গান শোনা এ যুগের যেকোনো সভ্যতার একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, মানব সভ্যতার কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসেই সঙ্গীতের একটি গুরুত্ব রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায়, ইন্টারনেট আসার পরে, গত বিশ বছরে এই জগতে একটি বড় পরিবর্তন এসেছে। আমরা কীভাবে সঙ্গীত উপভোগ করতে পারি সে জায়গায় মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিস একটি বড় পরিবর্তন এনেছে। এই স্ট্রিমিং সার্ভিসের শুরুর দিকে ছিল পাইরেসির ইতিহাস। পাইরেসি দিয়ে যেটা শুরু হয়েছিল, সেটা আজকে ১১ বিলিয়ন ডলারের মার্কেটে পরিণত হয়েছে, ২০১৯ সালে যা পুরো ইন্ডাস্ট্রির ৫৬ শতাংশ দখল করেছিল। গ্রাহকের সংখ্যার দিক দিয়ে এখন পর্যন্ত যে কোম্পানিটি এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী, সেটি হলো স্পটিফাই।
অ্যাপল, অ্যামাজন ও গুগলের মতো দানবাকারের কোম্পানিকে প্রতিযোগিতায় হারিয়ে স্পটিফাই পুরো মিউজিক স্ট্রিমিং দুনিয়াতে আধিপত্য স্থাপন করেছে। সমগ্র পৃথিবীতে স্পটিফাইয়ের প্রিমিয়াম গ্রাহক রয়েছে ১৩০ মিলিয়ন। অবশ্য, ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্পটিফাই এখনো অ্যাপলের পেছনে দুই নাম্বার জায়গাতে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে, স্পটিফাই তাদের বাজার দখলের জন্যে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেমন: কমেডিয়ান জো রোগ্যানের তুমুল জনপ্রিয় পডকাস্টটির স্বত্ব তারা কিনে নিয়েছে। আবার, কিম কারড্যাশিয়ান ও ডিসি কমিকসের সাথে চুক্তি করেছে। এসবেরই পেছনে তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, শুধুমাত্র সঙ্গীত দুনিয়ার বাঁধন থেকে বের হয়ে এসে তারা পুরো অডিও ইন্ডাস্ট্রিরই জায়ান্ট হতে চায়। স্পটিফাইয়ের চিফ কনটেন্ট অফিসার ডন অস্ট্রোফ বলেছেন,
The companies that we bought and the talent that we have brought onto the platform will help us become the number one audio platform in the world.
কোভিড-১৯-য়ের ফলে বিশ্বব্যাপী চলা মহামারিও স্পটিফাইয়ের গ্রাহক বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। মানুষ অনেকবেশি ইন্টারনেটমুখী হয়েছে এই মহামারির ফলে। স্পটিফাইয়ের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম দেখা যায়নি। তবে, এর পাশাপাশি স্পটিফাইয়ের বিরুদ্ধে শিল্পীদেরকে মুনাফার ন্যায্য অংশ পরিশোধ না করার অভিযোগও উঠেছে।
ইন্টারনেট যুগে প্রবেশের পরে বিনোদন মাধ্যম উপভোগের জায়গাগুলোতে অনেক বেশি পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির মতো কারো সাথেই এর এতো বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক ছিল না। নব্বইয়ের দশকে সিডি ছিল গান বিক্রি ও শোনার প্রধান মাধ্যম। সে সময়ে, মানুষের ঘরে ঘরে কম্পিউটার পৌঁছে যাচ্ছিল এবং এর বেশিরভাগেরই সিডি ড্রাইভ বিল্ট-ইন ছিল। ফলে, পছন্দের গানের সিডি কিনে সহজেই কম্পিউটারে তা শোনা যেত। ন্যাপস্টার ও লাইমওয়্যারের মতো প্ল্যাটফর্ম এসে গান শেয়ার করার উপায় তৈরি করলো। কিন্তু, এর মাধ্যমে পাইরেসির একটি বড় দরজা খুলে গিয়েছিল।
