আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মঞ্চে বাংলাদেশের প্রথম সুপারস্টার ধরা হয় মোহাম্মদ আশরাফুলকে। বাঘা বাঘা বোলারদের চোখে চোখ রেখে পাল্টা আক্রমণ করার অমিত সাহসটা বাংলাদেশ প্রথম দেখেছিল আশরাফুলের ব্যাটে। মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরাও ক্যারিয়ার জুড়ে নান্দনিক ধারাবাহিকতায় বিশ্ব ক্রিকেটে গৌরবের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন।
তবে বিশ্বসেরা হওয়ার স্বাদটা বাংলাদেশ প্রথম পেয়েছিল সাকিব আল হাসানের মাধ্যমে। ২০০৯ সালে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডার হয়েছিলেন এই বাংলাদেশি ক্রিকেটার। তারপর থেকে ক্রমাগত নিজের সাথে সাথে দেশকেও অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘রেকর্ডের বরপুত্র’ সাকিব।
অলরাউন্ডার হিসেবে ক্রিকেটের অভিজাত তালিকায় নাম লিখিয়েছেন, অনেক রেকর্ডের মালিক হয়েছেন। শুধু বোলার বা শুধু ব্যাটসম্যানের ভূমিকায়ও তার প্রতিভা, সামর্থ্যরে দ্যুতি ছড়িয়েছে রেকর্ড বইয়ের আনাচে-কানাচে।
সময়টা একটু এদিক-ওদিক হতে পারে, তবে বচনটা সত্য। সম্ভবত বছর দুই আগে (২০১৭ সাল) সাকিব ওয়ানডেতে পাঁচ হাজার রান পূর্ণ করেছিলেন। তখন সংবাদ সম্মেনে তার ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন হয়েছিল, তিনি আরও রান করতে পারতেন কি না। সাকিবের জবাব ছিল এমন,
‘অবশ্যই সম্ভব হতো। অনেক ইনিংসে ভালো শুরু করেও আউট হয়ে গেছি। হাফ সেঞ্চুরিগুলো বড় করা যেত। তবে যেহেতু আমি মিডল অর্ডারে খেলি, এখানে অনেক সময় বড় ইনিংস খেলার সুযোগ থাকে না। টপ অর্ডারে খেলা ব্যাটসম্যানরা যে সুযোগটা পায়, তেমন সুযোগ পেলে হয়তো আমার রান আরও বেশি থাকতো। আমাকে তো আবার বোলিংটাও করতে হয়।’
ওই সময়ে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি, ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস, সর্বাধিক রানের মালিক ছিলেন তামিম ইকবাল। টেস্টেও একই রেকর্ডগুলো তামিমের দখলে ছিল। আর তখন থেকেই ব্যাটসম্যান সাকিবের রানক্ষুধা স্পষ্ট ছিল। ২০১৭ সালেই নিউ জিল্যান্ডে টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি ও ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন সাকিব। ২০১৮ সালটা খুব ভালো যায়নি তার, এবং সেটা বারবার ইনজুরির হানায়।
বিশ্বকাপের আগে গোটা বাংলাদেশ দল অনুশীলন করেছে মিরপুর স্টেডিয়ামে, যেই ক্যাম্পে ছিলেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ডেরায় ছিলেন তিনি। ম্যাচ খুব বেশি পাননি, তবে আইপিএলের আড়ালে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিই নিয়েছেন তিনি। ঢাকা থেকে উড়িয়ে নিয়ে গেছেন ছেলেবেলার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে। তার সঙ্গে দিন দশেক কাজ করেছেন হায়দরাবাদের নেটে, যেখানে ব্যাটিংয়ের স্কিলগুলোই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে।
ডায়েট চার্টে বড়সড় পরিবর্তন এনে ওজন কমিয়েছেন ৬ কেজি। বিশ্বকাপের জন্য নিজের সম্ভাব্য সেরা প্রস্তুতি নেয়ার কথাও সংবাদ মাধ্যমে বলেছিলেন সাকিব। গত মে মাসে তিনি বলেছিলেন,
‘বিশ্বকাপ সামনে ছিল। একটি লক্ষ্য নিয়েই করেছি। সবারই লক্ষ্য থাকে, বিশ্বকাপ খেলা প্রতিটি ক্রিকেটারেরই নিজস্ব লক্ষ্য আছে। একটি কথা বলতে পারি, গত ৮-৯ বছরে মনে হয় এত কষ্ট করিনি, যতটা পরিশ্রম ও প্রস্তুতি এই বিশ্বকাপের জন্য নিয়েছি। আমার তরফ থেকে যতটুকু করার সম্ভব ছিল, করেছি। বাকিটা ওপরওয়ালার ইচ্ছা ও আমার চেষ্টা।’
বিশ্বকাপ নিয়ে সাকিবের মনের কোণে লালিত স্বপ্নটা হয়তো আমরা কেউই জানতে পারিনি। তবে বিশ্বকাপ শুরু হতেই পারফরম্যান্সের দ্যুতিতে স্পষ্ট, কী সংকল্প-স্বপ্ন নিয়ে এসেছেন তিনি ইংল্যান্ডের মাটিতে।
যেন স্বপ্ন বিস্ময়কে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তার হাত ধরে বাংলাদেশের সাফল্যের রথও নতুন দিগন্তের সন্ধান পাচ্ছে। চলমান বিশ্বকাপে ঈর্ষণীয় ফর্মে ছিলেন সাকিব। সেমিফাইনালের আগেই বাংলাদেশ ছিটকে পড়েছে বটে, তবে তাতে সাকিবের অবস্থানটা একদমই নড়বড়ে হয়নি। ব্যাট হাতে ৮৬.৫৭ গড় এবং ৯৬.০৪ গড়ে করেছেন ৬০৬ রান, যা এই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ। এছাড়া বল হাতে রয়েছে ১১ উইকেট, যা স্পিনারদের মধ্যে ইমরান তাহিরের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। বোলিংয়ে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে তার বুদ্ধিদীপ্ত এবং নির্ভুল লাইন-লেংথে নিয়মিত বোলিং।
বিশ্বকাপের মাঝপথেই দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। এছাড়া তামিম ইকবালের পর টানা ৫ ওয়ানডেতে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলার গৌরবও অজর্ন করেছেন তিনি। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে শুরু করে বিশ্বকাপের আট ম্যাচের সাতটিতেই পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেলেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এর আগে ২০১২ সালে এশিয়া কাপে টানা পাঁচ হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম।
এই সাকিবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা ক্রিকেটবিশ্ব। কিংবদন্তিরা, সাবেক ক্রিকেটাররা, ক্রিকেট বিশ্লেষক, ধারাভাষ্যকাররা বিমোহিত এই বাংলাদেশির ক্রিকেট নৈপুণ্যে। সন্দেহাতীতভাবে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার তিনি। এখন বিশ্ব ক্রিকেটে প্রশ্ন উঠেছে, ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার কি সাকিব? হয়তো এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে অচিরেই ক্রিকেটবিশ্বকে সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের ‘পোস্টার বয়’।
তবে বাংলাদেশে সাকিবের সতীর্থ, বন্ধু, সাবেক ক্রিকেটাররা সাকিবের রানের স্রোতধারা দেখে বিস্মিত নন। বরং তাদের চোখে এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের কাছে এটাই প্রত্যাশিত এবং এই পারফরম্যান্সের সামর্থ্য তার রয়েছে।
সাকিব এখন বাংলাদেশের মুখ
বিশ্বকাপে দুরন্ত ফর্মে থাকা অগ্রজ সাকিবের মাঝে পারফর্ম করার ইচ্ছাটা অতীতের চেয়ে বেশি দেখছেন মুমিনুল হক। সাদা পোশাকে দেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান সাকিবের ব্যাটে ধারাবাহিকতা নিয়ে বলেছেন,
‘পারফরম্যান্সের ক্ষুধা তো সবসময় দেখি, সবসময় থাকে। হয়তো ইচ্ছাটা মনে হয় এবার বেশি। আমার মনে হচ্ছে, ইচ্ছা আসলেই অনেক বেশি। আইপিএলের সময় সালাউদ্দিন স্যারকে নিয়ে গেছিল, নিজে থেকেও বুঝতে পারছে অনেক কিছু।’
তবে ব্যাট হাতে সাকিবের রানের ফল্গুধারা দেখে একটু বিস্মিত নন মুমিনুল। জাতীয় দলের সাকিবের সতীর্থ এই ক্রিকেটার বলেছেন,
‘যদিও আমি এই পারফরম্যান্সে খুব বেশি অবাক নই। কারণ এই পারফরম্যান্স উনার থেকে আসার কথা ছিল আজ থেকেও ৩-৪ বছর আগে। তখন যদি এমন সিরিয়াস থাকতো উনি, তাহলে ওনার জন্যও ভালো হতো, বাংলাদেশ দলের জন্যও ভালো হতো। উনি যে ধরনের খেলোয়াড়, উনি এ ধরনের পারফরম্যান্স ডিজার্ভ করে। আমি আসলে সাকিব ভাই, তামিম ভাই, তাদের দু’জনের কাছে আরও ২-৩ বছর আগে থেকেই এমন কিছু আশা করেছিলাম। কোহলি-রুটরা যেমন খেলে, তারাও এমন কিছু আরও আগে থেকে শুরু করতে পারতো। আমি বলবো, তাদের এই পারফরম্যান্স বাংলাদেশ দলের জন্য খুব ভালো।’
কিংবদন্তিদের দেখেই দেশের ক্রিকেট উন্নতি করে। ভারতে শচীন টেন্ডুলকারকে দেখে ভিরাট কোহলি’র মতো রানমেশিন বের হয়েছে। মুমিনুলের আশা, সাকিবকে দেখে ভবিষ্যতে বাংলাদেশেও আসবে বড় কোনো ক্রিকেটার। মুমিনুল বলছিলেন,
‘আমার মনে হয় একটা প্রজন্মের জন্য বড় প্রেরণার বিষয়। নতুন যারা আসছে, তারা দেখে সাকিব-তামিম কি করে, উনাদের খেলা। আমার কাছে মনে হয়, এই পারফরম্যান্স আমাদের পরবর্তী যে প্রজন্ম আসবে, তাদের জন্য খুব বেশি কাজে দিবে। আপনি দেখেন, ভারতে শচীন টেন্ডুলকারকে দেখে অনেক ক্রিকেটার বের হয়েছে, বিশেষ করে ব্যাটসম্যান। লেজেন্ড প্লেয়ার দেখে কিন্তু দেশের ক্রিকেট উন্নতি করে। আমাদের নতুন যারা ক্রিকেট শুরু করতেছে, তাদের জন্য এটা খুব ভালো। তারা দেখে শিখবে। আমি সাকিব আল হাসানের মতো বড় বা তার চেয়ে বড় ক্রিকেটার হবো। শচীনকে দেখে কোহলি বের হয়েছে। হয়তো দেখবেন সাকিব ভাইয়ের চেয়ে বড় হবে।’
নতুন প্রজন্মের জন্য রোল মডেল সাকিব: ইমরুল কায়েস
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন ইমরুল কায়েসও। জাতীয় দলের সাকিবের সতীর্থ তিনি। এছাড়া দু’জনের বন্ধুত্ব রয়েছে, ব্যবসায়িক পার্টনারও তারা। ইমরুল বন্ধুর মাঝে আগের চেয়ে পারফর্ম করার আকাঙ্ক্ষা, তীব্রতাটা বেশি দেখেছেন। বাঁহাতি এই ওপেনার বলেছেন,
‘ডিটারমিনেশনটা আগেও ছিল, এখন কমিটমেন্টটা আরও বেড়েছে। দায়িত্ব অনেক বাড়ছে সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে। সঙ্গে এক নম্বর অলরাউন্ডার অনেক দিন ধরে। এসব বিষয়কে সে আগের চেয়ে অনেক বেশি অনুধাবন করেছে, আমার মনে হয়। যার কারণেই হয়তো নিজে এই উদ্যোগগুলো নিয়েছে। বাড়তি কাজ করা, তার পুরস্কারগুলোই পাচ্ছে। ওজন কমিয়েছে, নিজেকে আগের চেয়ে ফিট করেছে অনেক। এখানেই তার ইচ্ছাগুলো স্পষ্ট।’
মুমিনুলের মতোই বিশ্বকাপে সাকিবের রান মেশিন হয়ে পড়াটা অবাক করেনি ইমরুলকে। তিনি বলেছেন,
‘অনেকে হয়তো অবাক হতে পারে, আমি একটুও অবাক হচ্ছি না। সাকিব আল হাসান কি ধরনের খেলোয়াড় এটা আমাদের দেশের মানুষ নাও বোঝে, আমরা যারা ক্রিকেট খেলি, তারা বুঝি। বাইরে যারা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ আছেন, তারাও বোঝেন। তারা তাকে ওইভাবে উঁচু জায়গায় মূল্যায়ন করে। কারণ ও তো ১-২ দিনে এক নম্বর অলরাউন্ডার হয়নি। লম্বা সময় ধরে আছে। কাজটা অনেক চ্যালেঞ্জিং, এটা সবাই পারে না। সবার পক্ষে সম্ভব হয় না।’
আগামীর ক্রিকেটারদের জন্য রোল মডেল এখন দেশেই আছে। ইমরুলের মতে, নতুন ক্রিকেটারদের জন্য প্রেরণার উৎস এখন সাকিব। তিনি বলেছেন,
‘এটা খুবই সত্য কথা যে, আমরা একসময় বাইরের দেশের ক্রিকেটারদের অনুসরণ করতাম। যেমন, শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি, কুমার সাঙ্গাকারা’র মতো ব্যাটসম্যানদের। ওরা ভালো খেলতো, তাই ওদের অনুসরণ করতো সবাই। এখন আর ওই জিনিসটা নেই। এখন যারা আমাদের দেশের উঠতি ক্রিকেটার, তারা রোল মডেল হিসেবে সাকিবকে অনুসরণ করবে। ক্রিকেটার সাকিব কী করছে, কী করতে পারে, সবাই দেখছে। নতুন প্রজন্মের জন্য রোল মডেল বলেন, প্রেরণা বলেন, আমার মনে হয় তাদের সামনে আদর্শ উদাহরণ সাকিব আল হাসান।’
বিশ্বকাপ যেন তার জন্যই তৈরি হয়েছে: রকিবুল হাসান
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, বিসিবির ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসানও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সাকিবকে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা পারফরমারকে নিয়ে তিনি বলেছেন,
‘সাকিব আল হাসান, মনে হচ্ছে ২০১৯ বিশ্বকাপটা তার জন্যই তৈরি হয়েছে। অসাধারন ব্যাটিং করছেন, একই সাথে বোলিংও। এই ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সেখানেও বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করে নিজের অবস্থান জানাচ্ছেন। ওর শরীরী ভাষাও দলের বাড়তি ব্যাপার। কারন সাকিবের মতো প্লেয়াররা যখন দলের সাথে মিশে যায়, বাকিদের উৎসাহিত করে, তখন টনিকের মতো কাজ করে।’
সাকিব ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হতে চায়: সুজন
বিশ্বকাপে সাকিবকে দেখে বিমুগ্ধ খালেদ মাহমুদ সুজন। দলের ম্যানেজারের ভূমিকায় ছিলেন বিসিবির এই পরিচালক। তার চোখে, পারফর্ম করতে উদগ্রীব ছিলেন সাকিব। সুজন বলেছেন,
‘সাকিব সবসময় অনেক বড় ক্রিকেটার, সন্দেহ নাই। তবে গত কয়েক মাসের সিরিয়াসনেস আমাকে দারুণভাবে মুগ্ধ করেছে। ফিটনেস নিয়ে কাজ করাই শুধু নয়, দলে তার সম্পৃক্ততা ও যেভাবে কষ্ট করছে, সব মিলিয়ে।’
ব্যাটিংয়ে অনেক রান, বোলিংয়েও উইকেট রয়েছে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সুজনের বিশ্বাস, সাকিব টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড় হওয়ার পথে সামর্থ্যের সবটুকুই ঢেলে দিয়েছেন, নিজের সেরাটা নিংড়ে বিশ্বমঞ্চে নিজেকে মেলে ধরেছেন।
সুজন বলেছেন,
‘বলা তো যায় না আগে থেকে, তবে আমার মনে হয় সাকিব ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট হতে চায় এই বিশ্বকাপে। আমিও সেটা বিশ্বাস করি। গত ৬ মাস ধরে নিজেকে সে সেভাবেই প্রস্তুত করেছে, ফিটনেসের দিক থেকে, দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে, সবকিছু মিলিয়ে। আগে হয়তো অনুশীলনে একদিন ব্যাটিং করল, আরেকদিন বোলিং, এখন সে অনেক বেশি সিরিয়াস।’