টেনিস নিঃসন্দেহে জগতের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। অনেকের মতে, জন্মলগ্ন থেকেই টেনিস ভদ্রলোকদের খেলা। যার ফলে পেশাদার টেনিসে চলমান প্রতিযোগিতাগুলোর বেশিরভাগই শতবর্ষী। পেশাদার টেনিসে ব্যক্তিগত লড়াই এখন সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল। এত এত টুর্নামেন্টের মাঝে পেশাদার টেনিসের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করা ‘এটিপি’ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের টেনিসকেও বাঁচিয়ে রাখতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে, দীর্ঘদিন যাবত সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ‘টেনিসের বিশ্বকাপ’ খ্যাত ডেভিস কাপ টেনিস টুর্নামেন্ট। একাধিকবার টুর্নামেন্টের নিয়মকানুনে পরিবর্তন আসলেও বাণিজ্যিক টেনিসের এই যুগেও জাতীয় পর্যায়ের টেনিস অব্যাহত রেখে নির্দিষ্ট কতগুলো দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দিচ্ছে সংস্থাটি।
ডেভিস কাপ টেনিস টুর্নামেন্টের নিয়মে সর্বশেষ পরিবর্তন আসে গত আসরে। দর্শকদের মাঝে জনপ্রিয়তা বাড়াতে এবং টেনিসকে জাতীয়করণের লক্ষ্যে এই আমূল পরিবর্তন বলে দাবি করছেন ডেভিস কাপ কর্তৃপক্ষ। যদিও চারটি গ্র্যান্ড স্লাম ছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত মাস্টার্স ওপেন নিয়ে কাজ করা স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলো ডেভিস কাপ নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামাতে চায়নি। কারণ, এই টুর্নামেন্ট অপেক্ষা ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতাগুলো তাদের জন্য বেশি লাভজনক।
কয়েক বছর আগে ফুটবল বিশ্বের অন্যতম পরিচিত মুখ এবং কসমস হোল্ডিংসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জেরার্ড পিকে এটিপির সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ক্রীড়াখাতে বিনিয়োগে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে একমত হয়ে ভবিষ্যতে টেনিস প্রচলিত এমন সবক’টা দেশের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ডেভিস কাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গতবছরের নভেম্বরে আয়োজিত টুর্নামেন্টে ২০১১ সালের পর প্রথম কোনো স্বাগতিক দেশ হিসেবে শিরোপা জেতে স্পেন। ফাইনালে কানাডাকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে রাফায়েল নাদাল-রবার্তো বাতিস্তারা।
যদিও নতুন নিয়মে আয়োজিত ডেভিস কাপে জেরার্ড পিকে ও তার প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় প্রকৃতপক্ষে টুর্নামেন্টের সাফলতা ও জনপ্রিয়তায় কতটুক প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে এখন অবধি বিস্তর আলোচনা চলছে সংবাদমহলে। এরই মাঝে পরবর্তী বছরের বাছাইপর্বসহ যাবতীয় সময়সূচীও ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সেই হিসেবে পুরনো নিয়মের সঙ্গে নতুন নিয়মের পার্থক্য নিয়ে আলোচনার সময় এসেছে। গতবারের সফলতা ও ব্যর্থতার সঙ্গে অতীতের আয়োজনের তুলনা করলে হয়তো বোঝা যাবে, ভবিষ্যতে কেমন পরিবর্তন আনতে হবে এই টুর্নামেন্টে। অন্যথায়, জাতীয়করণের বদলে শুধুমাত্র বাণিজ্যিকীকরণই হবে ডেভিস কাপে। আর এই সবগুলো বিষয় নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা।
