ক্রিকেটে অনিয়মিত কিংবা পার্টটাইম বোলার শব্দটা বেশ পরিচিত। প্রতিপক্ষের দুই ব্যাটসম্যান অনেকক্ষণ ধরে উইকেটে থিতু হয়ে গেলে জুটি ভাঙার জন্য অধিনায়ক পার্টটাইম বোলারদেরকে আক্রমণে এনে জুয়া খেলেন। কিংবা সেশনের শেষ কয়েক ওভার দ্রুত শেষ করার জন্য পার্টটাইম বোলারদেরকে আক্রমণে আনেন। কখনো কখনো পুরাতন বলে দলের প্রধান বোলাররা কোনো সুবিধা করতে না পারলে অনিয়মিত বোলারদের শরণাপন্ন হন দলের অধিনায়ক। কিংবা সেশনের শেষ কয়েক ওভারের সময় পার্টটাইম বোলারদের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়করা।
অনিয়মিত বোলার হিসাবে কোনো বোলার একাদশে জায়গা পান না। তাদের প্রধান কাজ ব্যাটিং। ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের বোলারদের দাপটের সাথে মোকাবেলা করাই তাদের দায়িত্ব। দলের প্রয়োজনে হাত ঘোরাতে এসে কোনো কোনো সময় কিছু উইকেটও বাগিয়ে নেন তারা। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এমনও কয়েকটি ঘটনা আছে যেখানে পার্টটাইম বোলার হিসাবে আক্রমণে এসে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ ধ্বসিয়ে দিয়ে দলের জয়ে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন কয়েকটি অনিয়মিত বোলারদের ম্যাচজয়ী বোলিং নৈপুণ্য নিয়ে এই আয়োজন।
অ্যালান বোর্ডার
ব্যাট হাতে অ্যালান বোর্ডার অস্ট্রেলিয়াকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন। তবে ১৯৮৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিডনিতে ম্যাচ জিতিয়েছেন বল হাতে। টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়করা পার্টটাইম বোলারদের আক্রমণে আনেন, যখন প্রতিপক্ষের স্কোরবোর্ডে এক উইকেটে দুই শতাধিক রান জমা থাকে। আবার তৃতীয় নতুন বল নেওয়ার কয়েক ওভার আগেও পার্ট টাইম বোলারদের আনেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বোর্ডার নিজেই ছিলেন অধিনায়ক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন এক উইকেটে শতাধিক রান সংগ্রহ করেছিল, অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান নিজেকে আক্রমণে আনেন। উদ্বোধনী উইকেট জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার হেইন্স এবং গ্রীনিজ ৯০ রান যোগ করেছিলেন। তৃতীয় অবস্থানে নামা রিচার্ডসনও উইকেটে থিতু হয়ে গিয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান যখন এক উইকেটে ১৪৪, তখন ২৮ রান করা রিচার্ডসনকে নিজের প্রথম শিকারে পরিণত করেন বোর্ডার। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ১০০টি টেস্ট ম্যাচে তিনি শিকার করেছিলেন ১৬ উইকেট। কিন্তু ১০১তম টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনেই অর্জন করেন সাত উইকেট।
অ্যালান বোর্ডারের অবিশ্বাস্য বোলিং স্পেলে এক উইকেটে ১৪৪ রান থেকে ২২৪ রানে পুরো গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রিচি রিচার্ডসনকে প্রথম শিকারে পরিণত করার পর ভিভ রিচার্ডস, কার্ল হুপারদের মতো ব্যাটসম্যানদের সাজঘরে ফেরান। সিডনি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৬ ওভার বল করে মাত্র ৪৬ রান দিয়ে সাত উইকেট শিকার করে নেন তিনি। যা ডেনিস লিলি, ওয়াকার ইউনুস এবং ডেইল স্টেইনদের মতো বোলারদের চেয়েও এক ইনিংসে ভালো বোলিং ফিগার।
প্রথম ইনিংসে সাত উইকেট শিকারের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও চার উইকেট শিকার করেন। সিডনি টেস্টে ৯৬ রান দিয়ে ১১ উইকেট শিকার করেন তিনি। এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কোনো স্পিনারের তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগার। অস্ট্রেলিয়ার স্পিনারদের মধ্যে অবশ্য বোর্ডারই শীর্ষে আছেন। ম্যাচে ১১ উইকেট শিকারের পাশাপাশি প্রথম ইনিংসে ৭৫ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। তার অনবদ্য পারফরমেন্সের উপর ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সাত উইকেটে পরাজিত করে অস্ট্রেলিয়া।
জিমি অ্যাডামস
যেসব ব্যাটসম্যান চালিয়ে নেওয়ার মতো হাত ঘোরাতে পারেন, তাদেরকে প্রতিযোগিতামূলক খেলায় নিয়মিত দেখা না গেলেও নেটে নিয়মিত দেখা যায়। নেটে যখন ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং অনুশীলন করানোর জন্য বল হাতে নেন, তখন নিজেদেরকে মুরালিধরন কিংবা লিলিদের মতো ভয়ংকর বোলার বলে মনে করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান জিমি অ্যাডামসও এমনই এক ব্যাটসম্যান, যিনি মাঝেমধ্যে বল করেন।
১৯৯৬ সালে কেনসিংটন ওভালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে অ্যাডামসের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক কোর্টনি ওয়ালশ। সেই সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে কার্টলি অ্যামব্রোস, কোর্টনি ওয়ালস, ইয়ান বিশপ এবং থম্পসনের মতো বোলাররা ছিলেন। তাই খুব একটা প্রয়োজন না হলে অ্যাডামসকে হাত ঘোরাতে দেখা যেত না।
কেনসিংটন ওভালে সিরিজের প্রথম টেস্টে টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান কোর্টনি ওয়ালশ। ব্যাট করতে নেমে ওয়ালশ-অ্যামব্রোসের তোপের মুখে পড়ে মাত্র ছয় রান তিন উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ উইকেট জুটিতে পারোরে এবং অ্যাস্টল ৮০ রান যোগ করে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। অ্যাস্টল মাত্র ৪৮ বলে ৫৪ রান করে থম্পসনের শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়ার পর রানের খাতা খোলার আগেই একই পথ ধরেন ক্রিস হ্যারিস। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে পারোরে এবং ভন উইকেটে থিতু হয়ে গেলে অধিনায়ক ওয়ালশ বল তুলে দেন বাঁহাতি পার্টটাইম স্পিনার জিমি অ্যাডামসের হাতে।
অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে ৫৯ রান করা পারোরের উইকেট তুলে নেন অ্যাডামস। এক উইকেট নিয়েই থেমে থাকেননি। নিউজিল্যান্ডের শেষ চার ব্যাটসম্যানকেও সাজঘরের পথ দেখান তিনি। ইনিংসে তার বোলিং ফিগার ছিল নয় ওভারে মাত্র ১৭ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বীকৃত বোলাররা দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলে অ্যাডামসকে উইকেট শূন্য থাকতে হয়।
বিস্ময়কর বোলিং ফিগারের পরেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেননি অ্যাডামস। শেরউইন ক্যাম্পবেল প্রথম ইনিংসে ২০৮ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে দলের প্রয়োজনীয় ২৯ রান একাই তুলে নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন। জিমি অ্যাডামস ৫৪টি টেস্টে ২৭ উইকেট শিকার করেছিলেন। তারমধ্যে ১৩টি পেয়েছেন কেনসিংটন ওভালে। সিরিজের প্রথম টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখা অ্যাডামস দ্বিতীয় টেস্টে ক্যারিয়ার সেরা ২০৮* রানের ইনিংস খেলে নিজের আসল রূপে ফিরে যান।
মাইকেল বেভান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা ফিনিশারদের তালিকায় উপরের দিকে আছেন অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল বেভান। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ওয়ানডে ক্রিকেটের তুলনায় টেস্ট ক্রিকেটে পর্যাপ্ত সুযোগ পাননি। যেগুলোতেই পেয়েছেন সেগুলোতে ব্যাট হাতে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে মেলে ধরতে পারেননি। অথচ লিমিটেড ওভারের ক্রিকেটে অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। মাইকেল বেভান ২৩২টি ওয়ানডেতে ৫৩.৫৮ ব্যাটিং গড়ে ৬,৯১২ রান করেছেন। তিনি বল হাতে নিয়মিত না হলেও চায়নাম্যান অ্যাকশনে বল করে শিকার করেছেন ৩৬ উইকেট।
ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত সদস্য হলেও টেস্ট খেলেছেন মাত্র ১৮টি। এই ১৮ ম্যাচে ছয়টি অর্ধশতকের সাহায্যে ২৯.০৭ ব্যাটিং গড়ে করেছেন ৭৮৫ রান। উইকেট শিকার করেছেন ২৯টি। যার মধ্যে এক ম্যাচেই শিকার করেছেন দশ উইকেট। সর্বকালের সেরা ফিনিশারদের মধ্যে একজন বেভান টেস্ট ক্রিকেটে দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতেছিলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজের তিন ম্যাচ শেষে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯৭ সালের ২৫শে জানুয়ারি সিরিজের চতুর্থ টেস্টে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ ড্র করতে পারলেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হতো স্বাগতিকদের। অন্যদিকে সিরিজ বাঁচাতে হলে জয়ের বিকল্প ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে। অ্যাডেলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়ার একাদশে মাত্র দুইজন পেসার ছিল। তাছাড়া স্বীকৃত বোলার হিসাবে শুধুমাত্র শেন ওয়ার্ন দলে ছিলেন।
তাই অনিয়মিত বোলার মাইকেল বেভানকে পুরো ম্যাচেই নিয়মিত বোলারের মতো বল করতে হয়েছে। প্রথম ইনিংসে ৯.৫ ওভার বল করে ৩১ রানের বিনিময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ চার ব্যাটসম্যানের উইকেট শিকার করেন তিনি। বেভানের চার উইকেটের পাশাপাশি ওয়ার্ন তিন উইকেট শিকার করলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ৫১৭ রান সংগ্রহ করে ৩৮৭ রানের লিড পায়। মাইকেল বেভান ২৬৩ বলে অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন।
প্রথম ইনিংসে ৩৮৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আবারও চায়নাম্যান বেভানের বোলিংয়ের তোপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বেভান ৮২ রানে ছয় উইকেট শিকার করলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০৪ রানে সবকটি উইকেট হারায়। ম্যাচে ১১৩ রানের বিনিময়ে দশ উইকেট এবং অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন হঠাৎ বোলার বনে যাওয়া মাইকেল বেভান।
মুদাসসর নজর
সব বোলারের স্বপ্ন থাকে লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নিজের নাম লেখানোর। কোনো ব্যাটসম্যান যদি লর্ডসের মাঠে শতক হাঁকান, তখন তার নাম লর্ডসের অনার্স বোর্ডে জায়গা করে নেয়। তেমনই বোলারদের ক্ষেত্রেও পাঁচ উইকেট শিকার করলে অনার্স বোর্ডে নাম লেখা হয়।
পাকিস্তানের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মুদাসসর নজর ১৯৮২ সালের ১২-ই আগস্ট লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অনার্স বোর্ডে নাম লেখান। তবে ব্যাট হাতে শতক হাঁকিয়ে নয়, বল হাতে পাঁচ উইকেট শিকার করে।
এই মিডিয়াম পেস বোলার ১২২টি ওয়ানডেতে ১১১ উইকেট শিকার করেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে ৭৬ ম্যাচে শিকার করেছেন ৬৬ উইকেট। ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন একবার। তা-ও আবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে। ১৯৮২ সালে লর্ডস টেস্টে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে মহসিন খানের ডাবল সেঞ্চুরির উপর ভর করে আট উইকেটে ৪২৮ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। জবাবে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে গুটিয়ে গিয়ে ফলো-অনে পড়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ডের জন্য ভালো খবর ছিল। পাকিস্তানের দুই স্ট্রাইক বোলার সরফরাজ নেওয়াজ এবং তাহির নাক্কাসের ইনজুরি। প্রধান দুই বোলার ইনজুরির কবলে পড়লে অধিনায়ক ইমরান খান বল তুলে দেন মিডিয়াম পেসার মুদাসসর নজরের হাতে। প্রথম দুই ওভারে কোনো রান না দিয়েই তিন উইকেট শিকার করে নেন। শেষপর্যন্ত ১৯ ওভার বল করে ৩২ রান দিয়ে ছয় উইকেট আসে তার খাতায়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে এটি ছিল পাকিস্তানের দ্বিতীয় জয়।
সাইমন ক্যাটিচ
অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাইমন ক্যাটিচ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে বল হাতে ছয় উইকেট শিকার করেন। ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে এই কীর্তি গড়েন তিনি। সাইমন ক্যাটিচ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৫৬টি টেস্টে ২৫ ইনিংস বল করে ২১ উইকেট শিকার করেন। কিন্তু ৪৫টি ওয়ানডে খেলে কখনো বল করেননি।
সিডনি টেস্টে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। জবাবে রিকি পন্টিংয়ের ১৬৯ রান এবং স্টিভ ওয়াহর ৬১ রান ও সাইমন ক্যাটিচের ৫২ রানের উপর ভর করে অস্ট্রেলিয়া ৪০৩ রান সংগ্রহ করে। ৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে পার্টটাইম বোলার সাইমন ক্যাটিচের বোলিং তোপের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। সেবার ছয় উইকেট শিকার করেন তিনি।
পার্টটাইম বোলার হিসাবে মাইকেল ক্লার্কের পারফরমেন্সও ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। ২০০৪ সালে মুম্বাই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে এই বাঁহাতি স্পিনার মাত্র নয় রানের বিনিময়ে ছয় উইকেট শিকার করেছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটে ব্রেট লি, থমসন কিংবা হ্যাজলেউড এবং স্টার্কের চেয়ে সেরা বোলিং ফিগার তার। ঐ ম্যাচে মাইকেল ক্লার্কের অভাবনীয় বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার সামনে মাত্র ১০৭ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় ভারত। তবে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৩ রানের জয় পেয়েছিল ভারত।
মাঝে মাঝে ছাইচাপা বস্তুগুলো বারুদের মতো জ্বলে উঠে। এই পার্টটাইম বোলারগুলোও যেন সেরকমই।
ফিচার ইমেজ: Getty Images