১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর। প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জাকে সরিয়ে সেনাপ্রধান আইয়ুব খান পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছেন। ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিতে প্রথম সামরিক শাসনের অভিজ্ঞতা নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান। হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তখন নবম শ্রেণিতে পড়েন। নিরুদ্বেগ, ছকেবাঁধা জীবন। কিন্তু সামরিক শাসন চারদিকে এক অদ্ভুত চাঞ্চল্য নিয়ে বিদ্যমান। সেই চাঞ্চল্য হাফিজ উদ্দিনকে স্পর্শ করেছিল, পরিবর্তন ছাপ রেখেছিল তার অনুভূতিতে। সে কারণেই শেষ বয়সে এসে মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ সৈনিক জীবনের স্মৃতি নিয়ে লেখা ‘সৈনিক জীবন; গৌরবের একাত্তর, রক্তাক্ত পঁচাত্তর’ বইটি শুরু করেছেন, ১৯৫৮ সনের সে পটপরিবর্তনের সময় থেকে।
মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, একসময়ের পাকিস্তান জাতীয় দলের কৃতি ফুটবলার, সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসার, প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য। ছিলেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের দুর্ধর্ষ যোদ্ধা, বীর বিক্রম। নিজের ভাষ্যেই তিনি লেখক হিসেবে তেমন পরিচিত নন। তবে ১৯৫৮-৭৫ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী তিনি। বিশেষ করে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, যুদ্ধপরবর্তী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সংগঠন এবং ঘটনাবহুল পঁচাত্তরের অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ভেতর থেকে দেখার সুযোগে হয়েছিল তার। সেসব স্মৃতি ও অভিজ্ঞতার পসরা ‘সৈনিক জীবন’। দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের অনুরোধে লেখক বইটি শুরু করেন। এটি প্রকাশিত হয়েছে ‘প্রথমা প্রকাশন’ থেকেই।
লেখক বরিশাল অঞ্চলের অধিবাসী। বইয়ের শুরুতে তাই উঠে এসেছে আটান্ন পরবর্তী বরিশালে লেখকের শৈশবস্মৃতি। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে অ্যাবোটাবাদের কাকুল মিলিটারি একাডেমিতে পদার্পণের আখ্যান। এর সাথে সমান্তরালে চলতে থাকে লেখকের খেলোয়াড়ি জীবনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, সমসাময়িক রাজনৈতিক থ্রিলারের নাটকীয় ভাষ্য। কাকুল মিলিটারি একাডেমি কীভাবে নিতান্ত পারিবারিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা এক আত্মমগ্ন বাঙালি যুবককে ভেঙে-চুরে আত্মবিশ্বাসী যোদ্ধায় পরিণত করেছে, বইয়ে উঠে এসেছে সেই পথের চিত্র।
কাকুলে অবস্থানকালেই লেখকের সাথে প্রথম দেখা হয় বাংলাদেশের ইতিহাসে বহুল আলোচিত চরিত্র জিয়াউর রহমানের। লেখকের ভাষ্যে,
সাদা হাফপ্যান্ট, স্পাের্টস শার্ট, পাওয়ার ‘সানগ্লাস’ পরা রেফারি টস করার জন্য হুইসেল বাজিয়ে আমাকে মধ্যমাঠে ডাকলেন। হ্যান্ডশেক করে বললেন, “আই অ্যাম মেজর জিয়া। তুমি কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিমে খেলেছ?”
“ইয়েস স্যার, ইউনিভার্সিটি টিমে খেলেছি।”
ঢোঁক গিলে উত্তর দিলাম।
“আই অ্যাম ফ্রম ফার্স্ট ইস্ট বেঙ্গল, আমার ব্যাটালিয়নের ফুটবল টিম সেনাবাহিনীর চ্যাম্পিয়ন। মাইন্ড ইট।” হেসে বললেন মেজর জিয়া।
আমি বললাম, “রাইট স্যার”।
বইয়ে পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা তিনি তুলে ধরেছেন। ফুটিয়ে তুলেছেন, কীভাবে তখন জাতীয়তাবাদী চেতনার আবেশ খেলার মাঠকেও আলোড়িত করেছিল।
“পরদিন জাতীয় দলের সঙ্গে ঢাকায় চলে এলাম স্টেডিয়ামে। ইতিমধ্যে আইয়ুববিরােধী আন্দোলন বেগবান হয়েছে। উনসত্তরের গণ-আন্দোলন ক্রমেই উত্তাল হয়ে উঠছে। ঢাকার ম্যাচের দিন সকালে আমাদের টিমের ম্যানেজারকে ফোন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা, তাদের দাবি বাঙালি চার খেলােয়াড়কেই মাঠে নামাতে হবে নতুবা তারা খেলা বন্ধ করে দেবে। অবশেষে ঢাকার ম্যাচে আমরা চারজনই খেলি। রাশিয়ান টিম ৩-১ গােলে জয়লাভ করে, পাকিস্তানের পক্ষে আমিই গােল করি। স্টিডিয়ামে বাঙালি চারজনের কাছে বল এলেই দর্শকেরা উল্লাস ধ্বনি করে, অন্যদের বেলায় নিরুত্তাপ।”
ট্রেনিং শেষ করে প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে পোস্টিং নিয়ে লেখক চলে আসেন যশোরে। এদিকে সারাদেশে বইতে শুরু করেছে গণ অভ্যুত্থানের ঝড়। আইয়ুব পদত্যাগ করতে বাধ্য হন, ক্ষমতা নেন জেনারেল ইয়াহিয়া। আবারও জারি হয় মার্শাল ল। এই সময় কুষ্টিয়া অঞ্চলের মার্শাল ল ডিউটি পালন করতে হয় লেখককেও। বিচারিক কাজ করতে গিয়ে তিনি সম্মুখীন হন বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার।
এরপর ৭০-এর ঘূর্ণিঝড় আর নির্বাচন-বিপ্লবের নানা দিক পেরিয়ে স্মৃতিকথার ঘটনাপ্রবাহ প্রবেশ করে ১৯৭১ সালের মুক্তিসংগ্রাম পর্বে।
মার্চ, ১৯৭১। উত্তাল বাংলাদেশ ধীরে ধীরে এগুতে থাকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে, স্বাধীনতার পথে। ২৫ই মার্চ রাতে নিরস্ত্র বাঙালি জাতির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাক-বাহিনী। চারদিকে জ্বলে ওঠে বিদ্রোহের দাবানল। ক্যাপ্টেন হাফিজরা তখন সীমান্তে। দেশের অবস্থা তাদের কিছুই জানানো হয়নি। ২৯ মার্চ যশোর ক্যান্টনমেন্ট ফিরে এসে তারা জানতে পারেন, দেশ অগ্নিগর্ভ। ইতোমধ্যে প্রথম ইস্ট বেঙ্গলকে নিরস্ত্র করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। লেখকের জবানিতে সেই মুহূর্ত,
২৯ মার্চ বেতার মারফত নির্দেশ পেলাম যশোর সেনানিবাসে ফিরে আসার জন্য…..৩০ মার্চ ‘৭১। সকাল সাড়ে সাতটা।….আমার ব্যাটম্যান দৌড়ে এসে অফিসার মেসে আমাকে জানায়, “স্যার, আমাদের নিরস্ত্র করা হয়েছে।… হতভম্ব হয়ে গেলাম! একজন সৈনিকের অস্ত্র কেড়ে নেওয়া চরম অবমাননার শামিল। সেকেন্ড লে. আনােয়ার আমার রুমেই ছিল। তাকে এ খবর জানাতেই সে উত্তেজিত হয়ে বলল, স্যার, পাকিস্তান আর্মিতে আর চাকরি করব না। আমি অফিসে গিয়েই COর সামনে বেল্ট খুলে পদত্যাগ করব।
