ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি রান কিংবা সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করা ক্রিকেটারদের নাম সম্পর্কে অনেকেই অভিহিত। এছাড়া ব্যাটসম্যান ও বোলারদের অনেক খুঁটিনাটি রেকর্ড সম্পর্কেও নিয়মিত আলোচনা হয়ে থাকে। এসব রেকর্ড ছাড়া ক্রিকেটে এমন বেশ কিছু রেকর্ড রয়েছে যা ক্রিকেটের ইতিহাসে একবারই ঘটেছে। চলুন, ক্রিকেটে এমন অদ্বিতীয় উল্লেখযোগ্য কিছু কীর্তি সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
১. অ্যালান বোর্ডারের জোড়া ১৫০
১৯৮০ সালের ১৮ই মার্চ। পাকিস্তানের লাহোরে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষ টেস্ট খেলার জন্য মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। সিরিজে ১-০ পিছিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ছিল শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ ড্র। তবে শেষপর্যন্ত লাহোর টেস্টই নিষ্প্রাণ ড্রয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। পাঁচদিনে মোট ৩৯৮ ওভারে দুই দলের মাত্র ২৪ উইকেট পড়েছিল। এক উইকেটের জন্য বোলারদের করতে হয়েছিল শতাধিক বল।
ম্যাচের শেষ পরিণতি নিষ্প্রাণ ড্র হলেও ম্যাচটি ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে আছে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান অ্যালান বোর্ডারের কল্যাণে। তিনি লাহোর টেস্টে প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসাবে দুই ইনিংসেই ১৫০ রান করে করেছিলেন। গ্রেগ চ্যাপেল টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া ১৪২ ওভার ব্যাট করে সাত উইকেটের বিনিময়ে ৪০৭ রান সংগ্রহ করে। সর্বোচ্চ রান আসে বোর্ডারের ব্যাট থেকে। তিনি ২৮১ বলে অপরাজিত ১৫০ রানের ইনিংস খেলেন। জবাবে পাকিস্তান ১৪০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে ৪২০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করলে অস্ট্রেলিয়া জয়ের স্বপ্ন পথ হারিয়ে ফেলে। শেষপর্যন্ত জয়ের পথে না হেঁটে ১১৬ ওভার ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংস খেলার সুযোগই দেয়নি তারা। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসেও সর্বোচ্চ ১৫৩ রানের ইনিংস খেলেন বোর্ডার। মাত্র ১৮৪ বলে ১৬টি চার এবং পাঁচটি ছয়ের মারে তিনি এই ইনিংস খেলেন।
দুই ইনিংসেই ১৫০ রানের ইনিংস খেলে বোর্ডারের পাশে নাম লেখানোর সুযোগ এসেছিল তিনজন ব্যাটসম্যানের কাছে। জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ২০০১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪২ ও ১৯৯* রানের ইনিংস খেলেছিলে। গত অ্যাশেজে স্টিভেন স্মিথ ১৪৪ ও ১৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি কাছে এসেছিলেন তিলাকরত্নে দিলশান। তিনি ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৬২ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৩ রান করেছিলেন। বোর্ডারের দুই ইনিংসে করা ১৫০ রানের রেকর্ড ভাঙতে না পারলেও ছয় নাম্বারে ব্যাট করে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছিলেন তিনি। বোর্ডার পাকিস্তানের বিপক্ষে ছয়ে ব্যাট করে ৩০৩ রান করেছিলেন। দিলশান করেছেন ৩০৫ রান।
২. শূন্য রানে চারজন সাজঘরে
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে স্কোর বোর্ডে কোনো রান যোগ না করেই চার উইকেট হারানো একমাত্র দল ভারত। তারা ১৯৫২ সালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেডিংলি টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে এই লজ্জাজনক রেকর্ডের সম্মুখীন হয়। প্রথম ইনিংসে ২৯৩ রান সংগ্রহ করার পর মাত্র ৪১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে তারা। দ্বিতীয় দফা ব্যাট করতে নেমে অ্যালেক বেডসার এবং ফ্রেড ট্রুম্যানের বোলিং তোপের মুখে কোনো রান যোগ না করেই পঙ্কজ রয়, দত্ত গায়কোয়াড়, মাধব মন্ত্রী এবং বিজয় মাঞ্জরেকার সাজঘরে ফিরে যান। চার উইকেটের তিনটি নেন ট্রুম্যান।
এটি ছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে চার রানের কমে চার উইকেট হারানোর ঘটনা রয়েছে মাত্র একটি। ১৯৯৯ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র দুই রানে চার উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে কম রানে চার উইকেট হারানোর রেকর্ড পাকিস্তানের দখলে। তারা ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র এক রানে চার উইকেট হারিয়েছিল।
৩. এক উইকেটে ৬০০
স্কোর বোর্ডে কোন রান যোগ না করেই চার উইকেট হারানোর ঘটনার পর আসা যাক সবচেয়ে বেশি রান যোগ করে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর ঘটনায়। এই রেকর্ডেও ভারতের নাম জুড়ে আছে। তবে এবার বিপরীত দিকে। কলম্বোতে ১৯৯৭ সালে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। ব্যাট করতে নেমে তিনটি শতকের সাহায্যে আট উইকেটে ৫৩৭ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৯ রানের মাথায় মারভান আতাপাত্তুর উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। পরবর্তী উইকেটের পতন ঘটে ৬১৫ রানে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৭৬ রান যোগ করেছিলেন সনাৎ জয়াসুরিয়া (৩৪০) এবং রোশন মহানামা (২২৫)। একপর্যায়ে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল এক উইকেটে ৬০০ রান। টেস্টে এক উইকেটের বিনিময়ে ছয়শ রান সংগ্রহের প্রথম এবং একমাত্র ঘটনা এটি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ডটিও শ্রীলঙ্কার দখলে। ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটেছিল ৫৩৮ রানের মাথায়।
৪. দুই ইনিংসেই অপরাজিত থাকা একমাত্র ওপেনার
টেস্ট ক্রিকেটে ইনিংসের শেষপর্যন্ত ওপেনারদের অপরাজিত থাকা বেশ কঠিন কাজ। এখন পর্যন্ত ৫৬ বার ওপেনাররা ব্যাট ক্যারি করতে পেরেছেন। তবে ইতিহাসে মাত্র একবার কোনো ওপেনার টেস্টের দুই ইনিংসেই অপরাজিত থাকার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে শারজাহ টেস্টের দুই ইনিংসেই অপরাজিত ছিলেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে পরাজিত হওয়ার শারজাহতে তৃতীয় টেস্টে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টসে জিতে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ২৮১ রান সংগ্রহ করার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে করে ৩৩৭ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৪২ রান করেছিলেন ওপেনার ক্রেইগ ব্রাথওয়েট। পাকিস্তান তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৮ রানে সবক’টি উইকেট হারালে উইন্ডিজদের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫৩ রানের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইয়াসির শাহ এবং ওয়াহাব রিয়াজের বোলিং তোপের মুখে মাত্র ৬৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে। তখনও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ব্রাথওয়েট। এরপর আর কোনো উইকেটের পতন ঘটতে না দিয়ে ডোরিচকে সাথে নিয়ে অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংস খেলে দলকে পাঁচ উইকেটের জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি। সেই সাথে প্রথম ওপেনার হিসাবে টেস্টের দুই ইনিংসেই অপরাজিত থাকার গৌরব অর্জন করেন।
৫. শততম টেস্টে জোড়া শতক
টেস্ট ক্রিকেট এখন পর্যন্ত আটজন ব্যাটসম্যান নিজেদের শততম টেস্ট ম্যাচে শতক হাঁকিয়েছেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং তার শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই শতক হাঁকিয়েছেন। ২০০৬ সালের সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নাটকীয় জয় এনে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। নিজেদের দুই ইনিংসই ডিক্লেয়ার করে দেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা পন্টিংয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কাছে পরাজিত হয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ৪৫১ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে রিকি পন্টিংয়ের ১২০ রানের উপর ভর করে ৩৫৯ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া।
দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার পরেই বৃষ্টির আনাগোনা শুরু হয়। ফলে ম্যাচের চতুর্থ দিনে মাঠে গড়িয়েছিল মাত্র ২০.৩ ওভার। সিরিজে আগে থেকে ১-০ তে পিছিয়ে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে তখন জয়ের কোনো বিকল্প ছিলো না। তাই শেষদিনের শুরুতে দ্রুত রান সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৯৪ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। এতে অস্ট্রেলিয়াকে অল আউট করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা ৭৬ ওভার হাতে পায়, আর অজিদের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮৭ রান। ৩০ রানে ল্যাঙ্গার আউট হওয়ার পর শততম টেস্ট খেলতে নামা পন্টিং জয়ের লক্ষ্যেই ব্যাট করতে থাকেন। তার ১৫৯ বলে অপরাজিত ১৪৩ রানের উপর ভর করে মাত্র ৬০.৩ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
৬. টেস্ট এবং ওডিআই অভিষেকে শতক
পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান আবিদ আলি নিজের অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে নিজের অভিষেক ম্যাচেই বাজিমাত করেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১১৯ বলে ৯টি চারের মারে ১১২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যদিও তার শতকের পরেও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৬ রানে পরাজিত হতে হয় পাকিস্তানকে।
অভিষেক ওডিআইতে শতক হাঁকানোর পর টেস্ট অভিষেকেও শতক হাঁকান তিনি। প্রায় দশ বছর পর ঘরের মাঠে টেস্ট খেলতে নামা পাকিস্তানের হয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি অপরাজিত ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন। রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টি বিঘ্নিত টেস্টের শেষদিনে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে তিনি শতক হাঁকিয়ে রেকর্ডের পাতায় জায়গা করে নেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ১০৬ জন এবং ওডিআই অভিষেকে ১৫ জন ব্যাটসম্যান শতক হাঁকালেও টেস্ট ও ওডিআই অভিষেকে একমাত্র ব্যাটসম্যান শতক হাঁকানোর কীর্তি গড়েছেন আবিদ আলি। তার শতক হাঁকানো দুই ইনিংসেই তার ওপেনিং পার্টনার শা’ন মাসুদ শূন্য রানে ফিরে যান।
৭. একটি মাত্র ম্যাচ, বলার মতো নেই কিছুই
১৯২৫ সালে উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন জ্যাক ম্যাকব্রায়ান। তাকে উইজডেন আখ্যায়িত করে ‘Neat and elegant’ ব্যাটসম্যান হিসেবে। তিনি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দুই শতাধিক ম্যাচ খেলার পাশাপাশি দশ হাজারের অধিক রান সংগ্রহ করেছেন। তবে ইতিহাসের পাতায় তিনি জায়গা করে নিয়েছেন অদ্ভুতুড়ে এক রেকর্ডের মাধ্যমে। তিনিই একমাত্র টেস্ট ক্রিকেটার যিনি কখনও ব্যাটিং, বোলিং করতে পারেননি। এমনকি কোনো ক্যাচ কিংবা স্ট্যাম্পিংয়ে তার কোনো অবদান নেই। ম্যাকব্রায়ান তার ক্যারিয়ারে মাত্র একটি টেস্ট খেলার সুযোগ পান। ১৯২৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে ইংল্যান্ডের মূল একাদশে জায়গা করে নেন। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ম্যাচের প্রথম দিনে ৬৬.৫ ওভার মাঠে গড়ানোর পর ম্যাচটি ড্র ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর তিনি আর কখনও টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি।
৮. ছয় দিয়ে টেস্ট শুরু
ক্রিস গেইল পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই তার দানবীয় ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে যাচ্ছেন। মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচের গতিপথ বদলে দিতে পারা এই ব্যাটসম্যান কখন কী করে বসেন তার কোনো ঠিকঠিকানা নেই। এমনি এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১২ সালে। মিরপুরে টেস্ট ম্যাচের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। অভিষিক্ত অফ স্পিনার সোহাগ গাজীর করা ম্যাচের প্রথম বলেই লং-অনের উপর দিয়ে সীমানা ছাড়া করেন। ওভারের চতুর্থ বলেও তিনি ছয় হাঁকান। শেষপর্যন্ত ১৭ বলে ২৪ রান করে সোহাগ গাজীর বলেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।
৯. হ্যাটট্রিক এবং শতক
সোহাগ গাজীর টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছিল ক্রিস গেইলের হাতে ছক্কা খেয়ে। ঐ ছক্কার মধ্য দিয়েই ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান তিনি। তবে কীর্তিটা সুখকর ছিল না। তাই তো অভিষেকের একবছরের মাথায় সবাইকে চমকে এমন রেকর্ড গড়েছেন, যা ক্রিকেট বিশ্ব আগে কখনও দেখেনি। ২০১৩ সালে চট্টগ্রামে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট হাতে শতক হাঁকানোর পর হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট শিকার করেন তিনি।
সোহাগ গাজী আট নাম্বারে ব্যাট করতে নেমে অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংস খেলার পর অ্যান্ডারসন, ওয়াটলিং এবং ব্রেসওয়েলের উইকেট শিকার করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। সেই সাথে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম অলরাউন্ডার হিসেবে একই টেস্টে হ্যাটট্রিক ও শতক হাঁকানোর অনন্য কীর্তি গড়েন। তার হ্যাটট্রিকটি টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক এবং তিনি সাকিব আল হাসানের পর দ্বিতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে টেস্টে একই ম্যাচে শতক হাঁকানোর পাশাপাশি পাঁচ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন।