১.
মাত্র ১৯ বছর বয়সে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির ২০১২-১৩ মৌসুমে গুজরাটের হয়ে অভিষেক ঘটে জাসপ্রিত বুমরাহর। টুর্নামেন্টের ফাইনালে পাঞ্জাবের বিপক্ষে মাত্র ১৪ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন। এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর একই বছরে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট এবং আইপিএলেও অভিষেক ঘটে তার। আইপিএলে মুম্বাইয়ের হয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচ খেলেন ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে। অভিষেক ম্যাচে বিরাট কোহলির উইকেটসহ তিন উইকেট শিকার করেছিলেন ৩২ রানের বিনিময়ে। আইপিএলে নিজের প্রথম আসরে মাত্র দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত নৈপুণ্য প্রদর্শন করে আইপিএলের ২০১৪ সালের আসরেও মুম্বাইয়ের দলে নিজের জায়গা বহাল রাখেন তিনি।
আন-অর্থোডক্স বোলিং অ্যাকশনের পাশাপাশি দুর্দান্ত ইয়র্কার, বাউন্সার এবং স্লোয়ার ডেলিভারিতে ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্ত করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন তিনি। একজন পেসারের মধ্যে যেসব গুণ থাকা প্রয়োজন, সবকিছুই ক্রমশ আয়ত্ত করতে থাকেন তিনি। কঠোর পরিশ্রম করে বলের গতিও বাড়িয়েছেন চোখে পড়ার মতো। সৈয়দ মুশতাক আলি টুর্নামেন্ট দিয়েই তার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল, এই টুর্নামেন্ট দিয়েই নিজের কার্যকারিতা বোঝাতে শুরু করেন তিনি। সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের আসরে ১৪ ম্যাচ খেলে ২৪ উইকেট শিকার করেছিলেন মাত্র ১৪.৭৫ বোলিং গড়ে এবং ৬.৬১ ইকোনমি রেটে। ওয়ানডে ফরম্যাটেও সফলতা পেয়েছিলেন বুমরাহ। বিজয় হাজারে ট্রফিতে ১৪ ম্যাচ খেলে ১৫.২০ বোলিং গড়ে এবং মাত্র ৩.৮২ ইকোনমি রেটে ৩৪ উইকেট শিকার করেছিলেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন অসাধারণ বোলিং করার পর তার জাতীয় দলে ডাক পাওয়া সময়ের ব্যাপার ছিল। জাতীয় দলে ডাক পেতে খুব বেশিদিন সময় লাগেনি তার। অস্ট্রেলিয়ার পেস স্বর্গে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের পেস ডিপার্টমেন্ট সামলানোর জন্য ডাক পড়ে তার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেকটা ছিল রোমাঞ্চকর। টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ডাক পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় উড়াল দিয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় যখন পৌঁছান, তখন ভারতের শোচনীয় অবস্থা। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম চারটিতেই পরাজিত হয় ভারত। এরপর শেষ ওয়ানডেতে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির পরামর্শে তাকে একাদশে রাখা হয় তাকে। সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেন তিনি। ৪০ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট শিকার করে দলের সেরা বোলার ছিলেন ম্যাচে। তার মিতব্যয়ী বোলিংয়ের কারণে শেষপর্যন্ত সান্ত্বনার জয় পায় ভারত। এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দুর্দান্ত বোলিং করেন বুমরাহ।
২.
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর প্রথম দুই বছরে বেশ ভালো বোলিং করেছিলেন তিনি। এই সময়ে তিনি শুধুমাত্র সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলেন। ২০১৮ সালে কেপটাউনে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটার আগপর্যন্ত ৩১টি ওয়ানডেতে ৫৬ উইকেট এবং ৩২টি টি-টোয়েন্টিতে ৪০ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। রঙিন পোশাকে দুর্দান্ত বোলিং করার সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বান্ধব উইকেটে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ডাক পেয়ে যান তিনি এবং সিরিজের প্রথম টেস্টেই ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদবকে টপকে সেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। যার ফলে অনেকের চোখ কপালে উঠে যায়, কারণ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার রেকর্ড ভালো হলেও এক্সট্রা-অর্ডিনারি ছিল না। ২৬ ম্যাচে তার ঝুলিতে ছিল ৮৯ উইকেট।
তখন টেস্ট ক্রিকেটে তার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কয়েকজন কানাঘুষো করলেও বর্তমানে তার জায়গা নিয়ে কেউ দ্বিমত পোষণ করবে না। ভারতীয় দলে বিরাট কোহলির ব্যাট হাতে যেমন ভূমিকা তেমনি বল হাতে বুমরাহর একই ভূমিকা। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই দক্ষতা এবং সফলতার সাথে বল করে যাচ্ছেন বুমরাহ। তার অধিনায়ক বিরাট কোহলি তো বলেই দিয়েছেন, বুমরাহ বিশ্ব ক্রিকেটের মোস্ট কমপ্লিট বোলার। তার এই উক্তির সাথে বাকবিতণ্ডা জড়ানোর মতো লোক পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়বে, বুমরাহর পক্ষে কথা বলবে গত সাড়ে তিন বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।
৩.
