আশুরা: সত্য বনাম ভ্রান্ত ধারণা

আরবী বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররম। ইসলাম ধর্মমতে যে চারটি মাসে যুদ্ধ করা নিষিদ্ধ, তার একটি হলো বছরের প্রথম এই মাসটি। তবে মহররম মাসের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব এর দশ তারিখের জন্য, যে দিনটিকে আমরা আশুরা বলে জানি। শাব্দিক দিক থেকে আশুরা শব্দের অর্থ দশম দিন, যা হিব্রু ‘আসর’ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। আশুরার দিনটি মুসলিম বিশ্বে পালন করলেও সুন্নি এবং শিয়ারা সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে এবং ভিন্নভাবে এই দিনটি পালন করে থাকে। এছাড়াও এই দিনটি নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানারকম কথা, যেগুলোর অনেকগুলোই কিছু মানুষের কল্পনাপ্রসূত, ধর্মের সাথে যেগুলোর কোনো সম্পর্কই নেই। চলুন জেনে নেয়া যাক, কীভাবে আশুরা আসলো আর এ দিনটি নিয়ে ভ্রান্ত ধারণাগুলো।

আশুরায় শিয়ারা নিজেদের রক্তাক্ত করে; Source: Thanassis Stavrakis

শুরুর কথা

শিয়ারা হযরত মুহাম্মদ (সা) এর প্রিয় নাতি হুসাইন (রা) এর মৃত্যুর দিনের কারণে এই দিনটিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকলেও, হুসাইন (রা) এর মৃত্যু কিংবা ইয়াজিদের সাথে বিরোধের অনেক আগে থেকে মুসলিমরা আশুরা পালন করে থাকে। তবে এই পালন করা কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠান ছিল না কখনোই। মুসলমানদের উৎসবগুলোতে সাধারণত আলাদা করে নামাজ (দুই ইদের নামাজ) কিংবা নফল রোজা রাখার বিধান থাকে। আশুরার দিনটিও মুসলমানরা নফল রোজা রেখে পালন করে। মদীনায় হিজরতের পূর্বেও মুহাম্মদ (সা) আশুরার দিনে রোজা রাখতেন। তবে রমযান মাসের রোজা রাখা ফরজ হবার পর থেকে আশুরার দিনে রোজা রাখা ঐচ্ছিক রোজায় পরিণত হয়।

“আয়িশা (রা) বর্ণনা করেছেন, জাহিলী যুগে আশুরার দিন কুরাইশগণ ও নবী (সা) সাওম পালন করতেন। যখন হিজরত করে মদীনায় আগমন করলেন, তখন তিনি নিজেও সাওম পালন করতেন এবং অন্যকেও তা পালনের নির্দেশ দিতেন। যখন রমযানের সাওম ফরজ করা হলো, তখন যার ইচ্ছা আশুরার সাওম করতেন আর যার ইচ্ছা করতেন না।” [সহীহ বুখারী, ৩৫৫১ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ)]

মদীনায় হিজরতের পর সেখানে নবী (সা) দেখেন, সেখানকার ইহুদীরাও আশুরার দিনে রোজা রাখত। এ ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞাসা করায় তারা বলে যে, এ দিনেই হযরত মুসা (আ) মিশরের ফেরাউনের হাত থেকে ইসরাইলিদের রক্ষা করেছিলেন। সে কারণে দিনটি ইহুদীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচিত হয়। যেহেতু মুসলিমরা পূর্ববর্তী সকল নবীকেই সমান সম্মান দিয়ে থাকে, তাই মুসা (আ) এবং তার অনুসারীদের সম্মানার্থে মুসলিমরা এই দিনটিকে স্মরণ করে থাকে।

“আবু মুসা (রা) বর্ণনা করেছেন, নবী (সা) যখন মদীনায় আসলেন, তখন ইহুদী সম্প্রদায়ের কিছু লোক আশুরার দিনকে খুব সম্মান করত এবং সেদিন তারা সাওম পালন করতো। এতে নবী (সা) বললেন, ইহুদীদের চেয়ে ঐ দিন সাওম পালন করার আমরা বেশি হকদার। তারপর তিনি সবাইকে সাওম পালন করার নির্দেশ দেন।” [সহীহ বুখারী, ৩৬৫৪ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)]

অন্যদিকে শিয়ারা মূলত আশুরা পালন করে থাকে কারবালার প্রান্তরে হুসাইন (রা) এর মর্মান্তিক মৃত্যুর দিনের শোক পালন করার জন্য। ইরাক, ইরান ও ভারতবর্ষের বাইরেও আফগানিস্তান, লেবানন, আজারবাইজান, বাহরাইনের শিয়ারা এই দিনটি পালন করে তাজিয়া মিছিলের মাধ্যমে। অনেক দেশেই দিনটি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে স্বীকৃত।

ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষার কাহিনী

হযরত ইব্রাহিম (আ) এর নাতি হযরত ইয়াকুব (আ) ইসরাইল নামে পরিচিত ছিলেন এবং তার বংশধররাই পরবর্তীতে ইসরাইলি হিসেবে বিস্তার লাভ করেছে। ইয়াকুব (আ) এর ছেলে ইউসুফ (আ) ঘটনাক্রমে মিশরে উপস্থিত হন এবং অনেক ঘটনার পরে এক সময়ে মিশরের উজির হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। সেসময় থেকে অনেক ইসরাইলিরা মিশরে বসবাস শুরু করে। কিন্তু এক সময় মিশরের ইসরাইলিরা ফারাওদের দাস হিসেবে বিবেচিত হতে থাকে। পিরামিড সহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে তাদের শ্রম কাজে লাগাতো মিশরীয়রা। একইসাথে তাদের উপর চলতো নির্যাতন।

প্রাচীন মিশরে ইসরাইলিদের উপর করা অত্যাচার; Source: Pinterest

একবার এক ফারাও স্বপ্ন দেখেন, ইসরাইলি এক ছেলে তার সাম্রাজ্য ধ্বংস করে দিবে। এরপর সেই ফারাও ইসরাইলিদের সকল সন্তানদের হত্যা করে, মাতৃগর্ভে থাকা সন্তানরাও রক্ষা পায়নি এই নিষ্ঠুরতা থেকে। এরকম সময়েই জন্ম নেন হযরত মুসা (আ)। তাকে তার মা নীল নদে ভাসিয়ে দিলে ফারাওয়ের স্ত্রী তাকে খুঁজে পায় এবং মিশরের রাজপ্রাসাদেই বড় হতে থাকেন হযরত মুসা (আ), কেউই তার আসল পরিচয় জানতে পারেনি। বড় হবার পর একদিন তিনি দেখেন, এক মিশরীয় সৈন্য এক ইসরাইলি দাসের উপর বিনা কারণে অত্যাচার করছে। এর প্রতিবাদ করতে দিয়ে তিনি সেই সৈন্যের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন এবং এক পর্যায়ে তাকে হত্যা করেন।

এ ঘটনার পর তিনি পালিয়ে যান এবং এক পর্যায়ে তিনি আল্লাহর কাছ থেকে নির্দেশ পান ফারাওয়ের কাছে আল্লাহর নির্দেশের কথা জানাতে। মিশরে ফিরে গিয়ে মুসা (আ) ফারাওকে আল্লাহর ইবাদত করতে বলেন এবং ইসরাইলিদের মুক্ত করে দিতে বলেন। স্বাভাবিকভাবেই ফারাও সেই দাবি অস্বীকার করে। এরপর বিভিন্নভাবে চেষ্টা করার পরেও ফারাও এবং মিশরীয়রা মুসা (আ) এর কথা মেনে নেননি। এরপর আল্লাহ মিশরীয়দের জন্য বিভিন্ন দুর্যোগ পাঠাতে থাকলেও তারা মুসা (আ) এর কথা মেনে নেয়নি। এসব দুর্যোগের মধ্যে ছিল পানি রক্তাক্ত হয়ে যাওয়া, ফসল মরে যাওয়া, গবাদী পশু মরে যাওয়ার মতো ভয়াবহ দুর্যোগ। শেষ পর্যন্ত নয়টি দুর্যোগ পাঠানোর পরে ফারাও পরাজয় মেনে নিয়ে ইসরাইলিদের মুক্ত করার ঘোষণা দেয়।

শিল্পীর কল্পনায় মুসা (আ) এর লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে যাচ্ছে নীল নদের পানি; Source: Catholic faith journey

ফারাওয়ের মুক্তি দেবার ঘোষণা ছিল মুসা (আ) এবং তার অনুসারীদের হত্যা করার এক অভিনব চাল। ফারাও তার সেনাবাহিনী নিয়ে তাদের অনুসরণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে মুসা (আ) তার অনুসারীদের নিয়ে লোহিত সাগরের উপকূলে পৌঁছলে, ফারাও তার সেনাবাহিনী নিয়ে পেছন থেকে ঘিরে ধরে। মুসা (আ) এবং তার অনুসারীরা এমন এক জায়গায় ছিলেন, যার সামনে সাগর, দুই পাশে পাহাড় আর পেছনে ফারাওয়ের সেনাবাহিনী। অনেকেই এই অবস্থায় হতাশ হয়ে পড়লেও, আল্লাহর নির্দেশে মুসা (আ) তার লাঠি দিয়ে সাগরে আঘাত করেন। এতে সাগরের মাঝে একটি রাস্তা তৈরি হয়ে যায়, যা দিয়ে মুসা (আ) এবং তার অনুসারীরা সাগর পার হয়ে যান সহজে।