আইটিউনস ও আইপডের মাধ্যমে প্রচুর সাফল্য অর্জন করার ফলে, ২০০৩ সালে অ্যাপল ডিজিটালি গান বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর ফলে পাইরেসি দূর করে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করার সুযোগ ছিল তাদের। এবং তারা সফলও হয়েছিল। ন্যাপস্টারের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোকে হটিয়ে দিয়ে তারা অনলাইনে গান বিক্রি শুরু করেছিল। প্রথমদিকে অবশ্য অনেকের সন্দেহ ছিল, প্রতি গানের জন্যে মানুষ ৯৯ সেন্ট খরচ করবে কিনা। কিন্তু অ্যাপলের সাফল্য এতই বিশাল ছিল যে, গান বিক্রির অন্য সকল উপায়কে তারা একরকম পথে বসিয়ে দিয়েছিল। এমনকি মিউজিক স্টোরগুলো পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। এ রকম পরিবর্তন পুরো মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির জন্যই একটি বড় ধাক্কা ছিল।
সাধারণত একটা সিডি বিক্রি করা হতো বিশ ডলারে, যেখানে এটি প্রস্তুত করতে খরচ হতো মাত্র এক ডলার। সে সময়ে তাই মুনাফা ছিল বিশাল। সেখান থেকে আইটিউনসে প্রতি অ্যালবাম বিক্রি করা হতো ৯.৯৯ ডলারে। এভাবে মুনাফা হ্রাস পাওয়া শুরু হলো। সঙ্গীতপ্রেমী, যারা বিনামূল্যে গান শুনতে চাইতো, তারা তখনো রেডিওই পছন্দ করতো। অনলাইন রেডিও কোম্পানি প্যান্ডোরা সেই মার্কেটের একটা বড় অংশ দখল করেছিল। কোম্পানিটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দশ বছর পরেই তাদের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৪৮ মিলিয়ন।
সমস্যা হচ্ছে, পাইরেসি তখনো চলছিল। ২০০৭ সালের একটি স্টাডিতে দেখা যায়, মিউজিক পাইরেসির কারণে যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর ১২.৫ বিলিয়ন ডলার মুনাফা হারাচ্ছে। রেডিও ভালো একটি উপায় হলেও, সেখানে গ্রাহকরা নিজেদের ইচ্ছামতো গান পছন্দ করতে পারত না। সেই জায়গাটিই ছোট একটি সুইডিশ কোম্পানির প্রবেশের রাস্তা হয়ে দাঁড়াল, যেটিকে আমরা স্পটিফাই নামে চিনি। স্পটিফাইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ড্যানিয়েল য়েক বলেছিলেন,
We want music to be like water, everywhere.
স্পটিফাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৬ সালে এবং যুক্তরাষ্ট্রে এটি প্রবেশ করেছিল ২০১১ সালে। প্রথমে শুধুমাত্র একটি ‘ইনভাইট অনলি’ বেটা প্রোগ্রাম হিসেবে তারা যাত্রা শুরু করেছিল। খুব দ্রুতই তারা ভালো রিভিউও পাচ্ছিল। তারা বিভিন্ন মিউজিক কোম্পানি থেকে কপিরাইট নেওয়া শুরু করেছিল। গ্রাহকদেরকে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারের জন্যে তারা যথেষ্ট উৎসাহ দিচ্ছিল তখন। তখনই স্পটিফাই তাদের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশে এতো দেরির একটি কারণ ছিল কপিরাইট। এর জন্যে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্পটিফাইকে ৯.৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছিল। অবশ্য তারা জানতো যে, তাদের খরচ করতে হবে। বিনিয়োগকারী ও গ্রাহকদেরকে ধরে রাখতে হলে, কনটেন্ট স্ট্রিমিংয়ের অধিকার পেতে হলে, অর্থ খরচ করতে হবে। তবে, সে অধিকার পেয়ে গেলে, যদি গ্রাহকের পরিমাণ বাড়ানো যায় তাহলে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
