পারস্য উপসাগরের উপকূল ঘেঁষে, উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্ব কোণ বরাবর সগৌরবে দাঁড়িয়ে রয়েছে জাগ্রোস পর্বতমালা। এই পর্বতমালার পাদদেশ থেকে পূর্ব দিকে ভারতীয় প্লেট পর্যন্ত বিস্তৃত ইরানি মালভূমি। ভৌগলিকভাবে ত্রিকোণাকৃতির এই অঞ্চল ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত পারস্য নামে পরিচিত ছিল, যা আজকের দিনে ইরান নামে পরিচিত। এই অঞ্চলেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইতিহাস বিখ্যাত পারস্য সাম্রাজ্য।
পৃথিবীর ইতিহাসে আজ অবধি যতগুলো বৃহৎ এবং প্রভাবশালী সাম্রাজ্যের নাম পাওয়া যায়, তন্মধ্যে পারস্য সাম্রাজ্যের নাম একদম উপরের দিকেই থাকবে। সম্রাট সাইরাস দ্য গ্রেটের হাতে উৎপত্তি লাভ করা এই সাম্রাজ্যটিই পৃথিবীর প্রথম পরাশক্তি। ভৌগলিক অবস্থান, উন্নত শাসনব্যবস্থা, শিল্প-সংস্কৃতি, স্থাপত্যকলা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি প্রভৃতি নিয়ামক এর পরাশক্তি হওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছিল।
কীভাবে উত্থান ঘটেছিল সেই পরাশক্তির? কারা ছিলেন সেই পরাশক্তির নায়ক? কীভাবে তা গ্রিকদের অধীনে চলে গেল এবং পুনরায় পারসিকরা তার অধিকর্তা হলেন? তার পরিণতিই বা কী ছিল? সেসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে তিন পর্বের ধারাবাহিকের আজ থাকছে প্রথম পর্ব।
আলোচনার শুরুতেই পারস্য সাম্রাজ্য নিয়ে একটু প্রাথমিক ধারণা দিয়ে রাখি। পারস্য সাম্রাজ্য মূলত পারস্য অঞ্চলে ৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৬৫১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়ের মধ্য পর্যায়ক্রমিকভাবে উৎপত্তি লাভ করা একাধিক সাম্রাজ্যের সমষ্টি। ইতিহাসবিদগণ এই সময়কালকে মোট চারটি প্রধান ভাগে ভাগ করেছেন- আকামেনিদ সাম্রাজ্য (খ্রিস্টপূর্ব ৫৫০-খ্রিস্টপূর্ব ৩৩০), সেলুসিড সাম্রাজ্য (খ্রিস্টপূর্ব ৩১২-খ্রিস্টপূর্ব ৬৩), পার্থিয়ান সাম্রাজ্য (খ্রিস্টপূর্ব ২৪৭-২২৪ খ্রিস্টাব্দ) এবং সর্বশেষ সাসানীয় সাম্রাজ্য (২২৬-৬৫১ খ্রিস্টাব্দ)। এদের মধ্যে আকামেনিদ সাম্রাজ্য এবং সাসানীয় সাম্রাজ্য পারস্য সাম্রাজ্য। তবে কোনো কোনো সূত্র পার্থিয়ান সাম্রাজ্যকেও পারস্য সাম্রাজ্য বলে বর্ণনা করেছে।
শুরুর কথা
সুবিস্তৃত ইরানি মালভূমিতে প্রায় ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দেরও বেশি সময় থেকে বিভিন্ন অর্ধ-যাযাবর গোষ্ঠী বাস করত, যারা গরু, ছাগল, ভেড়া প্রভৃতি চড়াত। এরকমই এক গোষ্ঠীর প্রধান ছিলেন দ্বিতীয় সাইরাস, ইতিহাসে যিনি সাইরাস দ্য গ্রেট নামে পরিচিত। ৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি ঐ অঞ্চলের বিভিন্ন গোত্রকে একত্র করতে সক্ষম হন, এবং পারস্যের উত্তরাংশে অবস্থিত শক্তিশালী মেদেস রাজ্য জয় করেন। মেদেস ছিল তারই নানা অ্যাসটিয়াজেসের রাজ্য, যার রাজধানী ছিল একবাটানা। তারপর তিনি একে একে লিডিয়া, ব্যাবিলনের মতো শক্তিশালী রাজ্যগুলোও জয় করলেন, এবং এই তিন রাজ্যকে অভিন্ন শাসনব্যবস্থায় নিয়ে এসে গোড়াপত্তন করলেন এক নতুন সাম্রাজ্যের- আকামেনিদ সাম্রাজ্য। এই আকামেনিদ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমেই যাত্রা শুরু করে ইতিহাসের প্রথম পারস্য সাম্রাজ্য।
সম্রাট সাইরাস ক্ষমতায় আরোহণ করেই ‘পারস্যের শাহ’ উপাধি ধারণ করলেন এবং প্যাসারগাড শহরের গোড়াপত্তন করে সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করলেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন শাসক। তৎকালীন সময়ে পারস্যে ছিল নানা ধর্মের, নানা সংস্কৃতির মানুষের বসবাস। নতুন এই সাম্রাজ্যকে টিকিয়ে রাখতে হলে জনগণের আস্থার্জনের পাশাপাশি তাদের সহযোগিতার যে কোনো বিকল্প নেই তা সম্রাট খুব ভালো ভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। তাই তিনি অধিকারকৃত রাজ্যগুলোর শাসন ব্যবস্থায় তেমন কোনো পরিবর্তন আনেননি।
ব্যাবিলন জয়
৫৫৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সাইরাস ব্যাবিলন জয় করলেন। ওপিস নামক জায়গায় তার বাহিনী ব্যাবিলনীয় সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হয় এবং তাদের পরাজিত করে। পরাজয়ের সংবাদ শুনে রাজা নবনিডাস শহর ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। সাইরাস তার সেবক এবং গুতিয়ামের গভর্নর উগবারুকে ব্যাবিলনে পাঠালেন তা দখল করার জন্য। সেই সময় ব্যাবিলনে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয় যে, সাইরাস ব্যাবিলনবাসীদের দেবতা মারদুকের নির্দেশে ব্যাবিলনকে মারদুককে অস্বীকারকারী নবনিডাসের নিকট হতে তাদেরকে মুক্ত করতে এসেছেন। ফলে যখন সাইরাস ব্যাবিলন শহরে প্রবেশ করলেন, তখন তাকে ব্যাবিলনবাসী রীতিমতো উৎসব করে বরণ করে নিল। ব্যাবিলন অধিকারের পর সাইরাসের নির্দেশে একটি শিলাস্তম্ভ নির্মিত হয় যাতে সাইরাসের গুণকীর্তন লিপিবদ্ধ ছিল। ইতিহাসে এটি সাইরাস সিলিন্ডার নামে পরিচিত।
ধর্মের প্রতি সাইরাস ছিলেন উদার। জনগণকে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালনের অধিকার দিয়েছিলেন। তিনি নির্বাসিত ইহুদীদেরকে জেরুজালেমে ফেরার ব্যবস্থা করেন এবং তাদের জন্য ধ্বংসপ্রাপ্ত বায়তুল মুকাদ্দাস পুনর্নির্মাণ করে দেন। এজন্য বাইবেলে তার নামের উল্লেখ পাওয়া যায়, যেখানে তাকে স্রষ্টার প্রতিশ্রুত প্রতিনিধি বলে উল্লেখ করা হয়েছে (ইয়াসাহ: ৪৫:১)। ইতিহাসের যে দুজন ব্যক্তিকে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত যুলকারনাইন বলে দাবি করা হয়, তন্মধ্যে তিনি একজন। অপরজন হলেন সম্রাট আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট।
দারিয়ুস দ্য গ্রেট
আকামেনিদ সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট দারিয়ুস দ্য গ্রেটের শাসনামলে সাম্রাজ্যের সর্বাধিক বিস্তৃতি ঘটে। এসময় এটি মধ্য এশিয়াসহ উত্তরে বলকান উপদ্বীপ (রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, ইউক্রেন), পশ্চিমে লিবিয়া, মিশর এবং পূর্বে ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। মানসভ্যতার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সভ্যতা যথা মেসোপটেমিয়া সভ্যতা, নীলনদকে ঘিরে গড়ে ওঠা মিশরীয় সভ্যতা এবং সিন্দু নদ অববাহিকায় সিন্দু সভ্যতা এই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি পার্সেপোলিস নগরীর গোড়াপত্তন করেন এবং আরামীয় ভাষাকে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেন।
