অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইউরোপকে কেন্দ্র করে শুরু হয় এক ফিলোসফিক্যাল আন্দোলন, যে আন্দোলনের মাধ্যমে লিবার্টি, ক্ষমতা, অধিকার, কর্তৃত্ব, সাংবিধানিক সরকার, বৈধতার ধারণাগুলো রাষ্ট্র নামের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে। এই আন্দোলনে ধর্মীয় বিশ্বাস বা সামাজিক সংস্কারের চেয়ে যুক্তির উপর ভিত্তি করে সমাজ আর রাষ্ট্রের কাঠামোর গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। রাজনৈতিক ইতিহাসে এই ফিলোসফিক্যাল আন্দোলন পরিচিত ‘রেনেসাঁ’ হিসেবে।
রেনেসাঁর সময়ে বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন
রেনেসাঁর সময়ে বুদ্ধিবৃত্তিক জগতে দুই পরিষ্কার বিভাজন লক্ষ্য করা যায়। প্রথমভাগে আছেন র্যাডিকাল বুদ্ধিজীবীরা, যারা রেনেসাঁর সময়ে গণতন্ত্র, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা, বিশ্বাসের স্বাধীনতার পক্ষে বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন পরিচালনা করেছেন, জনমত তৈরি করেছেন চার্চের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা কমানোর ব্যাপারে। দ্বিতীয় ভাগে ছিলেন মডারেট সংস্কারবাদী বুদ্ধিজীবিরা, যারা ধর্মীয় বিশ্বাস আর সামাজিক সংস্কৃতিগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সংস্কার আন্দোলন পরিচালনা করতে চেয়েছিলেন।
দুই ভাগের বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে প্রথম ভাগের, র্যাডিকাল সংস্কারবাদী বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে প্রথমসারির বুদ্ধিজীবী ইমানুয়্যাল কান্ট। রেনেসাঁর সময়ের এই বুদ্ধিজীবী জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন ১৭২৪ সালে। ফিলোসফি, রাজনৈতিক দর্শন আর নৈতিক দর্শনে তার রয়েছে সীমাহীন প্রভাব। ইমানুয়্যাল কান্ট বুদ্ধিজীবী হিসেবে জ্যা জ্যাক রুশোর উত্তরসূরি এবং খ্যাতিমান তাত্ত্বিক হেগেলের পূর্বসূরী।
দর্শনের জগতে ইমানুয়্যাল কান্ট নতুন কোনো শাখা যুক্ত করেননি, নেই নতুন কোনো পলিটিক্যাল ডকট্রিনও। কিন্তু, দর্শনের প্রায় প্রতিটি শাখায় তার বিচরণ রয়েছে, তার বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যাখ্যা সমৃদ্ধ করেছে দর্শনের বিভিন্ন ক্ষেত্রকে, বিভিন্ন শাখাকে। তার দর্শনের উপর ভিত্তি করেই মার্ক্সিজম আর এক্সটেনশনিজমের ব্যাখ্যা প্রদান সহজতর হয়েছে, এই রাজনৈতিক মতবাদগুলো মৌলিক ভিত্তির দিক থেকে সমৃদ্ধ হয়েছে।
ইমানুয়্যাল কান্টের দর্শন
রেনেসাঁর সময়ের বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনে ইমানুয়্যাল কান্টের দুটি যুক্তি পরবর্তী সময়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছে, আটলান্টিক রেভ্যুলুশনের মৌলিক ভিত্তি তৈরিতে সাহায্য করেছে, শাসনতান্ত্রিক বিবর্তনের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে, সংস্কারবাদীদের ব্যাখ্যাকে সমৃদ্ধ করেছে, এবং সাংবিধানিক শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথকে সুগম করেছে।
প্রথমত, কান্টের মতে, সকল রাজনৈতিক বিবেচনা বৈশ্বিকভাবে নিরপেক্ষ হওয়ার উচিত, সকল রাজনৈতিক কার্যক্রমকে একই স্ট্যান্ডার্ড থেকে পৃথিবির সব প্রান্তে বিবেচনা করা উচিত। রাজনৈতিক বৈধতা আর অবৈধতার প্রশ্নে একই স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করা উচিত, সকল মানুষের রাজনৈতিক অধিকার পৃথিবীর সব প্রান্তে সমান হওয়া উচিত।
এই দর্শনের উপর ভিত্তি করেই বিংশ শতাব্দীতে প্রধানতম এক রাজনৈতিক মতাদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় উদারনৈতিক গণতন্ত্র, যেখানে সংকীর্ণ জাতীয় স্বার্থের চেয়ে বৈশ্বিক প্রয়োজনের উপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইমানুয়্যাল কান্টের দর্শনের উপর ভিত্তি করেই আটলান্টিক রেভ্যলুশনের মাধ্যমে আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ে রাজনৈতিক বিবর্তন ঘটেছে, রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে। এই সময়ে, যুক্তরাজ্যের উপনিবেশ শাসন থেকে মুক্ত হয়ে ফেডারেল কাঠামোর রাষ্ট্র গঠন করেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নেতারা, ফ্রান্সে হয় ফরাসি বিপ্লব, প্রথম দাসরাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে হাইতি।
দ্বিতীয়ত, ইমানুয়্যাল কান্ট ব্যবহারিক রাজনীতির উপর বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ করেছেন কম। বরং, তার কাজের এক বড় অংশ জুড়েই ছিল আন্তর্জাতিক রাজনীতির তাত্ত্বিক ভিত্তিগুলোর উপর, এক রাষ্ট্রের সাথে অন্য রাষ্ট্রের রাজনৈতিক সম্পর্কের ধরনের উপর। তার দর্শনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক ভূমিকাগুলোও আলোচিত হয়েছে।
বিশ্বায়নের এই যুগে এসে আমরা শান্তি আর স্থিতিশীলতা রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপস্থিতি আর ভূমিকাগুলো আরো নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করতে পারছি, অনুধাবন করতে পারছি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক প্রয়োজনীয়তা। কান্টের সংস্কার ধারণার সাথে বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা সংগতিপূর্ণ, বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায়ও তাই তার দর্শনের প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে, বর্তমান আন্তর্জাতিক রাজনীতির কাঠামোকে ব্যাখ্যায় ব্যবহৃত হতে পারে কান্টের দর্শন।
ডেমোক্রেটিক পিস থিওরি
ক্ল্যাসিক্যাল পলিটিক্যাল রিয়েলিজমের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হচ্ছে, মানব চরিত্রের কিছু বৈশিষ্ট্য অপরিবর্তনীয়, সময়ের সাথে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটলেও সাধারণভাবে এসব বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটে না। প্রতিযোগিতার মনোভাব, আত্মসম্মানবোধ, স্বার্থের প্রতি আকর্ষণ মানুষের চরিত্রের অপরিবর্তনীয় দিক। মানুষ যেহেতু রাষ্ট্রের কর্ণধার হিসেবে কাজ করে, মানুষের এসব বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ রাষ্ট্রের চরিত্রকেও একইরকম করে তোলে। কিন্তু, কান্টের মতে, মানুষের চরিত্রের এসব বৈশিষ্ট্যের মধ্যে থেকেও, যুদ্ধ আর সংঘাতকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে, উদার রাজনৈতিক দর্শনের মাধ্যমে।
এই ক্ষেত্রে ডেমোক্রেটিক পিস থিওরির ব্যাখ্যা গুরুত্বপূর্ণ এক স্তম্ভ, লিবারেল আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক কাঠামোর পক্ষের কর্মীদের জন্য। ইমান্যুয়াল কান্ট এই তত্ত্বের প্রথম ধারণা দেন ১৭৯৫ সালে তার প্রকাশিত এক নিবন্ধে, যার শিরোনাম ‘Perpetual Peace: A Philosophical Sketch’। তিনি এই নিবন্ধে দাবি করেন, রাষ্ট্রের কাঠামো এবং সরকারব্যবস্থা রিপাবলিকান হলে, জনবান্ধব হলে, আইনের শাসন থাকলে সেই রাষ্ট্র দ্রুত অরাজকতা থেকে বের হয়ে আসে, একই ঘরানার অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে কিছু প্রাথমিক মূল্যবোধ অনুসরণ করে। এই মূল্যবোধগুলো সংঘাত এড়িয়ে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে স্বার্থের দ্বন্দ্বগুলো সমাধানের পথ বের করে দেয়।
এই যুক্তিকে সম্প্রসারিত করে ক্যান্ট একই নিবন্ধে দাবি করছেন, এভাবে পৃথিবীর সব রাষ্ট্র জনতন্ত্র হলে, রাষ্ট্রে আইনের শাসন থাকলে, পৃথিবী থেকে এক রাষ্ট্রের সাথে আরেক রাষ্ট্রের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের ইতি ঘটবে এবং পৃথিবীতে আর কোনো যুদ্ধ হবে না। এই নিবন্ধের সকল যুক্তিকে একত্রিত করে আধুনিক সময়ে এসে তৈরি হয়েছে ডেমোক্রেটিক পিস থিওরি। ডেমোক্রেটিক পিস থিওরিতে আমরা দেখতে পাই, গণতান্ত্রিক সরকারগুলো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম প্রদর্শন করেন স্বৈরশাসকদের চেয়ে। তিনটি কারণে এই প্রবণতা দেখা যায়।
প্রথমত, যুদ্ধ আর সংঘাতের প্রাথমিক স্টেকহোল্ডার গ্রুপ সাধারণ নাগরিকেরাই। যুদ্ধের ভয়াবহতা তাদেরই স্পর্শ করে বেশি, যুদ্ধের নিষ্ঠুরতাও তারাই প্রত্যক্ষ করে বেশি। গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্রে এই সাধারণ নাগরিকেরাই যেহেতু ভোটার, তাই শাসককে দায়বদ্ধ রাখার মাধ্যমে যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে পারে যেকোনো দেশ।
দ্বিতীয়ত, গণতান্ত্রিক শাসকদের সাধারণত গ্রহণযোগ্যতার সংকট থাকে না, শাসন টিকিয়ে রাখতে জাতীয়তাবাদও উস্কে দিতে হয় না। শাসন টিকিয়ে রাখতে স্বৈরশাসকেরা সাধারণত যুদ্ধের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদকে উস্কে দিতে চান। গণতান্ত্রিক সরকারকে বা গণতান্ত্রিক শাসককে সেই পথে হাঁটতে হয় না।
তৃতীয়ত, গণতান্ত্রিক সরকারগুলো রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উঠে আসায় তারা সংলাপে পারদর্শী হয়, যেকোনো সমস্যা সমাধানে সংলাপকেই সর্বোত্তম সমাধান হিসেবে চর্চা মনে করেন। এভাবে, অন্য রাষ্ট্রের সাথে জাতীয় স্বার্থের ইস্যুতে দ্বন্দ্ব তৈরি হলে গণতান্ত্রিক সরকারগুলো সংলাপের মাধ্যমেই তা সমাধান করতে পারে বা করতে চায়। ফলে, সম্ভাব্য সংঘাত এড়ানো যায়।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ডেমোক্রেস্টিক পিস থিওরি প্রদান করেন মাইকেল ডব্লিউ. ডলি, ইমানুয়্যাল কান্টের ব্যাখ্যার উপর ভিত্তি করে। তবে, এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের শিক্ষানবিশদের কাছে একই সাথে ‘ডেমোক্রেটিক পিস থিসিস’, ‘ডেমোক্রেটিক পিস হাইপোথিসিস’ ইত্যাদি নামে পরিচিত।
কান্টের ডেমোক্রেটিক পিস থিওরির উপর তুলনামূলক আলোচনা
সৃষ্টির শুরু থেকেই সমাজের একটি অংশ মানুষে মানুষে শান্তি চেয়েছে। শান্তিকামী এই মানুষদের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় অংশটি বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান তৈরি করে মানুষে মানুষে সংঘাত এড়ানোর পথ করে দিয়েছে, মানুষের স্থিতিশীলতার পক্ষে নিরন্তর আবেদন তৈরি করেছে বিভিন্ন প্রথা। রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের স্বার্থের সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের নিমিত্তেই এসেছে শাসনতান্ত্রিক বিবর্তন, যার সবচেয়ে কার্যকর মডেল উদার গণতন্ত্র। গত কয়েক শতাব্দী ধরেই গণতন্ত্রকে দেখা হয়েছে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে ইতিবাচক নিয়ামক হিসেবে।
তবে, গণতন্ত্রের সাথে শান্তি এবং স্থিতিশীলতার সম্পর্ক সবসময়ই বুদ্ধিবৃত্তিক জগতে আলোচনার খোরাক হয়েছে, এই বিতর্কে অংশ নিয়েছেন দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস এবং আইনের সাথে জড়িত বুদ্ধিজীবীরা। ২০০৩ সালে প্রকাশিত ‘The Flawed Logic of Democratic Peace Theory’ নিবন্ধে অধ্যাপক সেবাস্টেইন রোসাটো ডেমোক্রেটিক পিস থিওরিকে ব্যাখ্যা করেন যুদ্ধ এবং শান্তির তুলনামূলক আলোচনায় সবচেয়ে উদার স্তম্ভ হিসেবে।
কান্টের ব্যাখ্যার মাধ্যমে সাংবিধানিক জনতন্ত্রের প্রতি সমর্থন খুঁজে পাওয়া যায়, বর্তমানে যা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সমার্থক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করতেন, চিরস্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য তিনটি বিষয়ের উপর গুরুত্বরোপ করতে হবে। শাসনব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্রকে গ্রহণ করতে হবে, আন্তর্জাতিক কাঠামোতে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক তৈরিতে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা তৈরি করতে হবে এবং সম্পর্কগুলো পরিচালিত হবে আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থাতে কান্টের দর্শনের একটি সম্প্রসারিত কাঠামো দেখা যায়।
তবে, ডেমোক্রেটিক পিস থিওরির কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, আছে সমালোচনা। এই তত্ত্বানুসারে, স্বৈরশাসকেরা অধিক যুদ্ধবাজ হওয়ার কথা, সামরিক আক্রমণ তাদের দিক থেকেই আগে আসার কথা। কিন্তু, এই শতাব্দীর কিছু যুদ্ধের প্রারম্ভিক ঘটনাপ্রবাহ দেখাচ্ছে, অনেক সময় গণতান্ত্রিক দেশেও যুদ্ধবাজের উত্থান ঘটতে পারে। যেমন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সমন্বিত সিদ্ধান্তে এই শতাব্দীর শুরুতে স্বৈরশাসনের অধীনে থাকা ইরাকে সামরিক হামলা পরিচালনা করা হয়, একইরকম ঘটনা দেখা গেছে আফগানিস্তানের ক্ষেত্রেও।
আবার, কান্টের দর্শনানুসারে গণতান্ত্রিক দেশগুলোর নাগরিকেরা যুদ্ধের বিরোধী হওয়ার কথা। এই বাস্তব প্রতিফলন আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আক্রমণের ঘটনাটিতে দেখতে পাই না। বরং, ইরাক আর আফগানিস্তানে আক্রমণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়, বৃদ্ধি পায় জনপ্রিয়তাও। যুদ্ধে ব্যর্থতাও গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে বিপরীত প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।