এই যুগে এসে দেখা যায় যে, প্রতিটি বড় প্রযুক্তি কোম্পানিরই নিজস্ব মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। অ্যাপল আইটিউনস থেকে বের হয়ে এসে অ্যাপল মিউজিক প্রতিষ্ঠা করেছে। অ্যামাজন তৈরি করেছে অ্যামাজন মিউজিক। গুগলের রয়েছে গুগল প্লে মিউজিক এবং ইউটিউব মিউজিক। এমনকি বিখ্যাত র্যাপার জেই-জি টাইডাল নামে তার একটি প্ল্যাটফর্মের শেয়ার কিনেছিলেন। তবে সেটির উদ্দেশ্য অবশ্য পেশাদার সাউন্ড কোয়ালিটি। এতকিছুর মধ্যে স্পটিফাই তার শীর্ষ জায়গাটি ধরে রেখেছে। এর একটি বড় কারণ তাদের ‘ফ্রিমিয়াম’ মডেল। গ্রাহকরা এখানে ইচ্ছা করলে বিনামূল্যে গান শুনতে পারে, তবে সাথে বিজ্ঞাপনও শুনতে হয়। যারা বিজ্ঞাপন শুনতে চায় না, তারা অর্থ খরচ করে প্রিমিয়াম সার্ভিস কিনে।
২০১৯ সালের শেষের দিকে অ্যাপল মিউজিকের গ্রাহক ছিল ৬০ মিলিয়ন, অ্যামাজন মিউজিকের জন্যে এই সংখ্যাটি ৫৫ মিলিয়ন। চীনা কোম্পানি টেনসেন্টের ছিল ৩৯.৯ মিলিয়ন গ্রাহক। স্পটিফাইয়ের ছিল ১২৪ মিলিয়ন প্রিমিয়াম গ্রাহক। স্পটিফাইয়ের এত বেশি প্রিমিয়াম গ্রাহকের পেছনে ফ্রি মডেলটি বেশ ভালো ভূমিকা রেখেছে। একটা বড় সময় ধরে বিনামূল্যে গান শোনার পরে অনেকেই প্রিমিয়াম সার্ভিসটি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে ওঠে। অন্যদিকে, অ্যাপল মিউজিক ফ্রি ট্রায়ালের সময় পার হওয়ার পরেই গ্রাহকদেরকে অর্থব্যয় করতে জোর করে। এমনকি অ্যাপল মিউজিক যখন যাত্রা শুরু করেছিল, তারা স্পটিফাইয়ের ফ্রি ভার্সনটি বন্ধ করতে চেষ্টা করেছিল।
বিনামূল্যে ব্যাপারটি গ্রাহকদের জন্যে অবশ্যই ভালো। এই কারণেই স্পটিফাই আজকে এতো জনপ্রিয়। কিন্তু একই ব্যাপারটি সঙ্গীতশিল্পীদের জন্যে মোটেও ভালো নয়। বিজ্ঞাপন থেকে স্পটিফাই যেটুকু অর্জন করে তা প্রিমিয়াম সার্ভিস থেকে অনেক কম। অন্যদিকে, অ্যাপল মিউজিক কিংবা টাইডালের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে গ্রাহককে অর্থ প্রদান করতে হয়। একজন শিল্পীর জন্যে তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। তিনি কি অ্যাপল মিউজিকে মনোযোগ দিবেন কারণ সেখানে বেশি অর্থ উপার্জন সম্ভব? আবার, স্পটিফাইতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক। তাই বেশি শ্রোতার কাছে পৌঁছাতে হলে স্পটিফাইয়ের বিকল্প নেই।
স্পটিফাই যখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠতে শুরু করলো, শিল্পীরা অনেকেই তখন অবাক হলেন, তারা কেন ডাউনলোডের যুগের মতো মুনাফা পাচ্ছেন না। ২০১৪ সালে টেইলর সুইফট বেশ বিখ্যাতভাবেই স্পটিফাইকে বয়কট করেছিলেন। তিনি তার সবগুলো গান সেখান থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তার অভিযোগ ছিল, তিনি এবং অন্যান্য অনেক শিল্পী প্রতি স্ট্রিমের জন্যে পর্যাপ্ত মুনাফা পাচ্ছিলেন না। ২০১৫ সালে অ্যাডেল তার পথ অনুসরণ করেছিলেন। তার ‘25’ অ্যালবাম স্পটিফাই বা অ্যাপল মিউজিকে তিনি মুক্তি দেননি।
এরপরে একটি প্রথা দেখা গেল, যেখানে শিল্পীরা শুধু একটি প্ল্যাটফর্মেই অ্যালবাম মুক্তি দিতেন অথবা নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত কোনো স্ট্রিমিং সার্ভিসেই অ্যালবাম প্রকাশ করতেন না। অনেক শিল্পীর গানই তখন একটা বড় সময় পর্যন্ত স্পটিফাইতে পাওয়া যেত না। এই জায়গায় অ্যাপল মিউজিক বেশ লাভ করেছিল। পরে অবশ্য টেইলর সুইফট এবং অ্যাডেল স্পটিফাইতে ফিরেছিলেন। কিন্তু স্ট্রিমিং সার্ভিসগুলো একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিল: প্রতি স্ট্রিমে তারা একজন শিল্পীকে কি পরিমাণ মুনাফা প্রদান করে? স্পটিফাই কিংবা অ্যাপল কেউই কোথাও এই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। কিন্তু, বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন, স্পটিফাই প্রতি স্ট্রিমে মুনাফার ৭০ শতাংশ প্রদান করে থাকে।
