ তার মুখটি চেপে ধরে। সেই আসামী। এই যে আসলে অতীতের সেই প্রেমিক! গৃহিণী বিস্মিত হয়! পুরনো প্রেমিক আকুতি করে খাবার আর একটুখানি আশ্রয়ের। মানা করতে পারে না সে। স্বামী, মেয়েরা বেরিয়ে গেলে প্রেমিককে বাসায় ঢুকতে দেয়। নিজের বেডরুমে নিয়েই শোয়ায়। ভয়ে ভয়ে বাইরে থেকে লাগিয়ে দেয় দরজা। কিন্তু এর মাঝেই কত ফাঁড়া। কারণ, আজ যে ব্যস্ত রবিবার।
সবার জন্য ভালো রান্না করতে হবে। স্বামী যাচ্ছে পাবে, আসবে মদে চুর হয়ে। মেয়েরাও আজ সতর্ক। প্রেমিকের সাথে দেখা করে আবার তাড়াতাড়ি ঘরে ফেরে। এর মধ্যে গৃহিণীর অন্তর কাঁপছে ভয়ে আর অচেতনে প্রবোধ দিচ্ছে পুরনো ভালোবাসাকে। পুরনো প্রেমিকের দেওয়া সেই আংটিটা এতদিন সযত্নে রেখেছিল। আজ তাকেই ফেরত দিল, সে যখন টাকা চাচ্ছিল। অথচ সে চিনতেই পারলো না, একদিন এই আংটিই পরিয়ে দিয়েছিল আজকের এই অসুখী গৃহিণীকে।
বেলা বাড়তে থাকে। গৃহিণীর দুশ্চিন্তা আরো বাড়ে। সাথে তার অমোঘ দ্বন্দ্ব আরো অভিঘাতী হয়। সেই ভালোবাসা যে অতলান্ত থেকে আবার নতুন করে উঠে আসতে চাইছে। ওদিকে তদন্তকারী গোয়েন্দারা ছোঁক ছোঁক করে ঠিকই দোরগোড়ার দিকে আসতে থাকে। রাত হতে হতেই, ঘরে জানাজানি হয়ে যায় গোটা ব্যাপারটা। গৃহিণী রোজ স্যান্ডিগেট অপমানে, ক্ষোভে এক আত্মবিধ্বংসী সিদ্ধান্ত নেয়। ওদিকে প্রেমিক পালাতে থাকে রেলরাস্তা ধরে। ছুটছে তো ছুটছেই। এসবের মধ্যে থেকে এক পৃথিবী ভার বুকে নিয়ে একা ঘরে ফেরে গৃহস্বামী। আরেকটি রবিবার আসে। এবং যেমনটা আছে নামে, ‘ইট অলওয়েজ রেইনস অন সানডে’। বিষাদগুলো জমা থাকে, প্রতি রবিবার ঝরে পড়বার অপেক্ষায়।
১৯৪৭-এর এই সিনেমাকে বিশেষায়িত করা হয় চল্লিশের দশকের অন্যতম উপেক্ষিত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা হিসেবে। ডোমেস্টিক ড্রামা, ব্রিটিশ নোয়াহ্, স্লাইস অব লাইফ ড্রামা; একসাথে অনেক অলংকার আর উপাদানের নিখুঁত সন্নিবেশ ঘটেছে রবার্ট হ্যামারের এই সিনেমায়।
ফরাসি সিনেমায় ত্রিশের দশকে যে ‘পোয়েটিক রিয়ালিজম’ মুভমেন্ট শুরু হয়েছিল, সেটির ব্রিটিশ উত্তরসূরিও বলা হয় এই সিনেমাকে। পোয়েটিক রিয়ালিজমওয়ালা সিনেমাগুলোর সংজ্ঞা ছিল রিক্রিয়েটেড রিয়ালিজম। স্টুডিও সেটিং আর স্টাইলিশ ট্রিটমেন্ট থাকতো। এর চরিত্রগুলো হতো সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর। স্বল্পশিক্ষিতের শ্রমিকগোত্র নাহয় অশিক্ষিত ও অপরাধী গোত্র; এই দুই গোত্রের মাঝেই বাস করে সিনেমার চরিত্রগুলো। হতাশা আর নিরাশাময় এই জীবনে কদাচিৎ তারা একটু সুখ কিংবা ভালোবাসার দেখা পায়। কিন্তু সেটাও শেষাবধি বিভ্রম হিসেবেই চিহ্নিত হয়। সিনেমার সামগ্রিক বাতাবরণেই একটা তিক্ততা থাকে।
