২০২১-২২ লা লিগা মৌসুম শুরু হলো মাত্রই। গত মৌসুমের লা লিগা ছিল খুবই প্রতিযোগিতাপূর্ণ, বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ আশানুরূপ পারফরমেন্স উপহার দিতে ব্যর্থ হওয়ায় শেষ হাসি হাসে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। যদিও একে অপরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ অন্যান্যবারের মতো ধারাবাহিক পারফর্ম করতে ব্যর্থ হয়েছিল, তাদের কিছু ফুটবলার এর মধ্যেও জ্বলে উঠতে সফল হয়েছে।
আজকের লেখায় আমরা ২০২০-২১ মৌসুমের লা লিগার ডেটার উপর ভিত্তি করে জানার চেষ্টা করব, গেল মৌসুমের সেরা উঠতি মিডফিল্ডাররা কারা ছিল এবং কোন মিডফিল্ডাররা ভবিষ্যতে একটা উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারে।
বিশ্লেষণ শুরু করার আগে কিছু কথা বলে নেয়া যাক। এই তালিকায় লা লিগার শুধু অনূর্ধ্ব-২৩ মিডফিল্ডারদের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হলেও অন্তত ৫০০ মিনিট খেলেছে এমন অনুর্ধ্ব-২৩ মিডফিল্ডারদের সংখ্যা খুবই নগণ্য হওয়ায় বাধ্য হয়ে অনুর্ধ্ব-২৪ মিডফিল্ডারদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, বিশ্লেষণে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারদের বাদ দিয়ে শুধু সেন্টার মিডফিল্ডার ও ওয়াইড মিডফিল্ডারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই বিশ্লেষণে আমরা প্রথমে যে গ্রাফ দেখব, তাতে মিডফিল্ডারদের অ্যাটাকিং আউটপুটের উপর ভিত্তি করে তাদের সাজানো হয়েছে। অ্যাটাকিং আউটপুট বিচার করার জন্য চারটা ফ্যাক্টর এখানে ধরা হয়েছে: প্রতি ৯০ মিনিটে সাকসেসফুল অ্যাটাকিং অ্যাকশন, শট, অফেন্সিভ ডুয়েল এবং প্রত্যাশিত গোলের হার (xG)।
গ্রাফের ডানদিকে সবার উপরে যারা রয়েছেন, তারা সবচেয়ে আক্রমণাত্মক। সেই অনুযায়ী, বার্সার ইলাইশ মোরিবা গত মৌসুমে লা লিগার মিডফিল্ডারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার ছিলেন। প্রতি ৯০ মিনিটে তার অফেন্সিভ ডুয়েল ১১.৯২ সংখ্যক, শট সংখ্যা ১.৯৯, সাকসেসফুল অ্যাটাকিং অ্যাকশনের সংখ্যা ৩.৩৬ এবং প্রত্যাশিত গোলের হার (xG) ০.৩৪ — যা অন্য যেকোনো মিডফিল্ডারের চেয়ে বেশি।
তবে, এখানে আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করতে হবে। সেটা হচ্ছে, ইলাইশ মোরিবা লা লিগায় গেল মৌসুমে মাত্র ৫৮৯ মিনিট খেলেছেন। গ্রাফের আরেকজন আক্রমণাত্মক স্বভাবের মিডফিল্ডার কার্লেস এলেনা — যার প্রতি ৯০ মিনিটে অফেন্সিভ ডুয়েল ৭.১৪, শটের সংখ্যা ১.৭৪, অ্যাটাকিং অ্যাকশনের সংখ্যা ২.৬৪ ও প্রত্যাশিত গোলের হার (xG) ০.১৪। অন্যান্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রিয়াল মাদ্রিদের ফেডেরিকো ভালভার্দে (৫.২৭, ১.৪৬, ২.৬৭ ও ০.১৭), এডু এক্সপোসিতো (৬.৫৬, ১.৩৪, ২.৫১ ও ০.১১) ও মিকেল মেরিনো (৭.৯৭, ১.২৬, ২.৫৩ ও ০.২১)।