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জাসপ্রিত বুমরাহর পরিসংখ্যান বিস্ময়কর। সীমিত ওভারের বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর এখন টেস্ট ক্রিকেটেও সফলতা পাচ্ছেন তিনি। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই তিনি সফলতা পেয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেকের মাত্র এক বছরের মাথায় বিশ্বসেরা টি-টোয়েন্টি বোলারের খেতাব পেয়েছিলেন। বর্তমানে নিয়মিত টি-টোয়েন্টি না খেললেও ওয়ানডে এবং টেস্ট খেলে যাচ্ছেন। এই দুই ফরম্যাটেও তার অবস্থান বেশ উঁচুতে। ওয়ানডেতে বিশ্বসেরা বোলার এবং মাত্র ১২ টেস্ট খেলেই টেস্টের তৃতীয় সেরা বোলার তিনি।
বুমরাহ এখন পর্যন্ত ৫৮টি ওয়ানডেতে ২১.৮৮ বোলিং গড়ে ১০৩ উইকেট, ৪২টি টি-টোয়েন্টিতে ২০.১৭ বোলিং গড়ে ৫১ উইকেট এবং ১২ টেস্টে ১৯.২৪ বোলিং গড়ে ৬২ উইকেট শিকার করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রতি ফরম্যাটে কমপক্ষে ২০ উইকেট পেয়েছে এমন বোলারদের মধ্যে শুধুমাত্র বুমরাহর বোলিং গড় ২২ এর কম। তিনি শেন বন্ড এবং ব্রেট লির পর তৃতীয় বোলার হিসাবে প্রথম ১২টি টেস্টে ৫০+ উইকেট এবং ৫৮টি ওয়ানডেতে ১০০+ উইকেট শিকার করেছেন।
৪.
জাসপ্রিত বুমরাহ এখনও তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আছেন, তাকে অতিক্রম করতে হবে আরও অনেক বাঁধা। ইতিমধ্যে যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন, সবগুলোতে লেটার মার্ক পেয়ে পাস করেছেন। দুই বছরের কম সময়ের টেস্ট ক্যারিয়ারে খেলেছেন ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে, ভিন্ন বলে। সব পরিস্থিতিতেই সফলতা পেয়েছেন তিনি। মাত্র ১২ টেস্ট শেষেই তার তুলনা হচ্ছে বিভিন্ন কিংবদন্তি বোলারের সাথে। টেস্ট ক্রিকেটে গত ৬০ বছরে মাত্র চারজন বোলার নিজেদের প্রথম ১২ টেস্টে ৬২ কিংবা তার চেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন ২০-এর কমে বোলিং গড়ে। বুমরাহ তাদের মধ্যে একজন। ইয়ান বোথাম তার প্রথম ১২ টেস্টে ১৭.০৬ বোলিং গড়ে ৭০ উইকেট শিকার করেছিলেন। ভেরনন ফিল্যান্ডার ১৭.৯৯ বোলিং গড়ে ৬৭ এবং ওয়াকার ইউনিস ১৯.৩৪ বোলিং গড়ে ৬২ উইকেট শিকার করেন।
বুমরাহ তার সংক্ষিপ্ত টেস্ট ক্যারিয়ারে চারটি ভিন্ন দেশে টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। ঘরের মাঠ ভারতে এখন পর্যন্ত টেস্ট না খেললেও দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট খেলেছেন এবং প্রতিটি দেশেই ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র সাত রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। যা ছিল তার চতুর্থ পাঁচ উইকেট শিকার। এই পাঁচ উইকেট শিকারের মধ্যে দিয়ে মাত্র ১১টি টেস্টেই চারটি ভিন্ন দেশে পাঁচ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
৫.
