রাগের মাথায় খুন করে ফেলতে চাওয়া মানুষের স্বভাব বা অভ্যাস যা-ই বলুন, তার একটি। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ নিজের মনুষ্যত্ব ক্ষমতায় এসব ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখে। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ কখনো এসব কল্পনাকে বাস্তবে নিয়ে আসতে পারে না। তবে সবাই কিন্তু একই দলের মানুষ না, কেউ কেউ মানবীয় গুণ পেছনে ফেলে নরকের কীট হয়ে ওঠে। কখনো কখনো খুনের এসব ইতিহাস রয়ে যায় মানুষের অগোচরে, পার পেয়ে যায় অপরাধীরা। চলুন আজ দেখে নেওয়া যাক ১০ জন ধুরন্ধর নারী খুনিকে, যাদের খুনের ইতিহাস প্রায় গোপনই থেকে যাচ্ছিল।
১০. লেই অ্যান
হাসপাতালে নার্সের চাকরি করতেন লেই। একদিন সেই হাসপাতালে এসে ভর্তি হলো জন সেবাইন। লেইয়ের সেবায় জন তার প্রেমে পড়ে যান। সুস্থ হয়ে বিয়ে করলেন লেইকে। প্রথম কতগুলো বছর বেশ ভালোভাবেই কেটে গেল নিউজিল্যান্ডে। তারপর একদিন এই দম্পতি পাঁচ সন্তানকে ফেলে পাড়ি জমালেন যুক্তরাজ্যে। এরপর শুরু হলো আসল গল্প।
অ্যানের একদিন মনে হলো তিনি জনকে ভালোবাসতে ভালোবাসতে ক্লান্ত। তিনি পরকীয়ায় জড়ালেন তার চেয়ে অনেক কমবয়সী জেলফেরত এক দাগী আসামীর সাথে। কিন্তু জন তাকে ক্ষমা করে দিলেন, নিজের সাথে নিয়ে গেলেন ওয়েলসে। ১৯৯৭ সাল, জনের নিখাদ ভালোবাসা আর সহ্য হচ্ছিল না অ্যানের! একরাতে জন যখন ঘুমাচ্ছিলেন, অ্যান পাথরের ব্যাঙ দিয়ে জনকে আঘাত করেন। প্রথম প্রথম কেউ যখন জনকে খুঁজতো, অ্যান বলতেন যে জন আরেক মহিলার সাথে পালিয়ে গেছেন। তার এই গল্পে কারো কোনো সন্দেহ হতো না। কিন্তু কারো মাঝে সন্দেহ না দেখেই বুঝি অ্যানের মাথা বিগড়ে গেল। ফলাও করে প্রচার করতে শুরু করলেন কীভাবে ও কেন তিনি স্বামীকে হত্যা করেছেন।
তার উদ্দেশ্য সফল হয়নি, লোকে ভাবতো, “আহারে! বরকে এত ভালোবাসতো! বর চলে যাওয়ায় বুঝি পাগলই হয়ে গেল অ্যান।” জন- অ্যানের গল্পটা হয়তো এমনই থেকে যেতে পারত। কিন্তু ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে অ্যান মারা যাওয়ার পর তাদের ঘরের কয়েক ব্লক পরেই জনের লাশ প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়া অবস্থায় পাওয়া গেল। তার কঙ্কালের গায়ে জড়ানো ছিল ১৮ বছর আগের সেই রাতের জামাকাপড়। লাশটি একা অ্যানের পক্ষে সরানো সম্ভব হয়নি। প্রতিবেশীদের সে সাহায্যের জন্য বলেছিল, তাদের জানানো হয়েছিল অ্যান যখন নার্স ছিল, এটি সেই সময়কার বাতিল কঙ্কাল। সুতরাং অ্যানের কপালই বলতে হবে, সগর্বে খুনের গল্প করেও শাস্তি পায়নি।
৯. লখবীর সিং
লখবীর চীমার সাথে ১৬ বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল সিংয়ের। কিন্তু চীমার গোপন ইচ্ছা ছিল বয়সে আরো ছোট মেয়েকে বিয়ে করার। সিং যখন এই কথা জানতে পারলেন চীমার বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেবেন বলে শাসিয়ে গেলেন। এই ঘটনার কিছুদিন পর সিং যুক্তরাজ্য ছেড়ে ভারতে যান। উদ্দেশ্য কিন্তু শুধু ঘোরাঘুরি নয়, ভারত থেকে সাথে নিয়ে এলেন মারাত্মক বিষ ‘একোনাইট’। চীমার বাড়ীর চাবি তার কাছে আগে থেকেই ছিল। একদিন চীমার অনুপস্থিতিতে তার বাড়িতে এসে ফ্রিজ খুলে তরকারিতে মিশিয়ে দিলেন বিষ। সেদিন দুপুরে খাওয়ার পর ভয়ানকভাবে বমি শুরু করলেন চীমা। ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে জানালেন তার পুরাতন প্রেমিকা তার খাবারে বিষ মিশিয়েছে। পুলিশ সাক্ষ্য প্রমাণ সহ অপরাধীকে পাকড়াও করলেও মৃত্যু হয় লখবীর চীমার।
৮. হ্যাজেলিন স্টম্পস
২০০৯ সালের ঘটনা। এটা সেটা করতে অনেক খরচ হত হ্যাজেলিনের। স্বামীকে না জানিয়েই আকন্ঠ দেনায় ডুবে গিয়েছিলেন। প্রচুর অর্থ দরকার ছিল তার। ঠিক করলেন, খুন করতে হবে স্বামীকে। একদিন খুব কাছ থেকে স্বামীকে গুলি করলেন। তারপর তার শরীরকে এমনভাবে পোড়ালেন যে তার হাড়গুলোও একদম ছোট ছোট কণায় পরিণত হয়। তারপর পুলিশ স্টেশনে গিয়ে স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ দায়ের করলেন।
পাঁচদিন ধরে শত শত লোক হ্যাজেলিনের স্বামী জেরিকে খুঁজে বেড়ালো। অবশেষে অনুসন্ধানকারীরা পেয়ে গেল সেই কাঙ্খিত হাড়ের টুকরো আর রক্তমাখা রিভলবার। এতকিছুর পরেও ছাড়া পেতে পারতেন হ্যাজেলিন। তাকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করালো তারই ছোট্ট একটা মিথ্যা কথা। পুলিশ এসব পেয়ে যাওয়ার পর হ্যাজেলিন ঘটনাটিকে বিশ্বাসযোগ্য করতে পুলিশকে বলেছিলেন, তাকে আর তার স্বামীকে আক্রমণ করা হয়েছিল, তখন তাকে ব্রিজের উপর থেকে ফেলে দেওয়া হয় আর তার স্বামীকে অপহরণ করা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় তার পশ্চাদ্দেশের হাড় ভেঙে যায়। কিন্তু মেডিক্যাল টেস্টে প্রমাণিত হয়, তার এই আঘাত তার বলা ঘটনার তারিখের বহু আগের। এভাবেই ধরা পড়ে যান হ্যাজেলিন।
৭. খুনে প্রেম
গোয়েন্ডলিন গ্রাহাম মিশিগানে এলেন চাকরির খোঁজে। চাকরি হলো অ্যালপাইন ম্যানর নার্সিং হোমে, নার্স হিসেবে। সেখানেই আরেক নার্স ছিলেন ক্যাথি উডস। প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। এই প্রেম আর দশটা প্রেমের মত সুস্থ স্বাভাবিক ছিল না। গ্রাহাম বিশ্বাস করতেন দুজনে মিলে মানুষ খুন করলে দুজনের ভেতরকার প্রেম আরো বেড়ে যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। নার্সিং হোমে চিকিৎসা নিতে আসা বয়স্ক রোগীদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে লাগলেন একে একে। ক্যাথি এসব খুন নিজ হাতে না করলেও এসবে তার মদদ ছিল। প্রত্যেকটা খুন শেষে গ্রাহাম তাদের শরীর থেকে কিছু একটা নিতেন খুনের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে। পাঁচটি খুন হয়ে যাওয়ার পরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনোরকম সন্দেহই করেনি। ফলে খুব সহজেই গ্রাহাম আর ক্যাথি মুক্ত বাতাসে ঘুরছিলেন। কিন্তু বাধ সাধল নিয়তি। গ্রাহাম আর ক্যাথির সম্পর্কের ইতি ঘটল। গ্রাহামের উপর প্রতিশোধ নিতে ক্যাথি পুলিশের কাছে গিয়ে সব ইতিহাস খুলে বলল। আর এভাবেই সমাপ্ত হলো অভিশপ্ত এক খুনীর অধ্যায়।
৬. খুনে মা ওয়ানেটা হয়ট
ওয়ানেটা হয়টকে সবাই চিনত এক দুঃখিনী মা হিসেবে। ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই জন্মের পর মারা গেল এক রহস্যময় শিশুরোগে। সবাই তার এই ক্ষতির জন্য তাকে সমীহের চোখে দেখত। কিন্তু পাপ কতদিন ঢেকে রাখা যায়? এই রোগের উপর গবেষণা চলাকালে, আক্রান্ত শিশুদের মা হিসেবে তাকে ডাকা হল। কিন্তু তিনি এই রোগের সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। ফলে ধরা পড়ে স্বীকার করে নিলেন, তার পাঁচ শিশুকে তিনি নিজ হাতে খুন করেছেন দম বন্ধ করে! খুন করার পেছনে তার কারণ ছিল বাচ্চাদের কান্না! এসব থেকে তিনি নাকি মুক্তি চাইছিলেন, আর তাই এই সমাধানের উপায় খুঁজে নিয়েছিলেন!
৫. জেনিনি জোন্স
মধ্যরাত, নবজাতক শিশুদের ওয়ার্ডে পায়চারি করছেন দায়িত্বরত নার্স। তার সুনাম আছে, তার দায়িত্বে থাকা বাচ্চাগুলো একদমই বিরক্ত করে না। হঠাৎ একটি শিশু কেঁদে উঠলো। বিরক্ত হলেন নার্স জেনিনি জোন্স। এই বাচ্চাগুলো কি নিজেরা চুপ থাকতে পারে না? আরেকটু কাঁদলে তার সুনামটাই না মাটি হয়ে যায়! তা হতে দেবেন না তিনি। এতোদিন ধরে বাচ্চাদের শান্ত রাখতে যা করেছেন, আজও তাই-ই করবেন। বাচ্চাদের শান্ত রাখতে তিনি তাদের শরীরে হেপারিনের মতো ওষুধ ইনজেক্ট করতেন। তার জানা ছিল, এর প্রতিক্রিয়া শিশুটির উপর দীর্ঘমেয়াদী হবে। কিছু শিশু তাৎক্ষণিকভাবে মারাও যেত। কিন্তু প্রশংসা পাওয়ার ভূতে পেয়েছিল তাকে। স্বাভাবিক শিশুমৃত্যু বলে ধারণা করেই জেনিনি সন্দেহের উর্ধ্বে বেশ সুখেই দিন কাটাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ ছয়টি শিশুর মৃত্যুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসল। তাদের সবার শরীরে ইনজেকশনের দাগ। ওষুধের ঘরের চাবি শুধুমাত্র প্রধান ডাক্তার ও জেনিনির কাছে ছিল। হিসাব করে দেখা যায়, প্রতিটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে জেনিনির দায়িত্বে থাকার সময়ে। এভাবে ইচ্ছাকৃত ৬০টি খুনের পর ধরা পড়েন জেনিনি জোন্স।
৪. ডারিয়া সলটাইকোভা
অষ্টাদশ শতকের রাশিয়ার ঘটনা। ডারিয়া সেখানে প্রভাবশালী উচ্চবংশীয় এক নারী। রূপচর্চা আর বিলাসের পরও তার হাতে অনেক অনেক সময়। কী করবেন এত সময় দিয়ে? তখনও বিশ্বে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। তার হাতেও আছে শ’খানেক কেনা গোলাম। অবসরে বিভিন্নভাবে তাদের উপর অত্যাচার চালানোই হয়ে পড়ল ডারিয়ার শখ। যেমন তেমনভাবে নয়, তার এই নিপীড়ন চলতো দাসটি না মরা পর্যন্ত। এভাবে অগণিত খুন করেও শুধুমাত্র সমাজে নিজের অবস্থানের কারণে পার পেয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে তৎকালীন সম্রাজ্ঞী ক্যাথরিনের সুবুদ্ধির উদয় হয়। তিনি ঠিক করেন ডারিয়াকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন। সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডই পাওনা ছিল ডারিয়ার। কিন্তু কিছুদিন আগেই মৃত্যুদণ্ড বন্ধ করা হয়েছিল। বিচারে ডারিয়ার শাস্তি হলো এক ঘন্টা জনসম্মুখে খুনের চিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ও যাবজ্জীবন কারাবাস।
৩. ড্যাগমার ওভারবাই
মানুষের বাড়িতে বাচ্চা দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল ড্যানিশ নারী ড্যাগমারের। কিন্তু বাচ্চাদের চিৎকার আর যন্ত্রণা তার আর সহ্য হচ্ছিল না। রোজ রোজ একই জীবনে তিনি ক্লান্ত হয়ে গেলেন। তারপর শুরু হল তার কদর্য শিশুহত্যা। প্রথম প্রথম বাচ্চাদের গলা টিপে বা গোসলের পানিতে ডুবিয়েই মারতেন। এতেও মনের খেদ মিটছিল না তার। বাচ্চাদের ধরে ধরে ঢুকিয়ে দিতেন ওভেনে। ২৫টির মতো খুন হওয়া পর্যন্ত মানুষ ধারণা করতে পারেনি এসব মৃত্যুর পেছনে হাত আছে ড্যাগমারের। ১৯২১ সালে মাত্র ৯টি খুনের অভিযোগ এনে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২. টিলি ক্লিমেক
“আমি তোমার মৃত্যু দেখতে পারছি, তোমার জীবনের আর এক সপ্তাহ বাকি, শীঘ্রই তোমার আত্মীয় স্বজনকে তোমার জন্য কফিন কিনতে হবে“। এমন ভবিষ্যদ্বাণী করে আধ্যাত্মিক খ্যাতি পেয়ে গিয়েছিলেন টিলি ক্লিমেক। তিনি অবশ্য শুধু এই ভবিষ্যদ্বাবাণী করতেন যে লোকটিকে তিনি কতদিনের ভেতর মরতে দেখছেন। কিন্তু আসল সত্যিটা ছিল অন্যরকম। ভবিষ্যদ্বাণী করার পর নির্দিষ্ট দিনে আর্সেনিক বিষ প্রয়োগে লোকটিকে মেরে ফেলতেন নিজেই। এসব বুজরুকি বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হত্যা করেছিলেন নিজের কুকুরটিকেও। তিনজন স্বামী আর বেশ ক’জন প্রতিবেশীর মৃত্যু হয় এভাবে। চতুর্থ স্বামী বিষের প্রভাবে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় টিলিকে।
১. কাউন্টেস এলিজাবেথ ব্যাথোরি
এলিজাবেথ ব্যাথোরি জন্মেছিলেন হাঙ্গেরির এক উচ্চবংশে। ছোটবেলা থেকেই যা চাইতেন, তা-ই পেতেন। চাচা তাকে দীক্ষিত করেছিল স্যাটানিজমে। চাচী দিয়েছিল অন্যকে কষ্ট দিয়ে কীভাবে আনন্দ পাওয়া যায় সেই শিক্ষা। শৈশবের এই ‘দুর্দান্ত’ শিক্ষা তাকে অচিরেই বিশ্বের ধুরন্ধর নারী খুনীর তালিকার প্রথমে নিয়ে গেল। ১৫ বছর বয়সে তার বিয়ে হলো কাউন্ট নাদাদির সাথে। বউকে ভালোবেসে নাদাদি বউয়ের জন্য বানিয়ে দিলেন ‘ব্যক্তিগত অত্যাচার কক্ষ’। এখানে সারাদিন ঘন্টার পর ঘন্টা কাউন্টেস তার দাসদের অত্যাচার করতেন। অত্যাচারের ধরনগুলো ছিল তারই মতো ভয়াবহ।
তার পছন্দের কয়েকটি কাজের ভেতর ছিল একজন দাসের সারা শরীরে মধু মেখে তাকে খাটিয়ার সাথে বেঁধে শুইয়ে রাখা, যখন মৌমাছির হুলের আঘাতে দাস চিৎকার করবে, তা দেখা। দাসদের আঙুলে সূঁচ ফোটানো তার রোজকার রুটিন ছিল। সবচেয়ে মারাত্মক ছিল দাসীদেরকে তাদের নিজের শরীরের মাংস কেটে কাউন্টেসের উপস্থিতিতে সেটা রান্না করে খাওয়ানো। ইতিহাসের প্রথম ভ্যাম্পায়ারদের একজন ছিলেন এলিজাবেথ ব্যাথোরি। তার ধারণা ছিল মানুষের রক্তপান তাকে চিরযৌবনা রাখবে। কিন্তু দিনে দিনে তার অভিলাষ বেড়েই চলছিল। তার ইচ্ছা হলো, ক’জন উচ্চবংশীয়াকেও এই চেম্বারে এনে অত্যাচার করবেন। ফলে রাজাকে এবার নড়েচড়ে বসতে হল। বিচারে এলিজাবেথকে একটি প্রাসাদে একা গৃহবন্দী করা হয়।