দ্বিতীয় গ্রাফটি তৈরি করা হয়েছে প্রতি ৯০ মিনিটে ফাইনাল থার্ডে উপস্থিতি, ত্বরণ (Acceleration) ও বক্সের ভিতরে টাচের উপর ভিত্তি করে।
এখানে যারা উপরের সারিতে রয়েছেন, তারা বল পায়ে দৌড়ানো এবং পেনাল্টি এরিয়াতে বল স্পর্শের দিক থেকে এগিয়ে। পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে, রিয়াল মাদ্রিদের ভালভার্দে (প্রতি ৯০ মিনিটে ১.৭৮ বার অ্যাক্সিলারেশন ও ডি-বক্সে ১.৯১ বার বল টাচ) ও বার্সার ডি ইয়ং (প্রতি ৯০ মিনিটে ১.৭৪ বার অ্যাক্সিলারেশন ও ডি-বক্সে ২.১২ বার বল টাচ) এখানকার স্ট্যান্ডআউট পারফর্মার। এছাড়া পেদ্রি (১.২৪ ও ২.৪৫) ও মোরিবাও (১.০৭ ও ২.৯) দারুণ করেছেন। বার্সা ছেড়ে গেটাফে যাওয়া এলেনাও এখানে ইম্প্রেসিভ, তবে সেটা তার বল পায়ে করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অসাধারণ ক্ষমতার জন্য, অফ দ্য বল মুভমেন্ট কিংবা ফাইনাল থার্ডে বল টাচের জন্য নয়।
তৃতীয় গ্রাফে আমরা মিডফিল্ডারদের ক্রিয়েটিভিটি দেখব, যা প্রতি ৯০ মিনিটে কী-পাস, ডিপ কমপ্লিশনস (নন-ক্রস পাস, যা প্রতিপক্ষের গোলের ২০ মিটারের মধ্যে থাকা কাউকে টার্গেট করে দেওয়া হয়) ও প্রত্যাশিত অ্যাসিস্টের হারের (xA) উপর ভিত্তি করে বানানো।
আবারও, ডানদিকে সবচেয়ে উপরে যারা রয়েছেন, তারা এখানকার স্ট্যান্ডআউট পারফর্মার। প্রতি ৯০ মিনিটে ২.০২ ডিপ কমপ্লিশন, ০.৪৬ কী-পাস ও ০.১ প্রত্যাশিত অ্যাসিস্টের হার (xA) নিয়ে পেদ্রি এখানে ডানদিকে সবার উপরে রয়েছেন। যদিও অ্যাসিস্ট করার মতো রোলে ছিলেন না, বরং প্রতিপক্ষের ডিফেন্সিভ ব্লক ভাঙায় তিনি ছিলেন অনন্য। ডি ইয়ং (১.৩৭, ০.৫১, ০.১)-এর ক্ষেত্রেও ঠিক একই কথা প্রযোজ্য।
তবে, রিয়াল সোসিয়েদাদের মিকেল মেরিনো এখানে নতুন মুখ। ২৪ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের প্রতি ৯০ মিনিটে ১.৩ ডিপ কমপ্লিশন, ০.৪৩ কী-পাস, ০.০৮ প্রত্যাশিত অ্যাসিস্টের হার (xA) মুগ্ধ করার মতো। উল্লেখযোগ্য অন্যান্যরা হলেন এলেনা, ভালভার্দে, এক্সপোসিতো, মোরিবা ও কিকে পেরেজ।
চতুর্থ গ্রাফে মিডফিল্ডারদের ডিফেন্সিভ আউটপুট দেখানো হয়েছে। গ্রাফটি তৈরি করা হয়েছে প্রতি ৯০ মিনিটে পজেশন অ্যাডজাস্টেড (Padj) ডিফেন্সিভ ডুয়েল ও সফল ডিফেন্সিভ অ্যাকশনের উপর ভিত্তি করে। প্রথম ফ্যাক্টরটা দ্বারা একজন ডিফেন্ডার প্রতিপক্ষের সাথে কতবার চ্যালেঞ্জে অংশ নেয়, তা বোঝানো হয়েছে এবং দ্বিতীয় ফ্যাক্টর দ্বারা সব ডিফেন্সিভ অ্যাকশন (যেমন ডুয়েল, ইন্টারসেপশন, রিকভারি ও শট ব্লক) বোঝানো হয়েছে।
প্রথম বিভাগের ফুটবলে একেবারে নতুন হওয়া সত্ত্বেও বার্সেলোনার পেদ্রি (প্রতি ৯০ মিনিটে ৯.৮৬ ডিফেন্সিভ ডুয়েল ও ১১.৬৩ সফল ডিফেন্সিভ অ্যাকশন) ও মোরিবা (১১.১৭ ও ৮.৭৩) এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। রিয়াল সোসিয়েদাদের মেরিনো (৯.৩২, ১০.৯৪) ও মার্টিন জুবিমেন্ডি (৮.৬৩, ১১.৫১) তাদের পরই অবস্থান করছেন। উল্লেখযোগ্য অন্যান্যরা হলেন — এন্ডার গুয়েভারা, ফেডে সান এমেটেরিও ও ফ্রান বাল্ট্রান।