অন্যদিকে ফারাও এবং তার সেনাবাহিনী তাদের অনুসরণ করতে গেলে সাগর আবারো তার আগের অবস্থায় ফিরে আসে এবং ফারাও সহ তার পুরো সেনাবাহিনীকে ডুবিয়ে দেয়। ফলে মিশরের অত্যাচার থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়ে যান মুসা (আ) এবং তার অনুসারীরা। এ ঘটনাটি সকল সেমেটিক ধর্মে অন্ত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। ইহুদীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের একটি হচ্ছে এই দিনটি। একই কারণে মুসলিমদের কাছেও গুরুত্ব বহন করে এই ঘটনাটি। হিব্রু ক্যালেন্ডার এবং আরবী ক্যালেন্ডার গণনার ধরন ভিন্ন হওয়ায় প্রতি বছর এই দিনটি এক দিনে পড়ে না। [১]

শিল্পীর তুলিতে লোহিত সাগর ভাগ হওয়া; Source: Sean Finnegan

কারবালার ইতিহাস

কারবালার মর্মান্তিক ঘটনাটি হযরত মুহাম্মদ (সা) মারা যাবারও প্রায় ৪৮ বছর পর ঘটে। নবী মুহাম্মদ (সা) মারা যাবার পর একদল মানুষ দাবি করে, হযরত আলী (রা) খিলাফতের বেশি অধিকারী, কেননা তিনি একইসাথে নবীর (সা) চাচাতো ভাই এবং মেয়ের জামাই। কিন্তু অধিকাংশ সাহাবী হযরত আবু বকরকে (রা) খলিফা হিসেবে নির্বাচন করেন, হযরত আলীও (রা) এতে দ্বিমত করেননি। কিন্তু যারা প্রথমে আলীর (রা) এর খিলাফত দাবি করেছিল, তারা একে আলীর (রা) এর প্রতি অবিচার বলে দাবি করে। এরাই পরবর্তীতে শিয়া হিসেবে পরিচিত হয়।

শেষ পর্যন্ত যখন আলী (রা) চতুর্থ খলিফা হিসেবে খিলাফতের ভার গ্রহণ করেন, তখন মুসলিমদের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বেশ জটিল হয়ে উঠেছিল। দীর্ঘদিন যে ঐক্য মুসলিমদের শক্তিশালী করে রেখেছিল, সেই ঐক্য ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছিল। গৃহযুদ্ধে জর্জরিত হয়ে পড়ে মুসলিম বিশ্ব (বিস্তারিত জানতে হযরত আলী (রা) এর জীবনী পড়ুন)। হযরত উসমান (রা) এর হত্যাকারীর বিচার নিয়ে হযরত মুয়াবিয়া (রা) এবং হযরত আলীর (রা) মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত সিফফিনের রক্তাক্ত যুদ্ধের পর হযরত আলী (রা) খিলাফত হারান এবং হযরত মুয়াবিয়া (রা) নতুন খলিফা হন।

হযরত মুয়াবিয়া (রা) এর পর তার ছেলে ইয়াজিদ খলিফা হিসেবে শাসন শুরু করে ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে। কিন্তু নবীর (সা) এর নাতি হুসাইন (রা) নিজেকে খিলাফতের দাবিদার হিসেবে মনে করেন। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে আবারো বিরোধ শুরু হয়, যার শেষ হয় ৬৮০ খ্রিস্টাব্দের ১০ অক্টোবর, কারবালার যুদ্ধে। ইরাকের ফোরাত নদীর পশ্চিম তীরে মাত্র হুসাইনের (রা) মাত্র ৭২ জন সেনা এবং ইয়াজিদের চার হাজার সেনার অসম লড়াই হয়। কারবালার এই অসম যুদ্ধে ইন্তেকাল করেন হুসাইন (রা), তার পরিবার এবং অনুসারীরাও নিহত হয়। ঘটনাক্রমে এই দিনটি ছিল আশুরার দিন। শিয়ারা মূলত এই ঘটনার শোক প্রকাশের দিন হিসেবেই আশুরা পালন করে থাকে।