ডেভিস কাপের ইতিহাস
শতবর্ষী টুর্নামেন্টগুলোর মধ্যে ডেভিস কাপ অন্যতম। ১৯০০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ছাত্র ডুইট ফেলি ডেভিস সর্বপ্রথম এই টুর্নামেন্টের ধারণা দেন। তার প্রস্তাব অনুসারে একই বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও গ্রেট ব্রিটেনের মধ্যে একটি টেনিস টুর্নামেন্টের প্রচলন শুরু হয়। তখন এর নাম ছিলো ইন্টারন্যাশনাল লন টেনিস ট্রফি। প্রথমদিকে এই প্রতিযোগিতা মাত্র ৩ দিনে শেষ করা হতো। প্রথম ও তৃতীয় দিন দুটি একক ম্যাচ এবং দ্বিতীয় দিন দ্বৈত পর্বের ম্যাচের মধ্যদিয়ে ফলাফল নিশ্চিত করা হতো।
মাত্র দু’টি দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শুরু হওয়া ডেভিস কাপের বাছাই পর্বে বর্তমান ওপেন টেনিসের যুগে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা ১৪০ ছাড়িয়েছে। গত বছর নতুন নিয়ম শুরুর আগ পর্যন্ত মূল পর্বে ১৬টি দেশ অংশগ্রহণ করতো। এছাড়াও এই প্রতিযোগিতায় সর্বাধিকবার ফাইনাল খেলে সর্বোচ্ছ শিরোপাজয়ী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২৯ বারের রানার-আপ দেশটির শিরোপা সংখ্যা ৩২টি। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৪৭ বার ফাইনাল খেলে ২৮টি শিরোপার বিপরীতে পরাজিত হয়েছে ১৯ বার। যদিও ওপেন টেনিসের যুগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডেভিস কাপের শিরোপা জিতেছে মাত্র ৯ বার। ৭টি শিরোপা নিয়ে তাদের পরেই সুইডেনের অবস্থান।
নতুন সংস্করণে ডেভিস কাপ
২০১৯ সালে নতুন সংস্করণে অনুষ্ঠিত হয় ডেভিস কাপের ১১৯তম আসর। তখন আয়োজকরা এটিকে টুর্নামেন্টের সর্বাধুনিক সংস্করণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। সেই সাথে ভবিষ্যতেও এই নিয়মে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষনা দেন। প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণকারী দলগুলো একই ভেন্যুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পায়। আর এই ম্যাচগুলো একযোগে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল বিশ্বের ১৭০টি দেশে।
নতুন নিয়মে মূলপর্বে অংশগ্রহণকারী ১৮টি দেশকে ৬টি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। গ্রুপ পর্ব শেষে প্রতিটি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দল এবং পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় অবস্থান অর্জন করা শীর্ষ ২টি দল সহ মোট ৮টি দল নক আউট পর্বে কোয়ালিফাই করে। মাত্র ১ সপ্তাহের মধ্যে টুর্নামেন্ট সম্পন্ন করা গেলে প্রথম সারির টেনিস তারকাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাবে বলে ধারণা করেন আয়োজকরা। সর্বোপরি নতুন সংস্করণের প্রথম আসরে রাফায়েল নাদাল, নোভাক জোকোভিচ, অ্যান্ডি মারে সহ সর্বমোট ৯০ জন টেনিস তারকা অংশগ্রহণ করেন।