পঞ্চম গ্রাফে মিডফিল্ডারদের প্রেস রেজিস্ট্যান্স দেখানো হয়েছে। প্রতি ৯০ মিনিটে প্রেসারে থাকাকালীন থ্রু-পাস ও সফল ড্রিবলের উপর ভিত্তি করে গ্রাফটি বানানো হয়েছে। ডানদিকে সবার উপরে থাকা ভালো হলেও একেবারে জরুরি নয়। কিছু মিডফিল্ডার রয়েছেন যারা প্রতিপক্ষের প্রেসকে নষ্ট করার জন্য পাস দেন, আর কিছু মিডফিল্ডার রয়েছেন যারা প্রেসকে নষ্ট করেন ড্রিবল করার মাধ্যমে। দুইটার কম্বিনেশন থাকা আদর্শ ধরা হলেও যেকোনো একটা করার সক্ষমতা থাকলেই কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়।
গ্রাফে দেখা যাচ্ছে ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী মোরিবা সবার থেকে বিশাল মার্জিনে এগিয়ে এবং সবচেয়ে ভালো প্রেস-রেজিস্ট্যান্ট মিডফিল্ডার। প্রতি ৯০ মিনিটে প্রেসে থাকাকালীন তার ১২.৩ পাস ও ২.৭৫ সফল ড্রিবলের ধারেকাছে আর কেউ নেই, তবে তার গেমটাইম কম ছিল সেটাও মাথায় রাখতে হবে। মোরিবা বাদে মেরিনো, এলেনা, পেদ্রি, ডি ইয়ং ও পেরেজরাও বেশ ভালো করেছেন।
কিন্ত, ভালভার্দে ও এক্সপোসিতোর কথা আলাদাভাবে বলতে হয়। তারা দু’জনে ভালো ড্রিবলার, তবে প্রেসে থাকাকালীন অন্যান্যদের মতো তেমন পাস দেন না। অন্যদিকে, গ্রানাডার ইয়াঙ্গেল হেরেরা, সোসিয়াদের গুয়েভারা ও ভ্যালেন্সিয়ার উরোস র্যাকিকের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো। তারা প্রেসে থাকাকালীন প্রচুর পাস খেললেও ড্রিবলিংয়ে তেমন পারদর্শী নন।
যষ্ঠ ও শেষ গ্রাফে মিডফিল্ডারদের প্রোগ্রেসিভনেস দেখানো হয়েছে। প্রতি ৯০ মিনিটে প্রোগ্রেসিভ অ্যাকশন (প্রোগ্রেসিভ পাস+প্রোগ্রেসিভ রান) ও বিপদজনক জায়গাতে দেওয়া পাসের উপর ভিত্তি করে গ্রাফটি তৈরি করা হয়েছে।
ডি ইয়ং পরিষ্কারভাবে এখানে অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে। প্রতি ৯০ মিনিটে বিপদজনক জায়গায় তার পাস ১১.২২ সংখ্যক ও প্রোগ্রেসিভ অ্যাকশন ১১.১১ সংখ্যক। উল্লেখযোগ্য অন্যান্যরা হলেন ভালভার্দে, মেরিনো, কার্লোস সলার, গুয়েভারা ও অ্যাটলেটিক বিলবাওয়ের উনাই ভেঞ্চেডর। আবার এখানে এলেনা অন্য সবার চেয়ে একটু ভিন্ন। সব মিডফিল্ডাররা হয় ডানদিকে উপরে কিংবা বামদিকে নিচে থাকলেও তিনি আছেন ডানপাশে নিচের দিকে। দুই ক্যাটাগরিতেই তিনি গড়পড়তা হলেও মোটের উপরে বেশ নজরকাড়া।
চলুন, এবার গ্রাফগুলোর উপর ভিত্তি করে লা লিগার সেরা তিন উঠতি মিডফিল্ডারদের দেখে নেওয়া যাক। (এই শর্টলিস্টে যারা রয়েছেন, ছবিতে তাদের প্রোফাইলকে পার্সেন্টাইল সিস্টেমে লা লিগার অন্য সব মিডফিল্ডারদের প্রোফাইলের সাথে তুলনা করা হয়েছে।)
ইলাইশ মরিবা