কারবালার অসম লড়াই; Source: Emaze.com

আশুরা নিয়ে প্রচলিত বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা

শিয়াদের তাজিয়া মিছিলের কারণে এবং মিডিয়ায় সেটি বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করার কারণে অনেক অমুসলিম আশুরার আসল ইতিহাস এবং গুরুত্ব বুঝতেই পারেন না। যেহেতু মুসলিমরা কারবালার ঘটনার অনেক আগে থেকেই এই দিনে রোজা পালন করে থাকেন গুরুত্ব সহকারে, সুতরাং এটি বলাই যায়, এই দিনটি মুসলিমদের কাছে কারবালার ঘটনার অনেক আগে থেকেই গুরুত্ব বহন করে। কারবালার ঘটনার সাথে আশুরাকে এক করে ফেললে আশুরার আসল গুরুত্বকেই অবহেলা করা হয়।

ঢাকার তাজিয়া মিছিল; Source: ATN news

মুসলিমদের মাঝে আশুরার দিন নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। যেমন:

  • এ দিনে আল্লাহ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন,
  • এ দিনে আল্লাহ লাওহে মাহফুজ সৃষ্টি করেছেন,
  • এ দিনে আল্লাহ জান্নাত সৃষ্টি করেছেন,
  • এ দিনে আল্লাহ আদমকে (আ) সৃষ্টি করেছেন,
  • এ দিনে আল্লাহ নূহ (আ)-কে নৌকা থেকে বের করেন,
  • এ দিনে তাওরাত নাজিল হয়,
  • এ দিনে কেয়ামত সংঘটিত হবে।

এরকম আরো অনেক ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত রয়েছে আমাদের দেশের মুসলিম সমাজে। এর কোনোটিই কুরান কিংবা হাদীসে উল্লেখ নেই। আশুরার দিন নিয়ে সহীহ হাদীসে একমাত্র মুসা (আ) এর ঘটনাটির উল্লেখ আছে। কিন্তু বছরের পর বছর বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা সমাজে চলে আসছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলোকে কেউ যাচাই করেও দেখার কথা মনে করেন না। [২]

মীর মশাররফ হোসেনের বিখ্যাত ‘বিষাদ সিন্ধু’ উপন্যাসটিকে অনেকেই কারবালা এবং আশুরার ইতিহাস হিসেবে মনে করেন। এ ক্ষেত্রেও বেশিরভাগ মানুষ ভুল করে থাকেন। ‘বিষাদ সিন্ধু’ উপন্যাস হিসেবে অনেক উঁচু স্তরের, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি একটি উপন্যাসই। বইটি কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ কিংবা ইতিহাস গ্রন্থ নয়। উপন্যাস হবার কারণেই স্বাভাবিকভাবেই ইতিহাসের সাথে বেশ কিছু কাল্পনিক ঘটনা এবং উক্তিও রয়েছে। হযরত মুয়াবিয়া (রা) এর ভবিষ্যৎবাণী করা, হুসাইন (রা) এর গলার বারবার ছুরি চালানোর পরেও ক্ষত না হওয়ার যে কথাগুলো বইয়ে আছে, সেগুলো নিতান্তই গল্পকে আকর্ষণীয় করতেই লেখা। [৩] বাস্তবের সাথে এগুলোকে মেলানোর কোনো মানে নেই। তাই ঐতিহাসিক উপন্যাস হলেও ‘বিষাদ সিন্ধু’কে ইতিহাস মনে করে পড়লে বোকার স্বর্গেই বাস করতে হবে।

এর বাইরেও আশুরার দিনে অনেকে বিশেষ খাবারের আয়োজন করে, বিশেষ নামাজ পড়ে। কিন্তু আশুরার দিনে রোজা রাখা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হলেও সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন প্রথা যেমন বিশেষ খাবার খাওয়া, দান করা, বিশেষ নামাজ এগুলোর কোন ধর্মীয় ভিত্তি নেই। [৪]

ফুটনোট:

১. আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ), ইবন কাসীর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (পৃষ্ঠা ৫২৩-৬১০)

২. হাদীসের নামে জালিয়াতি (চতুর্থ সংস্করণ), ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স। (পৃষ্ঠা ৩৮৯)

৩. হাদীসের নামে জালিয়াতি (চতুর্থ সংস্করণ), ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স। (পৃষ্ঠা ৩০১)

৪. হাদীসের নামে জালিয়াতি (চতুর্থ সংস্করণ), ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স। (পৃষ্ঠা ৩৮৯-৩৯১)

ফিচার ইমেজ- Wallpaper Cave

Related Articles

Exit mobile version