আয়োজকদের দেয়া তথ্যমতে, টুর্নামেন্ট শুরুর পূর্বেই প্রায় ১ লক্ষ টিকিট বিক্রি হয়েছিল। পাশাপাশি মাদ্রিদের কাহা ম্যাহিকা টেনিস অ্যারেনায় ৭০০ জন সাংবাদিকের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। সবকিছুর মতো টুর্নামেন্টের প্রাইজমানিও বৃদ্ধি করে কর্তৃপক্ষ। গতবার সব মিলিয়ে ২০ মিলিয়ন ডলারের অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও দর্শকদের জন্য বিভিন্ন ধরণের বিনোদনের ব্যবস্থা করেছিল কর্তৃপক্ষ। ম্যাচ শুরু আগে ও পরে বিশ্ববিখ্যাত সংগীতশিল্পীদের গানে মুখরিত ছিল গোটা কাহা ম্যাহিকা টেনিস অ্যারেনা। তাদের মধ্যে জেরার্ড পিকের বান্ধবী, কলম্বিয়ান গায়িকা শাকিরাও ছিলেন।
নতুন নিয়মে পুরনো আমেজ
নতুন নিয়মে প্রথমবার অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে তারকা খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের পর্যাপ্ত সুযোগ ছিল। প্রতিবার দীর্ঘমেয়াদী টুর্নামেন্টের কারণে দর্শকদের ভ্রমণ ব্যয় বেড়ে যেত, যা গতবার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছিল। যদিও ভবিষ্যতে দর্শকদের যাবতীয় ব্যয় আরও কমানোর জন্য নতুন পরিকল্পনার কথা জানান জেরার্ড পিকে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে নাটকীয়তার কমতি ছিল না এই টুর্নামেন্টে।
কাহা ম্যাহিকায় দলীয় ও একক রাউন্ডের ৮টি ম্যাচের সবক’টাতেই জয়লাভ করেন নাদাল। এতে করে কোনো ম্যাচে পরাজয় ছাড়াই শিরোপা ঘরে তোলে স্বাগতিক স্পেন। নাদালের পাশাপাশি এই টুর্নামেন্টে স্পটলাইটে ছিলেন নোভাক জোকোভিচ। কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়ার বিপক্ষে অসাধারণ পারফরম্যান্স উপহার দিয়েও বিদায় নেয় তার দল সার্বিয়া। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদসম্মেলনে জোকোভিচের দ্বৈত সঙ্গী ভিক্টোর ত্রয়স্কি কেঁদে ফেলেন।
সাবেক এক নম্বর তারকা অ্যান্ডি মারে অবশ্য দর্শক সারিতে বসেই স্পেনের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচে গ্রেট ব্রিটেনকে সমর্থন দেন। ব্রিটেনের হয়ে তার বড় ভাই জেমি মারের সঙ্গী ছিলেন নীল স্কুপস্কি। অপরদিকে, নাদালকে সঙ্গ দেন ফেলিসিয়ানো লোপেজ। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে নাদালের পারফরম্যান্সের কল্যাণে ফাইনাল নিশ্চিত করে স্পেন। এছাড়াও পিতার মৃত্যুর তিনদিন পর কানাডার বিপক্ষে একক রাউন্ডে জেতার পর উপস্থিত দর্শকদের করতালিতে অশ্রুসিক্ত হন স্পেনের রবার্তো বাতিস্তা।
বেশিরভাগ ম্যাচেই দর্শকশূন্যতা
স্বাগতিক দেশ হওয়ার সুবাদে স্পেনের ম্যাচগুলোতে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। প্ল্যাকার্ড নিয়ে পতাকা হাতে খেলোয়াড়দের নাম সম্বলিত পোশাক পরে কাহা ম্যাহিকায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করা খেলোয়াড়দের সমর্থন দিতে প্রায় সবগুলো ম্যাচেই উপস্থিত হতেন সমর্থকরা। অতঃপর, দীর্ঘ ৮ বছর পর ডেভিস কাপের জয় উদযাপনও ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু এই দৃশ্য দেখা যায়নি অন্য সব দেশের ম্যাচের ক্ষেত্রে। এমনকি, ফাইনালের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগেই দর্শকদের অধিংকাংশই চলে যান।
টেনিস ফেডারেশন কর্তৃক বাড়তি সুবিধা পাওয়া কাজাখস্তান, কানাডা ও গ্রেট ব্রিটেনের ম্যাচেও মোটামুটি দর্শক সমাগম হয়েছিল। কিন্তু বাকি সব দেশের ম্যাচে মোট আসনের অর্ধেকও পূর্ণ হয়নি। এমনকি সাপ্তাহিক শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে অগণিত লাল চেয়ার ফাঁকা পড়ে ছিল। লন টেনিস অ্যাসোসিয়েশান (LTA) দর্শক সমাগম বাড়ানোর জন্য সেমিফাইনাল ম্যাচে গ্রেট ব্রিটেনকে ৮৭৫টি টিকিট বিনামূল্যে প্রদান করে। আর এই টিকিটগুলোর মূল্য প্রায় ৬০,০০০ ইউরো।