বার্সেলোনা, সেন্টার মিডফিল্ডার, বয়স ১৮ বছর
শর্টলিস্টে ইলাইশ মোরিবাকে রাখাটা অনুমিতই ছিল, কারণ ছয়টি গ্রাফের মধ্যে চারটাতেই তিনি সবার চেয়ে এগিয়ে এবং অন্যান্য অনুর্ধ্ব-২৪ মিডফিল্ডারদের তুলনায় কিছুটা আলাদা প্রোফাইলের। কিন্ত, তার গেমটাইম কম হওয়ায় যে তার স্ট্যাটে যে ধনাত্মক প্রভাব পড়েছে, সেটাও মনে রাখতে হবে।
যাই হোক, কমবয়সী হলেও মোরিবা খুবই প্রেস রেজিস্ট্যান্ট একজন মিডফিল্ডার যে সমানতালে অ্যাটাক ও ডিফেন্সে অবদান রাখতে সক্ষম। বার্সেলোনায় একজন ফিজিক্যাল মিডফিল্ডারের অভাব তিনি অদূর ভবিষ্যতে ভালোভাবেই পূরণ করার ক্ষমতা রাখেন। বর্তমানে বার্সায় তার ভবিষ্যৎ অনেকটাই অনিশ্চিত হলেও এটা বলা যেতেই পারে যে উন্নতির ধারা বজায় রাখতে পারলে তিনি মিডফিল্ডে একজন দারুণ ভরসার জায়গা হয়ে ওঠার সামর্থ্য রাখেন।
ফেডেরিকো ভালভার্দে
রিয়াল মাদ্রিদ, সেন্টার মিডফিল্ডার, বয়স ২২ বছর
যে মিডফিল্ড মদরিচ, টনি ক্রুস ও ক্যাসেমিরোদের নিয়ে গড়া, সেই মিডফিল্ডে ফেডেরিকো ভালভার্দের মতো একজনের নিজের ছাপ রাখতে পারাটাই আলাদারকম প্রশংসার যোগ্য। মোটামুটি সব ক্যাটেগরিতেই ভালো করায় তাকে শর্টলিস্টে রাখা হয়েছে।
ভালভার্দে খুবই আক্রমণাত্মক একজন মিডফিল্ডার, যার অ্যাটাকিং আউটপুট খুবই উন্নতমানের এবং ফাইনালে থার্ডেও অসাধারণ। কিন্ত একাধারে ওয়াইড মিডফিল্ডার ও ইন্টেরিওর হিসেবে খেলতে পারার সক্ষমতা থাকা তার স্ট্যান্ডআউট ট্রেইট। এটা অনেকটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে অদূর ভবিষ্যতে তিনি রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডের একজন অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠবেন।
পেদ্রি
বার্সেলোনা, সেন্টার মিডফিল্ডার, বয়স ১৮ বছর
পেদ্রির সম্পর্কে মনে হয় না আলাদা করে কিছু বলতে হবে। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই যে ইউরোপের সেরা মিডফিল্ডারদের একজন হয়ে উঠেছেন, তার প্রমাণ গত ইউরোতেও মিলেছে; যেখানে থিয়াগো আলকান্তারা, ফ্যাবিয়ান রুইজ, রদ্রিদের মতো মিডফিল্ডারকে টপকে স্পেনের মিডফিল্ডের একজন নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠেছেন। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে তার ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্সের সুবাদে এবারের ‘গোল্ডেন বয়’ জয়ের দৌড়েও তিনি ‘হট ফেভারিট’।
একাধারে ফাইনাল থার্ডে অসাধারণ, প্রশংসনীয় অ্যাটাকিং আউটপুট, উচ্চমানের প্রেস রেজিস্ট্যান্স, উঁচু ডিফেন্সিভ ওয়ার্করেট, এবং বল প্রোগ্রেশনেও দুর্দান্ত — এককথায় বলতে, পেদ্রি একটি ‘কমপ্লিট প্যাকেজ’-এর নাম। আর বয়সটা যদি হিসেবে আনেন, তাকে ভবিষ্যতে ‘গেমচেঞ্জিং’ কোনো খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হতে দেখার স্বপ্নটা তো দেখাই যায়!
