ফ্রান্স বনাম বেলজিয়াম: ফাইনালের আগে ফাইনাল

এই বিশ্বকাপকে যদি মাত্র একটি শব্দে উপস্থাপন করতে বলা হয়, তাহলে কী বলবেন? জানি, অধিকাংশের জবাব হবে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’। শুধু কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত হওয়া ম্যাচগুলোকে বিচার করলেই দেখা যাবে, ইতিহাসের নাটকীয়তম বিশ্বকাপগুলোর একটি এটি। সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য ফুটবল বিধাতা কী নাটকের পসরা সাজিয়ে রেখেছেন, কে জানে!

আজকে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী দুটি দল, ফ্রান্স এবং বেলজিয়াম। ৩২ দল নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রতিযোগিতার, এখন বাকি আছে আর চারটি। এই চার দলের মধ্যে শক্তির বিচারে ক্রোয়েশিয়া-ইংল্যান্ডের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে ফ্রান্স-বেলজিয়াম। এই দুই দলের ফাইনাল হলেই তা কেবল এই টুর্নামেন্টের জন্য সুবিচার হতো। কিন্তু ফাইনালের আগেই যখন ফাইনাল আমাদের সামনে হাজির, তখন ফুটবল বিশ্ব আরেকটি জমজমাট গোল উৎসব আশা করতেই পারে।

আজ সেইন্ট পিটসবার্গে ইতিহাসের সাক্ষী হতে নামবে ফুটবল বিশ্বের দুই গর্বিত জাতির দুই সোনালি প্রজন্ম। সামর্থ্যের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়েই ফাইনালের টিকেট কাটতে হবে তাদের।

দুই সোনালি প্রজন্ম এবং দুজন ‘আন্ডাররেটেড’ কোচ

বিশ্বকাপ শুরু আগে যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করা হতো, বেলজিয়াম এবং ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা কতটুকু? অধিকাংশের জবাবটা এমন হতো, ‘দুই দলই খাতায় কলমে অনেক শক্তিশালী, কিন্তু কোচ দুর্বল, তাই বেশিদূর যেতে পারবে না।’

বিশ্বকাপের আগে তাদের ট্যাকটিস নিয়ে ভীষণ সমালোচনা হলেও বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর সমালোচকদের মুখে কুলুপ এঁটে দিতে শুরু করলেন রবার্তো মার্টিনেজ ও দিদিয়ের দেশম। ব্রাজিলের সাথে বেলজিয়ামের কোয়ার্টার ফাইনাল জয়ের মূলে ছিল রবার্তো মার্টিনেজের টেকনিক্যাল মাস্টারক্লাস। বেলজিয়ান শিবিরের সবচেয়ে তারকা, ইডেন হ্যাজার্ড অবশ্য কোচের কৃতিত্ব দেখছেন আরো একটি জায়গায়। খেলোয়াড়দের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপনে।

“আমার মনে হয় তিনি আমাদের সম্ভাবনার উপর দল সাজিয়েছেন। এই দল বলতে গেলে গত সাত-আট বছর ধরেই একসাথে খেলে আসছে। আর তিনি আমাদের আরো ভালোভাবে একত্র করেছেন, আমাদের মধ্যে এই বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছেন যে ‘আমরাও জিততে পারি’। হয়তো গত দুই চ্যাম্পিয়নশিপে (গত বিশ্বকাপ এবং ইউরো) অনেকের মধ্যে এই বিশ্বাসটা ছিল না।”

ব্রাজিল ম্যাচের মধ্য দিয়েই সব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন রবার্তো মার্টিনেজ; Image Source: Fox Sports

দিদিয়ের দেশম তার সামর্থ্যের প্রমাণ আগেও দিয়েছেন। গত বিশ্বকাপে দলকে খেলিয়েছেন কোয়ার্টার ফাইনাল, ইউরোতে দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন ফাইনাল পর্যন্ত। কিন্তু সমালোচকদের অভিযোগ, ফরাসি ড্রেসিং রুমে প্রতিভার খনি থাকা সত্ত্বেও মাঠে তারা খুনে ফুটবল উপহার দিতে পারছে না। যার দায়ভার স্বাভাবিকভাবেই গিয়ে পড়ছে ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি অধিনায়ক দিদিয়ের দেশমের উপর। খেলার ধরন না, ফুটবলে দিনশেষে ফলাফলটাই মুখ্য। আজকে হয়তো সেটারই আবার প্রমাণ দিতে হবে দেশমকে।

