‘হোয়াইট হাউজ প্রেস কোর’ হচ্ছে প্রায় ২৫০ সাংবাদিকের একটি দল, যাদের মূল কাজ হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তার আমলাদের কর্মকাণ্ড ও নীতিনির্ধারণ সম্পর্কে বাইরের মানুষকে জানানো। এই দলে পত্রিকা, ইলেকট্রনিক, রেডিও ও টেলিভিশনের সাংবাদিকদের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন সংবাদসংস্থার নিয়োজিত ফটোগ্রাফার ও ভিডিওগ্রাফার। এই সাংবাদিকগণ হোয়াইট হাউজের ভেতরের খবর যেমন সরবরাহ করেন, তেমনি আবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে সব জায়গায় সফর করেন আর প্রেসিডেন্টের হাঁড়ির খবর জানা ও জানানোর জন্যই গুচ্ছের পয়সা খরচ করে এসব সাংবাদিকদের নিয়োগ দেয় মিডিয়া হাউজগুলো।
সাংবাদিকরা যে অঞ্চলে কাজ করেন বা যে বিষয় নিয়ে কাজ করেন, তাকে তার বিট (beat) বলা হয়। যারা রাজনৈতিক খবরাখবর সরবরাহ করেন, তাদের বিটকে বলা হয় পলিটিক্যাল বিট। হোয়াইট হাউজের সাংবাদিক প্রতিনিধিরাও পলিটিকাল বিট রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন, তবে বাকিসব পলিটিক্যাল রিপোর্টারের চেয়ে তাদের স্থান যথেষ্ট উচ্চমার্গীয়। কারণ বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশের পরিচালনা কেন্দ্র ও তার পরিচালকদের পাশে থেকে কাজ করা তো মোটেও কোনো ছোটখাট ব্যাপার নয়। হোয়াইট হাউজের সাংবাদিকেরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তার প্রশাসনের খুব কাছে থাকার সুযোগ পান। হোয়াইট হাউজে কাজ করা নিয়ে একজন সাংবাদিক মন্তব্য করেছিলেন,
আমরা এমন একটা শহরে কাজ করি, যেখানে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে পারাটাই সবকিছু। হোয়াইট হাউজে কাজ করার জন্য অনেক সাংবাদিক ফুটবল মাঠের সমান আকৃতির ব্যক্তিগত অফিস ছেড়ে দিয়ে ওয়েস্ট উইংয়ে একটা ভাগ করা ছোট কক্ষে কাজ করতেও দ্বিধা করে না।
সাদা বাড়ির প্রথম সাংবাদিক
১৮৯৬ সাল। ১৩৬ কেজি ভরের বিশালবপু উইলিয়াম ‘ফ্যাটি’ প্রাইস ওয়াশিংটন ইভিনিং স্টার পত্রিকায় কাজ করার একটা সুযোগ খুঁজছিলেন। পত্রিকাটির সিটি এডিটর হ্যারি গডউইন প্রাইসকে স্থায়ী চাকরি দেওয়ার আগে হোয়াইট হাউজে পাঠালেন একটি সংবাদ তৈরি করার জন্য। ঐসময় প্রেসিডেন্ট ছিলেন গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড। ৩৫ বছর বয়সী প্রাইস সাউথ ক্যারোলিনার একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় সম্পাদকের কাজ করার সময় শহরের ভেতর চলা দুটো ট্রেনের যাত্রীদের কাছ থেকে সাক্ষাৎকার নিতেন সংবাদ তৈরি করার জন্য। প্রাইস ঠিক করলেন একই কৌশল তিনি হোয়াইট হাউজেও অবলম্বন করবেন। প্রাইস তখন হোয়াইট হাউজে গিয়ে প্রেসিডেন্টের দর্শনার্থীদের পথরোধ করে নিয়মিত প্রশ্ন করতে থাকলেন। ফলে ক’দিনের ভেতর তিনি যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করে ফেললেন এবং চাকরিটাও জুটে গেলো। হোয়াইট হাউজ থেকে যেসব তথ্য তিনি সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন, সেসব তথ্য সহযোগে তিনি অ্যাট দ্য হোয়াইট হাউজ শিরোনামে একটা কলাম লিখলেন। ব্যাস, ঘটনাটা খুব শীঘ্রই অন্য সংবাদসংস্থাগুলোর নজরে এলো আর দ্রুতই হোয়াইট হাউজ হয়ে উঠলো একটি নিউজ বিট।