উল্লেখযোগ্য অন্যান্যরা
ডি ইয়ং
বার্সেলোনা, সেন্টার মিডফিল্ডার, ২৪ বছর বয়স
উল্লেখযোগ্য অন্যান্যদের মধ্যে ডি ইয়ং খুব সহজেই সেরা তিনে ঢুকতে পারতেন। কিন্ত ইতোমধ্যেই তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত মিডফিল্ডার ও তার বয়সও ২৪। তাই, তাকে উঠতি তারকাদের মধ্যে রাখাটা কিছুটা অসম্মানজনকই হতো বৈকি।
মিকেল মেরিনো
রিয়াল সোসিয়েদাদ, সেন্টার মিডফিল্ডার, ২৪ বছর বয়স
এই বিশ্লেষণের আরেকজন দারুণ ‘ফাইন্ডিং’ ২৪ বছর বয়সী এই মিকেল মেরিনো। অন্যান্যদের মতো সব ক্যাটাগরিতে ভালো না করলেও ছয়টির মধ্যে চারটিতেই যথেষ্ট ভালো করেছেন।
তার অ্যাটাকিং আউটপুট তেমন বেশি না হলেও কাজ চালানোর মতো, সাথে যোগ করতে পারেন ক্রিয়েটিভ, প্রোগ্রেসিভ ও প্রেস রেজিস্ট্যান্টের মতো বৈশিষ্ট্যগুলোও। তার ডিফেন্সিভ ওয়ার্করেটও প্রশংসনীয়, এবং গ্রাফের ডিফেন্সিভলি স্ট্যান্ডআউট পারফর্মারদের একজন।
কার্লেস এলেনা
গেটাফে, সেন্টার মিডফিল্ডার, ২৩ বছর বয়স
এই বিশ্লেষণের শেষ নামটা কার্লেস এলেনা। তার পরিস্থিতি কিছুটা অদ্ভুত, কেননা অনেকগুলো ক্যাটাগরিতে গ্রাফে অন্যান্য সবার চেয়ে আলাদা জায়গায় ছিলেন। তাই তাকে ‘অনন্য’ বলা গেলেও সব মিলিয়ে ‘দারুণ প্রশংসনীয়’ কিছু প্রমাণ করা যাচ্ছে না।
তবুও এলেনা একজন আক্রমণাত্মক ভঙ্গির একজন ক্রিয়েটিভ মিডফিল্ডার, যিনি একাধারে ক্রিস্প পাসিং ও প্যাটার্ন-ব্রেকিং পাসিংয়ে দক্ষ। প্রেস রেজিস্ট্যান্সের দিক থেকেও তিনি বেশ ভালো পারফর্ম করেছেন, বল পায়ে দৌড়ানোতেও বেশ স্বতঃস্ফূর্ত। কাগজ-কলমে একজন এলিট মিডফিল্ডার হওয়ার সব গুণাবলিই তার রয়েছে, আর বয়সটাও পক্ষেই কথা বলছে। এখন বাকিটা তো সময়ই বলে দেবে!