আনোয়ারের সেই বেল্ট পরবর্তীকালে রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। অবশেষে বাঙালি অধ্যুষিত প্রথম ইস্ট বেঙ্গল বিদ্রোহ করে। লেখক তড়িৎ সিদ্ধান্তে দুই শতাধিক বিদ্রোহী সৈন্যের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। শুরু হয় যুদ্ধ। পাকিস্তানীরা এমন বিদ্রোহের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। ফলে প্রবল প্রতিরোধ তৈরি করা সত্ত্বেও বাঙালি যোদ্ধারা ধীরে ধীরে পিছু হটতে বাধ্য হয়। তারা একসময় ক্যান্টনমেন্ট পেরিয়ে আশ্রয় নেয় পার্শ্ববর্তী গ্রামে। লেখকের বর্ণনায় সেই মুহূর্ত,
আমি ও আনোয়ার আলাদা আলাদা গ্রুপে শুকনো ক্ষেতের মধ্য দিয়ে গুলিবর্ষণ করতে করতে পার্শ্ববর্তী খিতিবদিয়া গ্রামের দিকে এগিয়ে গেলাম… গ্রামে পৌঁছে দেখি এক অবিশ্বাস্য দৃশ্য। শত শত গ্রামবাসী কোদাল, খন্তা, কুড়াল, বর্শা ইত্যাদি দেশি অস্ত্র হাতে নিয়ে আমাদের অভিনন্দন জানিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে।
ক্ষেতের মধ্য দিয়ে এগোনোর সময় আনোয়ার শহীদ হন। আনোয়ার যে বেল্টটি খুলে বিদ্রোহ করতে চেয়েছিলেন, সেটি মেজর হাফিজের হাতে তুলে দেন এক সৈনিক। রক্তে রঞ্জিত বেল্ট।
এভাবে প্রথম ইস্ট বেঙ্গল এগিয়ে যায় বেনাপোলের দিকে। এখানেই ক্যাপ্টেন হাফিজের নেতৃত্বে ইপিআর আনসার ও স্থানীয় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয় বিখ্যাত বেনাপোল স্ট্রংহোল্ড।
১৭ই এপ্রিল মেহেরপুর আম্রকাননে মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও লেখক উপস্থিত ছিলেন। সেই স্মৃতিও বইয়ে উঠে এসেছে। পরবর্তী সময়ে ক্যাপ্টেন হাফিজের নেতৃত্বেই ৬০০ যুবককে নিয়োগ দিয়ে প্রথম ইস্ট বেঙ্গলকে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাটালিয়ন হিসেবে গড়ে তোলা হয়। এই ব্যাটালিয়নকে জেড ফোর্সের অধীনে ন্যস্ত করা হয়।
শ্রীমঙ্গলের একটি অভিযানে লেখকের নেতৃত্বাধীন দলকে পথ দেখানোর দায়িত্ব নেন হরি নামক এক ব্যক্তি। অভিযান শুরুর কিছু আগে সন্তান প্রসব করতে গিয়ে হরির স্ত্রী ও সন্তান উভয়ই মারা যায়। এরপর?
লেখকের ভাষ্যেই শুনুন,
“শােকাভিভূত হরিকে আমাদের সঙ্গে যাওয়ার জন্য বলতে পারছি না। কিছুক্ষণ পর কাঁদতে কাঁদতে হরি এসে উপস্থিত হলো। তাকে জিজ্ঞেস করলাম শ্ৰীমঙ্গলে যাওয়ার জন্য অন্য কোনাে গাইড পাওয়া যাবে কিনা। চোখ মুছে হরির উত্তর, “সাব, বউ মরছে তাে কী হইছে? আমিই আপনাগাে লইয়া যামু শ্ৰীমঙ্গল। কোনাে চিন্তা করবেন না।”
এভাবে দেশের সর্বস্তরের মানুষের নিঃস্বার্থ অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধ কীভাবে একটি জনযুদ্ধ হয়ে উঠেছিল, ‘সৈনিক জীবন’ বইটি তার একটি প্রামাণ্য দলিল।
যুদ্ধের শেষ সময়টা সিলেটের সীমান্ত অঞ্চলে প্রথম ইস্ট বেঙ্গল বিভিন্ন রণাঙ্গনে পাকিস্তানীদের পর্যুদস্ত করে রাখে। ৩ ডিসেম্বর ভারত সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। হাফিজের ইস্ট বেঙ্গল সিলেট দখলের জন্য শহর অভিমুখে রওনা দেয়। ভারতীয় বাহিনীর সহায়তায় ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রথম সিলেট দখল হয়। ১৬ ডিসেম্বর সিলেটেই এমএজি ওসমানীর সাথে লেখকের দেখা হয়। লেখকের ভাষায়,