তিনি বিভিন্ন পরিমাপের একক নির্ধারণের পাশাপাশি অভিন্ন মুদ্রাও চালু করেন। এসময় পুরো পারস্য জুড়ে অসংখ্য রাস্তা নির্মিত হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে পারসিকরাই সর্বপ্রথম যারা এশিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকার মাঝে সড়কপথে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিল। পৃথিবীর প্রথম ডাকসেবা তার হাত ধরেই চালু হয়। এসব কারণে দারিয়ুস দ্য গ্রেটকে পারস্য সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক হিসেবে গণ্য করা হয়।
গ্রিক-পারস্য যুদ্ধ
গ্রিস এবং পারস্যের মাঝে বিভিন্ন সময়ে অনেকগুলো যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। দারিয়ুস দ্য গ্রেটের সময়েই সর্বপ্রথম যুদ্ধটি সংঘটিত হয়। এটি ৪৯০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এথেন্স থেকে ২৬ মাইল উত্তর-পূর্বে ম্যারাথন নামক জায়গায় সংঘটিত হয়েছিল, যা ইতিহাসে ব্যাটল অভ ম্যারথন নামে পরিচিত। যুদ্ধে পারসিকরা পরাজিত হয়।
সেই যুদ্ধের ঠিক ১০ বছর পর আরেকটি ইতিহাসখ্যাত যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সম্রাট জারজিস তখন মসনদে। গ্রিসকে সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে পিতার পরাজয়ের প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে তিনি তার বিশাল সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনী নিয়ে গ্রিস অভিমুখে যাত্রা করলেন। থার্মোপাইলি নামক জায়গায় গ্রিক এবং পারস্য বাহিনী মুখোমুখি হয়। এই যুদ্ধ ইতিহাসে ব্যাটল অভ থার্মোপাইলি নামে পরিচিত। এই যুদ্ধে লিওনিডাসের নেতৃত্বে স্পার্টান যোদ্ধাদের বীরত্ব ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।
পারসিক ধর্ম
পারস্য সাম্রাজ্যে প্রধান ধর্ম ছিল জরথুস্ত্রবাদ। জরথুস্ত্র বা জরোয়েস্টার এই ধর্মের প্রবক্তা। খ্রিস্টপূর্ব আনুমানিক ১৫০০-৫০০ এর মধ্যবর্তী কোনো এক সময় ছিল জরথুস্ত্রের জীবনকাল। সাসানীয়দের আমলে ধর্মটি ব্যাপকতা লাভ করে। আহুরা মাজদা হলো এই ধর্মের সর্বোচ্চ দেবতা। একেশ্বরবাদী এই ধর্মমতে, মহান জরথুস্ত্র ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত একজন বার্তাবাহক, যিনি মানুষের নিকট ঈশ্বরের বাণী পৌঁছাতেন। জরথুস্ত্র তাঁর অনুসারীদেরকে অনেক দেবতার উপাসনা না করে একক দেবতা আহুরা মাজদার উপাসনার শিক্ষা দেন।
পারস্য সাম্রাজ্যের রাজাগণ ছিলেন ধর্মপ্রাণ জরথুস্ত্রবাদী। কিন্তু তারা অন্যান্য ধর্মের প্রতিও ছিলেন উদার। সাইরাস দ্য গ্রেট নিজে জরথুস্ত্রবাদী হলেও কখনো জোরপূর্বক জনগণের উপর তা চাপিয়ে দেননি। পরবর্তী রাজাগণও এক্ষেত্রে সাইরাসকে অনুসরণ করেছেন। তারাও জনগণকে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। ৬৫১ খ্রিস্টাব্দে আরবদের পারস্য বিজয়ের পর ইসলাম সেখানে বিস্তৃতি লাভ করে এবং পরবর্তীতে প্রধান ধর্ম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
পার্সেপোলিস
পার্সেপোলিস ইরানের দক্ষিণাংশে অবস্থিত ঐতিহাসিক এক নগরী যেটির গোড়াপত্তনকারী সম্রাট দারিয়ুস দ্য গ্রেট। এটি পৃথিবীর সেরা সেরা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানসমূহের একটি। পার্সেপোলিসের অট্টালিকাগুলো সোপানযুক্ত সুবৃহৎ চত্ত্বরে নির্মাণ করা হত। সেই সাথে অট্টালিকার দেয়ালের গায়ে খোদাই করে শৈল্পিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হত। এই পার্সেপোলিস আকামেনীয়দের শিল্প সংস্কৃতিতে অবদান সগৌরবে জানান দেয়। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট এটি পুড়িয়ে দেন। ১৯৭৯ সালে ইউনেস্কো একে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করে। এখনো পার্সেপোলিসের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ পর্যটক এখানে ভিড় জমায়।