কিন্তু একেবারে শুরু থেকেই হোয়াইট হাউজের অফিস কক্ষগুলোতে ঢুকতে পারেনি সাংবাদিকরা। তারা মূলত হোয়াইট হাউজের ভেতরে ইতস্তত ঘোরাফেরা করে সংবাদ সংগ্রহ করতেন। রুজভেল্টের সময়, ১৯০০ সালের দিকে সাংবাদিকরা প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্টের বাসভবনে প্রবেশ করে সংবাদ সংগ্রহের সুযোগ পান। কথিত আছে, প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট একদিন খেয়াল করেন সাংবাদিকেরা হোয়াইট হাউজ প্রাঙ্গণে বৃষ্টিতে ভিজে নিউজের সোর্স খুঁজছেন। পরে রুজভেল্ট সাংবাদিকদের হোয়াইট হাউজের ভেতর অফিস তৈরি করার অনুমতি দেন। ঐসময় সাংবাদিকদের মাত্র একটি টেবিলের সামনে বসে কাজ করতে হতো, তাদের আলাদা কোনো অফিস বা কক্ষ ছিল না। প্রেসিডেন্টের সেক্রেটারির অফিসের বাইরে টেবিলটা বসানো ছিল। সেক্রেটারি নিয়মিত রিপোর্টারদের ব্রিফ করতেন। পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকদের নিজস্ব সংবাদ কক্ষ সরবরাহ করা হয় হোয়াইট হাউজের ওয়েস্ট উইংয়ে, যা এখন পর্যন্ত ‘হোয়াইট হাউজ করেসপোন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
হোয়াইট হাউজ ও সাংবাদিকতা
মূলত তিনটি কারণে হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকেরা স্থায়ীভাবে অবস্থান করে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন।
১) হোয়াইট হাউজে যখন সাংবাদিকেরা প্রথমবারের মতো প্রবেশ করার সুযোগ পেল, তখন থেকেই খবরের আশায় সবসময় সাংবাদিকদের ভিড় লেগেই থাকতো সেখানে। তারা নিয়মিত বিভিন্ন ইভেন্টের খবর পরিবেশন করত। এছাড়া বিভিন্ন দাপ্তরিক ভ্রমণেও সাংবাদিকরা নিয়ম করে উপস্থিত থাকতেন। ফলে, হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা তাদের চারপাশে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে অভ্যস্ত হয়ে যান এবং অবশেষে হাউজের ভেতর সাংবাদিকদের অফিস তৈরির অনুমতি প্রদান করেন।
২) ধীরে ধীরে সাংবাদিকতার দুনিয়া প্রশস্ত হয়। সংবাদের বাণিজ্যিকীকরণ শুরু হয়। হোয়াইট হাউজ নিয়ে পাঠকদের আগ্রহ দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়। তাদের সেই চাহিদা মেটাতে হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের স্থায়িত্বকরণের দিকটিও অপরিহার্য হয়ে পড়ে।
৩) মার্কিন জনগণ তাদের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ও তার প্রয়োগের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন হয়ে ওঠে। ফলে রাষ্ট্রক্ষমতায় যারা আসীন, তাদের কাছে জনগণের প্রতিনিধিত্বের দায়িত্বটা সাংবাদিকদের কাঁধে পড়ে।
গণতন্ত্রে হোয়াইট হাউজের সাংবাদিকদের ভূমিকা