ভবিষ্যতে যেসব পরিবর্তন প্রয়োজন
চালু হওয়া নতুন নিয়মের ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় দিকই এখন স্পষ্ট। এটিপি, এলটিএ এবং ডেভিস কাপ কর্তৃপক্ষ সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একমত হয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। অন্তত বাণিজ্যিক টেনিসের এই যুগে জাতীয় পর্যায়ের টেনিসকে বাঁচিয়ে রাখতে এমনটা করতেই হতো। কিন্তু ক্রীড়াজগতে সবকিছুর মূলে রয়েছে দর্শক। আর এই দর্শকদের যদি টেনিস অ্যারেনায় ফেরানো না যায় তবে বিলিয়ন ডলার খরচ করে জমকালো আয়োজনেরও কোনো ফলাফল থাকে না।
সন্ধ্যাকালীন অধিকাংশ ম্যাচ শেষ হতে ভোরবেলা পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলেন সমর্থকরা, যা বড় রকমের অসুবিধা বলা যায়। শীতের মৌসুমে এমনটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। এমন সময়সূচীর কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন আয়োজকরা। এর পরই রয়েছে দর্শকস্বল্পতা। সেমিফাইনালে ফ্রি টিকিট পাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গ্রেট ব্রিটেনের দলনেতা লিওন স্মিথ সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেন। তিনি মনে করেন, মূলপর্বে অংশগ্রহণকারী ১৮টি দেশের টেনিস ফেডারেশনের উচিত দর্শকদের উপস্থিতি নিয়ে কাজ করা। অন্যথায়, এর সমাধান করা কখনোই সম্ভব হবে না।
অবিক্রিত টিকিটগুলো স্কুল ছাত্রদের মাঝে বিতরণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ব্রিটিশ তারকা জেমি মারে। ২০ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী সুইস কিংবদন্তি রজার ফেদেরার অবশ্য নতুন সংস্করণের সমালোচনা করেন। টুর্নামেন্ট শুরুর পূর্বে গত নভেম্বরে তিনি এটিকে ‘পিকে কাপ’ হিসেবে উল্লেখ করে কটাক্ষ করেন। সেই সাথে আমন্ত্রণ পেয়েও টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেননি ফেদেরার।
সচেতন মহলে অবশ্য এই টুর্নামেন্টের প্রাইজমানির পরিমান নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা হিসেবে শুধুমাত্র ২০ মিলিয়ন ডলার খুবই সামান্য বলে মন্তব্য করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। যেখানে বছরের চারটি গ্র্যান্ড স্লামের গড় প্রাইজমানি ৩০ মিলিয়নের উপরে, সেখানে ডেভিস কাপের প্রাইজমানি ২০ মিলিয়ন ডলার সত্যিই বেমানান। আর এই অর্থ পুরস্কারের পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছেন কয়েকজন সাবেক খেলোয়াড়।
প্রাইজমানি বাড়ানো গেলে তারকা খেলোয়াড় ও বিভিন্ন দেশের টেনিস ফেডারেশন টুর্নামেন্টের প্রতি আরও আগ্রহী হবে। টুর্নামেন্ট শেষে জেরার্ড পিকে অবশ্য এটিপির সঙ্গে আবারও বসবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয়, ‘টেনিসের বিশ্বকাপ’ খ্যাত ডেভিস কাপ স্বরূপে ফেরে কি না। অন্যথায়, ডেভিস কাপের এই আয়োজনকে জাতীয়করণের বদলে একেবারে ধ্বংস করে দিতে পারে এই কথিত নতুন সংস্করণটি।