টেস্ট ম্যাচ এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দুটি ভিন্নরূপের ম্যাচ। এই দুই ফরম্যাটে খেলার জন্য আলাদা আলাদা দক্ষতা। ব্যাটসম্যান কিংবা বোলার সবারই সফলতা পাওয়ার জন্য মাইন্ডসেট এবং স্কিলে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। টেস্ট ক্রিকেটে বোলাররা পরিকল্পনা অনুযায়ী এক জায়গায় বল করে ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলে। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানদের সাথে খেলতে হয় মাইন্ড গেম। বিভিন্ন জায়গায় বল করার পাশাপাশি গতিতেও পরিবর্তন আনতে হয়, যাতে করে ব্যাটসম্যানরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকে। বুমরাহর দুটি গুণই রয়েছে। টেস্টে যেমন এক জায়গায় বল করতে পারেন, তেমনি টি-টোয়েন্টিতে পরিস্থিতি অনুযায়ী বল করতে পারেন তিনি।
প্রতিপক্ষের সেরা ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বুমরাহর পরিসংখ্যান অসাধারণ। টেস্ট ক্রিকেটে তার বোলিং গড় ১৯.২৪ এবং স্ট্রাইক রেট ৪৩.৭। তিনি টপ-অর্ডার হতে শুরু করে লোয়ার-অর্ডার পর্যন্ত সবার বিপক্ষেই সফল। এখন পর্যন্ত ৬২টি টেস্ট উইকেটের মধ্যে ৪৭টি ছিল প্রতিপক্ষের সেরা সাত ব্যাটসম্যানের। প্রথম সারির সাত ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে তার বোলিং গড় ১৯.৭৮ এবং স্ট্রাইক রেইট ৪৬.৩। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে গত ১৫ বছরে প্রথম সারির সাত ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে কমপক্ষে ৪০ উইকেট শিকার করেছেন এমন বোলারদের শুধুমাত্র বুমরাহর বোলিং গড় ২০-এর কম। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোহাম্মদ আব্বাস ২৩.৭৫ বোলিং গড়ে ৪৪ উইকেট শিকার করেছেন।
৬.
আরও একটি পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে যে, জাসপ্রিত বুমরাহ কতটা স্পেশাল। বিশ্ব ক্রিকেটে এমন অনেক বোলার আছে যে তারা শুধুমাত্র ডানহাতি ব্যাটসম্যান কিংবা বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে ভালো বোলিং করেন। বুমরাহ এদিক থেকেও অনন্য। তিনি দুই ধরনের ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষেই সফলতা লাভ করেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে ৬২ উইকেটের মধ্যে ৩৮টি উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যানের এবং ২৪ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে তার বোলিং গড় ১৬.৪৭ এবং বাঁহাতিদের বিপক্ষে ২২.৫৪। ওয়ানডে ক্রিকেটেও ডানহাতি এবং বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে সমানভাবে সফলতা পেয়েছেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে ২০.৬৩ বোলিং গড়ে ৬৩ উইকেট এবং বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে ২১.৮২ বোলিং গড়ে ৪০ উইকেট শিকার করেছেন।
বুমরাহ তার ১২ টেস্টের ক্যারিয়ারে ইতিমধ্যে পাঁচবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন। এই পাঁচ উইকেট পাওয়া ইনিংসগুলোতে প্রতি উইকেটের পিছে গড়ে মাত্র ৭.৬২ রান করে খরচ করেছেন। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৭ রানে ছয় এবং সাত রানে পাঁচ উইকেট শিকার করা ছাড়াও মেলবোর্নে ৩৩ রানে ছয় উইকেট, জোহানসবার্গে ৫৪ রানে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন। তিনি মাত্র একবার ৬০ রানের বেশি খরচ করে ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন। তার সবচেয়ে খরুচে পাঁচ উইকেট ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ট্রেন্ট ব্রিজে। যখন তিনি পাঁচ উইকেট শিকার করতে ৮৫ রান করেছেন।
গত ৮০ বছরে টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ উইকেট পাওয়া ইনিংস গুলোতে তার চেয়ে কম বোলিং গড় আছে মাত্র দুজনের। টনি লক তার পাঁচ উইকেট পাওয়া ইনিংসগুলোতে গড়ে রান দিয়েছেন ৬.৬৩ এবং স্টিভ হার্মিসন দিয়েছেন ৬.৯১ রান করে। স্ট্রাইক রেটের দিক দিয়েও তিনি বেশ এগিয়ে আছেন। মাত্র ১৮.৬ স্ট্রাইক রেট নিয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছেন। তার উপরে আছেন স্টিভ হার্মিসন (১৬.৩), ভেরনন ফিল্যান্ডার (১৬.৯), ইরফান পাঠান (১৭.৪) এবং শ্যানন গ্যাব্রিয়েল (১৭.৭) স্ট্রাইক রেট নিয়ে।
এটা সত্যি যে, বুমরাহ এখন পর্যন্ত যে ১২টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন সবকটি ছিল পেস বান্ধব আবহাওয়াতে। তবে পেস সহায়ক হলেও কন্ডিশন ছিল ভিন্ন। সব কন্ডিশনেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। এখন ঘরের মাঠে ঘরের ছেলে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের কীভাবে নাস্তানাবুদ করেন, সেটাই দেখার বাকি রয়েছে। উপমহাদেশে রঙিন পোশাকে দুর্দান্ত বোলিং করলেও এখন টেস্ট খেলা হয়নি তার। তার বর্তমান বয়স ২৫। এখনও ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময় বাকি আছে। যদি ইনজুরি-মুক্ত থেকে খেলা চালিয়ে যেতে পারেন তাহলে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করতে পারবেন।