হোয়াইট হাউজের বর্তমান সাংবাদিকেরা প্রেসিডেন্টের যতটা কাছে ঘেঁষতে পারেন, শুরুর দিকে অর্থাৎ ১৯০০ সালের দিকে তার চেয়েও বেশি কাছাকাছি যেতে পারতেন। ঐসময় এমনও হতো যে সাংবাদিকেরা প্রেসিডেন্টের অফিস কক্ষে গিয়ে তার টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্টকে নিরবচ্ছিন্ন প্রশ্নবাণে জর্জরিত করতেন। এই ধরনের সাক্ষাৎকারে কোনো পরিকল্পনা বা স্ক্রিপ্ট থাকতো না, ফলে অনেকসময় দেখা যেতো একেবারে ভেতরের খবরও বের করে ফেলেছেন সাংবাদিকেরা। এই সাংবাদিকেরাই ইতিহাসের একটি অংশ লিপিবদ্ধ করেছিলেন।
কিন্তু বর্তমানে প্রশাসন ও সাংবাদিক, দু’পক্ষের সম্পর্ক বেশ করুণ। এখন আর সাংবাদিকেরা প্রেসিডেন্টকে যাচ্ছেতা-ই প্রশ্ন করতে পারেন না। আর প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারির পক্ষ থেকেও খুব কম তথ্যই পান তারা। সাংবাদিকদের সাথে প্রেসিডেন্টের সরাসরি সম্পর্ক অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রিত।
বর্ষীয়ান অনুসন্ধানী সাংবাদিক সাইমুর হার্শ হতাশা প্রকাশ করে বলেন,
আমি এর আগে কখনো হোয়াইট হাউজ প্রেস কোরকে এত দুর্বল অবস্থায় দেখিনি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় খবর সংগ্রহের চেয়ে সাংবাদিকদের হোয়াইট হাউজ ডিনারের প্রতি আগ্রহ বেশি।
বস্তুত, গত কয়েক দশক ধরে হোয়াইট হাউজ প্রেস কোরের সাংবাদিকেরা সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে খুব একটা সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন না বলেই মনে করা হয়। তারা যেসব তথ্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পান, তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকেন বা সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এছাড়া এমন অভিযোগও আছে যে, এখনকার অনেক প্রেসিডেন্টই সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহে ব্যাঘাত ঘটান।
প্রেসিডেন্টের সাথে সম্পর্ক
প্রেসিডেন্টদের সাথে সাংবাদিকদের মোলায়েম সম্পর্কের সমালোচনা অনেকেই করে থাকলেও বর্তমান সময়ে অনেক প্রেসিডেন্টের সাথেই হোয়াইট হাউজ প্রেস কোরের সম্পর্ক বেশ নীরসই বলা যায়। নিক্সন, বুশ, ওবামা থেকে শুরু করে হালের ট্রাম্প, সবাই-ই সাংবাদিকদের তথ্য অধিকারের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করেছেন। নিক্সন কিছু সাংবাদিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন, কারণ তারা প্রেসিডেন্টকে নিয়ে বেশ কাঠখোট্টা নিউজ করেছিল। বুশ তার বিশেষ ক্ষমতাবলে সাংবাদিকদের তথ্যাধিকার হরণ করেছিলেন। এদিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তো তার ক্ষমতা গ্রহণের শুরুতে রিপোর্টারদের প্রেস রুম থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের কাছে সাংবাদিকেরা পৃথিবীর ‘অসৎ মানুষদের’ শ্রেণীভুক্ত বলে বিবেচিত। ট্রাম্প প্রশাসন মিডিয়াকে অঘোষিত বিরোধী দল হিসেবে বিবেচনা করে। তবে এখন পর্যন্ত মিডিয়াকে হোয়াইট হাউজ থেকে বের করে দেওয়ার ধৃষ্টতা কোনো প্রেসিডেন্টই দেখাননি।
কীভাবে কাজ করেন সাংবাদিকেরা?