২০১৯ সালে স্পটিফাই ঘোষণা দিয়েছিল, তারা সঙ্গীতনির্ভর প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে এসে একটি অডিও প্ল্যাটফর্মের দিকে পৌঁছতে চায়। পুরো বিশ্বব্যাপী স্পটিফাইয়ের নাগাল তাতে আরো বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে স্পটিফাইয়ের মুনাফার ৯০ শতাংশই আসছে প্রিমিয়াম সার্ভিস থেকে। বাকি দশ শতাংশ বিজ্ঞাপন থেকে। স্পটিফাইয়ের নির্বাহীদের ধারণা, বিজ্ঞাপনে তাদের মার্কেট বৃদ্ধির একটি বড় সুযোগ রয়েছে। পডকাস্ট হতে পারে এরকম একটি মাধ্যম।
বৈশ্বিক মহামারি শুরু হওয়ার পরে, অল্প কিছু কোম্পানির মধ্যে স্পটিফাই একটি যারা অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়নি। বরং, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসে তাদের স্টক বৃদ্ধি পেয়েছে ৭০ শতাংশ। মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়ায় সময় কাটানোর জন্যে স্ট্রিমিং সার্ভিসগুলোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে।
স্পটিফাইয়ের শীর্ষ অবস্থানটি নিরাপদ মনে হলেও, বিভিন্ন দিক থেকে প্রতিযোগিতা হাজির হতে পারে। যেমন, টেনসেন্ট তাদের প্ল্যাটফর্মে ক্যারিওকি ফিচার যোগ করেছে। স্পটিফাইকে এইধরনের ব্যাপারগুলোতে মনোযোগ রাখতে হবে। শুধুমাত্র স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্যদিকেও মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বর্তমানে বৃহত্তম তিনটি রেকর্ড লেবেল কোম্পানি অর্থাৎ সনি, ইউনিভার্সাল এবং ওয়ার্নার মিউজিক গ্রুপের সাথেই বড় সব স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের চুক্তি রয়েছে। এই তিনটি কোম্পানি মিউজিক দুনিয়ার ৮০ শতাংশ দখল করে রেখেছে। কোনো কারণে মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম যদি ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম মার্কেটের আকৃতি নেয়, সেক্ষেত্রে এরকম অনেকগুলো প্ল্যাটফর্মই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নেটফ্লিক্স বা অ্যামাজনের কনটেন্টগুলো আলাদা। অর্থাৎ, এক প্ল্যাটফর্মে অন্য প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট পাওয়া যায় না। কারণ তাদেরকে আলাদাভাবে বিভিন্ন প্রোডাকশন হাউজের সাথে চুক্তি করতে হয় এবং চুক্তিগুলো হয় এক্সক্লুসিভ। অর্থাৎ, অন্য প্ল্যাটফর্মে একই কনটেন্ট পাওয়া যাবে না। মিউজিক স্ট্রিমিং মার্কেটেও এটা যেকোনো কারণে ঘটে পারে।
প্রতিযোগিতা যেমনই হোক না কেন, স্পটিফাই একটি বিশাল সাফল্যের গল্প। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করে বাজারে আধিপত্য ধরে রাখার কৃতিত্বটুকু তাদেরকে তাই দিতেই হয়। সম্প্রতি স্পটিফাই ৮৫টি নতুন দেশে তাদের সেবা চালু করেছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এই দেশগুলোতে তারা কতোটুকু সফল হবে, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন বিশ্লেষকরা।