দুই দলকে শক্তির দাঁড়িপাল্লায় বসালে পাল্লা কারো দিকেই ঝুঁকবে না। দু’দলের ড্রেসিংরুমই তারকা খেলোয়াড় ও গেমচেঞ্জারে ঠাসা। কিন্তু দলীয় বোঝাপড়া ও কম্বিনেশনের কথা বলতে চাইলে এগিয়ে থাকবে বেলজিয়াম। বেলজিয়ামের বর্তমান প্রজন্মের দলটি প্রায় ছয়-সাত বছর ধরে একসাথে খেলে আসছে। গত বিশ্বকাপ, গত ইউরোতে যেই দল খেলেছে, বলতে গেলে একই দল খেলছে এবারের বিশ্বকাপে। আগের দুই আসরের তুলনায় হ্যাজার্ড, লুকাকু, ডি ব্রুইনরা যে অনেক বেশি পরিণত হয়েছেন, তার সাক্ষ্য দিচ্ছে মাঠের ফুটবলই।

বেলজিয়ামের ‘গোল্ডেন জেনারেশন’; Image Source: FIFA World Cup 2018

ফরাসি অধিনায়ক হুগো লরিসের মুখেই শুনুন বেলজিয়ানদের বন্দনা-

“তারা খুবই পরিপূর্ণ একটি দল। আমার মতে এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে পরিপূর্ণ দল বেলজিয়াম, তারা জানে কীভাবে আক্রমণে যেতে হয়, কীভাবে রক্ষণ সাজাতে হয়। তারা সবদিক দিয়েই শক্তিশালী। একটি মহান দল হওয়ার জন্য যা যা দরকার, সব তাদের আছে এবং তারা নিঃসন্দেহে একটি মহান দল।”

ফরাসি শিবিরের কথা বলতে গেলে, তাদের এই প্রজন্ম তর্ক-সাপেক্ষে ফ্রান্সের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে প্রতিভাবান প্রজন্ম। বলা হয়ে থাকে, তাদের দেশে রেখে আসা খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি দল গড়লেও তা বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলার যোগ্যতা রাখবে। এখানেই আসলে ফ্রান্সের সমস্যা। প্রতিভার আধিক্য ও এর সাথে কোচের মানিয়ে নিতে না পারা। বিশ্বকাপের দল নির্বাচনে যেমন কোচের হিমশিম খেতে হয়েছিল, তেমনি বিশ্বকাপ শুরুর পর দলের ফর্মেশন সাজাতেও মধুর সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাকে। কাকে রেখে কাকে খেলাবেন! নির্দিষ্ট কোনো খেলার স্টাইলও প্রদর্শন করতে পারেনি এই ফরাসি দল। অনেকেই তাই বলছেন, তারকাঠাসা এই ফরাসি দল ‘আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে’ ভুগছে। গ্রুপ পর্বে দায়সারা খেললেও ফলাফল নিয়ে মাঠ ছাড়া ফ্রান্সের চেহারা অবশ্য বদলে গিয়েছে নকআউট পর্ব শুরুর সাথে সাথেই। আর্জেন্টিনার সাথে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে দেশম রণকৌশল সাজিয়েছিলেন এমবাপেদের ক্ষিপ্রগতির উপর ভরসা রেখে। কাউন্টার অ্যাটাকে খেলা ফ্রান্স সেদিন আর্জেন্টিনার জালে জড়িয়েছিল চারটি গোল। কিন্তু পরের ম্যাচেই আবার উরুগুয়ের দেয়ালসম ডিফেন্স আটকে দিয়েছিল ফ্রান্সের সব কাউন্টার। বেলজিয়াম যদি আজকে তিন ডিফেন্ডার নিয়ে মাঠে নামে, তাহলে মোটামুটি নিশ্চয়তা দিয়েই বলা যায় ফ্রান্স কাউন্টার অ্যাটাকেই কাবু করতে চাইবে বেলজিয়াম শিবিরকে।

আজকে হারলে আবার সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হবেন ফরাসি কোচ; Image Source: The Guardian Nigeria

টিম নিউজ

আজকের ম্যাচেও খুব সম্ভবত ফ্রান্স পরিচিত ৪-২-৩-২ ফর্মেশনেই মাঠে নামবে। তবে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই ধুকতে থাকা সেন্টার ফরওয়ার্ড অলিভিয়ের জিরুডের পরিবর্তে আজকে দলে ফিরতে পারেন বার্সেলোনা উইংগার ওসমান ডেম্বেলে। সেক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে পারে ফর্মেশনেও।

এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পার করে আজকে আবার দলে ফিরবেন মাতুইদি, এবং খুব সম্ভবত তলিসোর স্থলাভিসিক্ত হবেন। তলিসো মূলত একজন ক্রিয়েটিভ মিডফিল্ডার। তিনি মধ্যমাঠে উপহার দেন বাড়তি সৃজনশীলতা। অপরদিকে মাতুইদি একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, রক্ষণভাগে আলাদা শক্তি প্রদান করাই তার দায়িত্ব। লুকাকু, হ্যাজার্ডকে আটকাতে হলে ফ্রান্সের দরকার আরো জমাট রক্ষণভাগ। সুতরাং ধরে নেয়া যায়, শুরুর একাদশেই ফিরছেন মাতুইদি।