সাধারণত হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। প্রেস সেক্রেটারি ও প্রেস কোরের অফিসের মাঝখানে অবস্থিত জেমস এস. ব্রেডি প্রেস ব্রিফিং রুমে এই সাক্ষাৎকারের আয়োজন করা হয়। এই কক্ষটিতে ৪৯টি আসন রয়েছে আর প্রতিটি আসন একেকটি সংবাদ সংস্থার জন্য নির্ধারিত। বিখ্যাত সংস্থাগুলোর সাংবাদিকেরা সামনের আসনগুলোতে বসার সুযোগ পান। একসময় প্রেস ব্রিফিংগুলো হোয়াইট হাউজের বিভিন্ন কক্ষে অনুষ্ঠিত হলেও ধীরে ধীরে হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ১৯৬৯ সালে এই প্রেস ব্রিফিং কক্ষটি স্থাপন করা হয় এবং ২০০০ সালে বর্তমান নামে নামকরণ করা হয়।
হোয়াইট হাউজ করেসপোন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন
‘হোয়াইট হাউজ করেসপোন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’ (WHCA) হচ্ছে হোয়াইট হাউজে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন। ১৯১৪ সালে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন নিয়মিত প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করবেন। সেবছর একটা গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে কংগ্রেশনাল কমিটি ঠিক করবে, কোন কোন সাংবাদিক ঐ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি ১১ জন সাংবাদিক মিলে হোয়াইট হাউজ করেসপোন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই অ্যাসোসিয়েশনের মূলমন্ত্র হচ্ছে ‘হোয়াইট হাউজের সকল সংবাদকর্মীর সংশ্লিষ্ট অধিকার প্রসঙ্গে নিরঙ্কুশ সমর্থন’।
১৯২০ সালে এই সংগঠনটি এর প্রথম বার্ষিক নৈশভোজের (হোয়াইট হাউজ করেসপোন্ডেন্টস ডিনার) আয়োজন করে এবং ১৯২৪ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো কেলভিন কুলিজ নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন।
অবশ্য মজার ব্যাপার হলো, হোয়াইট হাউজের সাংবাদিকদের মধ্যে নারী সাংবাদিক থাকলেও তাদের বার্ষিক নৈশভোজে অংশগ্রহণ করার সুযোগ ছিল না। পরে প্রেসিডেন্ট কেনেডির সময় থেকে এ নিয়ম উঠিয়ে নেওয়া হয়।
ডব্লিউএইচসিএ’র বর্তমান প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক বেতার সম্প্রচার সংস্থা সিরিয়াসএক্সএম-এর প্রধান ওয়াশিংটন প্রতিনিধি অলিভার নক্স। এছাড়া ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে এবিসি নিউজের হোয়াইট হাউজ প্রতিনিধি জোনাথন কার্ল, কোষাধ্যক্ষ হিসেবে ডেইলিমেইল ডট কমের জ্যেষ্ঠ হোয়াইট হাউজ প্রতিনিধি ফ্রান্সিসকা চ্যাম্বার্স এবং সেক্রেটারি হিসেবে এনবিসি নিউজের সিনিয়র হোয়াইট হাউজ প্রডিউসার অ্যালিসিয়া জেনিংস কর্মরত আছেন।
দ্য হোয়াইট হাউজ করেসপোন্ডেন্টস ডিনার
১৯২০ সালের পর থেকে প্রতি বছর বার্ষিক নৈশভোজের আয়োজন করে হোয়াইট হাউজ করেসপোন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। বিভিন্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এই নৈশভোজে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। তবে মিডিয়ার সাথে দ্বন্দ্বের কারণে গত ২০১৭ সালের ভোজে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইভাবে তিনি ২০১৮ সালের ডিনারেও অংশগ্রহণ করেননি।
সাধারণত প্রতি বছরের নৈশভোজে একজন প্রখ্যাত কমেডিয়ান উপস্থিত থাকেন, যিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিদ্রূপ (roasting) করে থাকেন। বিনিময়ে প্রেসিডেন্টও ঠাট্টাচ্ছলে উত্তর দিয়ে আসর জমান। কিন্তু এ বছর সেই ঐতিহ্য ভঙ্গ করে কোনো কমেডিয়ান নয়, বরং একজন ইতিহাসবিদ ও জীবনীকার রন চেরনো মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এ বছরের নৈশভোজটি অনুষ্ঠিত হবে এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখ। শুধু অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরাই ডিনারের টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন।