১
প্রথমে একটি ম্যাচের গল্প শোনা যাক। ২০০০ সালের কথা। শারজাহর মাঠে ফাইনাল। মুখোমুখি পাকিস্তান আর দক্ষিণ আফ্রিকা। ফাইনালে নিশ্চিত ফেভারিট দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি শোয়েব আখতারের নৈপুণ্যে পাকিস্তান জিতলেও তার আগের টানা ১৪টি ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকাই জিতেছে, সেগুলোও প্রাধান্য বিস্তার করেই।
ফাইনালে এটি ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার ফেভারিট হওয়ার আরেকটি কারণ ছিল, ইনজুরির জন্য শোয়েব আখতার ম্যাচটা খেলতে পারেননি। তবুও ওয়াসিম আকরাম আর ওয়াকার ইউনুসের সমন্বয়ে বোলিং লাইনটা একেবারে খারাপ ছিল না। এক ম্যাচ আগেই ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট পাওয়া ওয়াকার ইউনুসও ফর্মেই ছিলেন। প্রথমে ব্যাট করে ২৬৩ রান করার পর তাই পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পক্ষে একটু হলেও সমর্থকদের আশা ছিল। মাত্র ৩০ রানেই দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর পাকিস্তানিরা আরো আশাবাদী হয়। কিন্তু এরপরেই ম্যাকেঞ্জিকে নিয়ে অধিনায়ক ক্রনিয়ে ম্যাচে ফিরে আসেন। ওয়াকার ইউনুস বেধড়ক মার খান এই ম্যাচের প্রথম স্পেলে। কিন্তু দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে এসে প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচটিকে ১৭ রানে জিতিয়ে পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন করালেন প্রথম একাদশে জায়গা নিয়েই অনিশ্চিত থাকা সেই ওয়াকার ইউনুসই। পরের স্পেলে পেলেন চার উইকেট, ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা বাউচারকে আউট করলেন। সাথে শিকার করলেন নিকি বোয়ে, ক্লুজনার আর শন পোলকের উইকেট। আদায় করে নিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার, সাথে হলেন ম্যান অব দ্য সিরিজ।
২
ক্রিকেট খেলায় একজন ব্যাটসম্যানের জন্য সেঞ্চুরি করা যেমন মর্যাদার, ঠিক তেমনি একজন বোলারের জন্য ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাওয়াটা তার চেয়েও কিছুটা হলেও বেশি মর্যাদাসম্পন্ন, বিশেষ করে ওয়ানডে ক্রিকেটে।
আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, এর কারণ কী? কারণ হলো ওয়ানডে ক্রিকেট হচ্ছে ৫০ ওভারের খেলা। এই খেলায় একজন ব্যাটসম্যানের পক্ষে সম্ভব ওপেনিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ১৫০+ বল খেলা, কিন্তু একজন বোলার চাইলেও ৫০ ওভারের খেলায় ৬০টির বেশি বল করতে পারেন না। এই ৬০টি বলও আবার তাকে বিভিন্ন পর্যায়ে করতে হয়, একটানা করতে পারেন না।
এত সীমাবদ্ধতার মাঝেও যেদিনটিতে একজন বোলার এক ইনিংসে ৫ উইকেট পান, সেদিন তাকে এক্সট্রা অর্ডিনারি পারফর্মেন্সই দেখাতে হয়। এরকম এক্সট্রা অর্ডিনারি পারফর্মেন্স একজন বোলার তার ক্যারিয়ারে কতবার দেখাতে পারেন? সেটা জানতে চাইলে আপনাকে কিছু তথ্য দেখতে হবে।
পরিসংখ্যান বলছে যে, ওয়ানডে ক্রিকেটে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি বার পাঁচ উইকেট পাওয়া বোলারটির নাম ওয়াকার ইউনুস। তিনি মোট ১৩ বার এই কাজটি করতে পেরেছেন। তবে এত অল্প কথাতে তার কীর্তির মাহাত্ম্যটা ঠিক বুঝতে পারা যাবে না। ওয়াকারের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই কাজ করতে পেরেছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন। কিন্তু ১০ বার এই কাজ করতে গিয়ে তাকে ম্যাচ খেলতে হয়েছে ৩৫০টি, যেখানে ওয়াকারের ম্যাচ সংখ্যা মাত্র ২৬২টি।
গ্লেন ম্যাকগ্রা, ওয়াসিম আকরাম কিংবা কার্টলি এমব্রোসের মতো বোলার যেখানে কিনা ৫ উইকেট পেয়েছেন যথাক্রমে ৭, ৬ আর ৪ বার করে, তখন তাদের সাথে তুলনা করলে ওয়াকার ইউনুসের এই কীর্তি আপনার চোখে আরো বড় মনে হবার কথা।
ব্যাটিংয়ে যেমন টানা সেঞ্চুরির একটি রেকর্ড থাকে, ঠিক তেমনিভাবে বোলিংয়েও টানা ৫ উইকেট পাওয়ার একটি রেকর্ড হিসেব করা হয়। এই জায়গাতেও ওয়াকার ইউনুস অন্যান্যদের চেয়ে একটু বেশি ব্যবধানেই এগিয়ে। ওয়ানডে ক্রিকেটে টানা দুই ম্যাচে ৫ উইকেট পাওয়ার ঘটনাই ঘটেছে এই পর্যন্ত মাত্র ১২ বার। একমাত্র বোলার হিসেবে এই কাজটি ওয়াকার ইউনুস করতে পেরেছেন ৩ বার। এর মাঝে একবার টানা তিন ম্যাচেও তিনি ৫ উইকেট পেয়েছেন, যা কিনা ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে আর কেউ করতে পারেননি। এর সাথে আরেকটি রেকর্ড যোগ করা যেতে পারে। ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম বয়সে (১৮ বছর ১৬৪ দিন) ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও ওয়াকার ইউনুসের।
ক্যারিয়ারের ৩৭৬টি টেস্ট উইকেট কিংবা ৪১৪টি ওয়ানডে উইকেটের পরিসংখ্যান কারো গ্রেট বোলার হবার জন্য যথেষ্ট। তবে আপনি যখন জানবেন যে, ওয়াকার ইউনুস আর শচীন টেন্ডুলকারের আন্তর্জাতিক অভিষেক এক ম্যাচে হলেও শচীন টেন্ডুলকারের চেয়ে ৯ বছর কম দীর্ঘ ছিল তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার, তখন কিছুটা অবাক হলেও হতে পারেন।
ফাস্ট বোলারদের ক্যারিয়ার এমনিতেও একটু ছোট হয় অন্যান্যদের তুলনায়, তবুও এর সাথে ক্রিকেট বহির্ভূত পারিপার্শ্বিক আরো কয়েকটা ঘটনা জড়িয়ে থাকে। যেমন- ওয়াকার ইউনুসের ক্ষেত্রে কাউন্টি ক্রিকেটের ক্লান্তিহীন খেলা আর পাকিস্তান ক্রিকেটের আরেক গ্রেট ওয়াসিম আকরামের সাথে অভ্যন্তরীন কোন্দল, এর সাথে শোয়েব আখতারের উত্থান- সবকিছু মিলিয়ে তার ক্যারিয়ারটাকে ছোট করে ফেলে।
এবার শোনা যাক এই প্রতিভাবান বোলারের কিছু গল্প।
৩
মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ওয়াকার ইউনুস প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। তবে সেই সময়েই একটি ইনজুরির জন্য তার বাম হাতের ছোট আঙুলটি কেটে ফেলতে হয়।
তবে এরপরেও ইনজুরি থেকে ফিরে এসে তিনি তার খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। একবার টেলিভিশনে একটি ম্যাচে তার খেলা দেখে তৎকালীন অধিনায়ক ইমরান খান তাকে দলে ডাকেন। তার টেস্ট অভিষেক হয় ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে। শুরুতেই তিনি তার গতি দিয়ে ব্যাটসম্যানদের মাঝে ত্রাস সৃষ্টি করেন, প্রথম ইনিংসেই তিনি চারটি উইকেট দখল করেন, যার মাঝে শচীন টেন্ডুলকার এবং কপিল দেবের উইকেটও ছিল।
অভিষেকের পর থেকেই ধীরে ধীরে তিনি উজ্জ্বল হতে থাকেন। ওয়ানডেতে ৫০তম উইকেট পান মাত্র ২৭টি ম্যাচ খেলেই। অভিষেকের পরের বছরেই ১৯টি ওয়ানডেতে মাত্র ১২.৬৩ গড়ে ৪৭টি উইকেট পান। এই সময়ে ৯টি টেস্ট ম্যাচে পান ৪৯টি উইকেট। তার এই সাফল্যের কারণে কাউন্টি ক্রিকেট থেকে তার ডাক পড়ে। সেখানে ১৯৯১ মৌসুমে সারের হয়ে খেলে মাত্র ১৪.৬৫ গড়ে দখল করেন ১১৩টি উইকেট। এই সাফল্য তাকে ১৯৯২ সালের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পাইয়ে দেয়।
টেস্ট এবং ওয়ানডে দুই ধরনের ক্রিকেটেই তিনি তার সফলতার ছাপ রাখতে থাকেন। ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম ম্যাচে ৩০০ ও ৩৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড করেন, যা পরবর্তীতে ভাঙেন ব্রেট লি। তবে সবচেয়ে কম ম্যাচে ৪০০ উইকেট দখলের রেকর্ডটি এখনো তারই আছে। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে কমপক্ষে ২০০ উইকেট পেয়েছেন এমন বোলারদের মাঝে ডেল স্টেইনের পরেই তার অবস্থান (৪৩.৪)।
তিনি ১৯৯৭ সালে গ্লামারগনের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলেন এবং ১৯৬৯ সালের পর তাদেরকে শিরোপা জিততে সহায়তা করেন। সেই মৌসুমে ল্যাঙ্কারশায়ারের বিপক্ষে তার ২৫ রানে ৭ উইকেট শিকার একটি উল্লেখযোগ্য পারফর্মেন্স ছিল। সেই ম্যাচে তিনি হ্যাটট্রিক করেন এবং অল্পের জন্য আরেকটি হ্যাটট্রিক মিস করেন। গ্লামারগন সেই মৌসুমের পর এখন পর্যন্ত আর কাউন্টি ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে নি।
৪
এত সফল ক্যারিয়ারে ওয়াকার ইউনুসের হতাশাও ছিল। কেন যেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসর বিশ্বকাপে তার পারফর্মেন্স আশানুরুপ ছিল না। তুখোড় ফর্মে থাকা সত্ত্বেও ১৯৯২ এর বিশ্বকাপে ইনজুরির জন্য অংশগ্রহণ করতে পারেননি তিনি। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে দুর্দান্ত ছিলেন। মাত্র ৬ ম্যাচেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩টি উইকেট দখল করেন, (সর্বোচ্চ ছিল অনিল কুম্বলের ৭ ম্যাচে ১৫ উইকেট)। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে তার শেষ দুই ওভারে ৪৪ রানকেই ম্যাচের মূল টার্নিং পয়েন্ট বলা হয়। পাকিস্তান ছিটকে পড়ে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে আরেক গতি দানব শোয়েব আখতারের উত্থান তাকে দলে সুযোগ পেতে দেয়নি। বাংলাদেশের বিপক্ষে গ্রুপ পর্যায়ের একটি ম্যাচে সুযোগ পান তিনি এবং সেই ম্যাচে পাকিস্তান পরাজিত হয়। ২০০৩ বিশ্বকাপে তার অধিনায়কত্বেই তারকা সমৃদ্ধ পাকিস্তান প্রথম পর্ব থেকে বাদ পড়ে।
৫
একজন বোলারের জন্য যেকোনো পর্যায়েই হ্যাটট্রিক খুব কাঙ্ক্ষিত একটি বিষয়। আর সেটি যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হয়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা।
হ্যাটট্রিক পেতে হলে আসলে কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা পেতে হয়। খুব ভালো বোলার হলেই হ্যাটট্রিক পাবে, বিষয়টা এমন নয়। সর্বকালের সবচেয়ে কমপ্লিট বোলার বলা হয় যাকে, সেই ডেনিস লিলি কিংবা টেস্টের সর্বাধিক উইকেট শিকারী মুরালীধরন টেস্টে কখনো হ্যাটট্রিক করতে পারেননি। অথচ মাত্র ২০ টেস্টে ৭৫ উইকেট পাওয়া ডেমিয়েন ফ্লেমিং টেস্ট অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করেন।
টেস্টে পরপর দুই বলে উইকেট পাওয়া বোলার প্রচুর পাওয়া যাবে। এদের মাঝে ইংল্যান্ডের ওল্ড আর পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরামকে কিছুটা দুর্ভাগাই বলা যায়। ওল্ড পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে পাঁচ বলে চার উইকেট পান। প্রথমে দুই বলে দুই উইকেট, মাঝে এক বল মিস, আবার দুই বলে দুই উইকেট। ওয়াসিম আকরামেরও একই অবস্থা, ৯০-৯১ সালে উইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ বলে চার উইকেট পেলেও হ্যাটট্রিক পাওয়া হয়নি। পরবর্তীতে অবশ্য ওয়াসিম আকরাম দুটি হ্যাটট্রিক করে সেই আক্ষেপ মিটিয়েছিলেন।
ওয়াকার ইউনুসকে সৌভাগ্যবান কিংবা পারফর্মার যা-ই বলুন, তিনি ওয়ানডে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তবে এই রেকর্ডেও ওয়াকার ইউনুসের আরেকটি বাড়তি কৃতিত্ব আছে। দলীয় খেলায় সফলতা পেতে হলে অন্য সতীর্থদের সাহায্য কিছুটা হলেও প্রয়োজন হয়। যেমন- একজন বোলারের বোলিংয়ের সময় যখন ক্যাচ ওঠে, তখন আরেকজন ফিল্ডার সেই ক্যাচটিকে ধরতে পারলেই উইকেটটি বোলার পান। ক্রিকেটে একমাত্র বোল্ড আউটটাই এরকম আউট, যেখানে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব বোলারেরই থাকে। ওয়াকার ইউনুসের কৃতিত্ব হচ্ছে, তার হ্যাটট্রিকে তাকে কারো সাহায্য নিতে হয় নি। ৩টি আউটই তিনি বোল্ড আউটের মাধ্যমে করেছিলেন।
পাকিস্তানের টেস্ট এবং ওয়ানডে দুই ধরনের ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় তিনি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। ২০০১ সালে তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে ম্যাচে মাত্র ৩৬ রানে ৭ উইকেট পান, যা কিনা সেই সময় এক ইনিংসে পাকিস্তানের পক্ষে সবচেয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড হিসেবে ছিল। পরবর্তীতে সেই রেকর্ড ভাঙেন শহীদ আফ্রিদী।
পাকিস্তানের হয়ে ১৭টি টেস্ট আর ৬২টি ওয়ানডেতে অধিনায়কত্বও করেছেন। অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তিও তারই। অবসরের পর কিছুদিন পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে কোচিংও করিয়েছেন ওয়াকার।
৬
গতিদানব উসাইন বোল্টকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তার শৈশবের হিরো কে? তার উত্তর ছিল,
“যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন পাকিস্তান ক্রিকেটের ফ্যান ছিলাম। এর মাঝে ওয়াকার ইউনুসকে আমার কাছে খুব ভালো লাগত। এমনকি যখন পাকিস্তান বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে ম্যাচ হতো, তখনও একটি বয়স পর্যন্ত ওয়াকার ইউনুসের জন্য পাকিস্তানকেই সমর্থন করতাম।”
ওয়াকার ইউনুসের ভক্ত শুধু উসাইন বোল্টই নন, আরো অনেকেই হতে পারতেন। তবে ক্যারিয়ারটা কখনোই নিরবিচ্ছিন্ন ছিল না। এর জন্য ইনজুরির পাশাপাশি পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্তর্কলহও কম দায়ী ছিল না। তবে এত কিছুর পরেও ক্রিকেট ইতিহাসে ওয়াকার ইউনুস একজন গ্রেট বোলার হিসেবেই বিবেচিত হন। প্রচণ্ড গতির সাথে রিভার্স সুইং আর ইয়র্কার বোলিংয়ের দক্ষতার জন্য প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের কাছে আতঙ্ক রুপেই বিবেচিত ছিলেন।
আফসোস, ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকরা সেরা ফর্মের ওয়াকার ইউনুসকে খুব বেশি দিন দেখতে পারেননি!