খেয়াল করলে দেখা যায়, এই পোয়েটিক রিয়ালিজমের অনেক বৈশিষ্ট্য ইট অলওয়েজ রেইনস অন সানডেতে আছে। রোজের পরিবার সেই ওয়ার্কিং ক্লাসেই পড়ে। আর মূল ন্যারেটিভ যেহেতু রোজ স্যান্ডিগেটের, তাই সেদিক থেকে দেখলে দেখা যায়- রোজের জীবন বিষণ্নতা এবং নিরাশায় ভরা। অতীত খুঁড়ে তার বেঁচে থাকা। একদম হঠাৎ করেই তার জীবনে পুরনো ভালোবাসা আসে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা ক্ষণিকের ‘সুখবিভ্রম’ হিসেবেই ধরা দেয়। আর রোজকে ধাবিত করে বিধ্বংসী সিদ্ধান্ত নিতে। এই তো গেল পোয়েটিক রিয়ালিজমের উপাদান নিগমবদ্ধ করবার কথা।
তবে এই সিনেমা আরো বড় পরিসরে ব্রিটিশ ‘কিচেন সিংক রিয়ালিস্ট’ধর্মী। পোয়েটিক রিয়ালিজমের অনুনাদ জাগিয়ে, ‘৫০ আর ‘৬০-এর দশকে যে ‘ব্রিটিশ সাংস্কৃতিক আন্দোলন’ শুরু হয়েছিল মঞ্চে আর শিল্পসাহিত্যে, সেটারই পূর্বসূরি এই সিনেমা। ‘কিচেন সিংক রিয়ালিজম’-এর অগ্রদূত ইট অলওয়েজ রেইনস অন সানডে। এখানেও আছে শ্রমিকশ্রেণীর কথা। তবে শুরুতে যে ডোমেস্টিক-ড্রামার কথা বলছিলাম, ঠিক সেই ডোমেস্টিক ড্রামার ন্যারেটিভে এসেই এটি হয়ে ওঠে পরিপূর্ণ কিচেন সিংক ড্রামা। শ্রমিকশ্রেণীর সাংসারিক অবস্থান আর পরিস্থিতির বয়ানেই যে ‘কিচেন সিংক রিয়ালিটি’। এবং সেই পরিস্থিতির সাথে অবশ্যই সামাজিক ও রাজনৈতিক চিত্র যোগ হতে হবে।
খেয়াল করলেই দেখা যায়, এই সিনেমা ঠিক যে শহর বেছে নিয়েছে, সেই শহর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বোমাহামলা আর বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ট্রমা ও বঞ্চনার শিকার হয়েছে। ঠিক এখানেই তো সামাজিক চিত্র ঢুকে যায়। প্রত্যেকটি চরিত্রের ঘাড়ে যে যুদ্ধ-পরবর্তী ট্রমা নিঃশ্বাস ফেলছে তা বোঝা যায়। সেই ক্ষত তাদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া, সামাজিক বলয়ে ঠিকই প্রভাব রাখছে। ক্ষত থেকে বাঁচতেই তো তারা ‘এস্কেইপিজম’ এর চক্করে পড়েছে।
টমি তো আক্ষরিক এস্কেইপ অর্থাৎ, জেল পালিয়েছে। রোজ জানে তার বর্তমান অবস্থান, পুরনো প্রেমিককে ঘরে জায়গা দেওয়ার অনুমোদন দেয় না। কিন্তু সে-ও ক্ষণিকের জন্য ক্ষত ভুলে রূঢ় বাস্তবতা থেকে মুখ ফেরাতে চায়। তার শ্রমিক গৃহস্বামীর পাবে গিয়ে মদে চুর হওয়াও যে এস্কেইপিজমেরই টুল। ফরাসি পোয়েটিক রিয়ালিজমে যে সোশাল রিয়ালিজম অনুপস্থিত, সেটা আবার কিচেন সিংকে আছে। এবং এই সিনেমায়ও যে খুব গাঢ়ভাবে আছে, তা তো এরই মধ্যেই সুস্পষ্ট।
সিনেমায় ফ্ল্যাশব্যকগুলো যেভাবে বিচ্ছিন্ন টুকরোর মতো আসে, সেটা করা হয়েছে বোধকরি ছিন্ন-বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধের সেই ট্রমার সামগ্রিকতা বোঝাতে। জ্বরের ঘোরে তৈরি হওয়া স্মৃতির মতো আসে সেগুলো। একটা প্রভাব রেখে যায়। সেটিংও করা হয়েছে ইংল্যান্ডের উত্তরে। আবার ভাড়া দেওয়া বাসস্থান, ছোট্ট ঘর কিংবা ঘরহীন ছন্নছাড়া চরিত্র- এগুলোও কিচেন সিংক রিয়ালিজমেরই উপাদান, যা এই সিনেমায়ও আছে এবং যা চরিত্রগুলোর মনোজগৎ আরো ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে।
এই ছোট্ট ঘরই তো তাদের জীর্ণ অস্তিত্ব আর ক্লস্ট্রোফোবিক জীবনকে তুলে ধরে। তাদের সামাজিক পরিমণ্ডলে এই সবকিছুই অনুঘটকরূপে কাজ করছে। আর শ্রমিকশ্রেণীকে যেভাবে কোণঠাসা করা হয়, সেটাতেই তো এই সিনেমার রাজনৈতিক চিত্রও প্রতিষ্ঠিত। সামাজিক-রাজনৈতিক, সব ধরনের অস্থিরতা ও হাসফাঁস সব জড়ো হয় রান্নাঘরের গৃহস্থালী সভ্যতায়।
এ থেকে বলাই যায়, ‘৫০-এর দশকের শেষভাগ থেকে ‘৬০-এর দশকজুড়ে কিচেন সিংক ড্রামা জনরায় যে সিনেমাগুলো হয়েছে, সেই সবগুলোর আর্কিটাইপ; কিংবা আরো সহজ করে বললে, এই জনরার বৈশিষ্ট্য আর অলংকারগুলো সুপ্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে ‘ইট অলওয়েজ রেইনস অন সানডে’। ‘৪০-এর দশকের ব্রিটিশ নোয়াহ্’র উপাদান তো আছেই। অ্যাংগাস ম্যাকফাইলকে সাথে নিয়ে রবার্ট হ্যামারের লেখা এই চিত্রনাট্যের অসাধারণত্ব নিয়ে নতুন করে আবার কিছু বলার প্রয়োজন নেই। এতক্ষণের যত আলাপ সবই তো এসেছে এই বহুমাত্রিক চিত্রনাট্য ও সেটার একেকটা তল নিয়ে। প্রতিটা চরিত্র আর তাদের দ্বন্দ্বগুলো এত চমৎকার রিয়ালাইজড! আর এমন ডোমেস্টিক ড্রামায় নোয়াহ্’র উপাদান, যুদ্ধ-পরবর্তী সামাজিক ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক অবস্থার বিবরণ, শ্রেণীসংঘাত ও রাজনীতি; সবকিছুকে এত সূক্ষ্ম ও নুন্যোক্তভাবে অবস্থান দেওয়াটা নির্ঘাত ব্রিলিয়ান্সির উদাহারণ। সাথে উইদারস, ওয়ার্নারদের কী অভিব্যক্তিপূর্ণ অভিনয়!
এই রবার্ট হ্যামার বছর দুই পরেই আরেকটি ক্লাসিক সিনেমা বানিয়েছিলেন। শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ সিনেমার তালিকায়ও সেটা সদর্পে আছে। ‘কাইন্ড হার্টস এন্ড করোনেটস’ (১৯৪৯)। ওটা ছিল ক্রাইম-কমেডি জনরার সিনেমা। মাস্কিউলিনিটি আর শ্রেণীসংঘাতের বিষয়াদি কমন ছিল। তবে যৌন অবদমন আর উঁচুশ্রেণীর প্রতি বিদ্রুপ ওখানে মূল চালিকাশক্তি ছিল। তার কাজে যে নৈরাশ্যের ছোঁয়া ছিল/থাকতো, সেটা আবার এই দুটোতেই সুস্পষ্ট।
এই সিনেমাগুলোর আরেকটা সামঞ্জস্যের জায়গা হলো, সিনেমাটোগ্রাফার ডগলাস স্লোকম্ব। রবার্ট হ্যামারের সবচেয়ে ভালো কাজগুলোর সিনেমাটোগ্রাফি ডগলাস স্লোকম্বেরই করা। এবং দুজনের পার্টনারশিপে ভিজ্যুয়াল ভাষাটা যে অভিনব হতো, তার উদাহারণ তো এই সিনেমাই। আলো-ছায়ার বন্টনটা এত সুষম হওয়ার ফলেই এই সিনেমা আরো অপূর্ব হয়ে উঠেছে। ইম্প্রেশনিস্টিক স্টাইলই ভিজ্যুয়ালে অনুসরণ করেছেন হ্যামার ও স্লোকম্ব। তাই চরিত্রদের ওঠা-পড়া, দ্বন্দ্ব; সবকিছু এমন অভিঘাতপূর্ণ রূপ পেয়েছে ভিজ্যুয়ালে।
গ্রেট ব্রিটিশ পরিচালকদের কথায় রবার্ট হ্যামারের নামটা খুঁজে পাওয়া ভার। কিন্তু তাকে উহ্য রাখার সুযোগ নেই। ‘কাইন্ড হার্টস এন্ড করোনেটস’-এর মতো ক্লাসিক তো রইলোই, ‘ইট অলওয়েজ রেইনস অন সানডে’ (১৯৪৭) দিয়ে যে ‘কিচেন সিংক ড্রামা’ নামে একটা স্বকীয় ও গুরুত্বপূর্ণ জনরার আর্কিটাইপই তৈরি করে দিয়ে গেল, তাকে খাটো করে দেখবার বিষয়ই তো অমূলক! সময়ের সাথে ক্লাসিক নির্যাসকে আজও অমলিন রেখেছে এই সিনেমা।