বিকেলে দিকে কর্নেল ওসমানি এলেন। জিজ্ঞেস করলাম, আজ পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করবে, আপনি এখানে কেন? ওসমানি বললেন, ‘এখানে আসতে পেরেছি সেটাই সৌভাগ্য। কিছুক্ষণ আগে আমার হেলিকপ্টারে পাকিস্তানি সেনারা গুলি ছুঁড়েছে।
লেখকের নেতৃত্বাধীন ব্যাটালিয়নের অধীনে যুদ্ধ করতে গিয়ে শহীদ হন বেশ কয়েকজন সেনা অফিসার। তাদের শাহাদাত বরণের মর্মান্তিক বর্ণনা পাঠককে ভারাক্রান্ত করবে। যুদ্ধশেষে এসব অফিসারের পরিবারকে তাদের মৃত্যুসংবাদ দিতে গিয়ে লেখক যে বেদনাবিধুর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন, তা পড়ার সময় খুব কম পাঠকই অশ্রু ধরে রাখতে পারবেন। যেমন ক্যাপ্টেন সালাউদ্দীনের কথা তার মাকে জানানোর অভিজ্ঞতায় লেখক লিখেছেন,
১৯৭২, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে শহীদ সালাউদ্দিনের মা আমার বাসায় এলেন।… মৃত্যুর সংবাদ শুনে শহীদমাতা মোটেই ভেঙে পড়েননি। নিজেকে অতি কষ্টে সামলে নিয়ে বললেন, আমাকে তার সহযােদ্ধা সৈনিকদের কাছে নিয়ে চলুন। আমি একজন মুক্তিযােদ্ধাকে দেখতে চাই যে আমার ছেলেকে স্পর্শ করেছে মৃত্যুর পূর্বক্ষণে। আমি তাকে নিয়ে সৈনিকদের ব্যারাকে গেলাম। সালাউদ্দিনের মা এসেছেন। ডেল্টা কোম্পানির এক তরুণ সৈনিক জানাল, একটি বাঙ্কারের সামনে আহত সালাউদ্দিনের মাথাটি কোলে নিয়ে সে ওয়াটার বটল থেকে একটু পানি তার মুখে ঢেলে দিয়েছিল। এ কথা শুনেই শহীদমাতা তার হাতটি কাছে টেনে নিয়ে চুমু খেতে লাগলেন। তাঁর দুই চোখে নেমে এলো বন্যা। সৈনিকের হাতটি দু’হাতে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ বসে রইলেন। মনে হচ্ছিল তিনি তার মৃত পুত্রকেই স্পর্শ করছেন। এ দৃশ্য দেখে উপস্থিত কেউ অশ্র সংবরণ করতে পারিনি।
লেখক একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন শহীদ আনোয়ার পরিবারের হাতে রক্তে রঞ্জিত বেল্টটি তুলে দেয়ার সময়ও,
আমি তাঁদের চোখের (আনোয়ারের পরিবারের সদস্যদের) দিকে তাকাতে পারছিলাম না। আমার ভাবভঙ্গিমাতেই তাঁরা বুঝে গেছেন আনােয়ারের পরিণতি। আমার কোমরে ছিল আনােয়ারের রক্তমাখা বেল্ট। এটি তাঁদের হাতে তুলে দিতেই তাদের চোখে অঝোর ধারায় অশ্রু নেমে এলো। যশােরের হযরতপুর এলাকায় কবি নজরুল কলেজের সামনে তাঁদের বুকের ধন চিরনিদ্রায় শায়িত, এ তথ্য জানার পর তারা কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেলেন।”
সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মুহূর্ত। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড, ৩রা নভেম্বরের সামরিক বিপ্লব, ৭ই নভেম্বরের পাল্টা বিপ্লব- এসব ঘটনা লেখক খুব কাছে থেকে দেখেছেন। তাই গৌরবের একাত্তরের মতো রক্তাক্ত পঁচাত্তরের একটি সাবলীল চিত্রও বইয়ে দেখতে পাওয়া যায়।