শিল্প-সংস্কৃতি
তৎকালীন সময়ে পারস্য ধর্ম, সংস্কৃতি, স্থাপত্যশিল্প, কলা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি প্রভৃতির বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পারসিকরা ধাতবশিল্প, বস্ত্রশিল্প, শৈলস্থাপত্যশিল্প প্রভৃতিতে বিশেষ ব্যুৎপত্তি অর্জন করে। বিশেষ করে পাহাড়ের গায়ে খোদাই করে বিভিন্ন ভাস্কর্য, সমাধিক্ষেত্র নির্মাণ। নাকশে রুস্তম তার জ্বলন্ত প্রমাণ। নাকশে রুস্তম মূলত আকামেনিদ সাম্রাজ্যের রাজাদের জন্য তৈরি করা একটি সমাধিক্ষেত্র, যেটি পার্সেপোলিস থেকে পাঁচ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে বর্তমান ইরানের ফারস প্রদেশে অবস্থিত। সম্রাট দারিয়ুস দ্য গ্রেটের নির্দেশে এটি নির্মিত হয়। এখানে দারিয়ুস দ্য গ্রেট, জারজিস, আর্তাজারজিস এবং দ্বিতীয় দারিয়ুস- এই চারজন সম্রাটের সমাধি রয়েছে।
১৮৭৬-১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে তাজিকিস্তানের অক্সাস নদীর উত্তর উপকূলে আবিস্কৃত হয় ধাতুর তৈরি ১৮০টি মূল্যবান জিনিসপত্র যা অক্সাস ট্রেজার নামে পরিচিত। এতে পাওয়া যায় স্বর্ণ এবং রৌপ্য নির্মিত মুদ্রা, পানপাত্র, মূর্তি, আংটি, ছোট আকৃতির রথ, তলোয়ারের খাপ প্রভৃতি যাদের গায়ে সুন্দর নকশা অঙ্কিত। এসব জিনিসপত্র মূলত আকামেনিদ সাম্রাজ্যের উপাসনালয়ে ব্যবহৃত হত। বর্তমানে এগুলো ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। এগুলো থেকে পারসিকদের ধাতবশিল্পে উৎকর্ষতার প্রমাণ পাওয়া যায়।
শাসন ব্যবস্থা
আকামেনীয়দের শাসন ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত সময়োপযোগী। প্রশাসনিক সুবিধার্থে সাইরাস দ্য গ্রেটের সময়ে পুরো সাম্রাজ্য ছাব্বিশটি এবং দারিয়ুস দ্য গ্রেটের সময়ে ছত্রিশটি প্রদেশে বিভক্ত ছিল। প্রত্যেক প্রদেশ শাসনের জন্য একজন করে গভর্নর নিযুক্ত হতেন। এই গভর্নরদেরকে বলা হত সাত্রাপ। সাত্রাপরা কর আদায়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা প্রভৃতি দায়িত্ব পালন করতেন। এসব কাজের জন্য তারা কেন্দ্রীয় রাজকীয় সচিব, যাকে ‘সম্রাটের চোখ’ বলা হত, তার নিকট জবাবদিহি করতেন।
আকামেনিদ সাম্রাজ্যের পতন
৪৮০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট জারজিসের গ্রিস অভিযানের পর থেকেই সাম্রাজ্য ক্ষয়িষ্ণু হওয়ার পাশাপাশি ব্যয়বহুল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাজকোষ খালি করতে থাকে। এ সময়ই উত্থান ঘটে দিগ্বিজয়ী গ্রিক বীর আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের। সম্রাট তৃতীয় দারিয়ুসের সাথে তার কয়েকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। অবশেষে ৩৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডারের হাতে পতন ঘটে প্রতাপশালী এই সাম্রাজ্যের।
পারস্য সম্পর্কে আরও জানতে পড়ে নিতে পারেন এই বইগুলো:
১) পারস্য ও মধ্য এশিয়ার মুসলমানদের ইতিহাস
২) পারস্য প্রতিভা