আজকের ম্যাচটি মূলত টুর্নামেন্টের দুই সেরা আক্রমণভাগের লড়াই। দু’দলের আক্রমণভাগের তুলনা করলে বেলজিয়ামকেই এগিয়ে রাখতে হবে। ৫ ম্যাচে মোট ১৪ গোল করা বেলজিয়ামের গোল-রথ আটকানোর গুরুদায়িত্ব বর্তাবে চেলসি মিডফিল্ডার অ্যাংগোলো কান্তে ও দুই সেন্টার ব্যাক রাফায়েল ভারান ও স্যামুয়েল উমতিতির উপর। যথারীতি দুই সেন্টার ব্যাকের সহায়তায় থাকবেন দুই ফুলব্যাক লুকাস হার্নান্দেজ ও বেনজামিন পাভার্ড। 

আক্রমণভাগে ফ্রান্সের পারফর্মেন্স সন্তোষজনক। আর্জেন্টিনার সাথে জোড়া গোল দিয়ে সবার নজর কেড়েছেন পিএসজির তরুণ স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে। আজকে রাতেও সবার নজর থাকবে ১৯ বছর বয়সী এই ‘ওয়ান্ডার কিড’-এর দিকে।

ফ্রান্সের জন্য আরেকটি স্বস্তির বিষয় হচ্ছে সময়মত আঁতোয়ান গ্রিজমানের ফর্মে ফেরা। গত মৌসুমে ইউরোপাজয়ী এই স্ট্রাইকার বলতে গেলে একাই হারিয়েছেন উরুগুয়েকে। একটি গোল করেছেন, একটি করিয়েছেন। তারকা খেলোয়াড়দের বৈশিষ্ট্যই এটা, তারা সময়মত জ্বলে উঠেন। যদি ফরাসি দল এবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হতে চায়, তাহলে তাদের দরকার জিনেদিন জিদানের মতো একজন গেম চেঞ্জার। খর্বশক্তির অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে নিয়ে দু’বার চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলা গ্রিজমান গত ইউরোতেও দিয়েছেন তার সামর্থ্যের প্রমাণ। সেবারে গোল্ডেন বুটজয়ী গ্রিজমান বড় টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ ও ইউরো) তার সর্বশেষ ৬ নকআউট ম্যাচে করেছেন ৭ গোল। বোঝাই যাচ্ছে। দলের প্রয়োজনে সময়মত জ্বলে উঠেন গ্রিজমান। তবে তিনি কি পারবেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মঞ্চে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলকে এগিয়ে নিতে। পারবেন কিংবদন্তি জিদানের পাশে দাঁড়াতে? জবাব মিলবে আজকে রাতেই।

গ্রিজমান ছন্দে ফিরুক, এটাই চাইবে পুরো ফরাসি শিবির; Image Source: Mirror

পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের আগের ম্যাচে কুপোকাত করা বেলজিয়াম সম্ভবত ভরসা রাখবে তাদের আগের ম্যাচের ৪-৩-৩ ফরমেশনে। আগের মতো ৩ ডিফেন্ডার ও ২ উইংব্যাক ফর্মেশনে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা কম, কেননা ফ্রান্সের কাউন্টার নির্ভর অ্যাটাকের সামনে ৩-৪-৩ ফরমেশন আত্মঘাতী হতে পারে।

তবে তাদের রণকৌশল সাজানোকে কিছুটা কঠিন করে দিয়েছে টমাস মুনিয়েরের নিষেধাজ্ঞা। আগের ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখা এই উইংব্যাক/ফুলব্যাক খেলতে পারবেন না আজকের সেমিফাইনালে। সেক্ষেত্রে উপযুক্ত বদলি না পেলে রবার্তো মার্টিনেজ ফিরে যেতে পারেন ৩-৫-৩ ফরমেশনে। আবার সেন্টার ব্যাক ভারমিলান বা বোয়াতাকে খেলাতে পারেন মুনিয়েরের রাইটব্যাক পজিশনে। ফর্মেশন যা-ই হোক, তাদের মূল লক্ষ্য হবে ফ্রান্সের কাউন্টার অ্যাটাককে সামলানো।

মধ্যমাঠে সম্ভবত আগের ম্যাচের মতোই থাকছেন চাদলি, উইটসেল ও ফেলাইনিরা। গত ম্যাচে রবার্তো মার্টিনেজ আক্রমণভাগকে সাজানোয় দেখিয়েছিলেন অভিনবত্ব। হ্যাজার্ড ও লুকাকুকে লেফট ও রাইট উইংয়ে ঠেলে দিয়ে ডি ব্রুইনকে খেলিয়েছেন ফলস নাইন পজিশনে। আজকের ম্যাচেও তিনি একই রণকৌশল অবলম্বন করবেন কিনা তার নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না। তবে যেহেতু রবার্তো মার্টিনেজ সাম্পাওলির মতো ঘন ঘন পরিবর্তন পছন্দ করেন না এবং  যেহেতু আগের ম্যাচে এই কৌশল কাজে দিয়েছে, সুতরাং ধরে নেওয়া যায় আজকেও আমরা একই ফর্মেশন দেখতে যাচ্ছি।

পুরো বেলজিয়াম শিবিরই আজকে তাকিয়ে থাকবে ক্যাপ্টেন হ্যাজার্ডের দিকে; Image Source: Real Sport

বেলজিয়াম দল এবং তাদের পুরো দেশবাসীই আজকের ম্যাচে চেয়ে থাকবে তাদের স্বপ্নের কর্ণধার লুকাকু, হ্যাজার্ড ও ডি ব্রুইনের দিকে। চারটি গোল ও একটি অ্যাসিস্ট করা লুকাকু রয়েছেন গোল্ডেন বুটের রেসে। আর পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই দুর্দান্ত খেলা (২ গোল, ২ অ্যাসিস্ট) ও দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া ইডেন হ্যাজার্ড এবারের আসরের যোগ্যতম গোল্ডেন বল প্রতিযোগী। কিন্তু ব্যক্তিগত সাফল্যের কথা চিন্তা না করে আজকে লুকাকু, হ্যাজার্ড চাইবেন দলের জয়ে অবদান রাখতে, দলকে নিয়ে যেতে অনন্য এক উচ্চতায়।

সম্ভাব্য একাদশ

ফ্রান্স (৪-২-৩-১): লরিস, লুকাস হার্নান্দেজ-ভারান-উমতিতি-পাভার্ড, কান্তে-পগবা, মাতুইদি- গ্রিজমান-এমবাপে, জিরুড।

বেলজিয়াম (৪-৩-৩): কর্তোয়া, ভেরতোজেন-কম্পানি-অ্যালডারউইয়ারল্ড-বোয়াতা, চাদলি- উইটসেল-ফেলাইনি, হ্যাজার্ড-ডি ব্রুইন-লুকাকু।

আজকের মূল লড়াই হবে দুই দলের আক্রমণভাগের মধ্যে। লুকাকু-ডি ব্রুইন-হ্যাজার্ড বনাম গ্রিজমান-এমবাপে-জিরুড। আরেকটি স্নায়ুর লড়াই হবে দুই গোলকিপারের মধ্যে। টুর্নামেন্টের শুরুতে লরিস-কর্তোয়া দুইজনই বাজে কিপিংয়ের জন্য শিরোনাম হয়েছিলেন। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে আবার এই দুজনই হাজির হয়েছেন দলের ত্রাণকর্তা হয়ে। আজকের ম্যাচের ফলাফলও অনেকাংশে নির্ভর করবে এই দুজনের ওপর।

পরিসংখ্যান

চলুন খেলার আগে নজর বুলিয়ে নেওয়া যাক কিছু পরিসংখ্যানের দিকে।

– বিশ্বকাপে এর আগে দু’বার দেখা হয়েছে এই দুই দলের। দু’বারই জয়ী হয়েছে ফ্রান্স।

– ১৯৯০ এর পর থেকে যে দল ব্রাজিলকে বিশ্বকাপে হারিয়েছে, সে দলই ফাইনাল খেলেছে।

– ট্রাইব্রেকার বাদ দিলে ফ্রান্স বিশ্বকাপে তাদের সর্বশেষ ১৩টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি হেরেছে। (১০টি জয়, ২টি ড্র)

– সেমিফাইনালের আগপর্যন্ত বেলজিয়াম মোট ১৪ বার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছে। ২০০২-এর ব্রাজিলের (১৫ বার) পর এটাই সর্বোচ্চ।

– বেলজিয়ামের সর্বশেষ ১৩ ম্যাচে মোট ২০টি গোলে সরাসরি অবদান রেখেছেন রোমেরো লুকাকু(১৭ গোল, ৩ অ্যাসিস্ট)।

– ১৯ বছর বয়সী এমবাপের এই বিশ্বকাপে গোলসংখ্যা ৩টি। পেলের (৬টি, ১৯৫৮ বিশ্বকাপ) পর কোনো টিনেজারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল দেওয়ার রেকর্ড এটিই।

এই বিশ্বকাপের বিস্ময় বালক এমবাপে; Image Source: Goal.com

ফিচার ইমেজ: The Statesman

Related Articles

Exit mobile version